Ajker Patrika

দুই কোটি মানুষকে চক্ষুসেবা দেওয়ার উদ্যোগ

অনলাইন ডেস্ক
Thumbnail image

মেটলাইফ ফাউন্ডেশন ও এসিলরলুক্সটিকার যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশে ২০২৩ সালের মধ্যে আটশো’র বেশি দৃষ্টি উদ্যোক্তা তৈরির মাধ্যমে সামগ্রিকভাবে দুই কোটি মানুষের জন্য চক্ষুসেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

এ উদ্যোগে ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে এবং স্থানীয়ভাবে উদ্যোগটির বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম উন্নয়ন সংস্থা টিএমএসএস (ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘ)। যে দৃষ্টি উদ্যোক্তারা প্রাথমিক চক্ষুসেবা দেবেন, তাঁদের নিয়োগ এবং প্রশিক্ষণ প্রদান করবে টিএমএসএস। টিএমএসএস যশোর, খুলনা, কুমিল্লা এবং চট্টগ্রাম জুড়ে চারটি নতুন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করবে এবং আটশো’র বেশি নতুন দৃষ্টি উদ্যোক্তাকে প্রশিক্ষণ দেবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সামগ্রিক ভাবে দুই কোটি বাংলাদেশি মানসম্মত চক্ষু চিকিৎসা সেবা পাবেন। 

 ২০২১ সালে শুরু হওয়া এ প্রোগ্রামটি ইতিমধ্যে ১২৫ জনেরও বেশি দৃষ্টি উদ্যোক্তাকে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে, যারা তাঁদের কমিউনিটির মানুষকে সেবা প্রদান করছেন।

কোভিড-১৯ মহামারি মানুষকে আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন করেছে; বিশেষ করে যারা বাংলাদেশের গ্রামীণ অঞ্চলে বসবাস করে তাঁদের ওপর এর প্রভাব পড়েছে। দৃষ্টি সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে এমন মানুষের সংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি দেশের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ। এ উদ্যোগের মাধ্যমে গ্রামীণ এলাকায় বেকার এবং কর্মসংস্থানহীন যুবকদের দৃষ্টি উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলা হবে। তাঁরা দৃষ্টি পরীক্ষা এবং চশমা তৈরিসহ অনেককে চোখের যত্নে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করতে পারবেন। 

এ নিয়ে মেটলাইফ বাংলাদেশের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা, আলা আহমদ বলেন, ‘মেটলাইফ বাংলাদেশের জনগোষ্ঠীর সামগ্রিক উন্নয়নে কাজ করে চলছে। মেটলাইফ ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে এ প্রোগ্রামটি দেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রয়োজন মেটাতে পারবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’ 

এসিলরলুক্সটিকার হেড অফ মিশন ও সোশ্যাল ইমপ্যাক্ট ফান্ড এর চেয়ারম্যান, অনুরাগ হান্স বলেন, ‘বাংলাদেশে ভিশন কেয়ার দক্ষতা প্রশিক্ষণ কর্মসূচি প্রান্তিক সম্প্রদায়ের জন্য অসাধারণ ভ্যালু যোগ করেছে। এটি শুধু প্রাথমিক চক্ষুসেবা প্রদান করে না বরং টেকসই জীবিকা নির্মাণেও সহায়তা করে। আমরা মেটলাইফ ফাউন্ডেশন এবং টিএমএসএস-এর সঙ্গে যৌথ অংশীদারত্বে বাংলাদেশে এই কার্যক্রম সম্প্রসারণ করতে পেরে আনন্দিত।’ 

এ নিয়ে টিএমএসএসের প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. হোসনে-আরা বেগম বলেন, ‘টিএমএসএস সক্রিয়ভাবে সামগ্রিক কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামে কাজ করছে এবং মানুষের জীবন ও জীবিকাকে সমৃদ্ধ করার এই উদ্যোগের অংশীদার হতে পেরে আমরা আনন্দিত।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত