Ajker Patrika

এসপিসি ওয়ার্ল্ডের সিইও এবং নিরাপদ শপের পরিচালকসহ গ্রেপ্তার ৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
এসপিসি ওয়ার্ল্ডের সিইও এবং নিরাপদ শপের পরিচালকসহ গ্রেপ্তার ৩

ই-কমার্সের নামে এমএলএম পরিচালনাকারী ‘এসপিসি ওয়ার্ল্ড এক্সপ্রেসে’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আল আমিন প্রধান এবং নিরাপদ শপের পরিচালকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ রোববার তাঁদের গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) মিডিয়া কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আজাদ রহমান। 

পুলিশ জানিয়েছে, এসপিসি ওয়ার্ল্ডের সিইও আল আমিন এর আগেও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। জামিনে বেরিয়ে ফের গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা করতে থাকেন। অবশেষে রোববার তাঁকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। এসপিসি ওয়ার্ল্ড এক্সপ্রেসের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে গ্রাহকের জমানো টাকা ফেরত না দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা জানান, বিভিন্ন উপায়ে এসপিসির মাধ্যমে আয় করা টাকা ওই প্রতিষ্ঠানের ওয়ালেটে জমা রয়েছে। তারা কোনোভাবেই এ টাকা ক্যাশ আউট করতে পারছেন না। গত তিন-চার মাস ধরে তাদের সব গ্রাহকের একই অবস্থা। 

নিজেদের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান দাবি করলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি সূত্র জানায়, এসপিসি মূলত একটি বহু স্তরভিত্তিক বিপণন ব্যবসা (মাল্টি লেভেল মার্কেটিং-এমএলএম) প্রতিষ্ঠান। ই-কমার্সের নামে এমএলএম ব্যবসা ও প্রতারণার অভিযোগে ২০২০ সালে আল আমিনসহ প্রতিষ্ঠানটির ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছিল ডিবি। ওই সময় জানানো হয়, এসপিসি ২২ লাখ গ্রাহকের কাছ থেকে ২৬৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তবে গ্রেপ্তারের দুই মাসের মধ্যেই জামিনে বের হয়ে আসেন আল আমিন। আবারও একই ভাবে প্রতারণা শুরু করেন। আল আমিন প্রধান ছিলেন ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের টিম লিডার ও প্রশিক্ষক। 
 
পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, আল আমিন গ্রাহকের ৮২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে নিজের নামে তিনটি প্রাইভেটকার কিনেছেন। এ ছাড়া সিটি ব্যাংকের একটি হিসাব থেকে গ্রাহকের ৩৫ লাখ টাকা তার স্ত্রী সারমীন আক্তারের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়েছেন। এসপিসি ওয়ার্ল্ড এক্সপ্রেস লিমিটেডের মাধ্যমে গত বছর জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৬টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন করে। এসব লেনদেন পর্যালোচনায় দেখা যায়, সেখানে মোট ২২ কোটি ৫ লাখ টাকা জমা হয়েছে। তোলা হয়েছে মোট ৪ কোটি ৭ লাখ টাকা। আর দীর্ঘদিন ধরে এমন প্রতারণা করে আসছিল। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত