Ajker Patrika

ছিনতাই গাড়ি বেশি বিক্রি হয় সিলেটে, চক্রের ৬ সদস্য আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক
ছিনতাই গাড়ি বেশি বিক্রি হয় সিলেটে, চক্রের ৬ সদস্য আটক

ঢাকা: বিদেশফেরত আত্মীয়কে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে আনতে হবে। এজন্য একটি মাইক্রোবাস ভাড়া নিতে হবে। ভাড়া নেওয়ার পর মাঝপথে সেই মাইক্রোবাসের চালকের হাত পা বেঁধে বাসটি ছিনতাই করে নিয়ে যায় একটি চক্র। দীর্ঘদিন ধরে এমন কাজ করলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল ছিনতাইকারী চক্রটি। অবশেষে গোয়েন্দা পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে এই চক্রের ছয় সদস্য।

আজ শনিবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার।

এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মীর মিজান মিয়া, হাবিব মিয়া, ফারুক, কামাল মিয়া, আল আমিন ও মোবারক। এ সময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই করা একটি মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, গ্রেপ্তার হাবিব গাড়ি ছিনতাই মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তিনি জামিনে বেরিয়ে এসে গাড়ি ছিনতাইয়ের সঙ্গে পুনরায় জড়িত হয়েছেন। হাবিব গাড়ি ছিনতাই করে কুমিল্লার চান্দিনা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় নিয়ে আসেন। পরে একই চক্রের মিজানের কাছে ছিনতাই করা গাড়ি বিক্রি করে দেন। তারপর মিজান গাড়ির নকল নম্বর প্লেট এবং কাগজপত্র তৈরি করে সাধারণ গ্রাহকের কাছে বিক্রি করে দেন। এ চক্রের সদস্যরা পুলিশকে এড়ানোর জন্য অন্যের সিম কার্ড ব্যবহার করেন।

ডিবির এই প্রধান কর্মকর্তা বলেন, এই চক্রটি এখন পর্যন্ত কী পরিমাণ গাড়ি চুরি করেছে তার তদন্ত চলছে। তবে তাঁরা ছিনতাই করা গাড়িগুলো সিলেটে বেশি বিক্রি করে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন। কারণ সিলেটে অনেক প্রবাসী আসেন কয়েক মাসের জন্য। ওই প্রবাসীরা কয়েক মাসের জন্য অল্প দামে গাড়ি কিনতে চান। আর এই চক্রটিও ওই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছিল।

এ সময় পুরোনো গাড়ি ক্রয়ের ক্ষেত্রে গাড়ির কাগজপত্র বিআরটিএর মাধ্যমে যথাযথভাবে যাচাই করে গাড়ি ক্রয়ের জন্য অনুরোধ জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

এর আগে গত ২২ মে রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর এলাকা থেকে মাইক্রোবাস ছিনতাইয়ের ঘটনার মামলার তদন্তে নামে গোয়েন্দা পুলিশ। তারপর নরসিংদী ও কুমিল্লায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে ডিএমপির গোয়েন্দা মিরপুর জোনাল টিম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত