নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর হলিক্রস কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী পারপিতা ফাইহার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মনে ভীতি সঞ্চার, প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করার তথ্য পেয়েছে তদন্ত কমিটি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনটি গত সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির প্রধান ডিআইএরের উপপরিচালক রেহেনা খাতুন বলেন, ‘গত সোমবার তদন্ত প্রতিবেদনটি মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে।’
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রাইভেট না পড়লে অকৃতকার্য করানোর যে অভিযোগ উঠেছে, এর প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে কঠিন প্রশ্নপত্র প্রণয়নের মাধ্যমে শিক্ষক শোভন রোজারিও শিক্ষার্থীদের মনে ভীতি সঞ্চার করে পরোক্ষভাবে প্রাইভেট পড়াতে বাধ্য করতেন। একই সঙ্গে তিনি প্রাইভেট পড়ানোর বিষয়ে অধিক মনোযোগী বলেও তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়। এ ছাড়া শিক্ষক শোভন রোজারিওসহ কয়েকজন শিক্ষক প্রাইভেট পড়াতেন বলেও প্রমাণিত হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পরীক্ষায় পাস না করা শিক্ষার্থীদের শিখনঘাটতি পূরণের জন্য শ্রেণিশিক্ষকের উদাসীনতা রয়েছে। এ ছাড়া পাস করা ও পাস না করা শিক্ষার্থীদের ফলাফল আলাদাভাবে দেওয়ায় শিক্ষার্থীদের মনে চাপ সৃষ্টি হয়। নবম শ্রেণিতে প্রথম সাময়িক পরীক্ষায় ‘সি’ ও ‘ডি’ শাখায় ১০৩ শিক্ষার্থীর মধ্যে উচ্চতর গণিতে মোট ৪৯ শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়। আর দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষায় ৪২ জন অকৃতকার্য হয়। বিষয়টিকে অস্বাভাবিক বলে মনে হয়েছে তদন্ত কমিটির।
তদন্ত কমিটি প্রতিবেদনে মন্তব্য করে বলেছে, করোনার কারণে শিখনঘাটতি পূরণ করতে না পারায় এবং নবম শ্রেণির উচ্চতর গণিত বিষয়ের দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বোর্ড পরীক্ষার মানে হওয়ায় অধিকসংখ্যক শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘তদন্ত কমিটি শিক্ষার্থীদের আট দফা সুপারিশ করেছে। এগুলো হলো নিজ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট বন্ধ করা, পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ক্লাসের ব্যবস্থা করা, অভিজ্ঞ ও জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের দিয়ে প্রশ্নপত্র মডারেশনের জন্য কমিটি করা, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তকের পাঠ্যসূচি এবং শিক্ষা বোর্ডের প্রশ্নপত্র নীতিমালা অনুসরণ, নিয়মিত অভিভাবক সমাবেশ করা, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোচিং-বাণিজ্য নীতিমালা ২০১২ বিশেষভাবে মেনে চলা।’
গত ২৩ আগস্ট বিকেল ৫টার দিকে রাজধানীর তেজগাঁও রেলস্টেশন রোডের নন্দন রোকেয়া নামের ১২ তলা ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে নবম শ্রেণির ছাত্রী পারপিতা ফাইহা (১৪)। পরে স্থানীয়রা ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাঁচানো যায়নি। অভিযোগ ওঠে, পরীক্ষায় ফেলের অপমান সইতে না পেরে সে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।
এ নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক রেহেনা খাতুন ও শিক্ষা পরিদর্শক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনের সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
জানা যায়, হলিক্রস কলেজে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয় পারপিতা। সপ্তম শ্রেণির পরীক্ষায় সে ২৭তম স্থান অর্জন করে। অষ্টম শ্রেণিতে সে পরীক্ষায় ৩২তম স্থান করে।
রাজধানীর হলিক্রস কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী পারপিতা ফাইহার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মনে ভীতি সঞ্চার, প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করার তথ্য পেয়েছে তদন্ত কমিটি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনটি গত সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির প্রধান ডিআইএরের উপপরিচালক রেহেনা খাতুন বলেন, ‘গত সোমবার তদন্ত প্রতিবেদনটি মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে।’
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রাইভেট না পড়লে অকৃতকার্য করানোর যে অভিযোগ উঠেছে, এর প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে কঠিন প্রশ্নপত্র প্রণয়নের মাধ্যমে শিক্ষক শোভন রোজারিও শিক্ষার্থীদের মনে ভীতি সঞ্চার করে পরোক্ষভাবে প্রাইভেট পড়াতে বাধ্য করতেন। একই সঙ্গে তিনি প্রাইভেট পড়ানোর বিষয়ে অধিক মনোযোগী বলেও তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়। এ ছাড়া শিক্ষক শোভন রোজারিওসহ কয়েকজন শিক্ষক প্রাইভেট পড়াতেন বলেও প্রমাণিত হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পরীক্ষায় পাস না করা শিক্ষার্থীদের শিখনঘাটতি পূরণের জন্য শ্রেণিশিক্ষকের উদাসীনতা রয়েছে। এ ছাড়া পাস করা ও পাস না করা শিক্ষার্থীদের ফলাফল আলাদাভাবে দেওয়ায় শিক্ষার্থীদের মনে চাপ সৃষ্টি হয়। নবম শ্রেণিতে প্রথম সাময়িক পরীক্ষায় ‘সি’ ও ‘ডি’ শাখায় ১০৩ শিক্ষার্থীর মধ্যে উচ্চতর গণিতে মোট ৪৯ শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়। আর দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষায় ৪২ জন অকৃতকার্য হয়। বিষয়টিকে অস্বাভাবিক বলে মনে হয়েছে তদন্ত কমিটির।
তদন্ত কমিটি প্রতিবেদনে মন্তব্য করে বলেছে, করোনার কারণে শিখনঘাটতি পূরণ করতে না পারায় এবং নবম শ্রেণির উচ্চতর গণিত বিষয়ের দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বোর্ড পরীক্ষার মানে হওয়ায় অধিকসংখ্যক শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘তদন্ত কমিটি শিক্ষার্থীদের আট দফা সুপারিশ করেছে। এগুলো হলো নিজ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট বন্ধ করা, পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ক্লাসের ব্যবস্থা করা, অভিজ্ঞ ও জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের দিয়ে প্রশ্নপত্র মডারেশনের জন্য কমিটি করা, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তকের পাঠ্যসূচি এবং শিক্ষা বোর্ডের প্রশ্নপত্র নীতিমালা অনুসরণ, নিয়মিত অভিভাবক সমাবেশ করা, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোচিং-বাণিজ্য নীতিমালা ২০১২ বিশেষভাবে মেনে চলা।’
গত ২৩ আগস্ট বিকেল ৫টার দিকে রাজধানীর তেজগাঁও রেলস্টেশন রোডের নন্দন রোকেয়া নামের ১২ তলা ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে নবম শ্রেণির ছাত্রী পারপিতা ফাইহা (১৪)। পরে স্থানীয়রা ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাঁচানো যায়নি। অভিযোগ ওঠে, পরীক্ষায় ফেলের অপমান সইতে না পেরে সে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।
এ নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক রেহেনা খাতুন ও শিক্ষা পরিদর্শক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনের সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
জানা যায়, হলিক্রস কলেজে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয় পারপিতা। সপ্তম শ্রেণির পরীক্ষায় সে ২৭তম স্থান অর্জন করে। অষ্টম শ্রেণিতে সে পরীক্ষায় ৩২তম স্থান করে।
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
১৪ দিন আগেসবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
২৫ দিন আগেএবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১২ জুলাই ২০২৫মোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
০৫ জুলাই ২০২৫