নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাখঢাক না রেখে অফিসে বসে প্রকাশ্যেই ঘুষ নেন রাজশাহীর এক ভূমি কর্মকর্তা। ঘুষ নেওয়ার সময় দরকষাকষিও করেন। দুই দিন তাঁর দপ্তরে গিয়ে এমন চিত্রই দেখা গেছে। এই কর্মকর্তার নাম মিজানুর রহমান। তিনি রাজশাহীর বড়কুঠি মহানগর ভূমি অফিসের ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা। অভিযোগ পাওয়া গেছে, মিজানুরের তোলা টাকার ভাগ পান দপ্তরের সবাই।
সম্প্রতি মিজানুর রহমানের দপ্তরে গিয়ে তাঁকে রীতিমতো দরকষাকষি করে ঘুষ নিতে দেখা যায়। আজ বৃহস্পতিবার সকালে গিয়েও একই চিত্র দেখা গেছে। তবে এই ঘুষ নেওয়ায় কোনো সমস্যা দেখেন না তিনি।
আজ সকালে মিজানুর রহমানকে তাঁর দপ্তরে বসেই সেবা নিতে আসা লোকজনের কাছ থেকে টাকা নিতে দেখা যায়। তাঁর কক্ষেই বসেন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর শান্ত ইসলাম। তাঁর সামনেই টাকা নেন মিজানুর। প্রথমে এক বৃদ্ধ সেবাগ্রহীতা মিজানুরকে ১০০ টাকার কয়েকটি নোট দেন।
আবদুল হাকিম নামের ওই ব্যক্তি জানালেন, তাঁর বাড়ি নগরীর উপশহরে। ভূমি অফিসে একটি কাগজ তুলতে এসেছিলেন। অনেক কাগজের মধ্য থেকে তাঁর কাগজ খুঁজে বের করতে সময় লাগল। তাই পিয়নদের জন্য টাকা দিলেন। আবদুল হাকিম বলেন, ‘পিয়নকে ১০টা টাকা না দিলে কাজটা করে দিবে না। তাই দিলাম।’
আজ সকালে এক তরুণের কাছ থেকে গুনে গুনে দুই হাজার ৫০০ টাকা নিতে দেখা গেল মিজানুর রহমানকে। টাকা দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে ওই তরুণ বলেন, ‘টাকা হচ্ছে এই কাগজের জন্য।’ এটা কিসের টাকা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা বলতে পারব না।’ পরের প্রশ্ন করার আগেই ওই তরুণ নিজের পরিচয় না জানিয়ে দ্রুত চলে গেলেন।
অফিস থেকে চলে আসার পর ফোনে কথা হয় মিজানুর রহমানের সঙ্গে। তরুণের ঘটনা তুলে ধরে তাঁর কাছ থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘এই ছেলের জমির খারিজের টাকা নিয়েছি।’ খারিজের জন্য কত লাগে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা এখন বলতে পারব না। কাগজপত্র দেখে বলতে হবে।’ এর আগে এক বৃদ্ধের কাছ থেকে টাকা নিতে দেখার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটা কোনো সমস্যা না। এটা কোনো ব্যাপার না ভাই। আমি আপনার সঙ্গে সাক্ষাতে কথা বলব।’
গত বছরের ২২ থেকে ৩১ মে মিজানুরের দপ্তরে হিসাব তত্ত্বাবধায়ক (রাজস্ব) মো. ইসরাইল হোসেন ২০২০-২১ অর্থবছরের অডিট করেন। এরপর ২৩ জুন নিরীক্ষা প্রতিবেদন দেন। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বড়কুঠি মহানগর ভূমি অফিসের রেজিস্ট্রার পরীক্ষায় দেখা গেছে, টাকা কম দেখিয়ে সরকারের অর্থ তছরুপ করা হয়েছে। মিজানুর রহমান আত্মসাৎ করেছেন ৩ হাজার ৫০৮ টাকা। এই টাকা তিনি জমা দেননি বলে মন্তব্য করা হয়েছে। কিন্তু এই ঘটনায় মিজানুরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বোয়ালিয়া রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীন মিয়া বলেন, ‘এই বিষয়গুলো আমি জানি না। আমাকে জানিয়ে উপকার করলেন। আজ আমি অফিসের বাইরে। আগামী রোববার অফিসে গিয়েই অভিযোগগুলো যাচাই করে দেখব।’
রাখঢাক না রেখে অফিসে বসে প্রকাশ্যেই ঘুষ নেন রাজশাহীর এক ভূমি কর্মকর্তা। ঘুষ নেওয়ার সময় দরকষাকষিও করেন। দুই দিন তাঁর দপ্তরে গিয়ে এমন চিত্রই দেখা গেছে। এই কর্মকর্তার নাম মিজানুর রহমান। তিনি রাজশাহীর বড়কুঠি মহানগর ভূমি অফিসের ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা। অভিযোগ পাওয়া গেছে, মিজানুরের তোলা টাকার ভাগ পান দপ্তরের সবাই।
সম্প্রতি মিজানুর রহমানের দপ্তরে গিয়ে তাঁকে রীতিমতো দরকষাকষি করে ঘুষ নিতে দেখা যায়। আজ বৃহস্পতিবার সকালে গিয়েও একই চিত্র দেখা গেছে। তবে এই ঘুষ নেওয়ায় কোনো সমস্যা দেখেন না তিনি।
আজ সকালে মিজানুর রহমানকে তাঁর দপ্তরে বসেই সেবা নিতে আসা লোকজনের কাছ থেকে টাকা নিতে দেখা যায়। তাঁর কক্ষেই বসেন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর শান্ত ইসলাম। তাঁর সামনেই টাকা নেন মিজানুর। প্রথমে এক বৃদ্ধ সেবাগ্রহীতা মিজানুরকে ১০০ টাকার কয়েকটি নোট দেন।
আবদুল হাকিম নামের ওই ব্যক্তি জানালেন, তাঁর বাড়ি নগরীর উপশহরে। ভূমি অফিসে একটি কাগজ তুলতে এসেছিলেন। অনেক কাগজের মধ্য থেকে তাঁর কাগজ খুঁজে বের করতে সময় লাগল। তাই পিয়নদের জন্য টাকা দিলেন। আবদুল হাকিম বলেন, ‘পিয়নকে ১০টা টাকা না দিলে কাজটা করে দিবে না। তাই দিলাম।’
আজ সকালে এক তরুণের কাছ থেকে গুনে গুনে দুই হাজার ৫০০ টাকা নিতে দেখা গেল মিজানুর রহমানকে। টাকা দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে ওই তরুণ বলেন, ‘টাকা হচ্ছে এই কাগজের জন্য।’ এটা কিসের টাকা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা বলতে পারব না।’ পরের প্রশ্ন করার আগেই ওই তরুণ নিজের পরিচয় না জানিয়ে দ্রুত চলে গেলেন।
অফিস থেকে চলে আসার পর ফোনে কথা হয় মিজানুর রহমানের সঙ্গে। তরুণের ঘটনা তুলে ধরে তাঁর কাছ থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘এই ছেলের জমির খারিজের টাকা নিয়েছি।’ খারিজের জন্য কত লাগে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা এখন বলতে পারব না। কাগজপত্র দেখে বলতে হবে।’ এর আগে এক বৃদ্ধের কাছ থেকে টাকা নিতে দেখার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটা কোনো সমস্যা না। এটা কোনো ব্যাপার না ভাই। আমি আপনার সঙ্গে সাক্ষাতে কথা বলব।’
গত বছরের ২২ থেকে ৩১ মে মিজানুরের দপ্তরে হিসাব তত্ত্বাবধায়ক (রাজস্ব) মো. ইসরাইল হোসেন ২০২০-২১ অর্থবছরের অডিট করেন। এরপর ২৩ জুন নিরীক্ষা প্রতিবেদন দেন। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বড়কুঠি মহানগর ভূমি অফিসের রেজিস্ট্রার পরীক্ষায় দেখা গেছে, টাকা কম দেখিয়ে সরকারের অর্থ তছরুপ করা হয়েছে। মিজানুর রহমান আত্মসাৎ করেছেন ৩ হাজার ৫০৮ টাকা। এই টাকা তিনি জমা দেননি বলে মন্তব্য করা হয়েছে। কিন্তু এই ঘটনায় মিজানুরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বোয়ালিয়া রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীন মিয়া বলেন, ‘এই বিষয়গুলো আমি জানি না। আমাকে জানিয়ে উপকার করলেন। আজ আমি অফিসের বাইরে। আগামী রোববার অফিসে গিয়েই অভিযোগগুলো যাচাই করে দেখব।’
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
১১ দিন আগেসবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
২২ দিন আগেএবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
২৩ দিন আগেমোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
০৫ জুলাই ২০২৫