Ajker Patrika

রাজশাহীতে হত্যা মামলায় এক নারীসহ দুজনের মৃত্যুদণ্ড

রাজশাহী প্রতিনিধি
আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২১, ১৭: ২০
রাজশাহীতে হত্যা মামলায় এক নারীসহ দুজনের মৃত্যুদণ্ড

রাজশাহীর দুর্গাপুরের কাঁঠালবাড়িয়া গ্রামের নুরুন্নবী ওরফে আইয়ুব নবী ওরফে নবী হত্যা মামলায় এক নারীসহ দুজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুর ১২টায় রাজশাহীর জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আকবর আলী শেখ এ রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে দুজনকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। 

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন কাঁঠালবাড়িয়া গ্রামের মো. দেরাজ মিস্ত্রির স্ত্রী ফুলজান বিবি (৪০) ও একই গ্রামের মৃত মইজুদ্দিনের ছেলে মফিজ উদ্দিন (৪৫)। এ মামলায় দেরাজ মিস্ত্রি নামে একজন আসামি ছিলেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাঁকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন। 

মামলা সূত্রে জানা যায়, ফুলজান বিবির সঙ্গে মফিজ উদ্দিন এবং নবীর পরকীয়া ছিল। ফুলজান দুজনকে লুকিয়ে দুজনের সঙ্গেই পরকীয়া প্রেম করতেন। একপর্যায়ে মফিজ উদ্দিন বিষয়টি জানতে পেরে ফুলজানকে চাপ দেন। তখন ফুলজান নবীকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। 

ঘটনার দিন ২০১৩ সালের ১৫ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফুলজান দেখা করার কথা বলে কৌশলে নবীকে তাঁর বাড়ির পেছনে মুরগির খামারে ডাকেন। আর আরেক প্রেমিক মফিজের হাতে তুলে দেন হাঁসুয়া। মফিজ মুরগির খামারে গিয়ে এক কোপে নবীর শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে দেন। এরপর মফিজ ও ফুলজান একটি বস্তায় লাশ ভরেন এবং দূরে বিলে ফেলে আসেন। আর মাথাটি আরও এক কিলোমিটার দূরে নিয়ে গিয়ে পুঁতে রাখা হয়। পরে মস্তকবিহীন মরদেহ দেখে লোকজন ভাববে ‘গলাকাটা জিন’ নবীর মাথা কেটে নিয়ে গেছে। পরদিন সকালে ফোঁটা ফোঁটা রক্তের দাগ ফুলজানের মুরগির খামার পর্যন্ত দেখা যায়। এ সময় পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। 

এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির ছেলে হাসেম আলী বাদী হয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এরপর পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করেন। পরে ফুলজান ও মফিজের দেখানো স্থান থেকে কাটা মাথা উদ্ধার করা হয়। তাঁরা দুজনে অপরাধ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দেন। আদালত ২৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে রায়ে তাঁদের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। 

আসামিদের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেছেন আইনজীবী একরামুল হক-২ ও আবদুল মালেক রানা। 

এ ব্যাপারে আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আসাদুজ্জামান মিঠু বলেন, রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতের কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন। রায়ের পর তাঁদের রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত