গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় একটি বেড়িবাঁধের তিন স্থানে কেটে ইটভাটার রাস্তা তৈরির আট বছরেও বাঁধটি সংস্কার করা হয়নি। এতে বন্যার পানি লোকালয়ে ঢোকায় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের চলাচলেও ভোগান্তি হচ্ছে।
স্থানীয়দের বলছেন, আওয়ামী লীগের দুই নেতার ইটভাটার জন্য উপজেলার চর গওহরডাঙ্গা এলাকার মধুমতী নদীতীরে বেড়িবাঁধের ওই জায়গাগুলো কেটে রাখা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গোপালগঞ্জ জেলার দক্ষিণাঞ্চলকে সুরক্ষিত রাখতে তারাইল-পাঁচুড়িয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ করা হয় ওই বেড়িবাঁধ। ২০১১-১২ অর্থবছরে ৩০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে শুরু হয় প্রকল্পের কাজ। তবে প্রকল্পের কাজ শেষ করতে পারেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। ১৬ দশমিক ২৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণের কথা থাকলেও করা হয় ১৫ কিলোমিটার। এ কাজ শেষ হয় ২০১৬ সালে। পরে টুঙ্গিপাড়ার চর গওহরডাঙ্গা এলাকার মধুমতী নদীতীরে বেড়িবাঁধের তিনটি স্থানে কেটে ফেলা হয়। টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. ইলিয়াস হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল শেখ তাঁদের মালিকানাধীন জুয়েল ব্রিকস এবং বাবুল ব্রিকসে নদীপথে মাটি ও ইট পরিবহন করতে এই বাঁধ কেটে ফেলেন।
স্থানীয়রা বলছেন, দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকায় ওই ভাটার মালিকদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পাননি তাঁরা। বাঁধ কেটে ফেলায় বন্যার পানি ঢুকে তলিয়ে যায় ফসলি জমি ও বাড়িঘর। বেড়িবাঁধের রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে না পারায় চরম বিপাকে পড়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. ময়ূর আলী শেখ বলেন, ‘বেড়িবাঁধ তিন জায়গায় কাটা রয়েছে। ইবাদত খলিফার ভাটার ভেতর দিয়ে যেতে হয়। বেড়িবাঁধ ঠিক হলে মালামাল রাস্তা দিয়ে আনতে পারব।’
হেদায়েত শেখ নামের একজন বলেন, ‘আমার বাড়ির পাশে জুয়েল ভাটা। ভাটার পাশে যে বেড়িবাঁধ রয়েছে, সেটি ইটভাটার প্রয়োজনে কেটে ফেলা হয়েছে। ফলে বর্ষার সময় আমাদের ঘরে পানি ঢুকে যায়।’
স্থানীয় বাসিন্দা শাহানা বেগম বলেন, ‘আমাদের রাস্তা ছিল। ভাটাওয়ালারা রাস্তার ওপরে মাটি দিয়ে ঢেকে দিয়েছে। আমাদের বাড়িতে ভ্যানগাড়ি আনার কোনো কায়দা নাই। বাড়িতে ঢোকার কোনো কায়দা নাই। কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে নেওয়ারও উপায় নাই।’
তুরানী আক্তার বলেন, ‘বেড়িবাঁধ ঠিক নাই। এ জন্য আমাদের চলাচলে অসুবিধা হয় এবং বেড়িবাঁধের ওপর মাটি ফেলে রাখায় বাড়ি থেকে বের হতে পারি না। ইটভাটার ভেতরের রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয়।’
গোলাম মোস্তফা শেখ বলেন, ‘আমরা গেরামের সব মানুষ দুর্ভোগে পড়েছি। এক পাশে রাস্তা এবং অপর পাশে ইটভাটার সামনে কাটা। বাড়ি থেকে বের হওয়ার কোনো উপায় নেই।’
গত ৫ আগস্টের পর টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ওই দুই নেতা গা ঢাকা দেওয়ায় তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
গোপালগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম রেফাত জামিল বলেন, ‘কাজটি বাস্তবায়নের সময় বেড়িবাঁধের কয়েকটি পয়েন্টে স্থানীয়ভাবে সমস্যার কারণে বাস্তবায়ন করা যায়নি। বর্তমানে বিষয়টি পুনরায় নজরে এসেছে এবং স্থানীয় লোকজনের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন করে বেড়িবাঁধ সম্পূর্ণ করা যায় কি না, সে বিষয়ে যাচাই-বাছাই করছি।’ তিনি বলেন, যদি ব্যক্তিগতভাবে বেড়িবাঁধ কেউ কেটে থাকে, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় একটি বেড়িবাঁধের তিন স্থানে কেটে ইটভাটার রাস্তা তৈরির আট বছরেও বাঁধটি সংস্কার করা হয়নি। এতে বন্যার পানি লোকালয়ে ঢোকায় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের চলাচলেও ভোগান্তি হচ্ছে।
স্থানীয়দের বলছেন, আওয়ামী লীগের দুই নেতার ইটভাটার জন্য উপজেলার চর গওহরডাঙ্গা এলাকার মধুমতী নদীতীরে বেড়িবাঁধের ওই জায়গাগুলো কেটে রাখা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গোপালগঞ্জ জেলার দক্ষিণাঞ্চলকে সুরক্ষিত রাখতে তারাইল-পাঁচুড়িয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ করা হয় ওই বেড়িবাঁধ। ২০১১-১২ অর্থবছরে ৩০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে শুরু হয় প্রকল্পের কাজ। তবে প্রকল্পের কাজ শেষ করতে পারেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। ১৬ দশমিক ২৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণের কথা থাকলেও করা হয় ১৫ কিলোমিটার। এ কাজ শেষ হয় ২০১৬ সালে। পরে টুঙ্গিপাড়ার চর গওহরডাঙ্গা এলাকার মধুমতী নদীতীরে বেড়িবাঁধের তিনটি স্থানে কেটে ফেলা হয়। টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. ইলিয়াস হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল শেখ তাঁদের মালিকানাধীন জুয়েল ব্রিকস এবং বাবুল ব্রিকসে নদীপথে মাটি ও ইট পরিবহন করতে এই বাঁধ কেটে ফেলেন।
স্থানীয়রা বলছেন, দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকায় ওই ভাটার মালিকদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পাননি তাঁরা। বাঁধ কেটে ফেলায় বন্যার পানি ঢুকে তলিয়ে যায় ফসলি জমি ও বাড়িঘর। বেড়িবাঁধের রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে না পারায় চরম বিপাকে পড়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. ময়ূর আলী শেখ বলেন, ‘বেড়িবাঁধ তিন জায়গায় কাটা রয়েছে। ইবাদত খলিফার ভাটার ভেতর দিয়ে যেতে হয়। বেড়িবাঁধ ঠিক হলে মালামাল রাস্তা দিয়ে আনতে পারব।’
হেদায়েত শেখ নামের একজন বলেন, ‘আমার বাড়ির পাশে জুয়েল ভাটা। ভাটার পাশে যে বেড়িবাঁধ রয়েছে, সেটি ইটভাটার প্রয়োজনে কেটে ফেলা হয়েছে। ফলে বর্ষার সময় আমাদের ঘরে পানি ঢুকে যায়।’
স্থানীয় বাসিন্দা শাহানা বেগম বলেন, ‘আমাদের রাস্তা ছিল। ভাটাওয়ালারা রাস্তার ওপরে মাটি দিয়ে ঢেকে দিয়েছে। আমাদের বাড়িতে ভ্যানগাড়ি আনার কোনো কায়দা নাই। বাড়িতে ঢোকার কোনো কায়দা নাই। কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে নেওয়ারও উপায় নাই।’
তুরানী আক্তার বলেন, ‘বেড়িবাঁধ ঠিক নাই। এ জন্য আমাদের চলাচলে অসুবিধা হয় এবং বেড়িবাঁধের ওপর মাটি ফেলে রাখায় বাড়ি থেকে বের হতে পারি না। ইটভাটার ভেতরের রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয়।’
গোলাম মোস্তফা শেখ বলেন, ‘আমরা গেরামের সব মানুষ দুর্ভোগে পড়েছি। এক পাশে রাস্তা এবং অপর পাশে ইটভাটার সামনে কাটা। বাড়ি থেকে বের হওয়ার কোনো উপায় নেই।’
গত ৫ আগস্টের পর টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ওই দুই নেতা গা ঢাকা দেওয়ায় তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
গোপালগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম রেফাত জামিল বলেন, ‘কাজটি বাস্তবায়নের সময় বেড়িবাঁধের কয়েকটি পয়েন্টে স্থানীয়ভাবে সমস্যার কারণে বাস্তবায়ন করা যায়নি। বর্তমানে বিষয়টি পুনরায় নজরে এসেছে এবং স্থানীয় লোকজনের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন করে বেড়িবাঁধ সম্পূর্ণ করা যায় কি না, সে বিষয়ে যাচাই-বাছাই করছি।’ তিনি বলেন, যদি ব্যক্তিগতভাবে বেড়িবাঁধ কেউ কেটে থাকে, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আটক হন নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা নাজমুল কবির শিশির। আজ শুক্রবার বিকেলে চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি রামগঞ্জ পৌরসভার আঙ্গারপাড়া এলাকার মো. নয়ন মাস্টারের ছেলে।
৪৪ মিনিট আগেকুমিল্লায় যৌথ বাহিনী তুলে নেওয়ার পর হাসপাতালে তৌহিদুর রহমান নামের এক যুবদল নেতার লাশ পেয়েছে পরিবার। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টায় তাঁর মৃত্যুর খবর পায় পরিবার। তবে কখন তাঁর মৃত্যু হয়েছে সে তথ্য জানা যায়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে যুবদল নেতার মৃত্যু তথ্য জানিয়েছেন তাঁর ভাই আবুল কালাম।
১ ঘণ্টা আগেইতালি নেওয়া কথা বলে ফরিদপুর থেকে দুই জনকে নেওয়া হয়েছিল লিবিয়ায়। সেখানে নেওয়ার পর তাঁদের ওপর নির্যাতন করা হয়। এরপর নেওয়া হয় মুক্তিপণ। তবে এতেও মুক্তি মেলেনি। গুলি করে হত্যা করা হয়েছে ওই দুই যুবককে। ঢাকা, ফরিদপুর, লিবিয়া, গুলি, হত্যা, জেলার খবর
১ ঘণ্টা আগেএক মাসের ব্যবধানে হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার ঘটনায় সাবেক সরকারসংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা বেড়েছে ৪ গুণের বেশি। আর আসামির সংখ্যা হয়েছে দ্বিগুণের বেশি। সরকার পতনের পর গত ডিসেম্বরে হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার ঘটনায় সাবেক সরকারসংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ছিল ১৭টি। জানুয়ারিতে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২টি।
১ ঘণ্টা আগে