নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দুই দেশের মধ্যে আলাপ-আলোচনার মধ্যে বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্যে ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করে বসল যুক্তরাষ্ট্র। এতে চিন্তায় পড়েছে দেশের ব্যবসায়ীরা, বিশেষ করে তৈরি পোশাকের রপ্তানিকারকেরা। তাঁরা বলছেন, এই শুল্কহার যদি শেষ পর্যন্ত বহাল থাকে, তাহলে ভয়ানক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে রপ্তানি খাত। প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এতে অর্থনীতির যেমন ক্ষতি হবে, তেমনি কাজ হারাতে পারে অনেক শ্রমিক।
তৈরি পোশাক কারখানার মালিক ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত যদি ৩৫ শতাংশ বাড়তি শুল্ক বহাল থাকে, তবে আমাদের পোশাক খাতে শুল্ক ৫০ শতাংশের বেশি হবে। কারণ পাল্টা শুল্ক আরোপের আগে বাংলাদেশ থেকে গড়ে ১৫ শতাংশ শুল্ক দিয়ে পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশ করত। এটা আমাদের রপ্তানিকে বড় চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলে দেবে।’
ভিয়েতনাম, ভারতসহ প্রতিযোগী দেশগুলো আমাদের বাজার দখল করে নিতে পারে—এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে মাহমুদ হাসান আরও বলেন, ‘যদি আমরা প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে চাই, তবে আমাদের পণ্যের দাম কমাতে হবে। আর দাম কমালে কারখানাগুলো লোকসানে পড়বে। এতে দেশের অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে।’
ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাল্টা শুল্ক যদি ৩৫ শতাংশ থাকে, তবে খাতভিত্তিক শুল্ক যোগ করে এটি কোনো কোনো খাতে ৫৫ শতাংশের বেশি হবে। অর্থাৎ ১০০ টাকার পণ্য রপ্তানিতে ৫৫ টাকা শুল্কই দিতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকে।
তাঁরা বলছেন, সবচেয়ে বেশি উদ্বেগের বিষয় পোশাক খাতে বাংলাদেশের অন্যতম প্রতিযোগী দেশ ভিয়েতনাম ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ২০ শতাংশ শুল্কে রপ্তানির চুক্তি করেছে। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চীনের পর বড় প্রতিযোগী ভিয়েতনাম।
গত ৩ জুলাই ডোনাল্ড ট্রাম্প ভিয়েতনামের সঙ্গে ২০ শতাংশ শুল্ক চুক্তির বিষয়টি জানায়। ভিয়েতনাম যুক্তরাষ্ট্রের ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্কের জন্য নিজেদের বাজারে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য শূন্য শুল্কে প্রবেশের শর্ত মেনে নিয়েছে। আর ভারতের সঙ্গেও যুক্তরাষ্ট্রের চুক্তির বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত হয়ে আছে।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকিন আহমেদ ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তকে আমাদের অর্থনীতির জন্য অশনিসংকেত বলে মনে করছেন। তিনি বলেন, ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের বিষয়টি জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চিঠিটি আমাদের নজরে এসেছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমাদের রপ্তানিনির্ভর অর্থনীতির জন্য এটি একটি গুরুতর অশনিসংকেত। বিশেষ করে যখন বাংলাদেশ ন্যায্য বাণিজ্য ও শ্রম মান উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে, তখন এ ধরনের সিদ্ধান্ত আমাদের জন্য হতাশাজনক।
তৈরি পোশাক ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে দেশের তৈরি ক্যাপ, চামড়ার জুতাসহ বেশ কিছু খাতের পণ্য রপ্তানি হয়। দুশ্চিন্তায় রয়েছেন এসব খাতের রপ্তানিকারকেরাও।
ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে বলে মনে করছেন বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল। তিনি বলেন, ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে দেশের রপ্তানি খাত ঝুঁকিতে পড়েছে। বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাত সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অন্যতম রপ্তানি গন্তব্য হওয়ায়, এই শুল্কের প্রভাব ব্যাপক হতে পারে। তাৎক্ষণিকভাবে রপ্তানি আদেশ কমে যাওয়ার পাশাপাশি কর্মসংস্থান হ্রাস ও অর্থনৈতিক অস্থিরতার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। শুল্ক বাড়লে শুধু রপ্তানি কমে যাওয়ার সমস্যাই নয়, বরং সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতির নানা ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
তারপরও এখনো আশাবাদী দেশের রপ্তানিকারকেরা। তাঁরা বলছেন, যেহেতু আগামী ১ আগস্ট পর্যন্ত সময় রয়েছে। সরকার এর মধ্যে আলোচনা করে শুল্ক কমিয়ে আনবে বলেই প্রত্যাশা করছেন তাঁরা।
এ জন্য মার্কিন আমদানিকারক ও ব্র্যান্ডগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে শুল্ক নীতিতে পরিবর্তন আনার জন্য চাপ সৃষ্টি, যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বাণিজ্য আলোচনা সর্বোচ্চ পর্যায়ে অগ্রাধিকার দিয়ে পুনরায় শুরু করা এবং বাংলাদেশের পণ্যের মানবিক ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব তুলে ধরা; বিশেষ করে শ্রমিকদের জীবিকা, নারীর ক্ষমতায়ন ও সামাজিক অবদানের দিকগুলো তুলে ধরার পরামর্শ দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

দুই দেশের মধ্যে আলাপ-আলোচনার মধ্যে বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্যে ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করে বসল যুক্তরাষ্ট্র। এতে চিন্তায় পড়েছে দেশের ব্যবসায়ীরা, বিশেষ করে তৈরি পোশাকের রপ্তানিকারকেরা। তাঁরা বলছেন, এই শুল্কহার যদি শেষ পর্যন্ত বহাল থাকে, তাহলে ভয়ানক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে রপ্তানি খাত। প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এতে অর্থনীতির যেমন ক্ষতি হবে, তেমনি কাজ হারাতে পারে অনেক শ্রমিক।
তৈরি পোশাক কারখানার মালিক ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত যদি ৩৫ শতাংশ বাড়তি শুল্ক বহাল থাকে, তবে আমাদের পোশাক খাতে শুল্ক ৫০ শতাংশের বেশি হবে। কারণ পাল্টা শুল্ক আরোপের আগে বাংলাদেশ থেকে গড়ে ১৫ শতাংশ শুল্ক দিয়ে পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশ করত। এটা আমাদের রপ্তানিকে বড় চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলে দেবে।’
ভিয়েতনাম, ভারতসহ প্রতিযোগী দেশগুলো আমাদের বাজার দখল করে নিতে পারে—এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে মাহমুদ হাসান আরও বলেন, ‘যদি আমরা প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে চাই, তবে আমাদের পণ্যের দাম কমাতে হবে। আর দাম কমালে কারখানাগুলো লোকসানে পড়বে। এতে দেশের অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে।’
ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাল্টা শুল্ক যদি ৩৫ শতাংশ থাকে, তবে খাতভিত্তিক শুল্ক যোগ করে এটি কোনো কোনো খাতে ৫৫ শতাংশের বেশি হবে। অর্থাৎ ১০০ টাকার পণ্য রপ্তানিতে ৫৫ টাকা শুল্কই দিতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকে।
তাঁরা বলছেন, সবচেয়ে বেশি উদ্বেগের বিষয় পোশাক খাতে বাংলাদেশের অন্যতম প্রতিযোগী দেশ ভিয়েতনাম ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ২০ শতাংশ শুল্কে রপ্তানির চুক্তি করেছে। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চীনের পর বড় প্রতিযোগী ভিয়েতনাম।
গত ৩ জুলাই ডোনাল্ড ট্রাম্প ভিয়েতনামের সঙ্গে ২০ শতাংশ শুল্ক চুক্তির বিষয়টি জানায়। ভিয়েতনাম যুক্তরাষ্ট্রের ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্কের জন্য নিজেদের বাজারে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য শূন্য শুল্কে প্রবেশের শর্ত মেনে নিয়েছে। আর ভারতের সঙ্গেও যুক্তরাষ্ট্রের চুক্তির বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত হয়ে আছে।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকিন আহমেদ ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তকে আমাদের অর্থনীতির জন্য অশনিসংকেত বলে মনে করছেন। তিনি বলেন, ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের বিষয়টি জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চিঠিটি আমাদের নজরে এসেছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমাদের রপ্তানিনির্ভর অর্থনীতির জন্য এটি একটি গুরুতর অশনিসংকেত। বিশেষ করে যখন বাংলাদেশ ন্যায্য বাণিজ্য ও শ্রম মান উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে, তখন এ ধরনের সিদ্ধান্ত আমাদের জন্য হতাশাজনক।
তৈরি পোশাক ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে দেশের তৈরি ক্যাপ, চামড়ার জুতাসহ বেশ কিছু খাতের পণ্য রপ্তানি হয়। দুশ্চিন্তায় রয়েছেন এসব খাতের রপ্তানিকারকেরাও।
ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে বলে মনে করছেন বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল। তিনি বলেন, ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে দেশের রপ্তানি খাত ঝুঁকিতে পড়েছে। বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাত সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অন্যতম রপ্তানি গন্তব্য হওয়ায়, এই শুল্কের প্রভাব ব্যাপক হতে পারে। তাৎক্ষণিকভাবে রপ্তানি আদেশ কমে যাওয়ার পাশাপাশি কর্মসংস্থান হ্রাস ও অর্থনৈতিক অস্থিরতার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। শুল্ক বাড়লে শুধু রপ্তানি কমে যাওয়ার সমস্যাই নয়, বরং সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতির নানা ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
তারপরও এখনো আশাবাদী দেশের রপ্তানিকারকেরা। তাঁরা বলছেন, যেহেতু আগামী ১ আগস্ট পর্যন্ত সময় রয়েছে। সরকার এর মধ্যে আলোচনা করে শুল্ক কমিয়ে আনবে বলেই প্রত্যাশা করছেন তাঁরা।
এ জন্য মার্কিন আমদানিকারক ও ব্র্যান্ডগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে শুল্ক নীতিতে পরিবর্তন আনার জন্য চাপ সৃষ্টি, যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বাণিজ্য আলোচনা সর্বোচ্চ পর্যায়ে অগ্রাধিকার দিয়ে পুনরায় শুরু করা এবং বাংলাদেশের পণ্যের মানবিক ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব তুলে ধরা; বিশেষ করে শ্রমিকদের জীবিকা, নারীর ক্ষমতায়ন ও সামাজিক অবদানের দিকগুলো তুলে ধরার পরামর্শ দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দুই দেশের মধ্যে আলাপ-আলোচনার মধ্যে বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্যে ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করে বসল যুক্তরাষ্ট্র। এতে চিন্তায় পড়েছে দেশের ব্যবসায়ীরা, বিশেষ করে তৈরি পোশাকের রপ্তানিকারকেরা। তাঁরা বলছেন, এই শুল্কহার যদি শেষ পর্যন্ত বহাল থাকে, তাহলে ভয়ানক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে রপ্তানি খাত। প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এতে অর্থনীতির যেমন ক্ষতি হবে, তেমনি কাজ হারাতে পারে অনেক শ্রমিক।
তৈরি পোশাক কারখানার মালিক ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত যদি ৩৫ শতাংশ বাড়তি শুল্ক বহাল থাকে, তবে আমাদের পোশাক খাতে শুল্ক ৫০ শতাংশের বেশি হবে। কারণ পাল্টা শুল্ক আরোপের আগে বাংলাদেশ থেকে গড়ে ১৫ শতাংশ শুল্ক দিয়ে পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশ করত। এটা আমাদের রপ্তানিকে বড় চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলে দেবে।’
ভিয়েতনাম, ভারতসহ প্রতিযোগী দেশগুলো আমাদের বাজার দখল করে নিতে পারে—এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে মাহমুদ হাসান আরও বলেন, ‘যদি আমরা প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে চাই, তবে আমাদের পণ্যের দাম কমাতে হবে। আর দাম কমালে কারখানাগুলো লোকসানে পড়বে। এতে দেশের অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে।’
ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাল্টা শুল্ক যদি ৩৫ শতাংশ থাকে, তবে খাতভিত্তিক শুল্ক যোগ করে এটি কোনো কোনো খাতে ৫৫ শতাংশের বেশি হবে। অর্থাৎ ১০০ টাকার পণ্য রপ্তানিতে ৫৫ টাকা শুল্কই দিতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকে।
তাঁরা বলছেন, সবচেয়ে বেশি উদ্বেগের বিষয় পোশাক খাতে বাংলাদেশের অন্যতম প্রতিযোগী দেশ ভিয়েতনাম ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ২০ শতাংশ শুল্কে রপ্তানির চুক্তি করেছে। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চীনের পর বড় প্রতিযোগী ভিয়েতনাম।
গত ৩ জুলাই ডোনাল্ড ট্রাম্প ভিয়েতনামের সঙ্গে ২০ শতাংশ শুল্ক চুক্তির বিষয়টি জানায়। ভিয়েতনাম যুক্তরাষ্ট্রের ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্কের জন্য নিজেদের বাজারে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য শূন্য শুল্কে প্রবেশের শর্ত মেনে নিয়েছে। আর ভারতের সঙ্গেও যুক্তরাষ্ট্রের চুক্তির বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত হয়ে আছে।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকিন আহমেদ ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তকে আমাদের অর্থনীতির জন্য অশনিসংকেত বলে মনে করছেন। তিনি বলেন, ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের বিষয়টি জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চিঠিটি আমাদের নজরে এসেছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমাদের রপ্তানিনির্ভর অর্থনীতির জন্য এটি একটি গুরুতর অশনিসংকেত। বিশেষ করে যখন বাংলাদেশ ন্যায্য বাণিজ্য ও শ্রম মান উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে, তখন এ ধরনের সিদ্ধান্ত আমাদের জন্য হতাশাজনক।
তৈরি পোশাক ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে দেশের তৈরি ক্যাপ, চামড়ার জুতাসহ বেশ কিছু খাতের পণ্য রপ্তানি হয়। দুশ্চিন্তায় রয়েছেন এসব খাতের রপ্তানিকারকেরাও।
ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে বলে মনে করছেন বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল। তিনি বলেন, ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে দেশের রপ্তানি খাত ঝুঁকিতে পড়েছে। বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাত সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অন্যতম রপ্তানি গন্তব্য হওয়ায়, এই শুল্কের প্রভাব ব্যাপক হতে পারে। তাৎক্ষণিকভাবে রপ্তানি আদেশ কমে যাওয়ার পাশাপাশি কর্মসংস্থান হ্রাস ও অর্থনৈতিক অস্থিরতার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। শুল্ক বাড়লে শুধু রপ্তানি কমে যাওয়ার সমস্যাই নয়, বরং সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতির নানা ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
তারপরও এখনো আশাবাদী দেশের রপ্তানিকারকেরা। তাঁরা বলছেন, যেহেতু আগামী ১ আগস্ট পর্যন্ত সময় রয়েছে। সরকার এর মধ্যে আলোচনা করে শুল্ক কমিয়ে আনবে বলেই প্রত্যাশা করছেন তাঁরা।
এ জন্য মার্কিন আমদানিকারক ও ব্র্যান্ডগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে শুল্ক নীতিতে পরিবর্তন আনার জন্য চাপ সৃষ্টি, যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বাণিজ্য আলোচনা সর্বোচ্চ পর্যায়ে অগ্রাধিকার দিয়ে পুনরায় শুরু করা এবং বাংলাদেশের পণ্যের মানবিক ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব তুলে ধরা; বিশেষ করে শ্রমিকদের জীবিকা, নারীর ক্ষমতায়ন ও সামাজিক অবদানের দিকগুলো তুলে ধরার পরামর্শ দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

দুই দেশের মধ্যে আলাপ-আলোচনার মধ্যে বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্যে ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করে বসল যুক্তরাষ্ট্র। এতে চিন্তায় পড়েছে দেশের ব্যবসায়ীরা, বিশেষ করে তৈরি পোশাকের রপ্তানিকারকেরা। তাঁরা বলছেন, এই শুল্কহার যদি শেষ পর্যন্ত বহাল থাকে, তাহলে ভয়ানক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে রপ্তানি খাত। প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এতে অর্থনীতির যেমন ক্ষতি হবে, তেমনি কাজ হারাতে পারে অনেক শ্রমিক।
তৈরি পোশাক কারখানার মালিক ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত যদি ৩৫ শতাংশ বাড়তি শুল্ক বহাল থাকে, তবে আমাদের পোশাক খাতে শুল্ক ৫০ শতাংশের বেশি হবে। কারণ পাল্টা শুল্ক আরোপের আগে বাংলাদেশ থেকে গড়ে ১৫ শতাংশ শুল্ক দিয়ে পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশ করত। এটা আমাদের রপ্তানিকে বড় চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলে দেবে।’
ভিয়েতনাম, ভারতসহ প্রতিযোগী দেশগুলো আমাদের বাজার দখল করে নিতে পারে—এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে মাহমুদ হাসান আরও বলেন, ‘যদি আমরা প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে চাই, তবে আমাদের পণ্যের দাম কমাতে হবে। আর দাম কমালে কারখানাগুলো লোকসানে পড়বে। এতে দেশের অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে।’
ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাল্টা শুল্ক যদি ৩৫ শতাংশ থাকে, তবে খাতভিত্তিক শুল্ক যোগ করে এটি কোনো কোনো খাতে ৫৫ শতাংশের বেশি হবে। অর্থাৎ ১০০ টাকার পণ্য রপ্তানিতে ৫৫ টাকা শুল্কই দিতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকে।
তাঁরা বলছেন, সবচেয়ে বেশি উদ্বেগের বিষয় পোশাক খাতে বাংলাদেশের অন্যতম প্রতিযোগী দেশ ভিয়েতনাম ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ২০ শতাংশ শুল্কে রপ্তানির চুক্তি করেছে। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চীনের পর বড় প্রতিযোগী ভিয়েতনাম।
গত ৩ জুলাই ডোনাল্ড ট্রাম্প ভিয়েতনামের সঙ্গে ২০ শতাংশ শুল্ক চুক্তির বিষয়টি জানায়। ভিয়েতনাম যুক্তরাষ্ট্রের ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্কের জন্য নিজেদের বাজারে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য শূন্য শুল্কে প্রবেশের শর্ত মেনে নিয়েছে। আর ভারতের সঙ্গেও যুক্তরাষ্ট্রের চুক্তির বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত হয়ে আছে।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকিন আহমেদ ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তকে আমাদের অর্থনীতির জন্য অশনিসংকেত বলে মনে করছেন। তিনি বলেন, ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের বিষয়টি জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চিঠিটি আমাদের নজরে এসেছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমাদের রপ্তানিনির্ভর অর্থনীতির জন্য এটি একটি গুরুতর অশনিসংকেত। বিশেষ করে যখন বাংলাদেশ ন্যায্য বাণিজ্য ও শ্রম মান উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে, তখন এ ধরনের সিদ্ধান্ত আমাদের জন্য হতাশাজনক।
তৈরি পোশাক ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে দেশের তৈরি ক্যাপ, চামড়ার জুতাসহ বেশ কিছু খাতের পণ্য রপ্তানি হয়। দুশ্চিন্তায় রয়েছেন এসব খাতের রপ্তানিকারকেরাও।
ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে বলে মনে করছেন বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল। তিনি বলেন, ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে দেশের রপ্তানি খাত ঝুঁকিতে পড়েছে। বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাত সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অন্যতম রপ্তানি গন্তব্য হওয়ায়, এই শুল্কের প্রভাব ব্যাপক হতে পারে। তাৎক্ষণিকভাবে রপ্তানি আদেশ কমে যাওয়ার পাশাপাশি কর্মসংস্থান হ্রাস ও অর্থনৈতিক অস্থিরতার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। শুল্ক বাড়লে শুধু রপ্তানি কমে যাওয়ার সমস্যাই নয়, বরং সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতির নানা ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
তারপরও এখনো আশাবাদী দেশের রপ্তানিকারকেরা। তাঁরা বলছেন, যেহেতু আগামী ১ আগস্ট পর্যন্ত সময় রয়েছে। সরকার এর মধ্যে আলোচনা করে শুল্ক কমিয়ে আনবে বলেই প্রত্যাশা করছেন তাঁরা।
এ জন্য মার্কিন আমদানিকারক ও ব্র্যান্ডগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে শুল্ক নীতিতে পরিবর্তন আনার জন্য চাপ সৃষ্টি, যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বাণিজ্য আলোচনা সর্বোচ্চ পর্যায়ে অগ্রাধিকার দিয়ে পুনরায় শুরু করা এবং বাংলাদেশের পণ্যের মানবিক ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব তুলে ধরা; বিশেষ করে শ্রমিকদের জীবিকা, নারীর ক্ষমতায়ন ও সামাজিক অবদানের দিকগুলো তুলে ধরার পরামর্শ দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
১০ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
১০ ঘণ্টা আগে
কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
১৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। দিনব্যাপী এই উৎসবমুখর ও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে দেশের প্রতিটি স্থান থেকে আবুল খায়ের স্টিলের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। নামাজ ও খাবারের বিরতির পর একেএসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সবার উদ্দেশে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেন। বক্তব্যে কোম্পানির সাম্প্রতিক অর্জন ও মাইলফলকগুলো তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী রড একেএস টিএমটি বি৭০০ সি-আরের সফল উৎপাদন। বিশ্বের দ্রুততম রোলিং মিল স্থাপন। একেএস এবং কাউ ব্র্যান্ড কালার কোটেড স্টিলের মর্যাদাপূর্ণ সুপারব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড অর্জন।
এই আলোচনায় প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং কর্মীদের সম্মিলিত সাফল্যের প্রতিচ্ছবিও উঠে আসে।
সন্ধ্যায় আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও র্যাফেল ড্র পর্বটি উদ্যাপনকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কিংবদন্তি শিল্পী জেমসের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা ও লেজার শো উপস্থিত সবাইকে মাতিয়ে রাখে।
সমাপনী ভাষণে একেএস পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান হয়। এরপর নৈশভোজ ও ডিজে সেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। দিনব্যাপী এই উৎসবমুখর ও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে দেশের প্রতিটি স্থান থেকে আবুল খায়ের স্টিলের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। নামাজ ও খাবারের বিরতির পর একেএসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সবার উদ্দেশে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেন। বক্তব্যে কোম্পানির সাম্প্রতিক অর্জন ও মাইলফলকগুলো তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী রড একেএস টিএমটি বি৭০০ সি-আরের সফল উৎপাদন। বিশ্বের দ্রুততম রোলিং মিল স্থাপন। একেএস এবং কাউ ব্র্যান্ড কালার কোটেড স্টিলের মর্যাদাপূর্ণ সুপারব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড অর্জন।
এই আলোচনায় প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং কর্মীদের সম্মিলিত সাফল্যের প্রতিচ্ছবিও উঠে আসে।
সন্ধ্যায় আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও র্যাফেল ড্র পর্বটি উদ্যাপনকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কিংবদন্তি শিল্পী জেমসের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা ও লেজার শো উপস্থিত সবাইকে মাতিয়ে রাখে।
সমাপনী ভাষণে একেএস পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান হয়। এরপর নৈশভোজ ও ডিজে সেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

দুই দেশের মধ্যে আলাপ-আলোচনার মধ্যে বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্যে ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করে বসল যুক্তরাষ্ট্র। এতে চিন্তায় পড়েছে দেশের ব্যবসায়ীরা, বিশেষ করে তৈরি পোশাকের রপ্তানিকারকেরা। তাঁরা বলছেন, এই শুল্কহার যদি শেষ পর্যন্ত বহাল থাকে, তাহলে ভয়ানক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে রপ্তানি খাত।
০৯ জুলাই ২০২৫
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
১০ ঘণ্টা আগে
কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
১৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, এফসিএ, এফসিএস, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান, স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবদুল জলিল, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন, শরী’আহ সুপারভাইজরি কাউন্সলিরে সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মো. হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, এফসিএ, এফসিএস, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান, স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবদুল জলিল, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন, শরী’আহ সুপারভাইজরি কাউন্সলিরে সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মো. হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

দুই দেশের মধ্যে আলাপ-আলোচনার মধ্যে বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্যে ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করে বসল যুক্তরাষ্ট্র। এতে চিন্তায় পড়েছে দেশের ব্যবসায়ীরা, বিশেষ করে তৈরি পোশাকের রপ্তানিকারকেরা। তাঁরা বলছেন, এই শুল্কহার যদি শেষ পর্যন্ত বহাল থাকে, তাহলে ভয়ানক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে রপ্তানি খাত।
০৯ জুলাই ২০২৫
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
১০ ঘণ্টা আগে
কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়, ব্যাংকিং খাতের বর্তমান পরিস্থিতিতে আনরিয়েলাইজড বা নগদায়ন না করা আয়ের ভিত্তিতে বোনাস দেওয়া আর্থিক শৃঙ্খলা ও সুশাসনের পরিপন্থী। তাই এখন থেকে শুধু নির্ধারিত নিট মুনাফা অর্জন করতে পারলেই উৎসাহ বোনাস দেওয়ার অনুমতি পাবে ব্যাংকগুলো।
আরও বলা হয়, পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকে কোনো ধরনের উৎসাহ বোনাস দেওয়া যাবে না। রেগুলেটরি মূলধন বা প্রভিশনের ঘাটতি থাকলে বোনাস দেওয়া নিষিদ্ধ। প্রভিশন সংরক্ষণে বাড়তি সময় পাওয়া ব্যাংকগুলোও সেই সময়কাল মুনাফা হিসাবের ক্ষেত্রে দেখাতে পারবে না। বোনাস প্রদানে ব্যাংকগুলোকে বিভিন্ন কর্মসূচির উন্নতি ও খেলাপি ঋণ পুনরুদ্ধারে দৃশ্যমান সাফল্য বিবেচনায় নিতে হবে।
এদিকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের ক্ষেত্রে সরকারের বিদ্যমান নির্দেশিকা কার্যকর থাকবে, যেখানে নিট মুনাফা ছাড়া বোনাস না দেওয়ার কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। তবে কোনো ব্যাংক নির্দিষ্ট সূচকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে বিশেষ বোনাসের জন্য আবেদন করতে পারবে।

কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়, ব্যাংকিং খাতের বর্তমান পরিস্থিতিতে আনরিয়েলাইজড বা নগদায়ন না করা আয়ের ভিত্তিতে বোনাস দেওয়া আর্থিক শৃঙ্খলা ও সুশাসনের পরিপন্থী। তাই এখন থেকে শুধু নির্ধারিত নিট মুনাফা অর্জন করতে পারলেই উৎসাহ বোনাস দেওয়ার অনুমতি পাবে ব্যাংকগুলো।
আরও বলা হয়, পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকে কোনো ধরনের উৎসাহ বোনাস দেওয়া যাবে না। রেগুলেটরি মূলধন বা প্রভিশনের ঘাটতি থাকলে বোনাস দেওয়া নিষিদ্ধ। প্রভিশন সংরক্ষণে বাড়তি সময় পাওয়া ব্যাংকগুলোও সেই সময়কাল মুনাফা হিসাবের ক্ষেত্রে দেখাতে পারবে না। বোনাস প্রদানে ব্যাংকগুলোকে বিভিন্ন কর্মসূচির উন্নতি ও খেলাপি ঋণ পুনরুদ্ধারে দৃশ্যমান সাফল্য বিবেচনায় নিতে হবে।
এদিকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের ক্ষেত্রে সরকারের বিদ্যমান নির্দেশিকা কার্যকর থাকবে, যেখানে নিট মুনাফা ছাড়া বোনাস না দেওয়ার কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। তবে কোনো ব্যাংক নির্দিষ্ট সূচকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে বিশেষ বোনাসের জন্য আবেদন করতে পারবে।

দুই দেশের মধ্যে আলাপ-আলোচনার মধ্যে বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্যে ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করে বসল যুক্তরাষ্ট্র। এতে চিন্তায় পড়েছে দেশের ব্যবসায়ীরা, বিশেষ করে তৈরি পোশাকের রপ্তানিকারকেরা। তাঁরা বলছেন, এই শুল্কহার যদি শেষ পর্যন্ত বহাল থাকে, তাহলে ভয়ানক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে রপ্তানি খাত।
০৯ জুলাই ২০২৫
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
১০ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
১০ ঘণ্টা আগে
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভ্যাটব্যবস্থাকে পুরোপুরি ডিজিটাল ও সহজ করার লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এক নতুন পর্যায়ে এগোচ্ছে। মাত্র একটি ক্লিকেই ভ্যাট পরিশোধের সুযোগ ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে এবং বড় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এটি ব্যবহারও শুরু করেছে।
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে জাতীয় ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
মো. আবদুর রহমান বলেন, দেশের বড় একটি অংশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এখনো ভ্যাট নিবন্ধনের বাইরে রয়েছে। আগামী বছর এমন একটি মেকানিজম চালু করা হবে, যার মাধ্যমে ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়া ব্যবসার সুযোগ থাকবে না। বর্তমানে নিবন্ধিত ভ্যাটদাতা প্রতিষ্ঠান ৬ লাখ ৪৪ হাজার; লক্ষ্য আগামী এক থেকে দুই বছরের মধ্যে তা ৩০ থেকে ৪০ লাখে উন্নীত করা। শুধু চলতি মাসেই ১ লাখ নতুন প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধনের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, ভ্যাট দিবসের প্রতিপাদ্য—‘সময়মতো নিবন্ধন নিব, সঠিকভাবে ভ্যাট দিব’—ধরে আগামীকাল বুধবার সারা দেশে ভ্যাট দিবস পালিত হবে। ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর চলবে ভ্যাট সপ্তাহ। তবে নীতিমালা চূড়ান্ত না হওয়ায় এ বছরও স্থগিত থাকছে ভ্যাট পুরস্কার।
রিটার্ন জমাদানেও বড় পরিবর্তন আসছে বলে জানান মো. আবদুর রহমান খান। গত অর্থবছরে ১৭ লাখ ই-রিটার্ন জমা পড়লেও চলতি অর্থবছরে তা ৪০ লাখে পৌঁছানোর আশা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে জমা পড়েছে ২২ লাখ রিটার্ন। ভ্যাট আদায়েও গতি এসেছে—গত অর্থবছরে মোট রাজস্বের ৩৮ শতাংশ এসেছে ভ্যাট থেকে আর চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসেই ভ্যাট আদায় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ২২ শতাংশ।
করদাতাদের ঝামেলা কমাতে ই-রিটার্নে ব্যবহৃত ব্যাংকসংক্রান্ত চারটি তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাচাইয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান আবদুর রহমান।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, করদাতারা মনে করেন, রাজস্ব কর্মকর্তারা এসব তথ্য দেখতে পারবেন—এটি ভুল ধারণা।
চলতি অর্থবছরে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ৫৫ হাজার কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে কেন—এ প্রশ্নের জবাবে আবদুর রহমান বলেন, রাজস্ব আদায় বাড়ানোর বাস্তব প্রয়োজন থেকেই এ লক্ষ্য নির্ধারণ। তবে কারও ওপর হয়রানি বা অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করা হবে না; মূলত যাঁরা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেই কঠোরতা বাড়ানো হবে।
আমদানি করা মোবাইল ফোনে কর কমানোর সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এটি সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত; এককভাবে এনবিআর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এনবিআরের সদস্য (মূসক নীতি) মো. আজিজুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট অন্য কর্মকর্তারা।

ভ্যাটব্যবস্থাকে পুরোপুরি ডিজিটাল ও সহজ করার লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এক নতুন পর্যায়ে এগোচ্ছে। মাত্র একটি ক্লিকেই ভ্যাট পরিশোধের সুযোগ ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে এবং বড় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এটি ব্যবহারও শুরু করেছে।
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে জাতীয় ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
মো. আবদুর রহমান বলেন, দেশের বড় একটি অংশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এখনো ভ্যাট নিবন্ধনের বাইরে রয়েছে। আগামী বছর এমন একটি মেকানিজম চালু করা হবে, যার মাধ্যমে ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়া ব্যবসার সুযোগ থাকবে না। বর্তমানে নিবন্ধিত ভ্যাটদাতা প্রতিষ্ঠান ৬ লাখ ৪৪ হাজার; লক্ষ্য আগামী এক থেকে দুই বছরের মধ্যে তা ৩০ থেকে ৪০ লাখে উন্নীত করা। শুধু চলতি মাসেই ১ লাখ নতুন প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধনের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, ভ্যাট দিবসের প্রতিপাদ্য—‘সময়মতো নিবন্ধন নিব, সঠিকভাবে ভ্যাট দিব’—ধরে আগামীকাল বুধবার সারা দেশে ভ্যাট দিবস পালিত হবে। ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর চলবে ভ্যাট সপ্তাহ। তবে নীতিমালা চূড়ান্ত না হওয়ায় এ বছরও স্থগিত থাকছে ভ্যাট পুরস্কার।
রিটার্ন জমাদানেও বড় পরিবর্তন আসছে বলে জানান মো. আবদুর রহমান খান। গত অর্থবছরে ১৭ লাখ ই-রিটার্ন জমা পড়লেও চলতি অর্থবছরে তা ৪০ লাখে পৌঁছানোর আশা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে জমা পড়েছে ২২ লাখ রিটার্ন। ভ্যাট আদায়েও গতি এসেছে—গত অর্থবছরে মোট রাজস্বের ৩৮ শতাংশ এসেছে ভ্যাট থেকে আর চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসেই ভ্যাট আদায় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ২২ শতাংশ।
করদাতাদের ঝামেলা কমাতে ই-রিটার্নে ব্যবহৃত ব্যাংকসংক্রান্ত চারটি তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাচাইয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান আবদুর রহমান।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, করদাতারা মনে করেন, রাজস্ব কর্মকর্তারা এসব তথ্য দেখতে পারবেন—এটি ভুল ধারণা।
চলতি অর্থবছরে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ৫৫ হাজার কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে কেন—এ প্রশ্নের জবাবে আবদুর রহমান বলেন, রাজস্ব আদায় বাড়ানোর বাস্তব প্রয়োজন থেকেই এ লক্ষ্য নির্ধারণ। তবে কারও ওপর হয়রানি বা অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করা হবে না; মূলত যাঁরা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেই কঠোরতা বাড়ানো হবে।
আমদানি করা মোবাইল ফোনে কর কমানোর সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এটি সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত; এককভাবে এনবিআর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এনবিআরের সদস্য (মূসক নীতি) মো. আজিজুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট অন্য কর্মকর্তারা।

দুই দেশের মধ্যে আলাপ-আলোচনার মধ্যে বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্যে ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করে বসল যুক্তরাষ্ট্র। এতে চিন্তায় পড়েছে দেশের ব্যবসায়ীরা, বিশেষ করে তৈরি পোশাকের রপ্তানিকারকেরা। তাঁরা বলছেন, এই শুল্কহার যদি শেষ পর্যন্ত বহাল থাকে, তাহলে ভয়ানক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে রপ্তানি খাত।
০৯ জুলাই ২০২৫
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
১০ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
১০ ঘণ্টা আগে
কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে