বিদ্যুৎ খাতে মূল সমস্যাগুলোর সমাধান করলে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) বছরে প্রায় ১৪ হাজার (১৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকা বা ১২০ কোটি মার্কিন ডলার) কোটি টাকা সাশ্রয় হতে পারে। বর্তমানে এই পরিমাণ অর্থ সরকারি ভর্তুকির মাধ্যমে ব্যয় হয়। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জ্বালানি গবেষণা থিংক ট্যাংক ইনস্টিটিউট ফর এনার্জি ইকোনমিকস অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল অ্যানালাইসিসের (আইইইএফএ) এক নতুন গবেষণা প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই সাশ্রয় অর্জন করা সম্ভব—যদি শিল্প খাতে যে পরিমাণ চাহিদা আছে তার অর্ধেক, যা বর্তমানে ক্যাপটিভ জেনারেটরের (নিজস্ব বিদ্যুৎ উৎপাদন অবকাঠামো) মাধ্যমে পূরণ হয়, সেগুলো জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা যায়, ৩ হাজার মেগাওয়াট নবায়নযোগ্য জ্বালানি যোগ করা যায় এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তুলনায় লোডশেডিং ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা যায়। পাশাপাশি, বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও বিতরণে ক্ষতি ৮ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
আইইইএফএর প্রতিবেদক এবং বাংলাদেশের জ্বালানিবিষয়ক প্রধান বিশ্লেষক শফিকুল আলম বলেন, ‘বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতের রিজার্ভ মার্জিন (কোনো একটি নির্দিষ্ট অবকাঠামোর সক্ষমতার যে পরিমাণ অব্যবহৃত থাকে) বর্তমানে ৬১ দশমিক ৩ শতাংশের আশপাশে, যা অতিরিক্ত সক্ষমতা সমস্যার ইঙ্গিত দেয় এবং বিপিডিবির ভর্তুকি নির্ভরতার একটি প্রধান কারণ এটি। বিদ্যুৎ শুল্কে একাধিক সমন্বয় সত্ত্বেও রাজস্ব ঘাটতি এবং ভর্তুকির প্রয়োজনীয়তা আগামী দিনগুলোতেও থাকবে। আমাদের প্রস্তাবিত রূপরেখা বিদ্যুৎ চাহিদার সঠিক পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য জ্বালানি দক্ষতা অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেয়, যা রিজার্ভ মার্জিন কমাতে সাহায্য করবে।’
শফিকুল আলম আরও বলেন, ‘আমাদের রূপরেখা প্রস্তাব করছে যে, নতুন জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিনিয়োগ সীমিত রাখতে হবে এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসার বাড়াতে হবে। পাশাপাশি, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ গ্রিড আধুনিকায়নের মাধ্যমে শিল্পগুলোকে গ্যাসচালিত ক্যাপটিভ প্ল্যান্টের পরিবর্তে জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ নেওয়ার জন্য উৎসাহিত করতে হবে এবং লোডশেডিং কমাতে হবে। আমরা দেখেছি, এ ধরনের পদক্ষেপ নিলে ভর্তুকির চাপ উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯-২০ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছর পর্যন্ত বিপিডিবির বার্ষিক মোট ব্যয় ২ দশমিক ৬ গুণ বেড়েছে, যেখানে রাজস্ব প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১ দশমিক ৮ গুণ। এর ফলে অর্থনীতি সচল রাখতে সরকার মোট ১ লাখ ২৬ হাজার ৭০০ কোটি টাকা বা ১০ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ভর্তুকি দিয়েছে। তবু, এই সময়ে বিপিডিবির ক্ষতি হয়েছে ২৩ হাজার ৬৪২ কোটি টাকা। বাংলাদেশ সরকার কেবল ২০২৩-২৪ অর্থবছরেই বিপিডিবিকে ৩৮ হাজার ২৮৯ কোটি টাকা বা ৩২২ কোটি মার্কিন ডলার ভর্তুকি দিয়েছে।
শফিকুল আলম বলেন, ‘ভর্তুকি প্রায় শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে হলে নিশ্চিত করতে হবে যে, শিল্প খাত পুরোপুরি জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিডের ওপর নির্ভরশীল থাকবে। পাশাপাশি, গ্যাসচালিত যন্ত্রপাতি—যেমন: বয়লার—ধীরে ধীরে বিদ্যুৎ-চালিত যন্ত্রে রূপান্তর করতে হবে। এর ফলে বিপিডিবির বিদ্যুৎ বিক্রি থেকে রাজস্ব বাড়বে এবং অব্যবহৃত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর জন্য ক্যাপাসিটি পেমেন্ট কমবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতকে টেকসই করার সময় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। তবে সঠিক রূপরেখা অনুসরণ করলে এখনো এই খাতকে সঠিক পথে নিয়ে আসা সম্ভব।’
সংস্কারের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ২০২৫ সাল থেকে জ্বালানি দক্ষতা ও চাহিদা স্থানান্তর ব্যবস্থাগুলো বিবেচনায় নিয়ে বিদ্যুৎ চাহিদার সঠিক পূর্বাভাস দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে প্রতিবেদনটি। আইইইএফএর হিসাব অনুসারে, ২০৩০ সালে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ চাহিদা হবে ২৫ হাজার ৮৩৪ মেগাওয়াট। তবে ২০২৩ সালের জুলাইয়ে প্রকাশিত সমন্বিত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনা (আইইপিএমপি) অনুযায়ী, এই চাহিদার সম্ভাব্য পরিমাণ হতে পারে ২৭ হাজার ১৩৮ মেগাওয়াট থেকে ২৯ হাজার ১৫৬ মেগাওয়াটের মধ্যে। অর্থাৎ, আইইইএফএর হিসাবে চাহিদা সরকারি হিসাবের চেয়ে একটু কম হবে বলেই উল্লেখ করা হয়েছে।
একই সঙ্গে, জীবাশ্ম (মূলত কয়লাভিত্তিক) জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিনিয়োগ বন্ধ রাখা এবং মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনে তেলচালিত কেন্দ্রের ব্যবহার ৫ শতাংশে সীমাবদ্ধ রাখার সুপারিশ করেছে আইইইএফএ। যদি এই পদক্ষেপগুলো নেওয়া হয় এবং পরিকল্পিত ৪ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়, তবে ২০৩০ সালে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা হবে ৩৫ হাজার ২৩৯ মেগাওয়াট।
শফিকুল আলম বলেন, ‘২০৩০ সালের উৎপাদন সক্ষমতা ৩৫ হাজার ২৩৯ মেগাওয়াট হওয়ায় তা সহজেই সে বছরের সম্ভাব্য সর্বোচ্চ চাহিদা (২৫ হাজার ৮৩৪ মেগাওয়াট) পূরণ করতে সহায়ক হবে। এর ফলে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে যে রিজার্ভ মার্জিন আছে ৬৬ দশমিক ১ শতাংশে, ২০৩০ সালে তা কমে ৩৬ দশমিক ৪ শতাংশে (নবায়নযোগ্য জ্বালানি অন্তর্ভুক্ত করে) এবং ২০ শতাংশে (নবায়নযোগ্য জ্বালানি বাদ দিয়ে) দাঁড়াবে। এটি ভারতের মতো দেশের রিজার্ভ মার্জিনের সমতুল্য।’
যাই হোক, ২০৩০ সালের মধ্যে সাড়ে ৪ হাজার মেগাওয়াট নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা অর্জনের বিষয়টি জোর দিয়ে দেখা উচিত। কারণ, এটি দিনের বেলায় ব্যয়বহুল তেলচালিত বিদ্যুৎ উৎপাদন কমাতে সহায়ক হবে। এ ছাড়া, সন্ধ্যায় তেলচালিত প্ল্যান্টের ব্যবহার কমাতে ৫০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার তিন ঘণ্টার ব্যাটারি স্টোরেজ স্থাপনের প্রস্তাবও দিয়েছে আইইইএফএ। ভবিষ্যতে ব্যাটারি বা বিদ্যুৎ ধারণের জন্য স্টোরেজ স্থাপনের খরচ কমে গেলে আরও বেশি ব্যাটারি ব্যবহারের বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে।
শফিকুল আলম বলেন, ‘তবে বিদ্যুৎ খাতের সমস্যাগুলো সমাধানে বাংলাদেশের সাফল্য নীতিমালার ওপর নির্ভর করবে। কেবল জিডিপি-নির্ভর চাহিদার পূর্বাভাসের পরিবর্তে জ্বালানি দক্ষতার মতো বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিয়ে বিদ্যুৎ গ্রিড আধুনিকায়ন, গ্যাসের মূল্যহার সমন্বয় এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রসারের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।’
বিদ্যুৎ খাতে মূল সমস্যাগুলোর সমাধান করলে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) বছরে প্রায় ১৪ হাজার (১৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকা বা ১২০ কোটি মার্কিন ডলার) কোটি টাকা সাশ্রয় হতে পারে। বর্তমানে এই পরিমাণ অর্থ সরকারি ভর্তুকির মাধ্যমে ব্যয় হয়। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জ্বালানি গবেষণা থিংক ট্যাংক ইনস্টিটিউট ফর এনার্জি ইকোনমিকস অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল অ্যানালাইসিসের (আইইইএফএ) এক নতুন গবেষণা প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই সাশ্রয় অর্জন করা সম্ভব—যদি শিল্প খাতে যে পরিমাণ চাহিদা আছে তার অর্ধেক, যা বর্তমানে ক্যাপটিভ জেনারেটরের (নিজস্ব বিদ্যুৎ উৎপাদন অবকাঠামো) মাধ্যমে পূরণ হয়, সেগুলো জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা যায়, ৩ হাজার মেগাওয়াট নবায়নযোগ্য জ্বালানি যোগ করা যায় এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তুলনায় লোডশেডিং ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা যায়। পাশাপাশি, বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও বিতরণে ক্ষতি ৮ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
আইইইএফএর প্রতিবেদক এবং বাংলাদেশের জ্বালানিবিষয়ক প্রধান বিশ্লেষক শফিকুল আলম বলেন, ‘বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতের রিজার্ভ মার্জিন (কোনো একটি নির্দিষ্ট অবকাঠামোর সক্ষমতার যে পরিমাণ অব্যবহৃত থাকে) বর্তমানে ৬১ দশমিক ৩ শতাংশের আশপাশে, যা অতিরিক্ত সক্ষমতা সমস্যার ইঙ্গিত দেয় এবং বিপিডিবির ভর্তুকি নির্ভরতার একটি প্রধান কারণ এটি। বিদ্যুৎ শুল্কে একাধিক সমন্বয় সত্ত্বেও রাজস্ব ঘাটতি এবং ভর্তুকির প্রয়োজনীয়তা আগামী দিনগুলোতেও থাকবে। আমাদের প্রস্তাবিত রূপরেখা বিদ্যুৎ চাহিদার সঠিক পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য জ্বালানি দক্ষতা অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেয়, যা রিজার্ভ মার্জিন কমাতে সাহায্য করবে।’
শফিকুল আলম আরও বলেন, ‘আমাদের রূপরেখা প্রস্তাব করছে যে, নতুন জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিনিয়োগ সীমিত রাখতে হবে এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসার বাড়াতে হবে। পাশাপাশি, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ গ্রিড আধুনিকায়নের মাধ্যমে শিল্পগুলোকে গ্যাসচালিত ক্যাপটিভ প্ল্যান্টের পরিবর্তে জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ নেওয়ার জন্য উৎসাহিত করতে হবে এবং লোডশেডিং কমাতে হবে। আমরা দেখেছি, এ ধরনের পদক্ষেপ নিলে ভর্তুকির চাপ উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯-২০ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছর পর্যন্ত বিপিডিবির বার্ষিক মোট ব্যয় ২ দশমিক ৬ গুণ বেড়েছে, যেখানে রাজস্ব প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১ দশমিক ৮ গুণ। এর ফলে অর্থনীতি সচল রাখতে সরকার মোট ১ লাখ ২৬ হাজার ৭০০ কোটি টাকা বা ১০ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ভর্তুকি দিয়েছে। তবু, এই সময়ে বিপিডিবির ক্ষতি হয়েছে ২৩ হাজার ৬৪২ কোটি টাকা। বাংলাদেশ সরকার কেবল ২০২৩-২৪ অর্থবছরেই বিপিডিবিকে ৩৮ হাজার ২৮৯ কোটি টাকা বা ৩২২ কোটি মার্কিন ডলার ভর্তুকি দিয়েছে।
শফিকুল আলম বলেন, ‘ভর্তুকি প্রায় শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে হলে নিশ্চিত করতে হবে যে, শিল্প খাত পুরোপুরি জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিডের ওপর নির্ভরশীল থাকবে। পাশাপাশি, গ্যাসচালিত যন্ত্রপাতি—যেমন: বয়লার—ধীরে ধীরে বিদ্যুৎ-চালিত যন্ত্রে রূপান্তর করতে হবে। এর ফলে বিপিডিবির বিদ্যুৎ বিক্রি থেকে রাজস্ব বাড়বে এবং অব্যবহৃত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর জন্য ক্যাপাসিটি পেমেন্ট কমবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতকে টেকসই করার সময় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। তবে সঠিক রূপরেখা অনুসরণ করলে এখনো এই খাতকে সঠিক পথে নিয়ে আসা সম্ভব।’
সংস্কারের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ২০২৫ সাল থেকে জ্বালানি দক্ষতা ও চাহিদা স্থানান্তর ব্যবস্থাগুলো বিবেচনায় নিয়ে বিদ্যুৎ চাহিদার সঠিক পূর্বাভাস দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে প্রতিবেদনটি। আইইইএফএর হিসাব অনুসারে, ২০৩০ সালে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ চাহিদা হবে ২৫ হাজার ৮৩৪ মেগাওয়াট। তবে ২০২৩ সালের জুলাইয়ে প্রকাশিত সমন্বিত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনা (আইইপিএমপি) অনুযায়ী, এই চাহিদার সম্ভাব্য পরিমাণ হতে পারে ২৭ হাজার ১৩৮ মেগাওয়াট থেকে ২৯ হাজার ১৫৬ মেগাওয়াটের মধ্যে। অর্থাৎ, আইইইএফএর হিসাবে চাহিদা সরকারি হিসাবের চেয়ে একটু কম হবে বলেই উল্লেখ করা হয়েছে।
একই সঙ্গে, জীবাশ্ম (মূলত কয়লাভিত্তিক) জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিনিয়োগ বন্ধ রাখা এবং মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনে তেলচালিত কেন্দ্রের ব্যবহার ৫ শতাংশে সীমাবদ্ধ রাখার সুপারিশ করেছে আইইইএফএ। যদি এই পদক্ষেপগুলো নেওয়া হয় এবং পরিকল্পিত ৪ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়, তবে ২০৩০ সালে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা হবে ৩৫ হাজার ২৩৯ মেগাওয়াট।
শফিকুল আলম বলেন, ‘২০৩০ সালের উৎপাদন সক্ষমতা ৩৫ হাজার ২৩৯ মেগাওয়াট হওয়ায় তা সহজেই সে বছরের সম্ভাব্য সর্বোচ্চ চাহিদা (২৫ হাজার ৮৩৪ মেগাওয়াট) পূরণ করতে সহায়ক হবে। এর ফলে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে যে রিজার্ভ মার্জিন আছে ৬৬ দশমিক ১ শতাংশে, ২০৩০ সালে তা কমে ৩৬ দশমিক ৪ শতাংশে (নবায়নযোগ্য জ্বালানি অন্তর্ভুক্ত করে) এবং ২০ শতাংশে (নবায়নযোগ্য জ্বালানি বাদ দিয়ে) দাঁড়াবে। এটি ভারতের মতো দেশের রিজার্ভ মার্জিনের সমতুল্য।’
যাই হোক, ২০৩০ সালের মধ্যে সাড়ে ৪ হাজার মেগাওয়াট নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা অর্জনের বিষয়টি জোর দিয়ে দেখা উচিত। কারণ, এটি দিনের বেলায় ব্যয়বহুল তেলচালিত বিদ্যুৎ উৎপাদন কমাতে সহায়ক হবে। এ ছাড়া, সন্ধ্যায় তেলচালিত প্ল্যান্টের ব্যবহার কমাতে ৫০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার তিন ঘণ্টার ব্যাটারি স্টোরেজ স্থাপনের প্রস্তাবও দিয়েছে আইইইএফএ। ভবিষ্যতে ব্যাটারি বা বিদ্যুৎ ধারণের জন্য স্টোরেজ স্থাপনের খরচ কমে গেলে আরও বেশি ব্যাটারি ব্যবহারের বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে।
শফিকুল আলম বলেন, ‘তবে বিদ্যুৎ খাতের সমস্যাগুলো সমাধানে বাংলাদেশের সাফল্য নীতিমালার ওপর নির্ভর করবে। কেবল জিডিপি-নির্ভর চাহিদার পূর্বাভাসের পরিবর্তে জ্বালানি দক্ষতার মতো বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিয়ে বিদ্যুৎ গ্রিড আধুনিকায়ন, গ্যাসের মূল্যহার সমন্বয় এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রসারের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।’
সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চলতি মাসের ২৭ এপ্রিল থেকে কার্গো অপারেশন চালুর প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এ কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনায় আজ বিমানবন্দরটি পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া।
৮ ঘণ্টা আগেচলতি মাসে উচ্চপর্যায়ের একটি জার্মান ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করেছে। এই সফরের উদ্দেশ্য ছিল দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা। এই প্রতিনিধিদলে জার্মান পররাষ্ট্র ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, দেশটির রপ্তানি ঋণ সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর
১৫ ঘণ্টা আগেবিশ্বখ্যাত অডিট ফার্ম পিডব্লিউসি বিভিন্ন দেশ থেকে তাদের কার্যক্রম গুটিয়ে নিচ্ছে। বিশালাকার এই অ্যাকাউন্টিং ফার্মটির কর্তাব্যক্তিদের মতে, ছোট, ঝুঁকিপূর্ণ বা অলাভজনক বিবেচিত এক ডজনের বেশি দেশে ব্যবসা বন্ধ করেছে। কেলেঙ্কারির পুনরাবৃত্তি এড়াতেই তাদের এই পদক্ষেপ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল...
১৮ ঘণ্টা আগেচলতি অর্থবছরের মাত্র তিন মাস বাকি থাকলেও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নে এখনো খরচ করা বাকি রয়েছে ১ লাখ ৪৩ হাজার কোটি টাকা। পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) তথ্য বলছে, জুলাই-মার্চ পর্যন্ত ৯ মাসে খরচ হয়েছে ৮২ হাজার ৮৯৪ কোটি টাকা, যা মোট সংশোধিত এডিপির...
১ দিন আগে