আব্দুর রহিম পায়েল, গঙ্গাচড়া
গঙ্গাচড়ার আলমবিদিতর ইউনিয়নে জরাজীর্ণ হয়ে গেছে পাইকান দোলাপাড়া আবাসনকেন্দ্রটি। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ২০০১ সালে বরাদ্দ দেওয়ার পর আর এ বিষয়ে কোনো খোঁজখবর নেয়নি কর্তৃপক্ষ। কেন্দ্রের ঘরের টিনগুলো ছিদ্র হয়ে গেছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, ইউনিয়নের ভূমি ও গৃহহীনদের জন্য আবাসনকেন্দ্রটিতে টিন দিয়ে ৭০টি কক্ষ তৈরি করা হয়। এখন এখানে বাস করছে ২০টির মতো পরিবার। বাকি ৫০টি পরিবারের সদস্যদের কেউ স্বাবলম্বী হয়ে জমি কিনে নিজেদের বসতবাড়ি করেছেন। আবার কেউ জীবিকা নির্বাহের তাগিদে ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে গেছেন।
বর্তমানে আবাসনে থাকা ২০টি পরিবারের অবস্থা খুবই নাজুক। কেউ ভিক্ষাবৃত্তি করে দিন কাটান। কেউ আবার মানুষের জমিতে দিনমজুরের কাজ করে কোনোরকমে টিকে আছেন।
গতকাল রোববার পাইকান দোলাপাড়া আবাসনে গিয়ে দেখা যায় ভাঙা ঘরের সামনে বসে আছেন মিনা বেওয়া (৭৫)। বয়সের ভারে তাঁর চলতে কষ্ট হয়। তবু জীবন বাঁচানোর তাগিদে ভিক্ষা করতে বের হতে হয় তাঁকে।
বৃদ্ধা মিনা বেওয়া বলেন, ‘কোনো মেম্বার-চেয়ারম্যান মুখ তুলি দেখে না। বয়স্ক ভাতার কার্ড করি দেছে আগের মেম্বর। তার জন্য ৩ হাজার টাকা নিছে। শীত যায়চোল, কোনো মেম্বার-চেয়ারম্যানও কম্বল দেয় নাই। বুড়া বয়সে শীতের রাতে থাকতে খুব কষ্ট হয়। যদি কায়ো একনা কম্বল দিলো হায় আল্লাহ তার ভালো করত।’
কথা হয় আরেক বৃদ্ধা আখলিমার সঙ্গে। তিনি ও তাঁর স্বামী এখন আর বেশি পরিশ্রমের কাজ করতে পারেন না। এই জন্য লোকজন আর তাঁদের খুব বেশি কাজে ডাকেন না। মাঝেমধ্যে যে কাজ পান তা দিয়ে দিন চলে।
আক্ষেপ করে আখলিমা বলেন, ‘সরকার থাকি নাকি অনেক কিছু দেয়, হামরা তো কিছুই পাই না। খালি শুনি যে সরকারি লোক শীতের সময় গরিব মানুষক নাকি চাল, ডাল, কম্বল কত কিছু দেয়। হামাক কিছুই দেয় না বাবা। শীতের দিন অনেক কষ্টে রাত কাটে।’
আবাসনের একটি কক্ষে কিশোরী মেয়েকে নিয়ে থাকেন বিধবা আরজিনা বেওয়া (৫০)। তাঁর জীবিকা চলে মানুষের জমিতে কাজ করে। তিনি বলেন, ‘আমাদের একমাত্র সম্বল আবাসনের এই ঘর। এটি অনেক পুরাতন হওয়ায় টিনগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। বৃষ্টি হলে টিনের ছিদ্র দিয়ে ঘরের ভেতর পানি ঢুকে। গত বর্ষা মৌসুমে পানি ঢুকে সব বিছানাপত্র ভিজে গিয়েছিল। ঘরের টিনগুলো যে পাল্টাব তার টাকা নেই। সরকারের কাছে অনুরোধ করব, ঘরগুলো যেন মেরামত করে দেয়।’
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মুনিমুল হক জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবাসনের ঘরগুলো সংস্কারের জন্য আর্থিক সহায়তা চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। বরাদ্দ এলেই ঘরগুলো সংস্কার করা হবে।
গঙ্গাচড়ার আলমবিদিতর ইউনিয়নে জরাজীর্ণ হয়ে গেছে পাইকান দোলাপাড়া আবাসনকেন্দ্রটি। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ২০০১ সালে বরাদ্দ দেওয়ার পর আর এ বিষয়ে কোনো খোঁজখবর নেয়নি কর্তৃপক্ষ। কেন্দ্রের ঘরের টিনগুলো ছিদ্র হয়ে গেছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, ইউনিয়নের ভূমি ও গৃহহীনদের জন্য আবাসনকেন্দ্রটিতে টিন দিয়ে ৭০টি কক্ষ তৈরি করা হয়। এখন এখানে বাস করছে ২০টির মতো পরিবার। বাকি ৫০টি পরিবারের সদস্যদের কেউ স্বাবলম্বী হয়ে জমি কিনে নিজেদের বসতবাড়ি করেছেন। আবার কেউ জীবিকা নির্বাহের তাগিদে ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে গেছেন।
বর্তমানে আবাসনে থাকা ২০টি পরিবারের অবস্থা খুবই নাজুক। কেউ ভিক্ষাবৃত্তি করে দিন কাটান। কেউ আবার মানুষের জমিতে দিনমজুরের কাজ করে কোনোরকমে টিকে আছেন।
গতকাল রোববার পাইকান দোলাপাড়া আবাসনে গিয়ে দেখা যায় ভাঙা ঘরের সামনে বসে আছেন মিনা বেওয়া (৭৫)। বয়সের ভারে তাঁর চলতে কষ্ট হয়। তবু জীবন বাঁচানোর তাগিদে ভিক্ষা করতে বের হতে হয় তাঁকে।
বৃদ্ধা মিনা বেওয়া বলেন, ‘কোনো মেম্বার-চেয়ারম্যান মুখ তুলি দেখে না। বয়স্ক ভাতার কার্ড করি দেছে আগের মেম্বর। তার জন্য ৩ হাজার টাকা নিছে। শীত যায়চোল, কোনো মেম্বার-চেয়ারম্যানও কম্বল দেয় নাই। বুড়া বয়সে শীতের রাতে থাকতে খুব কষ্ট হয়। যদি কায়ো একনা কম্বল দিলো হায় আল্লাহ তার ভালো করত।’
কথা হয় আরেক বৃদ্ধা আখলিমার সঙ্গে। তিনি ও তাঁর স্বামী এখন আর বেশি পরিশ্রমের কাজ করতে পারেন না। এই জন্য লোকজন আর তাঁদের খুব বেশি কাজে ডাকেন না। মাঝেমধ্যে যে কাজ পান তা দিয়ে দিন চলে।
আক্ষেপ করে আখলিমা বলেন, ‘সরকার থাকি নাকি অনেক কিছু দেয়, হামরা তো কিছুই পাই না। খালি শুনি যে সরকারি লোক শীতের সময় গরিব মানুষক নাকি চাল, ডাল, কম্বল কত কিছু দেয়। হামাক কিছুই দেয় না বাবা। শীতের দিন অনেক কষ্টে রাত কাটে।’
আবাসনের একটি কক্ষে কিশোরী মেয়েকে নিয়ে থাকেন বিধবা আরজিনা বেওয়া (৫০)। তাঁর জীবিকা চলে মানুষের জমিতে কাজ করে। তিনি বলেন, ‘আমাদের একমাত্র সম্বল আবাসনের এই ঘর। এটি অনেক পুরাতন হওয়ায় টিনগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। বৃষ্টি হলে টিনের ছিদ্র দিয়ে ঘরের ভেতর পানি ঢুকে। গত বর্ষা মৌসুমে পানি ঢুকে সব বিছানাপত্র ভিজে গিয়েছিল। ঘরের টিনগুলো যে পাল্টাব তার টাকা নেই। সরকারের কাছে অনুরোধ করব, ঘরগুলো যেন মেরামত করে দেয়।’
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মুনিমুল হক জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবাসনের ঘরগুলো সংস্কারের জন্য আর্থিক সহায়তা চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। বরাদ্দ এলেই ঘরগুলো সংস্কার করা হবে।
রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) ওয়াহিদুজ্জামান এই আদেশ দেন।
৫ দিন আগে১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামের খালাসের রায় নিয়ে সাংবাদিক ও মানবাধিকার আইন বিশেষজ্ঞ ডেভিড বার্গম্যান আইসিটির প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের ভূমিকাকে স্বার্থের সংঘাত হিসেবে দেখছেন। অতীতে তিনি যাঁদের আইনি সহায়তা দিয়েছেন, তাঁদের মামলায় তাঁর দলের সদস্যদের রাষ্ট্রপক্ষের
৭ দিন আগেময়মনসিংহের সেলিম হোসেনকে জীবিত থাকা সত্ত্বেও ‘হত্যাকাণ্ডের শিকার’ দেখিয়ে ভাইয়ের করা মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৪১ জনকে আসামি করা হয়। মূল ঘটনা জমিসংক্রান্ত পারিবারিক বিরোধ ও পুলিশের চরম গাফিলতির নিদর্শন।
৮ দিন আগেরাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে মো. ফতেহ আলীকে আট দিন, আরেক শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে ছয় দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
১১ দিন আগে