Ajker Patrika

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কমছে টাকার সরবরাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১২ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮: ৫৮
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কমছে টাকার সরবরাহ

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে অগ্রাধিকার থাকছে আসন্ন মুদ্রানীতিতে। এ জন্য টাকার সরবরাহ কমানোকে সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে। আর টাকার জোগান কমাতে ঋণের সুদহার বৃদ্ধি করা হবে। এ জন্য ট্রেজারি বন্ড বিলের সুদহার ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। সুদের হার বাড়লে ঋণ কমবে। এতে বিনিয়োগে টান পড়বে। অপর দিকে উৎপাদন বাড়াতে কৃষি, সিএসএমই ও অর্থায়ন স্কিমের সুদের হারে বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা থাকছে। মুদ্রানীতি প্রণয়নের সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, দেশের উচ্চ মূল্যস্ফীতির নেপথ্যে ডলার-সংকট গুরুত্বপূর্ণ। ডলারের রেট বাজারভিত্তিক করতে ক্রলিং পেগ (নিয়ন্ত্রিত হলে পরিবর্তনশীল) পদ্ধতি চালু করা হচ্ছে। রেমিট্যান্স বাড়াতে থাকছে উদ্যোগ। পাশাপাশি পণ্যের মূল্য কমাতে মনিটরিং সেল গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে; যা ১৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ডে অনুমোদন পেতে যাচ্ছে। গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার ১৫ জানুয়ারি মনিটরি পলিসি স্টেটমেন্ট বা মুদ্রানীতি ঘোষণা করতে পারেন।

জানা গেছে, দেশের আর্থিক খাতের প্রধান সমস্যা এখন উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ডলার-সংকট ও স্থানীয় মুদ্রার সংকট, বৈদেশিক লেনদেনে ভারসাম্যহীনতা। এসব সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব বাংলাদেশ ব্যাংকের। তবে সরকার ঘোষিত জিডিপি এবং মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় ষাণ্মাসিকের (জানুয়ারি-জুন) জন্য একই থাকছে।

নানা কারণে পুরোপুরি তদারকি করতেও চাপে পড়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। বছরে দুবার মুদ্রানীতির মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতা রক্ষার চেষ্টা করে থাকে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগামী সপ্তাহে ৬ মাসের (জানুয়ারি-জুন) জন্য নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণার প্রস্তুতিও ছিল। এ বিষয়ে কাল শনিবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, মুদ্রানীতির খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। তবে নতুন অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নতুন বছরের প্রথম ৬ মাসের মুদ্রানীতিতেও নীতি সুদহার আরও বাড়িয়ে টাকার অবমূল্যায়ন কমানো হবে। এতে সুদহার বেড়ে মূল্যস্ফীতি কমে আসে। আর বাকি নীতি চলবে আগের মতোই।

মুদ্রানীতি চূড়ান্ত করার আগে আগামীকাল মুদ্রানীতি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে। নতুন মুদ্রানীতি কমিটিতে গভর্নর, অর্থনীতিবিদ সাদিক আহমেদ, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক বিনায়ক সেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান মাসুদা ইয়াসমীন রয়েছেন।

আগামী জুনের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য আছে। যদিও গত নভেম্বরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

আন্তদেশীয় ট্রেন চালু করতে ভারতকে ফের চিঠি দেবে বাংলাদেশ

পদ্মা চরের আতঙ্ক কাঁকন বাহিনী

আপনার রাশিফল: অতি আত্মবিশ্বাসের লাগাম টানুন, ভুল ধরলে রোমান্স বরবাদ

কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে দিল্লিতে ‘ক্লাউড সিডিং’, প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ ভারত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মথ ডালে ক্ষতিকর রঙ মিশিয়ে মুগ ডাল তৈরি, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সতর্কতা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
মথ ডাল ‘মুগ’ ডাল নামে বিপণন করছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। ছবি: সংগৃহীত
মথ ডাল ‘মুগ’ ডাল নামে বিপণন করছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। ছবি: সংগৃহীত

‘মথ’ ডালে হলুদ রঙ মিশিয়ে ‘মুগ’ ডালের নামে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এতে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে বলে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এ বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের এক পর্যবেক্ষণে বিষয়টি উঠে এসেছে।

নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ জানায়, টারট্রেইজিন (Tartrazine) রঙটি ডালে ব্যবহার অনুমোদন নেই। ওই রঙ খাদ্যদ্রব্য ব্যবহার করলে বিভিন্ন স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে। গত অর্থবছরে বাংলাদেশে মুগ ডালের তুলনায় মথ ডাল দ্বিগুণ পরিমাণে আমদানি হলেও বাজারে মথ নামে কোনো ডাল পাওয়া যায়নি। স্থানীয় বাজারে মুগ ডাল নামে বিক্রিত ডালের সংগৃহীত নমুনার অর্ধেকের বেশিতে রঙ মিশ্রিত পাওয়া গেছে।

নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, অননুমোদিতভাবে কোনো রঙ খাদ্যে ব্যবহার বা অন্তর্ভুক্তি বা এরূপ রঙ মিশ্রিত খাদ্য আমদানি, প্রক্রিয়াকরণ, মজুদ, সরবরাহ বা বিক্রয় নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩-এর ২৭ ধারা মতে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

সব খাদ্য ব্যবসায়ীদের রঙযুক্ত ডাল আমদানি, প্রক্রিয়াকরণ, মজুদ, সরবরাহ বা বিক্রয় থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।

নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলেছে, সর্বসাধারণকে ‘মুগ’ ডাল ক্রয়ের সময় মুগ ডালের বিশুদ্ধতা এবং উক্ত ডালে রঙ মিশ্রিত করা হয়েছে কি-না তা নিশ্চিত হয়ে ডাল ক্রয়ের জন্য পরামর্শ দেওয়া হলো।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

আন্তদেশীয় ট্রেন চালু করতে ভারতকে ফের চিঠি দেবে বাংলাদেশ

পদ্মা চরের আতঙ্ক কাঁকন বাহিনী

আপনার রাশিফল: অতি আত্মবিশ্বাসের লাগাম টানুন, ভুল ধরলে রোমান্স বরবাদ

কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে দিল্লিতে ‘ক্লাউড সিডিং’, প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ ভারত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পোশাক রপ্তানি: বাংলাদেশ ও চীনকে পেছনে ফেলার পরিকল্পনা করছে ভারত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ভারতের তৈরি পোশাক শিল্পের একটি কারখানা। ছবি: সংগৃহীত
ভারতের তৈরি পোশাক শিল্পের একটি কারখানা। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের বস্ত্র খাতকে বৈশ্বিক মানদণ্ডের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে দেশটি একটি বিস্তৃত ‘ব্যয় রূপরেখা’ প্রস্তুত করছে। মূল্য প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম ও চীনের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে ক্রমে অবস্থান হারাচ্ছে ভারত। এই রূপরেখায় থাকবে দুই বছরের স্বল্পমেয়াদি, পাঁচ বছরের মধ্যমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। যেখানে কাঁচামাল, নীতি-অনুবর্তিতা ও কর কাঠামোসহ উৎপাদন খরচের বিভিন্ন উপাদান বিশ্লেষণ করা হবে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, ব্যয়বহুল কাঁচামালের পাশাপাশি ভারতের বস্ত্র খাতকে প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় আরও ক্ষতিগ্রস্ত করছে উচ্চ পরিবহন ব্যয় ও জ্বালানির খরচ। এক সরকারি কর্মকর্তার ভাষায়, ‘লক্ষ্য হলো বৈশ্বিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে ভারতের ব্যয় কাঠামোর তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা এবং উৎপাদন ও রপ্তানি খরচ কমানোর পাশাপাশি উৎপাদন প্রক্রিয়ায় অপচয় হ্রাসের উদ্যোগ নেওয়া।’

ভারত ২০৩০ সালের মধ্যে বস্ত্র রপ্তানি ১০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে চায়, যা বর্তমানে প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের শ্রম উৎপাদনশীলতা তুলনামূলকভাবে বেশি। তাদের শ্রম আইনও বেশি নমনীয়। তা ছাড়া, উন্নত বিশ্বের অনেক অঞ্চল থেকে তারা শুল্কমুক্ত কাঁচামাল সংগ্রহ করতে পারে এবং ইউরোপীয় বাজারে বাণিজ্য সুবিধাও পায়। ভিয়েতনাম আবার চীনা বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারের সুবিধাও ভোগ করে। অন্যদিকে, বাংলাদেশের শ্রমিকদের মজুরি ভারতের তুলনায় অনেক কম, যা তাদের প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা দিয়েছে।

ভারতীয় বস্ত্র শিল্প খাতের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, ভারতের প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর শ্রম উৎপাদনশীলতা ভারতের তুলনায় ২০ থেকে ৪০ শতাংশ বেশি। এই প্রেক্ষাপটে ভারতের বস্ত্র মন্ত্রণালয় তন্তু, কাপড়, প্রযুক্তিনির্ভর বস্ত্র, টেকসই উপাদান ও ডিজিটাল ট্রেসিংয়ের ক্ষেত্রে গবেষণা ও উদ্ভাবন জোরদার করার পরিকল্পনাও হাতে নিয়েছে।

এ ছাড়া, বৈশ্বিক বাজারের জন্য ব্র্যান্ডিং ও ডিজাইনে উদ্ভাবন সংযুক্ত করার উপায় খুঁজতে এবং নবীন বস্ত্র-স্টার্টআপ ও ডিজাইন হাউসগুলোর বিকাশে সহায়তা করতে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কর্মকর্তা জানান, ‘শিল্প সংগঠন, ব্যাংক, ইনোভেশন ল্যাব, স্টার্টআপ ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ব্যাপক পরামর্শ প্রক্রিয়া চালানো হবে।’

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথমার্ধে ভারতের বস্ত্র ও পোশাক রপ্তানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ০.৩৯ শতাংশ বেড়েছে। ভারতের চেম্বার অব কমার্সের টেক্সটাইল বিষয়ক জাতীয় বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান সঞ্জয় জৈন বলেন, ‘কোয়ালিটি কন্ট্রোল অর্ডার বাতিল, শ্রম আইনের সংস্কার এবং ইউরোপের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি খরচ কমাতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।’

২০২৪-২৫ অর্থবছরের অর্থনৈতিক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, বৈশ্বিকভাবে টেকসই উৎস থেকে পণ্য সংগ্রহের প্রবণতা বাড়ার কারণে আগামী বছরগুলোতে ভারতের বস্ত্রশিল্পের খরচ আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

আন্তদেশীয় ট্রেন চালু করতে ভারতকে ফের চিঠি দেবে বাংলাদেশ

পদ্মা চরের আতঙ্ক কাঁকন বাহিনী

আপনার রাশিফল: অতি আত্মবিশ্বাসের লাগাম টানুন, ভুল ধরলে রোমান্স বরবাদ

কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে দিল্লিতে ‘ক্লাউড সিডিং’, প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ ভারত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সোনার দাম ২ লাখের নিচে নামল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১১: ০১
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বিশ্ববাজারের দাপটে দেশের ইতিহাসে সোনার দামে রেকর্ড পতন হয়েছে। টানা তিন দিনের মধ্যে সোনার দাম মোট ১৫ হাজার ১৮৭ টাকা কমল। যার ফলে ভালো মানের সোনার ভরি ২ লাখ টাকার নিচে নেমে এসেছে। জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) গতকাল মঙ্গলবার রাতে এক বিবৃতিতে এই বিশাল দরপতনের ঘোষণা দিয়েছে। নতুন দাম আজ বুধবার থেকে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।

বাজুসের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম একলাফে ১০ হাজার ৪৭৪ টাকা কমানো হয়েছে। ফলে আজ থেকে ভালো মানের এই সোনার দাম কমে দাঁড়াচ্ছে ১ লাখ ৯৩ হাজার ৮০৯ টাকা।

জুয়েলার্স সমিতি জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে তেজাবি সোনা বা পিওর গোল্ডের দাম কমে যাওয়ার কারণেই স্থানীয় বাজারে এই সমন্বয় করা হয়েছে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম ৪ হাজার ডলারের নিচে নেমে এসেছে।

গত কয়েক দিনে সোনার দাম কমানোর ঘটনা ছিল নজিরবিহীন। এই নিয়ে চার দফায় সোনার দাম কমল, যেখানে মোট হ্রাসের পরিমাণ ২৩ হাজার ৫৭৩ টাকা প্রতি ভরিতে।

সর্বশেষ মঙ্গলবার রাতে প্রতি ভরিতে কমানো হলো ১০ হাজার ৪৭৪ টাকা, এর আগের দিন প্রতি ভরিতে কমানো হয় ৩ হাজার ৬৭৪ টাকা। এ ছাড়া ২৭ অক্টোবর কমানো হয়েছিল ১ হাজার ৩৯ টাকা এবং ২৪ অক্টোবর প্রথম দফায় বড় দরপতন ঘটে, কমানো হয় ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা।

আজ বুধবার থেকে কার্যকর হওয়া নতুন দাম অনুযায়ী, বিভিন্ন মানের সোনার ভরিপ্রতি মূল্য নিম্নরূপ:

সোনার দামে বড়সড় ধস নামলেও রুপার দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

আন্তদেশীয় ট্রেন চালু করতে ভারতকে ফের চিঠি দেবে বাংলাদেশ

পদ্মা চরের আতঙ্ক কাঁকন বাহিনী

আপনার রাশিফল: অতি আত্মবিশ্বাসের লাগাম টানুন, ভুল ধরলে রোমান্স বরবাদ

কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে দিল্লিতে ‘ক্লাউড সিডিং’, প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ ভারত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নতুন মার্জিন ঋণ আইন: দুর্বল কোম্পানিতে আর ঋণ দেওয়া যাবে না

  • শিগগিরই গেজেট জারি হবে।
  • ২৫ শতাংশ কমলেই মার্জিন কল, ৫০ শতাংশ কমলেই ফোর্সড সেল হবে।
  • একক কোম্পানির ঋণ ১০ কোটি টাকার বেশি নয়।
  • ঋণ দেওয়ার আগে খাতের পারফরম্যান্স বিবেচনা বাধ্যতামূলক।
  • বিনিয়োগকারী-ঋণদাতা বাঁচানোর আইন: বিএসইসি
আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা 
আপডেট : ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১১: ০১
নতুন মার্জিন ঋণ আইন: দুর্বল কোম্পানিতে আর ঋণ দেওয়া যাবে না

মার্জিন ঋণের কারণে অসংখ্য বিনিয়োগকারী সম্পূর্ণ অর্থ হারিয়ে পথে বসেছেন। একইভাবে পুঁজিবাজারে পতনের ফলে ঋণে ক্ষতির শিকার হচ্ছেন ঋণদাতারা। এর খেসারত দিচ্ছে পুরো বাজার। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঝুঁকি কমাতে আসছে নতুন মার্জিন ঋণনীতি। এতে ঋণের সীমা কড়াকড়ি করা হয়েছে। দুর্বল বা ক্ষতিগ্রস্ত কোম্পানিতে ঋণ বিনিয়োগের সুযোগ বন্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে মার্জিন কল ও বাধ্যতামূলক বিক্রির (ফোর্সড সেল) নতুন নির্দেশনা।

নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এসব বিধান রেখে ‘মার্জিন বিধিমালা, ২০২৫’-এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে কমিশনার মো. সাইফুদ্দিন আজকের পত্রিকাকে জানান, নতুন নিয়মের লক্ষ্য—বিনিয়োগকারী ও ঋণদাতাকে নেগেটিভ ইকুইটির ফাঁদ থেকে রক্ষা করা। এ বিধান কার্যকর হলে বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে এবং ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে আসবে। শিগগিরই এটি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।

কেন প্রয়োজন ছিল নতুন আইন

দুই দশক ধরে বাজারে নিয়মের ফাঁকফোকর ও অতিরিক্ত ঋণ ব্যবহারের কারণে বহু প্রতিষ্ঠান ও বিনিয়োগকারী বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েছেন। ২০০৭ থেকে ২০১২ সালে অতিরিক্ত ঋণনির্ভর বিনিয়োগের ফলে ২০১০ সালের ধস ভয়াবহ ক্ষতিতে রূপ নেয়। অনেক প্রতিষ্ঠান বাধ্যতামূলক মার্জিন কল না দেওয়ায় নেগেটিভ ইকুইটি জমে, যার পরিমাণ প্রায় ১৫-২০ হাজার কোটি টাকা। বিনিয়োগকারীদের মোট ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ৫০-৭০ হাজার কোটি টাকা।

কমিশনার সাইফুদ্দিন বলেন, বিশেষ করে মধ্যবিত্ত বিনিয়োগকারীরা প্রথমবারের মতো বিনিয়োগ করে তাঁদের সঞ্চয় হারিয়েছেন। এ ক্ষতির স্মৃতি পুঁজিবাজারে এক প্রজন্মের মধ্যে গভীর অবিশ্বাস সৃষ্টি করেছে।

নতুন নিয়মে কী বদল

মার্জিনযোগ্য শেয়ারের সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। শুধু ‘এ’ ক্যাটাগরির শেয়ার নয়, এবার ‘বি’ ক্যাটাগরির শেয়ারেও মার্জিন ঋণ দেওয়া যাবে। তবে কোম্পানিটির বছরে অন্তত ৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিতে হবে। সামান্য ফ্রি ফ্লোট শেয়ার থাকা কোম্পানি (৫০ কোটি টাকার কম) মার্জিন ঋণ পাবে না।

নতুন আইনে দ্রুত সতর্কতা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আগের নিয়মে মূলধন ৫০ শতাংশ কমলে মার্জিন কল, ৭৫ শতাংশ কমলে বাধ্যতামূলক বিক্রি হতো; নতুন নিয়মে ২৫ শতাংশ কমলেই মার্জিন কল, ৫০ শতাংশ কমলেই ফোর্সড সেল হবে। এতে বিনিয়োগকারীরা আগেভাগে সতর্ক হয়ে ক্ষতি সীমিত রাখতে পারবেন।

ঋণের সীমা ও ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে বলা হয়েছে, কোনো ঋণদাতা তাঁর নিট সম্পদের তিন গুণের বেশি ঋণ দিতে পারবেন না। একক কোম্পানিকে সর্বোচ্চ ১০ কোটি টাকা বা নিট সম্পদের ১৫ শতাংশের মধ্যে যেটি কম, সে পরিমাণ ঋণ দেওয়া যাবে। প্রতি তিন মাসে মার্জিন অ্যাকাউন্টের পর্যালোচনা বাধ্যতামূলক।

বর্তমানে ১৭৭টি বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার নেগেটিভ ইকুইটি রয়েছে। বিএসইসি জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন নিয়ে ক্ষতি মেটানোর পরিকল্পনা দিতে হবে; সময়মতো পদক্ষেপ না হলে কমিশন ব্যবস্থা নেবে।

নতুন নিয়মে ঋণ প্রদানের আগে খাতের পারফরম্যান্স বিবেচনা বাধ্যতামূলক, যাতে বিনিয়োগকারী নিরাপদ থাকেন এবং প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত ঝুঁকিতে না পড়ে।

বিএসইসি কমিশনার সাইফুদ্দিন জানিয়েছেন, এ বিধান কার্যকর হলে বিনিয়োগকারীরা অন্তত ৫০ শতাংশ অর্থ ফেরত পাবেন।

অর্থনীতিবিদ হেলাল আহমেদ জনি মনে করেন, নতুন নীতিমালা কার্যকর হলে শেয়ারবাজারে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে।

তবে বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মানিক সতর্ক করে বলেছেন, খসড়া মার্জিন নিয়মে কিছু ফাঁকি রয়েছে। বড় বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রি করে বাজার থেকে সরে যেতে পারেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

আন্তদেশীয় ট্রেন চালু করতে ভারতকে ফের চিঠি দেবে বাংলাদেশ

পদ্মা চরের আতঙ্ক কাঁকন বাহিনী

আপনার রাশিফল: অতি আত্মবিশ্বাসের লাগাম টানুন, ভুল ধরলে রোমান্স বরবাদ

কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে দিল্লিতে ‘ক্লাউড সিডিং’, প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ ভারত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত