Ajker Patrika

ট্রাম্পের শুল্কে বিশ্বজুড়ে প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস কাটছাঁট করল আইএমএফ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ট্রাম্পের শুল্কে বিশ্বজুড়ে প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস কাটছাঁট করল আইএমএফ

যুক্তরাষ্ট্রের শতবর্ষের রেকর্ড উচ্চতার শুল্কের প্রভাব পড়েছে বিশ্ব অর্থনীতিতে। যুক্তরাষ্ট্র, চীনসহ বেশির ভাগ দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়ে দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থাটি সতর্ক করে বলেছে, বর্ধিত বাণিজ্য উত্তেজনা বিশ্ব প্রবৃদ্ধিকে আরও ধীর করবে।

আজ মঙ্গলবার সর্বশেষ ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক’ প্রকাশ করেছে আইএমএফ। প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, চলতি মাসের ৪ এপ্রিল পর্যন্ত পরিস্থিতির ভিত্তিতে তৈরি করা এই পূর্বাভাসে বিশ্ব প্রবৃদ্ধি ২০২৫ সালের জন্য ০ দশমিক ৫ শতাংশ কমিয়ে ২ দশমিক ৮ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে।

এ ছাড়া, ২০২৪ ও ২০২৫ সালের জন্য জানুয়ারিতে দেওয়া ৩ দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস সংশোধন করে যথাক্রমে ৩ শতাংশ ও ২ দশমিক ৮ শতাংশ করেছে আইএমএফ।

বিশ্বজুড়ে শুল্ক বৃদ্ধির প্রভাবে মুদ্রাস্ফীতিও প্রত্যাশার চেয়ে ধীরগতিতে কমবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৫ সালে বিশ্বব্যাপী গড় মুদ্রাস্ফীতি হবে ৪ দশমিক ৩ শতাংশ, আর ২০২৬ সালে তা নামবে ৩ দশমিক ৬ শতাংশে।

আইএমএফের প্রধান অর্থনীতিবিদ পিয়ের অলিভিয়ে গোঁরাসা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা এমন এক নতুন যুগে প্রবেশ করছি, যেখানে ৮০ বছর ধরে চলে আসা বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নতুনভাবে সাজানো হচ্ছে।’

পিয়ের অলিভিয়ে গোঁরাসা বলেন, এই শুল্ক ও বাণিজ্য উত্তেজনা কেবল যুক্তরাষ্ট্র নয়, ইউরোপ, চীন ও অন্যান্য অঞ্চলকেও নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করছে। ফলে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

বিশ্লেষকেরা আশঙ্কা করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অন্যান্য দেশের বাণিজ্য উত্তেজনা আরও বাড়লে আর্থিক বাজার অস্থির হবে, যা বিনিয়োগ ও পণ্যের উৎস নির্বাচন নিয়েও অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করবে।

বিশ্ব বাণিজ্য প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসও বড়োসড়োভাবে কমানো হয়েছে। ২০২৫ সালে বৈশ্বিক বাণিজ্যের প্রবৃদ্ধি হবে মাত্র ১ দশমিক ৭ শতাংশ, যা ২০২৪ সালের তুলনায় অর্ধেক।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে উচ্চ শুল্কের ফলে এই দুই বৃহৎ অর্থনীতির মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে, যার প্রভাব পড়বে বৈশ্বিক বাণিজ্যে।

তবে এখন পর্যন্ত ডলারের বাজারে বড় ধস দেখা যায়নি। পিয়ের অলিভিয়ে গোঁরাসা বলেন, ‘আমরা এখনো কোনো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি দেখছি না। আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা নিয়ে আমরা এখনো উদ্বিগ্ন নই।’

তবে তিনি স্বীকার করেন, যদি এই বাণিজ্য উত্তেজনা ও অনিশ্চয়তা চলতে থাকে, তাহলে দীর্ঘ মেয়াদে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে পড়বে। আইএমএফের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী পাঁচ বছরে গড় প্রবৃদ্ধি হবে ৩ দশমিক ২ শতাংশ, যা ২০০০-১৯ সময়কালের ৩ দশমিক ৭ শতাংশ গড় থেকে অনেকটাই কম।

বিশ্ব বাণিজ্যব্যবস্থায় স্থিরতা ও স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়ে আইএমএফ বলেছে, নির্ভরযোগ্য ও পরিষ্কার বাণিজ্য কাঠামো পুনঃপ্রতিষ্ঠা এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আইএমএফ বিশ্ব বাণিজ্যের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ১ দশমিক ৫ শতাংশ কমিয়ে ১ দশমিক ৭ শতাংশ করেছে, যা ২০২৪ সালের প্রবৃদ্ধির অর্ধেক। এটি বিশ্ব অর্থনীতির ক্রমবর্ধমান খণ্ডনকেই প্রতিফলিত করে।

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে তীব্রভাবে শুল্ক বৃদ্ধির ফলে বিশ্বের বৃহত্তম দুটি অর্থনীতির মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য অনেক কমে যাবে বলে জানান গুরিনচাস। তিনি যোগ করেন, এটি বিশ্ব বাণিজ্যের প্রবৃদ্ধিকে টেনে নামাচ্ছে।

বাণিজ্য অব্যাহত থাকলেও এর খরচ বেশি হবে এবং এটি কম কার্যকর হবে। বিনিয়োগ এবং পণ্য ও যন্ত্রাংশ সংগ্রহের ক্ষেত্রে বিভ্রান্তি ও অনিশ্চয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি রয়টার্সকে বলেন, যেকোনো রূপে বাণিজ্য ব্যবস্থার পূর্বাভাসযোগ্যতা ও স্পষ্টতা পুনরুদ্ধার করা একেবারে জরুরি।

মার্কিন প্রবৃদ্ধি হ্রাস, মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি

নীতিগত অনিশ্চয়তা এবং বাণিজ্য উত্তেজনার কথা উল্লেখ করে আইএমএফ ২০২৫ সালে মার্কিন প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ০ দশমিক ৯ শতাংশ কমিয়ে ১ দশমিক ৮ শতাংশ করেছে, যা ২০২৪ সালের ২ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি থেকে পুরো ১ শতাংশ কম এবং ২০২৬ সালে ০ দশমিক ৪ শতাংশ কমিয়ে ১ দশমিক ৭ শতাংশ করেছে।

গোঁরাসা সাংবাদিকদের বলেন, আইএমএফ যুক্তরাষ্ট্রে মন্দা দেখছে না, তবে অর্থনৈতিক নিম্নগামিতার সম্ভাবনা প্রায় ২৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩৭ শতাংশ হয়েছে। আইএমএফ শুল্ক এবং পরিষেবা খাতের অন্তর্নিহিত শক্তির কারণে ২০২৫ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান মুদ্রাস্ফীতি ৩ শতাংশে পৌঁছানোর পূর্বাভাস দিচ্ছে, যা জানুয়ারিতে তাদের পূর্বাভাসের চেয়ে ১ শতাংশ বেশি।

এর অর্থ হলো, ফেডারেল রিজার্ভকে মুদ্রাস্ফীতির প্রত্যাশা ধরে রাখার ক্ষেত্রে খুব সতর্ক থাকতে হবে। গোঁরাসা বলেন, অনেক আমেরিকান এখনো কোভিড মহামারির সময় হওয়া মুদ্রাস্ফীতির উল্লম্ফনে আতঙ্কিত।

হোয়াইট হাউস কর্তৃক ফেড চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলকে অপসারণের যেকোনো পদক্ষেপের প্রভাব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে গোঁরাসা বলেন, মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলায় তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা বজায় রাখার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর স্বাধীন থাকতে পারা খুবই জরুরি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট পাওয়েলের ওপর তাঁর আক্রমণ তীব্র করার সঙ্গে সঙ্গে সোমবার মার্কিন শেয়ারবাজারে তীব্র পতন ঘটে, যা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করে। তবে মঙ্গলবার শেয়ারবাজারের শুরু ছিল ঊর্ধ্বমুখী।

ট্রাম্পের শুল্কে মার্কিন প্রতিবেশী কানাডা এবং মেক্সিকোর প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসও কমেছে। আইএমএফ পূর্বাভাস দিয়েছে, কানাডার অর্থনীতি ২০২৫ সালে ১ দশমিক ৪ শতাংশ এবং ২০২৬ সালে ১ দশমিক ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে, যেখানে জানুয়ারিতে উভয় বছরের জন্য ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল।

তারা পূর্বাভাস দিয়েছে, মেক্সিকো শুল্ক দ্বারা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যার প্রবৃদ্ধি ২০২৫ সালে ০ দশমিক ৩ শতাংশে নেমে আসবে, যা জানুয়ারির পূর্বাভাস থেকে তীব্র ১ দশমিক ৭ শতাংশ হ্রাস, ২০২৬ সালে ১ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধিতে পুনরুদ্ধারের আগে।

ইউরোপ ও এশিয়ায় কম প্রবৃদ্ধি

আইএমএফ পূর্বাভাস দিয়েছে, ইউরোপ অঞ্চলের প্রবৃদ্ধি ২০২৫ সালে ০ দশমিক ৮ শতাংশ এবং ২০২৬ সালে ১ দশমিক ২ শতাংশ ধীর হবে। উভয় পূর্বাভাসই জানুয়ারি থেকে প্রায় ০ দশমিক ২ শতাংশ কম। তবে স্পেন ব্যতিক্রম। ২০২৫ সালে দেশটির ২ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, যা আগের চেয়ে ০ দশমিক ২ শতাংশ ঊর্ধ্বমুখী।

প্রতিবাদী শক্তির মধ্যে রয়েছে ক্রমবর্ধমান মজুরি এবং জার্মানির ‘ঋণ ব্রেকে’ বড় ধরনের পরিবর্তনের পর প্রত্যাশিত আর্থিক শিথিলতার কারণে শক্তিশালী ভোগ। আইএমএফ ২০২৫ সালে জার্মানির প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ০ দশমিক ৩ শতাংশ কমিয়ে শূন্য শতাংশ এবং ২০২৬ সালে ০ দশমিক ২ শতাংশ কমিয়ে ০ দশমিক ৯ শতাংশ করেছে।

ব্রিটেনের প্রবৃদ্ধি ২০২৫ সালে ১ দশমিক ১ শতাংশে পৌঁছাবে, যা জানুয়ারির পূর্বাভাসের চেয়ে ০ দশমিক ৫ শতাংশ কম। আর ২০২৬ সালে ১ দশমিক ৪ শতাংশের সামান্য বৃদ্ধি পাবে। সম্প্রতি ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ, বেশি গিল্ট রিটার্ন এবং দুর্বল বেসরকারি ভোগ মূল্যায়ন করে এমন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

বাণিজ্য উত্তেজনা এবং ট্রাম্পের শুল্কের কারণে ২০২৫ সালে জাপানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি জানুয়ারির পূর্বাভাসের তুলনায় ০ দশমিক ৫ শতাংশ হ্রাস পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। যেখানে আগে ০ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বলা হয়েছিল।

চীনের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ২০২৫ এবং ২০২৬ সালের জন্য ৪ শতাংশে কমিয়ে আনা হয়েছে, যা জানুয়ারির পূর্বাভাস থেকে যথাক্রমে ০ দশমিক ৬ শতাংশ এবং ০ দশমিক ৫ শতাংশ কম।

গোঁরাসা বলেন, রপ্তানির ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল চীনের ওপর শুল্কের প্রভাব ২০২৫ সালে প্রায় ১ দশমিক ৩ শতাংশ, তবে শক্তিশালী আর্থিক ব্যবস্থার কারণে তা পুষিয়ে গেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে দিল্লিতে ‘ক্লাউড সিডিং’, প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ ভারত

আপনার রাশিফল: অতি আত্মবিশ্বাসের লাগাম টানুন, ভুল ধরলে রোমান্স বরবাদ

পোশাক রপ্তানি: বাংলাদেশ ও চীনকে পেছনে ফেলার পরিকল্পনা করছে ভারত

সোনার দাম ২ লাখের নিচে নামল

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এখন থেকে ফুডিতে পাওয়া যাবে বেঙ্গল মিটের সব পণ্য

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ফুডি এক্সপ্রেস লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটি হয়। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
ফুডি এক্সপ্রেস লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটি হয়। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

এখন থেকে ফুডি শপ প্ল্যাটফর্মে বেঙ্গল মিটের সব ধরনের পণ্য পাওয়া যাবে। গ্রাহকরা নিজেদের ঘরে বসে আরও দ্রুত, নির্ভরযোগ্য ও ঝামেলামুক্ত অনলাইন শপিং উপভোগ করতে পারবেন।

দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রিমিয়াম বুচারি চেইন বেঙ্গল মিট এবং কিউ-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ফুডি এক্সপ্রেস লিমিটেডের মধ্যে একটি ব্যবসায়িক চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে। ফুডি এক্সপ্রেস লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটি হয়।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে বেঙ্গল মিট টিমের পক্ষ থেকে ছিলেন—হেড অব রিটেইল সেলস শেখ ইমরান আজিজ, সিনিয়র ম্যানেজার মো. তালাত মাহমুদ ও সহকারী ম্যানেজার মো. মুনতাজুল ইসলাম।

ফুডি এক্সপ্রেস লিমিটেড টিমের পক্ষ থেকে ছিলেন—ফুডি এক্সপ্রেস লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) মো. শাহনেওয়াজ মান্নান এবং ফুডি শপের ম্যানেজার হৃদিতা শাওন, অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার তাজওয়ার রিজভী ও সিনিয়র এক্সিকিউটিভ সৈয়দ আবদুল্লাহ আল বাকী।

উভয় প্রতিষ্ঠান এ বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছে যে, দেশের অনলাইন গ্রোসারি শপিং খাতে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে এই অংশীদারত্ব। সারা দেশের গ্রাহকদের জন্য আরও সহজলভ্য ও উন্নতমানের সেবা নিশ্চিত করবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে দিল্লিতে ‘ক্লাউড সিডিং’, প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ ভারত

আপনার রাশিফল: অতি আত্মবিশ্বাসের লাগাম টানুন, ভুল ধরলে রোমান্স বরবাদ

পোশাক রপ্তানি: বাংলাদেশ ও চীনকে পেছনে ফেলার পরিকল্পনা করছে ভারত

সোনার দাম ২ লাখের নিচে নামল

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মথ ডালে ক্ষতিকর রং মিশিয়ে মুগ ডাল তৈরি, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সতর্কতা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৩: ৩৬
মথ ডাল ‘মুগ’ ডাল নামে বিপণন করছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। ছবি: সংগৃহীত
মথ ডাল ‘মুগ’ ডাল নামে বিপণন করছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। ছবি: সংগৃহীত

‘মথ’ ডালে হলুদ রং মিশিয়ে ‘মুগ’ ডালের নামে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এতে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে বলে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এ বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের এক পর্যবেক্ষণে বিষয়টি উঠে এসেছে।

নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ জানায়, টারট্রেইজিন (Tartrazine) রংটি ডালে ব্যবহারের অনুমোদন নেই। ওই রং খাদ্যদ্রব্যে ব্যবহার করলে বিভিন্ন স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হবে। গত অর্থবছরে বাংলাদেশে মুগ ডালের তুলনায় মথ ডাল দ্বিগুণ পরিমাণে আমদানি হলেও বাজারে মথ নামে কোনো ডাল পাওয়া যায়নি। স্থানীয় বাজারে মুগ ডাল নামে বিক্রীত ডালের সংগৃহীত নমুনার অর্ধেকের বেশি রংমিশ্রিত পাওয়া গেছে।

নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, অননুমোদিতভাবে কোনো রং খাদ্যে ব্যবহার বা অন্তর্ভুক্তি বা এরূপ রংমিশ্রিত খাদ্য আমদানি, প্রক্রিয়াকরণ, মজুত, সরবরাহ বা বিক্রয় নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩-এর ২৭ ধারা মতে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

সব খাদ্য ব্যবসায়ীদের রংযুক্ত ডাল আমদানি, প্রক্রিয়াকরণ, মজুত, সরবরাহ বা বিক্রয় থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।

নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলেছে, সর্বসাধারণকে ‘মুগ’ ডাল ক্রয়ের সময় মুগ ডালের বিশুদ্ধতা এবং ওই ডালে রং মিশ্রিত করা হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত হয়ে ডাল ক্রয়ের জন্য পরামর্শ দেওয়া হলো।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে দিল্লিতে ‘ক্লাউড সিডিং’, প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ ভারত

আপনার রাশিফল: অতি আত্মবিশ্বাসের লাগাম টানুন, ভুল ধরলে রোমান্স বরবাদ

পোশাক রপ্তানি: বাংলাদেশ ও চীনকে পেছনে ফেলার পরিকল্পনা করছে ভারত

সোনার দাম ২ লাখের নিচে নামল

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পোশাক রপ্তানি: বাংলাদেশ ও চীনকে পেছনে ফেলার পরিকল্পনা করছে ভারত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ভারতের তৈরি পোশাক শিল্পের একটি কারখানা। ছবি: সংগৃহীত
ভারতের তৈরি পোশাক শিল্পের একটি কারখানা। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের বস্ত্র খাতকে বৈশ্বিক মানদণ্ডের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে দেশটি একটি বিস্তৃত ‘ব্যয় রূপরেখা’ প্রস্তুত করছে। মূল্য প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম ও চীনের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে ক্রমে অবস্থান হারাচ্ছে ভারত। এই রূপরেখায় থাকবে দুই বছরের স্বল্পমেয়াদি, পাঁচ বছরের মধ্যমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। যেখানে কাঁচামাল, নীতি-অনুবর্তিতা ও কর কাঠামোসহ উৎপাদন খরচের বিভিন্ন উপাদান বিশ্লেষণ করা হবে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, ব্যয়বহুল কাঁচামালের পাশাপাশি ভারতের বস্ত্র খাতকে প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় আরও ক্ষতিগ্রস্ত করছে উচ্চ পরিবহন ব্যয় ও জ্বালানির খরচ। এক সরকারি কর্মকর্তার ভাষায়, ‘লক্ষ্য হলো বৈশ্বিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে ভারতের ব্যয় কাঠামোর তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা এবং উৎপাদন ও রপ্তানি খরচ কমানোর পাশাপাশি উৎপাদন প্রক্রিয়ায় অপচয় হ্রাসের উদ্যোগ নেওয়া।’

ভারত ২০৩০ সালের মধ্যে বস্ত্র রপ্তানি ১০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে চায়, যা বর্তমানে প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের শ্রম উৎপাদনশীলতা তুলনামূলকভাবে বেশি। তাদের শ্রম আইনও বেশি নমনীয়। তা ছাড়া, উন্নত বিশ্বের অনেক অঞ্চল থেকে তারা শুল্কমুক্ত কাঁচামাল সংগ্রহ করতে পারে এবং ইউরোপীয় বাজারে বাণিজ্য সুবিধাও পায়। ভিয়েতনাম আবার চীনা বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারের সুবিধাও ভোগ করে। অন্যদিকে, বাংলাদেশের শ্রমিকদের মজুরি ভারতের তুলনায় অনেক কম, যা তাদের প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা দিয়েছে।

ভারতীয় বস্ত্র শিল্প খাতের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, ভারতের প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর শ্রম উৎপাদনশীলতা ভারতের তুলনায় ২০ থেকে ৪০ শতাংশ বেশি। এই প্রেক্ষাপটে ভারতের বস্ত্র মন্ত্রণালয় তন্তু, কাপড়, প্রযুক্তিনির্ভর বস্ত্র, টেকসই উপাদান ও ডিজিটাল ট্রেসিংয়ের ক্ষেত্রে গবেষণা ও উদ্ভাবন জোরদার করার পরিকল্পনাও হাতে নিয়েছে।

এ ছাড়া, বৈশ্বিক বাজারের জন্য ব্র্যান্ডিং ও ডিজাইনে উদ্ভাবন সংযুক্ত করার উপায় খুঁজতে এবং নবীন বস্ত্র-স্টার্টআপ ও ডিজাইন হাউসগুলোর বিকাশে সহায়তা করতে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কর্মকর্তা জানান, ‘শিল্প সংগঠন, ব্যাংক, ইনোভেশন ল্যাব, স্টার্টআপ ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ব্যাপক পরামর্শ প্রক্রিয়া চালানো হবে।’

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথমার্ধে ভারতের বস্ত্র ও পোশাক রপ্তানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ০.৩৯ শতাংশ বেড়েছে। ভারতের চেম্বার অব কমার্সের টেক্সটাইল বিষয়ক জাতীয় বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান সঞ্জয় জৈন বলেন, ‘কোয়ালিটি কন্ট্রোল অর্ডার বাতিল, শ্রম আইনের সংস্কার এবং ইউরোপের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি খরচ কমাতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।’

২০২৪-২৫ অর্থবছরের অর্থনৈতিক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, বৈশ্বিকভাবে টেকসই উৎস থেকে পণ্য সংগ্রহের প্রবণতা বাড়ার কারণে আগামী বছরগুলোতে ভারতের বস্ত্রশিল্পের খরচ আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে দিল্লিতে ‘ক্লাউড সিডিং’, প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ ভারত

আপনার রাশিফল: অতি আত্মবিশ্বাসের লাগাম টানুন, ভুল ধরলে রোমান্স বরবাদ

পোশাক রপ্তানি: বাংলাদেশ ও চীনকে পেছনে ফেলার পরিকল্পনা করছে ভারত

সোনার দাম ২ লাখের নিচে নামল

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সোনার দাম ২ লাখের নিচে নামল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১১: ০১
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বিশ্ববাজারের দাপটে দেশের ইতিহাসে সোনার দামে রেকর্ড পতন হয়েছে। টানা তিন দিনের মধ্যে সোনার দাম মোট ১৫ হাজার ১৮৭ টাকা কমল। যার ফলে ভালো মানের সোনার ভরি ২ লাখ টাকার নিচে নেমে এসেছে। জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) গতকাল মঙ্গলবার রাতে এক বিবৃতিতে এই বিশাল দরপতনের ঘোষণা দিয়েছে। নতুন দাম আজ বুধবার থেকে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।

বাজুসের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম একলাফে ১০ হাজার ৪৭৪ টাকা কমানো হয়েছে। ফলে আজ থেকে ভালো মানের এই সোনার দাম কমে দাঁড়াচ্ছে ১ লাখ ৯৩ হাজার ৮০৯ টাকা।

জুয়েলার্স সমিতি জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে তেজাবি সোনা বা পিওর গোল্ডের দাম কমে যাওয়ার কারণেই স্থানীয় বাজারে এই সমন্বয় করা হয়েছে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম ৪ হাজার ডলারের নিচে নেমে এসেছে।

গত কয়েক দিনে সোনার দাম কমানোর ঘটনা ছিল নজিরবিহীন। এই নিয়ে চার দফায় সোনার দাম কমল, যেখানে মোট হ্রাসের পরিমাণ ২৩ হাজার ৫৭৩ টাকা প্রতি ভরিতে।

সর্বশেষ মঙ্গলবার রাতে প্রতি ভরিতে কমানো হলো ১০ হাজার ৪৭৪ টাকা, এর আগের দিন প্রতি ভরিতে কমানো হয় ৩ হাজার ৬৭৪ টাকা। এ ছাড়া ২৭ অক্টোবর কমানো হয়েছিল ১ হাজার ৩৯ টাকা এবং ২৪ অক্টোবর প্রথম দফায় বড় দরপতন ঘটে, কমানো হয় ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা।

আজ বুধবার থেকে কার্যকর হওয়া নতুন দাম অনুযায়ী, বিভিন্ন মানের সোনার ভরিপ্রতি মূল্য নিম্নরূপ:

সোনার দামে বড়সড় ধস নামলেও রুপার দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে দিল্লিতে ‘ক্লাউড সিডিং’, প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ ভারত

আপনার রাশিফল: অতি আত্মবিশ্বাসের লাগাম টানুন, ভুল ধরলে রোমান্স বরবাদ

পোশাক রপ্তানি: বাংলাদেশ ও চীনকে পেছনে ফেলার পরিকল্পনা করছে ভারত

সোনার দাম ২ লাখের নিচে নামল

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত