নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আদালত চত্বর থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় নেতৃত্ব দেওয়া ব্যক্তিকে শনাক্ত করেছে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। এ ছাড়া ঘটনায় অংশ নেওয়া কয়েকজনের নাম পেয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
আজ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের এ কথা জানান সিটিটিসির প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান।
আসাদুজ্জামান বলেন, ‘তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে কারও নাম বলা যাচ্ছে না। আমরা তাদের শনাক্ত করতে পেরেছি। এখন তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পরিকল্পনা কীভাবে হয়েছে তাও আমরা গোয়েন্দা কার্যক্রমের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। আপাতত তদন্তের স্বার্থে আমরা তাদের নাম প্রকাশ করছি না।’
সিটিটিসি প্রধান বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিষয়টি অনেক জটিল। নাইন ইলেভেনের ঘটনা কবে ঘটেছিল সেটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু ওই ঘটনার এক যুগ পর কিন্তু ওসামা বিন লাদেনের অপারেশনটি সংঘটিত হয়েছিল। আমরা আশ্বস্ত করতে চাই আদালত চত্বর থেকে দুই জঙ্গি আসামিকে পুলিশ হেফাজত থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে।’
ওই জঙ্গি ছিনতাই অপারেশনে কারা কারা ছিল তাদের বেশ কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। নেতৃত্বদানকারীকেও শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের সবাইকে শনাক্ত ও গ্রেপ্তার কর আইনের আওতায় নিয়ে আসার কাজ করছি। এ জন্য গণমাধ্যম ও দেশবাসীর সহযোগিতাও চেয়েছেন এই কর্মকর্তা।
তাদের আরও বড় কোনো পরিকল্পনা ছিল কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আরও বড় কোনো পরিকল্পনা ছিল কি না তা বলা সম্ভব তাদের গ্রেপ্তার করা গেলে। তবে মনে হচ্ছে বড় পরিকল্পনা ছিল। তারা চারজনকে ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু দুজনকে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। প্রথমে যে চারজনকে আনা হয়েছিল তাদেরই ছিনতাইয়ের চেষ্টা করা হয়। যেসব আসামিকে আদালতে হাজিরার জন্য আনা হয়েছিল তারা সবাই আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখা অর্থাৎ আস্কারি বিভাগের সদস্য ছিলেন। তাদের সবাইকে সিটিটিসি ২০১৬ সালে গ্রেপ্তার করেছিল। তাদের গ্রেপ্তারের মাধ্যমে অনেকগুলো ঘটনা ও হত্যার রহস্য উদ্ঘাটিত হয়েছিল।’
সিটিটিসি প্রধান বলেন, ‘প্রত্যেকটি পয়েন্টে আমরা সতর্ক করে দিয়েছি। তারা যাতে সীমান্ত পাড়ি দিতে না পারে, তারা যাতে কোনোভাবে বের হতে না পারে সে জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারা যাতে কোনোভাবে আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ফাঁক গলে বের হয়ে যেতে না পারে। পুলিশ প্রধান একটি ঘোষণা দিয়েছেন ছিনতাই হওয়া দুই জঙ্গিকে ধরিয়ে দিতে পারলে ১০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। মেজর জিয়া নেতৃত্ব দেননি, তিনি মাস্টারমাইন্ড। তবে যিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন তাকে আমরা শনাক্ত করেছি। নামটা আপাতত বলতে চাচ্ছি না।’
জঙ্গি ছিনতাইয়ের মাধ্যমে জঙ্গিরা নতুন করে সংগঠিত হচ্ছে কি না? এই অপারেশনে নতুন জঙ্গি সংগঠনের কোনো যোগসাজশ রয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, রোববারের জঙ্গি ছিনতাই অপারেশনে নতুন জঙ্গি সংগঠনের কোনো হাত নাই। তবে নতুন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে আনসার আল ইসলাম, জেএমবি, নিউ জেএমবি, হরকাতুল জিহাদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের লোক নিয়ে নতুন জঙ্গি সংগঠনের যোগসাজশ আমরা পেয়েছি। তবে এই ঘটনায় তাদের হাত নেই। রোববারের অপারেশনে জড়িত কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ জন। তারা সবাই আনসার আল ইসলামের সদস্য।
আদালত চত্বর থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় নেতৃত্ব দেওয়া ব্যক্তিকে শনাক্ত করেছে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। এ ছাড়া ঘটনায় অংশ নেওয়া কয়েকজনের নাম পেয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
আজ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের এ কথা জানান সিটিটিসির প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান।
আসাদুজ্জামান বলেন, ‘তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে কারও নাম বলা যাচ্ছে না। আমরা তাদের শনাক্ত করতে পেরেছি। এখন তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পরিকল্পনা কীভাবে হয়েছে তাও আমরা গোয়েন্দা কার্যক্রমের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। আপাতত তদন্তের স্বার্থে আমরা তাদের নাম প্রকাশ করছি না।’
সিটিটিসি প্রধান বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিষয়টি অনেক জটিল। নাইন ইলেভেনের ঘটনা কবে ঘটেছিল সেটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু ওই ঘটনার এক যুগ পর কিন্তু ওসামা বিন লাদেনের অপারেশনটি সংঘটিত হয়েছিল। আমরা আশ্বস্ত করতে চাই আদালত চত্বর থেকে দুই জঙ্গি আসামিকে পুলিশ হেফাজত থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে।’
ওই জঙ্গি ছিনতাই অপারেশনে কারা কারা ছিল তাদের বেশ কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। নেতৃত্বদানকারীকেও শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের সবাইকে শনাক্ত ও গ্রেপ্তার কর আইনের আওতায় নিয়ে আসার কাজ করছি। এ জন্য গণমাধ্যম ও দেশবাসীর সহযোগিতাও চেয়েছেন এই কর্মকর্তা।
তাদের আরও বড় কোনো পরিকল্পনা ছিল কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আরও বড় কোনো পরিকল্পনা ছিল কি না তা বলা সম্ভব তাদের গ্রেপ্তার করা গেলে। তবে মনে হচ্ছে বড় পরিকল্পনা ছিল। তারা চারজনকে ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু দুজনকে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। প্রথমে যে চারজনকে আনা হয়েছিল তাদেরই ছিনতাইয়ের চেষ্টা করা হয়। যেসব আসামিকে আদালতে হাজিরার জন্য আনা হয়েছিল তারা সবাই আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখা অর্থাৎ আস্কারি বিভাগের সদস্য ছিলেন। তাদের সবাইকে সিটিটিসি ২০১৬ সালে গ্রেপ্তার করেছিল। তাদের গ্রেপ্তারের মাধ্যমে অনেকগুলো ঘটনা ও হত্যার রহস্য উদ্ঘাটিত হয়েছিল।’
সিটিটিসি প্রধান বলেন, ‘প্রত্যেকটি পয়েন্টে আমরা সতর্ক করে দিয়েছি। তারা যাতে সীমান্ত পাড়ি দিতে না পারে, তারা যাতে কোনোভাবে বের হতে না পারে সে জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারা যাতে কোনোভাবে আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ফাঁক গলে বের হয়ে যেতে না পারে। পুলিশ প্রধান একটি ঘোষণা দিয়েছেন ছিনতাই হওয়া দুই জঙ্গিকে ধরিয়ে দিতে পারলে ১০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। মেজর জিয়া নেতৃত্ব দেননি, তিনি মাস্টারমাইন্ড। তবে যিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন তাকে আমরা শনাক্ত করেছি। নামটা আপাতত বলতে চাচ্ছি না।’
জঙ্গি ছিনতাইয়ের মাধ্যমে জঙ্গিরা নতুন করে সংগঠিত হচ্ছে কি না? এই অপারেশনে নতুন জঙ্গি সংগঠনের কোনো যোগসাজশ রয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, রোববারের জঙ্গি ছিনতাই অপারেশনে নতুন জঙ্গি সংগঠনের কোনো হাত নাই। তবে নতুন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে আনসার আল ইসলাম, জেএমবি, নিউ জেএমবি, হরকাতুল জিহাদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের লোক নিয়ে নতুন জঙ্গি সংগঠনের যোগসাজশ আমরা পেয়েছি। তবে এই ঘটনায় তাদের হাত নেই। রোববারের অপারেশনে জড়িত কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ জন। তারা সবাই আনসার আল ইসলামের সদস্য।
চাঁদপুর-মুন্সিগঞ্জ নৌ সীমানার মোহনপুর এলাকায় মেঘনা নদীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে দুই জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও একজন। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মুন্সিগঞ্জ ও চাঁদপুর মতলব উত্তর মোহনপুরের চড় আব্দুল্লাহপুর নাছিরার চরে নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
১ দিন আগেরাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবারও অস্ত্রের মুখে একটি পরিবারকে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে মোহাম্মদপুরের বছিলাসংলগ্ন লাউতলা এলাকার ৮ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তত্ত্বাবধায়ক নাসিমা বেগম মোহাম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
২৮ নভেম্বর ২০২৪রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
০৮ নভেম্বর ২০২৪পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
০৭ নভেম্বর ২০২৪