নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের (জানুয়ারি-জুন) জন্য ঘোষিত মুদ্রানীতিতে সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে। বাজারে টাকার জোগান কমাতে বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি ১ শতাংশ কমানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে নীতি সুদহার দশমিক ২৫ শতাংশীয় পয়েন্ট বাড়িয়ে ৮ শতাংশ করা হয়েছে। এর ওপর ভিত্তি করে আগামী রোববার থেকে স্মার্ট পদ্ধতিতে সুদের হার নির্ধারণ করা হবে। বর্তমানে স্মার্ট পদ্ধতিতে ব্যাংকের গ্রাহক পর্যায়ের বেসরকারি ঋণের সুদহার দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৮৯ শতাংশে।
পরের মাসে এ হার আরও বেড়ে যাবে। অন্যদিকে সরকার কৌশলে স্বল্পকালীন ঋণ নিচ্ছে। বিশেষ করে ১ থেকে ১৪ দিনের ঋণের সুদের হার দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৭৫ থেকে ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, ১৭ জানুয়ারি সরকার ট্রেজারি বিলের মাধ্যমে ১ থেকে ১৪ দিনের জন্য ঋণের ৭ দশমিক ৭৫ থেকে ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে ১৯ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। এখানে সুদের হার কম। তবে ৩৬৫ দিনের সুদের হার খানিকটা বেশি। অন্যদিকে পুনঃ অর্থায়নের কয়েকটি স্কিম ছাড়া বেসরকারি খাতে স্মার্ট সুদের হার দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৮৯ শতাংশে।আবার জানুয়ারি মাসে সুদের হার বাড়ায় ফেব্রুয়ারি থেকে তা আরও বাড়বে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ মোস্তফা কে মুজেরী বলেন, ব্যাংক ঋণের সুদহার বাড়লে উৎপাদন খাতে বিনিয়োগ কমতে পারে। এটি অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এজন্য ঋণের অপব্যবহার ও উৎপাদন খাতের ঋণপ্রাপ্তি নিশ্চিত করা জরুরি।
বেসরকারি খাতে সুদের হার বৃদ্ধির ধারাবাহিকতা নিয়ে ভাবার সময় এসেছে। অন্যদিকে সরকার কম সুদে ঋণ নিচ্ছে। এই ঋণ বেশির ভাগই যাবে অনুৎপাদনশীল খাতে, তা নিয়ে মুদ্রানীতিতে কিছু বলার নেই।
গত বুধবার জানুয়ারি-জুন মেয়াদের জন্য মুদ্রানীতি ঘোষণাকালে নীতি সুদহার দশমিক ২৫ শতাংশীয় পয়েন্ট বাড়িয়ে ৮ শতাংশ করা হয়েছে। মূলত মূল্যস্ফীতির হার ৬ শতাংশের মধ্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে নীতি সুদহার বাড়ানো হয়েছে। যদিও চলতি অর্থবছরে মূল্যস্ফীতির সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। ঋণের প্রবৃদ্ধি ১১ থেকে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, নীতি সুদহার বাড়ালে ঋণের সুদহারও বাড়বে। নতুন সিদ্ধান্ত ব্যবসা-বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। কিন্তু সরকার যে কম সুদে ঋণ পাচ্ছে, তার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে অর্থনীতিতে। সরকারের ঋণের প্রভাব তো বাজারে পড়বে।
এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, বেসরকারি খাতে একসময় ১৮ থেকে ২০ শতাংশ সুদ ছিল; কিন্তু পরিস্থিতি তখন ভালো ছিল। এখন তো বিশেষ সময় চলছে। সুদের হার প্রতি মাসে বাড়ছে। এর একটা সীমা থাকা দরকার। নয় তো ব্যবসায় ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে। আবার সরকার তো স্বল্পমেয়াদী ঋণ নিচ্ছে। সেখানে তো সুদের হার কম।
চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের (জানুয়ারি-জুন) জন্য ঘোষিত মুদ্রানীতিতে সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে। বাজারে টাকার জোগান কমাতে বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি ১ শতাংশ কমানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে নীতি সুদহার দশমিক ২৫ শতাংশীয় পয়েন্ট বাড়িয়ে ৮ শতাংশ করা হয়েছে। এর ওপর ভিত্তি করে আগামী রোববার থেকে স্মার্ট পদ্ধতিতে সুদের হার নির্ধারণ করা হবে। বর্তমানে স্মার্ট পদ্ধতিতে ব্যাংকের গ্রাহক পর্যায়ের বেসরকারি ঋণের সুদহার দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৮৯ শতাংশে।
পরের মাসে এ হার আরও বেড়ে যাবে। অন্যদিকে সরকার কৌশলে স্বল্পকালীন ঋণ নিচ্ছে। বিশেষ করে ১ থেকে ১৪ দিনের ঋণের সুদের হার দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৭৫ থেকে ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, ১৭ জানুয়ারি সরকার ট্রেজারি বিলের মাধ্যমে ১ থেকে ১৪ দিনের জন্য ঋণের ৭ দশমিক ৭৫ থেকে ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে ১৯ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। এখানে সুদের হার কম। তবে ৩৬৫ দিনের সুদের হার খানিকটা বেশি। অন্যদিকে পুনঃ অর্থায়নের কয়েকটি স্কিম ছাড়া বেসরকারি খাতে স্মার্ট সুদের হার দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৮৯ শতাংশে।আবার জানুয়ারি মাসে সুদের হার বাড়ায় ফেব্রুয়ারি থেকে তা আরও বাড়বে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ মোস্তফা কে মুজেরী বলেন, ব্যাংক ঋণের সুদহার বাড়লে উৎপাদন খাতে বিনিয়োগ কমতে পারে। এটি অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এজন্য ঋণের অপব্যবহার ও উৎপাদন খাতের ঋণপ্রাপ্তি নিশ্চিত করা জরুরি।
বেসরকারি খাতে সুদের হার বৃদ্ধির ধারাবাহিকতা নিয়ে ভাবার সময় এসেছে। অন্যদিকে সরকার কম সুদে ঋণ নিচ্ছে। এই ঋণ বেশির ভাগই যাবে অনুৎপাদনশীল খাতে, তা নিয়ে মুদ্রানীতিতে কিছু বলার নেই।
গত বুধবার জানুয়ারি-জুন মেয়াদের জন্য মুদ্রানীতি ঘোষণাকালে নীতি সুদহার দশমিক ২৫ শতাংশীয় পয়েন্ট বাড়িয়ে ৮ শতাংশ করা হয়েছে। মূলত মূল্যস্ফীতির হার ৬ শতাংশের মধ্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে নীতি সুদহার বাড়ানো হয়েছে। যদিও চলতি অর্থবছরে মূল্যস্ফীতির সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। ঋণের প্রবৃদ্ধি ১১ থেকে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, নীতি সুদহার বাড়ালে ঋণের সুদহারও বাড়বে। নতুন সিদ্ধান্ত ব্যবসা-বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। কিন্তু সরকার যে কম সুদে ঋণ পাচ্ছে, তার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে অর্থনীতিতে। সরকারের ঋণের প্রভাব তো বাজারে পড়বে।
এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, বেসরকারি খাতে একসময় ১৮ থেকে ২০ শতাংশ সুদ ছিল; কিন্তু পরিস্থিতি তখন ভালো ছিল। এখন তো বিশেষ সময় চলছে। সুদের হার প্রতি মাসে বাড়ছে। এর একটা সীমা থাকা দরকার। নয় তো ব্যবসায় ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে। আবার সরকার তো স্বল্পমেয়াদী ঋণ নিচ্ছে। সেখানে তো সুদের হার কম।
আমেরিকার বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ৩৭ শতাংশ শুল্ক পুরোপুরি প্রত্যাহার না হলে বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি খাতকে প্রতি মাসে গড়ে ২৫০ মিলিয়ন ডলার শুল্ক পরিশোধ করতে হবে। এতে প্রায় ১ হাজার কারখানা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এই শুল্ক প্রত্যাহারের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকারকে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে আলোচনা
১ ঘণ্টা আগেদেশের গুরুত্বপূর্ণ দু’টি গ্যাসক্ষেত্র তিতাস ও বাখরাবাদ গ্যাসক্ষেত্রে গ্যাসের মজুদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে দু’টি গভীর অনুসন্ধান কূপ খননের বৃহৎ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। এই লক্ষ্যে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন পেট্রোবাংলার একটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড
১ ঘণ্টা আগেভারত হঠাৎ করে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধ করে দেওয়ার পর বাংলাদেশ দ্রুত বিমানের কার্গো অবকাঠামো বৃদ্ধি করছে। গুরুত্বপূর্ণ পণ্য, বিশেষ করে তৈরি পোশাকের নিরবচ্ছিন্ন রপ্তানি নিশ্চিত করতে সক্ষমতা বৃদ্ধি, জনবল নিয়োগ ও পরিবহন খরচ কমানোর জন্য জরুরি পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার।
১ ঘণ্টা আগেসরকারি চুক্তির আওতায় ভিয়েতনাম থেকে আরো ১২ হাজার ৫০০ টন আতপ চাল আমদানি করা হয়েছে। আজ শনিবার চালবাহী জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়েছে বলে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
২ ঘণ্টা আগে