
আর্জেন্টিনায় ইউএস ডলার এতটাই দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়েছে যে আমেরিকার বহুজাতিক কোম্পানি হোয়ারপুল এখন দেশটিতে চীনের মুদ্রা ইউয়ান দিয়ে বিনিময় করছে। শুধু আর্জেন্টিনাতেই নয়। দক্ষিণ আমেরিকার সবগুলো দেশেই মার্কিন ডলারের দুষ্প্রাপ্যতা দেখা দিয়েছে। এতে অনেক কোম্পানিকে ইউয়ান গ্রহণ করতে হচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে দিচ্ছে মোড়।
বুয়েনস আয়ার্সের অর্থনীতিবিদ মার্সেলো এলিজোন্ডো বলেছেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে ডলার নেই, তাই চীন যে জরুরি সহায়তা দিচ্ছে তার প্রয়োজন। আর্জেন্টিনায় এভাবে চীনের মুদ্রার ব্যবহার জরুরি অবস্থার ফল। কিন্তু চীনের জন্য এটি ভূরাজনৈতিক সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার সূচনা বিন্দু।’
বিশ্ব বাণিজ্যে ডলারের আধিপত্য হ্রাস পাচ্ছে। বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে। মার্কিন-চীন প্রতিদ্বন্দ্বিতা এর পেছনে বড় কারণ। তা ছাড়া, ইউক্রেনে আগ্রাসনের পর রাশিয়া অর্থনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এটিও নিষেধাজ্ঞা এড়াতে ডলারের বদলে অন্য মুদ্রায় বাণিজ্যর পথ খুলে দিয়েছে।
উদাহরণস্বরূপ, প্রতিবেশী ব্রাজিল আরও ইউয়ান ব্যবহার করতে চায়। প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা ডলারের বিকল্প খুঁজতে এই রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে আর্জেন্টিনা অর্থনৈতিক মন্দায় পড়ে দ্রুত ও স্বল্পমেয়াদি সমাধানের জন্য ইউয়ান ব্যবহার শুরু করেছে। কারণ দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার সামনে ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি এবং জিগজ্যাগিং নীতির চ্যালেঞ্জ রয়েছে।
চীন সম্প্রতি আর্জেন্টিনাকে ১৮ বিলিয়ন ডলারের অর্ধেকের বেশি দুই দেশের বাণিজ্য-বিনিময়ে খরচ করার অনুমতি দিয়েছে। দেশ দুটি ২০০৯ সাল থেকে একটি দ্বিপক্ষীয় ‘অদলবদল চুক্তি’তে রয়েছে, যা তারল্য সংকটকালে বৈদেশিক রিজার্ভকে শক্তিশালী করার জন্য একটি বিমা নীতি।

বুয়েনস আয়ার্সের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান সিঅ্যান্ডটির ডিরেক্টর মারিয়া কাস্টিগ্লিওনি বলেন, ‘এই পরিস্থিতি একমাত্র বিকল্প ছিল চীনের ‘অদলবদল লাইন’ থেকে ইউয়ান ব্যবহার করা।’
আর্জেন্টিনার কাস্টমস এজেন্সি অনুসারে, ‘৫০০টিরও বেশি আর্জেন্টিনার কোম্পানিকে ইলেকট্রনিকস, অটো যন্ত্রাংশ, টেক্সটাইল প্রস্তুতকারক, তেল এবং খনির সংস্থাকে আমদানি মূল্য ইউয়ানে পরিশোধে অনুরোধ করা হয়েছে।’
আর্জেন্টিনার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতে, কর্মকর্তারা চীনা মুদ্রায় ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার সমতুল্য আমদানি অর্থ প্রদানের অনুমোদন দিয়েছেন। জুনের প্রথম ১০ দিনে আর্জেন্টিনার মুদ্রাবাজারে ইউয়ান লেনদেন হয়েছে প্রায় ২৮৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা মে মাসের চেয়ে দ্বিগুণ।
আর্জেন্টিনার অন্যতম বৃহত্তম এক্সচেঞ্জ মারকাডো আবিয়ের্তো ইলেক্ট্রনিকোর তথ্য অনুসারে, আর্জেন্টিনার বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে ইউয়ান লেনদেন সম্প্রতি দৈনিক রেকর্ড ২৮ শতাংশে পৌঁছেছে, যা গত মাসের চেয়ে ৫ শতাংশ বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানভিত্তিক বাসন-কোসন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হোয়ারপুল এখন আর্জেন্টিনার কোম্পানিগুলোর মধ্যে ডলারের পরিবর্তে ইউয়ান ব্যবহার দিকে নজর দিচ্ছে। ওয়াশিং মেশিন এবং অন্যান্য পণ্য তৈরির জন্য কোম্পানিটি গত বছর বুয়েনস আয়ার্সের বাইরে কারখানা নির্মাণের জন্য ৫২ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে।
ডলারের সংকটে পণ্য আমদানিতে বেগ পেতে হচ্ছে কোম্পানিটিকে। সাময়িকভাবে উৎপাদনও বন্ধ রেখেছিল প্রতিষ্ঠানটি। তবে সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি কিছু ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ ইউয়ানের বিনিময়ে আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
হোয়ারপুল দক্ষিণ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হুয়ান কার্লোস পুয়েন্তে বলেছেন, ‘আমাদের কিছু সময়ের জন্য কারখানাটি বন্ধ করতে হয়েছিল। এটি ব্যবসা, উৎপাদনশীলতা বা পণ্যর মানের জন্য ভালো নয়। আমরা আর্জেন্টিনায় উৎপাদনের প্রায় ৭০ শতাংশ রপ্তানির পরিকল্পনা করেছি। ইউয়ান ব্যবহার করে কীভাবে আমরা উপকরণ আমদানি চালিয়ে যেতে পারি তা পর্যবেক্ষণ করছি। তবে হঠাৎ মুদ্রা পরিবর্তন করা মোটেই সহজ নয়।’
যদি এটি পরিকল্পনামতো এগিয়ে যায়, তাহলে হোয়ারপুল মিরগর এবং নিউসানের মতো আর্জেন্টাইন কোম্পানিগুলোর শ্রেণিতে ঢুকে পড়বে, যারা মে থেকে আগস্টের মধ্যে ইউয়ানের মাধ্যমে ৬৩০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে। আর্জেন্টিনার শুল্ক সংস্থা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশ থাকায় অন্যান্য কোম্পানি ইউয়ান ব্যবহারের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আর্জেন্টিনার মুদ্রার (পেসো) মূল্যমান গত ১২ মাসে অর্ধেক পড়ে গেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার রিজার্ভ ২০১৬ সাল থেকে দেশটির ইতিহাসের সর্বনিম্ন স্তরে রয়েছে। পেসোর মূল্যমান চরমভাবে হ্রাস পাওয়ায় মে মাসে দেশটির বাণিজ্য ঘাটতি ১ দশমিক ২ বিলিয়নে ডলারে ঠেকেছে। দেশটির সরকার গত বুধবার এক রিপোর্টে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
চীন বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রভাব বাড়ানোর জন্য নানা পদক্ষেপের মধ্যে ডলারের বিকল্প ইউয়ান ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছে। চীন ধীরে ধীরে অভ্যন্তরীণ বাজারে ডলারের ব্যবহারও কমাচ্ছে। পিপলস ব্যাংক অব চায়না বছরের পর বছর ধরে প্রায় ৪০টি দেশের সঙ্গে মুদ্রা বিনিময় চুক্তি করেছে এবং ক্রস-বর্ডার ইউয়ান পেমেন্ট সিস্টেম চালু করেছে, যা সিআইপিএস নামে পরিচিত।
আর্জেন্টিনার সরকারি কর্মকর্তারা ৪৪ বিলিয়ন ডলার সহায়তা ছাড়াও অগ্রিম নগদ অর্থের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সঙ্গে আলোচনার পর ইউয়ানে মূল্য পরিশোধের সিদ্ধান্ত নেন। এদিকে আনুমানিক ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের রপ্তানিযোগ্য ফসল নষ্ট হওয়ার পর দেশটি আইএমএফের কোনো লক্ষ্যমাত্রা পালন করছে না, যা ডলারের ঘাটতি আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।

আর্জেন্টিনায় ইউএস ডলার এতটাই দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়েছে যে আমেরিকার বহুজাতিক কোম্পানি হোয়ারপুল এখন দেশটিতে চীনের মুদ্রা ইউয়ান দিয়ে বিনিময় করছে। শুধু আর্জেন্টিনাতেই নয়। দক্ষিণ আমেরিকার সবগুলো দেশেই মার্কিন ডলারের দুষ্প্রাপ্যতা দেখা দিয়েছে। এতে অনেক কোম্পানিকে ইউয়ান গ্রহণ করতে হচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে দিচ্ছে মোড়।
বুয়েনস আয়ার্সের অর্থনীতিবিদ মার্সেলো এলিজোন্ডো বলেছেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে ডলার নেই, তাই চীন যে জরুরি সহায়তা দিচ্ছে তার প্রয়োজন। আর্জেন্টিনায় এভাবে চীনের মুদ্রার ব্যবহার জরুরি অবস্থার ফল। কিন্তু চীনের জন্য এটি ভূরাজনৈতিক সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার সূচনা বিন্দু।’
বিশ্ব বাণিজ্যে ডলারের আধিপত্য হ্রাস পাচ্ছে। বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে। মার্কিন-চীন প্রতিদ্বন্দ্বিতা এর পেছনে বড় কারণ। তা ছাড়া, ইউক্রেনে আগ্রাসনের পর রাশিয়া অর্থনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এটিও নিষেধাজ্ঞা এড়াতে ডলারের বদলে অন্য মুদ্রায় বাণিজ্যর পথ খুলে দিয়েছে।
উদাহরণস্বরূপ, প্রতিবেশী ব্রাজিল আরও ইউয়ান ব্যবহার করতে চায়। প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা ডলারের বিকল্প খুঁজতে এই রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে আর্জেন্টিনা অর্থনৈতিক মন্দায় পড়ে দ্রুত ও স্বল্পমেয়াদি সমাধানের জন্য ইউয়ান ব্যবহার শুরু করেছে। কারণ দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার সামনে ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি এবং জিগজ্যাগিং নীতির চ্যালেঞ্জ রয়েছে।
চীন সম্প্রতি আর্জেন্টিনাকে ১৮ বিলিয়ন ডলারের অর্ধেকের বেশি দুই দেশের বাণিজ্য-বিনিময়ে খরচ করার অনুমতি দিয়েছে। দেশ দুটি ২০০৯ সাল থেকে একটি দ্বিপক্ষীয় ‘অদলবদল চুক্তি’তে রয়েছে, যা তারল্য সংকটকালে বৈদেশিক রিজার্ভকে শক্তিশালী করার জন্য একটি বিমা নীতি।

বুয়েনস আয়ার্সের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান সিঅ্যান্ডটির ডিরেক্টর মারিয়া কাস্টিগ্লিওনি বলেন, ‘এই পরিস্থিতি একমাত্র বিকল্প ছিল চীনের ‘অদলবদল লাইন’ থেকে ইউয়ান ব্যবহার করা।’
আর্জেন্টিনার কাস্টমস এজেন্সি অনুসারে, ‘৫০০টিরও বেশি আর্জেন্টিনার কোম্পানিকে ইলেকট্রনিকস, অটো যন্ত্রাংশ, টেক্সটাইল প্রস্তুতকারক, তেল এবং খনির সংস্থাকে আমদানি মূল্য ইউয়ানে পরিশোধে অনুরোধ করা হয়েছে।’
আর্জেন্টিনার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতে, কর্মকর্তারা চীনা মুদ্রায় ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার সমতুল্য আমদানি অর্থ প্রদানের অনুমোদন দিয়েছেন। জুনের প্রথম ১০ দিনে আর্জেন্টিনার মুদ্রাবাজারে ইউয়ান লেনদেন হয়েছে প্রায় ২৮৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা মে মাসের চেয়ে দ্বিগুণ।
আর্জেন্টিনার অন্যতম বৃহত্তম এক্সচেঞ্জ মারকাডো আবিয়ের্তো ইলেক্ট্রনিকোর তথ্য অনুসারে, আর্জেন্টিনার বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে ইউয়ান লেনদেন সম্প্রতি দৈনিক রেকর্ড ২৮ শতাংশে পৌঁছেছে, যা গত মাসের চেয়ে ৫ শতাংশ বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানভিত্তিক বাসন-কোসন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হোয়ারপুল এখন আর্জেন্টিনার কোম্পানিগুলোর মধ্যে ডলারের পরিবর্তে ইউয়ান ব্যবহার দিকে নজর দিচ্ছে। ওয়াশিং মেশিন এবং অন্যান্য পণ্য তৈরির জন্য কোম্পানিটি গত বছর বুয়েনস আয়ার্সের বাইরে কারখানা নির্মাণের জন্য ৫২ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে।
ডলারের সংকটে পণ্য আমদানিতে বেগ পেতে হচ্ছে কোম্পানিটিকে। সাময়িকভাবে উৎপাদনও বন্ধ রেখেছিল প্রতিষ্ঠানটি। তবে সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি কিছু ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ ইউয়ানের বিনিময়ে আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
হোয়ারপুল দক্ষিণ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হুয়ান কার্লোস পুয়েন্তে বলেছেন, ‘আমাদের কিছু সময়ের জন্য কারখানাটি বন্ধ করতে হয়েছিল। এটি ব্যবসা, উৎপাদনশীলতা বা পণ্যর মানের জন্য ভালো নয়। আমরা আর্জেন্টিনায় উৎপাদনের প্রায় ৭০ শতাংশ রপ্তানির পরিকল্পনা করেছি। ইউয়ান ব্যবহার করে কীভাবে আমরা উপকরণ আমদানি চালিয়ে যেতে পারি তা পর্যবেক্ষণ করছি। তবে হঠাৎ মুদ্রা পরিবর্তন করা মোটেই সহজ নয়।’
যদি এটি পরিকল্পনামতো এগিয়ে যায়, তাহলে হোয়ারপুল মিরগর এবং নিউসানের মতো আর্জেন্টাইন কোম্পানিগুলোর শ্রেণিতে ঢুকে পড়বে, যারা মে থেকে আগস্টের মধ্যে ইউয়ানের মাধ্যমে ৬৩০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে। আর্জেন্টিনার শুল্ক সংস্থা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশ থাকায় অন্যান্য কোম্পানি ইউয়ান ব্যবহারের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আর্জেন্টিনার মুদ্রার (পেসো) মূল্যমান গত ১২ মাসে অর্ধেক পড়ে গেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার রিজার্ভ ২০১৬ সাল থেকে দেশটির ইতিহাসের সর্বনিম্ন স্তরে রয়েছে। পেসোর মূল্যমান চরমভাবে হ্রাস পাওয়ায় মে মাসে দেশটির বাণিজ্য ঘাটতি ১ দশমিক ২ বিলিয়নে ডলারে ঠেকেছে। দেশটির সরকার গত বুধবার এক রিপোর্টে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
চীন বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রভাব বাড়ানোর জন্য নানা পদক্ষেপের মধ্যে ডলারের বিকল্প ইউয়ান ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছে। চীন ধীরে ধীরে অভ্যন্তরীণ বাজারে ডলারের ব্যবহারও কমাচ্ছে। পিপলস ব্যাংক অব চায়না বছরের পর বছর ধরে প্রায় ৪০টি দেশের সঙ্গে মুদ্রা বিনিময় চুক্তি করেছে এবং ক্রস-বর্ডার ইউয়ান পেমেন্ট সিস্টেম চালু করেছে, যা সিআইপিএস নামে পরিচিত।
আর্জেন্টিনার সরকারি কর্মকর্তারা ৪৪ বিলিয়ন ডলার সহায়তা ছাড়াও অগ্রিম নগদ অর্থের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সঙ্গে আলোচনার পর ইউয়ানে মূল্য পরিশোধের সিদ্ধান্ত নেন। এদিকে আনুমানিক ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের রপ্তানিযোগ্য ফসল নষ্ট হওয়ার পর দেশটি আইএমএফের কোনো লক্ষ্যমাত্রা পালন করছে না, যা ডলারের ঘাটতি আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।

আর্জেন্টিনায় ইউএস ডলার এতটাই দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়েছে যে আমেরিকার বহুজাতিক কোম্পানি হোয়ারপুল এখন দেশটিতে চীনের মুদ্রা ইউয়ান দিয়ে বিনিময় করছে। শুধু আর্জেন্টিনাতেই নয়। দক্ষিণ আমেরিকার সবগুলো দেশেই মার্কিন ডলারের দুষ্প্রাপ্যতা দেখা দিয়েছে। এতে অনেক কোম্পানিকে ইউয়ান গ্রহণ করতে হচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে দিচ্ছে মোড়।
বুয়েনস আয়ার্সের অর্থনীতিবিদ মার্সেলো এলিজোন্ডো বলেছেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে ডলার নেই, তাই চীন যে জরুরি সহায়তা দিচ্ছে তার প্রয়োজন। আর্জেন্টিনায় এভাবে চীনের মুদ্রার ব্যবহার জরুরি অবস্থার ফল। কিন্তু চীনের জন্য এটি ভূরাজনৈতিক সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার সূচনা বিন্দু।’
বিশ্ব বাণিজ্যে ডলারের আধিপত্য হ্রাস পাচ্ছে। বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে। মার্কিন-চীন প্রতিদ্বন্দ্বিতা এর পেছনে বড় কারণ। তা ছাড়া, ইউক্রেনে আগ্রাসনের পর রাশিয়া অর্থনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এটিও নিষেধাজ্ঞা এড়াতে ডলারের বদলে অন্য মুদ্রায় বাণিজ্যর পথ খুলে দিয়েছে।
উদাহরণস্বরূপ, প্রতিবেশী ব্রাজিল আরও ইউয়ান ব্যবহার করতে চায়। প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা ডলারের বিকল্প খুঁজতে এই রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে আর্জেন্টিনা অর্থনৈতিক মন্দায় পড়ে দ্রুত ও স্বল্পমেয়াদি সমাধানের জন্য ইউয়ান ব্যবহার শুরু করেছে। কারণ দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার সামনে ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি এবং জিগজ্যাগিং নীতির চ্যালেঞ্জ রয়েছে।
চীন সম্প্রতি আর্জেন্টিনাকে ১৮ বিলিয়ন ডলারের অর্ধেকের বেশি দুই দেশের বাণিজ্য-বিনিময়ে খরচ করার অনুমতি দিয়েছে। দেশ দুটি ২০০৯ সাল থেকে একটি দ্বিপক্ষীয় ‘অদলবদল চুক্তি’তে রয়েছে, যা তারল্য সংকটকালে বৈদেশিক রিজার্ভকে শক্তিশালী করার জন্য একটি বিমা নীতি।

বুয়েনস আয়ার্সের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান সিঅ্যান্ডটির ডিরেক্টর মারিয়া কাস্টিগ্লিওনি বলেন, ‘এই পরিস্থিতি একমাত্র বিকল্প ছিল চীনের ‘অদলবদল লাইন’ থেকে ইউয়ান ব্যবহার করা।’
আর্জেন্টিনার কাস্টমস এজেন্সি অনুসারে, ‘৫০০টিরও বেশি আর্জেন্টিনার কোম্পানিকে ইলেকট্রনিকস, অটো যন্ত্রাংশ, টেক্সটাইল প্রস্তুতকারক, তেল এবং খনির সংস্থাকে আমদানি মূল্য ইউয়ানে পরিশোধে অনুরোধ করা হয়েছে।’
আর্জেন্টিনার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতে, কর্মকর্তারা চীনা মুদ্রায় ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার সমতুল্য আমদানি অর্থ প্রদানের অনুমোদন দিয়েছেন। জুনের প্রথম ১০ দিনে আর্জেন্টিনার মুদ্রাবাজারে ইউয়ান লেনদেন হয়েছে প্রায় ২৮৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা মে মাসের চেয়ে দ্বিগুণ।
আর্জেন্টিনার অন্যতম বৃহত্তম এক্সচেঞ্জ মারকাডো আবিয়ের্তো ইলেক্ট্রনিকোর তথ্য অনুসারে, আর্জেন্টিনার বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে ইউয়ান লেনদেন সম্প্রতি দৈনিক রেকর্ড ২৮ শতাংশে পৌঁছেছে, যা গত মাসের চেয়ে ৫ শতাংশ বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানভিত্তিক বাসন-কোসন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হোয়ারপুল এখন আর্জেন্টিনার কোম্পানিগুলোর মধ্যে ডলারের পরিবর্তে ইউয়ান ব্যবহার দিকে নজর দিচ্ছে। ওয়াশিং মেশিন এবং অন্যান্য পণ্য তৈরির জন্য কোম্পানিটি গত বছর বুয়েনস আয়ার্সের বাইরে কারখানা নির্মাণের জন্য ৫২ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে।
ডলারের সংকটে পণ্য আমদানিতে বেগ পেতে হচ্ছে কোম্পানিটিকে। সাময়িকভাবে উৎপাদনও বন্ধ রেখেছিল প্রতিষ্ঠানটি। তবে সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি কিছু ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ ইউয়ানের বিনিময়ে আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
হোয়ারপুল দক্ষিণ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হুয়ান কার্লোস পুয়েন্তে বলেছেন, ‘আমাদের কিছু সময়ের জন্য কারখানাটি বন্ধ করতে হয়েছিল। এটি ব্যবসা, উৎপাদনশীলতা বা পণ্যর মানের জন্য ভালো নয়। আমরা আর্জেন্টিনায় উৎপাদনের প্রায় ৭০ শতাংশ রপ্তানির পরিকল্পনা করেছি। ইউয়ান ব্যবহার করে কীভাবে আমরা উপকরণ আমদানি চালিয়ে যেতে পারি তা পর্যবেক্ষণ করছি। তবে হঠাৎ মুদ্রা পরিবর্তন করা মোটেই সহজ নয়।’
যদি এটি পরিকল্পনামতো এগিয়ে যায়, তাহলে হোয়ারপুল মিরগর এবং নিউসানের মতো আর্জেন্টাইন কোম্পানিগুলোর শ্রেণিতে ঢুকে পড়বে, যারা মে থেকে আগস্টের মধ্যে ইউয়ানের মাধ্যমে ৬৩০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে। আর্জেন্টিনার শুল্ক সংস্থা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশ থাকায় অন্যান্য কোম্পানি ইউয়ান ব্যবহারের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আর্জেন্টিনার মুদ্রার (পেসো) মূল্যমান গত ১২ মাসে অর্ধেক পড়ে গেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার রিজার্ভ ২০১৬ সাল থেকে দেশটির ইতিহাসের সর্বনিম্ন স্তরে রয়েছে। পেসোর মূল্যমান চরমভাবে হ্রাস পাওয়ায় মে মাসে দেশটির বাণিজ্য ঘাটতি ১ দশমিক ২ বিলিয়নে ডলারে ঠেকেছে। দেশটির সরকার গত বুধবার এক রিপোর্টে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
চীন বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রভাব বাড়ানোর জন্য নানা পদক্ষেপের মধ্যে ডলারের বিকল্প ইউয়ান ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছে। চীন ধীরে ধীরে অভ্যন্তরীণ বাজারে ডলারের ব্যবহারও কমাচ্ছে। পিপলস ব্যাংক অব চায়না বছরের পর বছর ধরে প্রায় ৪০টি দেশের সঙ্গে মুদ্রা বিনিময় চুক্তি করেছে এবং ক্রস-বর্ডার ইউয়ান পেমেন্ট সিস্টেম চালু করেছে, যা সিআইপিএস নামে পরিচিত।
আর্জেন্টিনার সরকারি কর্মকর্তারা ৪৪ বিলিয়ন ডলার সহায়তা ছাড়াও অগ্রিম নগদ অর্থের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সঙ্গে আলোচনার পর ইউয়ানে মূল্য পরিশোধের সিদ্ধান্ত নেন। এদিকে আনুমানিক ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের রপ্তানিযোগ্য ফসল নষ্ট হওয়ার পর দেশটি আইএমএফের কোনো লক্ষ্যমাত্রা পালন করছে না, যা ডলারের ঘাটতি আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।

আর্জেন্টিনায় ইউএস ডলার এতটাই দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়েছে যে আমেরিকার বহুজাতিক কোম্পানি হোয়ারপুল এখন দেশটিতে চীনের মুদ্রা ইউয়ান দিয়ে বিনিময় করছে। শুধু আর্জেন্টিনাতেই নয়। দক্ষিণ আমেরিকার সবগুলো দেশেই মার্কিন ডলারের দুষ্প্রাপ্যতা দেখা দিয়েছে। এতে অনেক কোম্পানিকে ইউয়ান গ্রহণ করতে হচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে দিচ্ছে মোড়।
বুয়েনস আয়ার্সের অর্থনীতিবিদ মার্সেলো এলিজোন্ডো বলেছেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে ডলার নেই, তাই চীন যে জরুরি সহায়তা দিচ্ছে তার প্রয়োজন। আর্জেন্টিনায় এভাবে চীনের মুদ্রার ব্যবহার জরুরি অবস্থার ফল। কিন্তু চীনের জন্য এটি ভূরাজনৈতিক সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার সূচনা বিন্দু।’
বিশ্ব বাণিজ্যে ডলারের আধিপত্য হ্রাস পাচ্ছে। বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে। মার্কিন-চীন প্রতিদ্বন্দ্বিতা এর পেছনে বড় কারণ। তা ছাড়া, ইউক্রেনে আগ্রাসনের পর রাশিয়া অর্থনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এটিও নিষেধাজ্ঞা এড়াতে ডলারের বদলে অন্য মুদ্রায় বাণিজ্যর পথ খুলে দিয়েছে।
উদাহরণস্বরূপ, প্রতিবেশী ব্রাজিল আরও ইউয়ান ব্যবহার করতে চায়। প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা ডলারের বিকল্প খুঁজতে এই রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে আর্জেন্টিনা অর্থনৈতিক মন্দায় পড়ে দ্রুত ও স্বল্পমেয়াদি সমাধানের জন্য ইউয়ান ব্যবহার শুরু করেছে। কারণ দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার সামনে ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি এবং জিগজ্যাগিং নীতির চ্যালেঞ্জ রয়েছে।
চীন সম্প্রতি আর্জেন্টিনাকে ১৮ বিলিয়ন ডলারের অর্ধেকের বেশি দুই দেশের বাণিজ্য-বিনিময়ে খরচ করার অনুমতি দিয়েছে। দেশ দুটি ২০০৯ সাল থেকে একটি দ্বিপক্ষীয় ‘অদলবদল চুক্তি’তে রয়েছে, যা তারল্য সংকটকালে বৈদেশিক রিজার্ভকে শক্তিশালী করার জন্য একটি বিমা নীতি।

বুয়েনস আয়ার্সের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান সিঅ্যান্ডটির ডিরেক্টর মারিয়া কাস্টিগ্লিওনি বলেন, ‘এই পরিস্থিতি একমাত্র বিকল্প ছিল চীনের ‘অদলবদল লাইন’ থেকে ইউয়ান ব্যবহার করা।’
আর্জেন্টিনার কাস্টমস এজেন্সি অনুসারে, ‘৫০০টিরও বেশি আর্জেন্টিনার কোম্পানিকে ইলেকট্রনিকস, অটো যন্ত্রাংশ, টেক্সটাইল প্রস্তুতকারক, তেল এবং খনির সংস্থাকে আমদানি মূল্য ইউয়ানে পরিশোধে অনুরোধ করা হয়েছে।’
আর্জেন্টিনার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতে, কর্মকর্তারা চীনা মুদ্রায় ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার সমতুল্য আমদানি অর্থ প্রদানের অনুমোদন দিয়েছেন। জুনের প্রথম ১০ দিনে আর্জেন্টিনার মুদ্রাবাজারে ইউয়ান লেনদেন হয়েছে প্রায় ২৮৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা মে মাসের চেয়ে দ্বিগুণ।
আর্জেন্টিনার অন্যতম বৃহত্তম এক্সচেঞ্জ মারকাডো আবিয়ের্তো ইলেক্ট্রনিকোর তথ্য অনুসারে, আর্জেন্টিনার বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে ইউয়ান লেনদেন সম্প্রতি দৈনিক রেকর্ড ২৮ শতাংশে পৌঁছেছে, যা গত মাসের চেয়ে ৫ শতাংশ বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানভিত্তিক বাসন-কোসন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হোয়ারপুল এখন আর্জেন্টিনার কোম্পানিগুলোর মধ্যে ডলারের পরিবর্তে ইউয়ান ব্যবহার দিকে নজর দিচ্ছে। ওয়াশিং মেশিন এবং অন্যান্য পণ্য তৈরির জন্য কোম্পানিটি গত বছর বুয়েনস আয়ার্সের বাইরে কারখানা নির্মাণের জন্য ৫২ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে।
ডলারের সংকটে পণ্য আমদানিতে বেগ পেতে হচ্ছে কোম্পানিটিকে। সাময়িকভাবে উৎপাদনও বন্ধ রেখেছিল প্রতিষ্ঠানটি। তবে সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি কিছু ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ ইউয়ানের বিনিময়ে আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
হোয়ারপুল দক্ষিণ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হুয়ান কার্লোস পুয়েন্তে বলেছেন, ‘আমাদের কিছু সময়ের জন্য কারখানাটি বন্ধ করতে হয়েছিল। এটি ব্যবসা, উৎপাদনশীলতা বা পণ্যর মানের জন্য ভালো নয়। আমরা আর্জেন্টিনায় উৎপাদনের প্রায় ৭০ শতাংশ রপ্তানির পরিকল্পনা করেছি। ইউয়ান ব্যবহার করে কীভাবে আমরা উপকরণ আমদানি চালিয়ে যেতে পারি তা পর্যবেক্ষণ করছি। তবে হঠাৎ মুদ্রা পরিবর্তন করা মোটেই সহজ নয়।’
যদি এটি পরিকল্পনামতো এগিয়ে যায়, তাহলে হোয়ারপুল মিরগর এবং নিউসানের মতো আর্জেন্টাইন কোম্পানিগুলোর শ্রেণিতে ঢুকে পড়বে, যারা মে থেকে আগস্টের মধ্যে ইউয়ানের মাধ্যমে ৬৩০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে। আর্জেন্টিনার শুল্ক সংস্থা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশ থাকায় অন্যান্য কোম্পানি ইউয়ান ব্যবহারের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আর্জেন্টিনার মুদ্রার (পেসো) মূল্যমান গত ১২ মাসে অর্ধেক পড়ে গেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার রিজার্ভ ২০১৬ সাল থেকে দেশটির ইতিহাসের সর্বনিম্ন স্তরে রয়েছে। পেসোর মূল্যমান চরমভাবে হ্রাস পাওয়ায় মে মাসে দেশটির বাণিজ্য ঘাটতি ১ দশমিক ২ বিলিয়নে ডলারে ঠেকেছে। দেশটির সরকার গত বুধবার এক রিপোর্টে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
চীন বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রভাব বাড়ানোর জন্য নানা পদক্ষেপের মধ্যে ডলারের বিকল্প ইউয়ান ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছে। চীন ধীরে ধীরে অভ্যন্তরীণ বাজারে ডলারের ব্যবহারও কমাচ্ছে। পিপলস ব্যাংক অব চায়না বছরের পর বছর ধরে প্রায় ৪০টি দেশের সঙ্গে মুদ্রা বিনিময় চুক্তি করেছে এবং ক্রস-বর্ডার ইউয়ান পেমেন্ট সিস্টেম চালু করেছে, যা সিআইপিএস নামে পরিচিত।
আর্জেন্টিনার সরকারি কর্মকর্তারা ৪৪ বিলিয়ন ডলার সহায়তা ছাড়াও অগ্রিম নগদ অর্থের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সঙ্গে আলোচনার পর ইউয়ানে মূল্য পরিশোধের সিদ্ধান্ত নেন। এদিকে আনুমানিক ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের রপ্তানিযোগ্য ফসল নষ্ট হওয়ার পর দেশটি আইএমএফের কোনো লক্ষ্যমাত্রা পালন করছে না, যা ডলারের ঘাটতি আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।

অনুমোদন ছাড়া বিমা পরিকল্প বা পণ্য চালু রাখলে বা বাজারজাত করলে সংশ্লিষ্ট বিমা কোম্পানি ও দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিমা কোম্পানিগুলোর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)।
২৭ মিনিট আগে
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এসিআই লিমিটেডের ৫ লাখ শেয়ার কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন কোম্পানিটির চেয়ারম্যান এম আনিস-উদ-দৌলা। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে বিদ্যমান বাজারমূল্যে ব্লক মার্কেটে তিনি ওই পরিমাণ শেয়ার কিনতে চান। আজ বৃহস্পতিবার ডিএসইর মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
পোশাক রপ্তানি কমছে, চামড়ায় ধাক্কা, কৃষিপণ্যেও মন্থর গতি। তবু এই মন্দার সময়ে দেশের এক খাত চুপচাপ এগিয়ে চলেছে। প্রকৌশল শিল্প, বহুদিন ধরে ‘সহায়ক খাত’ বলে উপেক্ষিত। এখন ধীরে ধীরে জাতীয় রপ্তানি কাঠামোর এক সম্ভাবনাময় স্তম্ভে পরিণত হচ্ছে।
১৭ ঘণ্টা আগে
বিশ্বব্যাংক গ্রুপের সর্বশেষ কমোডিটি মার্কেটস আউটলুক অনুযায়ী, ২০২৬ সালে বৈশ্বিক পণ্যমূল্য ছয় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসবে, যা টানা চতুর্থ বছরের মতো দাম কমার ইঙ্গিত দিচ্ছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুর্বল বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, ক্রমবর্ধমান তেলের উদ্বৃত্ত এবং নীতিগত অনিশ্চয়তা...
১৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অনুমোদন ছাড়া বিমা পরিকল্প বা পণ্য চালু রাখলে বা বাজারজাত করলে সংশ্লিষ্ট বিমা কোম্পানি ও দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিমা কোম্পানিগুলোর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)।
নন-লাইফ বিমা খাতে ‘সার্কুলার নং-নন-লাইফ ১০৭/২০২৫’ জারি করে এ নির্দেশনা দিয়েছে আইডিআরএ। সম্প্রতি ‘বিমা পরিকল্প পরিচালনার ক্ষেত্রে অনুসরণীয় নির্দেশাবলি’ শীর্ষক এই সার্কুলারটি জারি করা হয়। আইডিআরএর নির্বাহী পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মনিরা বেগম এই সার্কুলারে স্বাক্ষর করেন।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, ২০১০ সালের আগে অনুমোদন ছাড়া চালু থাকা বিমা পরিকল্পগুলোকে ‘ভূতাপেক্ষভাবে অনুমোদিত’ হিসেবে গণ্য করা হবে। তবে ২০১০ সালের পর অনুমোদন ছাড়া চালু থাকা সব বিমা পরিকল্পের জন্য কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেওয়া বাধ্যতামূলক। আইডিআরএ সার্কুলারে দুটি প্রতিপালনীয় বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—বিমা পরিকল্পের পাইলটিং পর্যায়ে পরিচালনার ক্ষেত্রে ২০২৩ সালের ২৭ আগস্ট জারি করা জিএডি সার্কুলার নম্বর ১৫/২০২৩-এর নির্দেশনা কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে।
এতে বলা হয়, কোনো বিমা কোম্পানি যদি এসব নির্দেশনা মানতে ব্যর্থ হয়, তাহলে বিমা আইন ২০১০-এর ১৩০ ধারা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর এ ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি দায়ী থাকলে তাঁর বিরুদ্ধেও একই আইনের ১৩৪ ধারায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অনুমোদন ছাড়া বিমা পরিকল্প বা পণ্য চালু রাখলে বা বাজারজাত করলে সংশ্লিষ্ট বিমা কোম্পানি ও দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিমা কোম্পানিগুলোর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)।
নন-লাইফ বিমা খাতে ‘সার্কুলার নং-নন-লাইফ ১০৭/২০২৫’ জারি করে এ নির্দেশনা দিয়েছে আইডিআরএ। সম্প্রতি ‘বিমা পরিকল্প পরিচালনার ক্ষেত্রে অনুসরণীয় নির্দেশাবলি’ শীর্ষক এই সার্কুলারটি জারি করা হয়। আইডিআরএর নির্বাহী পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মনিরা বেগম এই সার্কুলারে স্বাক্ষর করেন।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, ২০১০ সালের আগে অনুমোদন ছাড়া চালু থাকা বিমা পরিকল্পগুলোকে ‘ভূতাপেক্ষভাবে অনুমোদিত’ হিসেবে গণ্য করা হবে। তবে ২০১০ সালের পর অনুমোদন ছাড়া চালু থাকা সব বিমা পরিকল্পের জন্য কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেওয়া বাধ্যতামূলক। আইডিআরএ সার্কুলারে দুটি প্রতিপালনীয় বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—বিমা পরিকল্পের পাইলটিং পর্যায়ে পরিচালনার ক্ষেত্রে ২০২৩ সালের ২৭ আগস্ট জারি করা জিএডি সার্কুলার নম্বর ১৫/২০২৩-এর নির্দেশনা কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে।
এতে বলা হয়, কোনো বিমা কোম্পানি যদি এসব নির্দেশনা মানতে ব্যর্থ হয়, তাহলে বিমা আইন ২০১০-এর ১৩০ ধারা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর এ ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি দায়ী থাকলে তাঁর বিরুদ্ধেও একই আইনের ১৩৪ ধারায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আর্জেন্টিনায় ইউএস ডলার এতটাই দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়েছে যে আমেরিকার বহুজাতিক কোম্পানি হোয়ারপুল এখন দেশটিতে চীনের মুদ্রা ইউয়ান দিয়ে বিনিময় করছে। শুধু আর্জেন্টিনাতেই নয়। দক্ষিণ আমেরিকার সব দেশেই মার্কিন ডলারের দুষ্প্রাপ্যতা দেখা দিয়েছে। এতে অনেক কোম্পানিকে ইউয়ান গ্রহণ করতে হচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে দি
২৪ জুন ২০২৩
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এসিআই লিমিটেডের ৫ লাখ শেয়ার কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন কোম্পানিটির চেয়ারম্যান এম আনিস-উদ-দৌলা। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে বিদ্যমান বাজারমূল্যে ব্লক মার্কেটে তিনি ওই পরিমাণ শেয়ার কিনতে চান। আজ বৃহস্পতিবার ডিএসইর মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
পোশাক রপ্তানি কমছে, চামড়ায় ধাক্কা, কৃষিপণ্যেও মন্থর গতি। তবু এই মন্দার সময়ে দেশের এক খাত চুপচাপ এগিয়ে চলেছে। প্রকৌশল শিল্প, বহুদিন ধরে ‘সহায়ক খাত’ বলে উপেক্ষিত। এখন ধীরে ধীরে জাতীয় রপ্তানি কাঠামোর এক সম্ভাবনাময় স্তম্ভে পরিণত হচ্ছে।
১৭ ঘণ্টা আগে
বিশ্বব্যাংক গ্রুপের সর্বশেষ কমোডিটি মার্কেটস আউটলুক অনুযায়ী, ২০২৬ সালে বৈশ্বিক পণ্যমূল্য ছয় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসবে, যা টানা চতুর্থ বছরের মতো দাম কমার ইঙ্গিত দিচ্ছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুর্বল বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, ক্রমবর্ধমান তেলের উদ্বৃত্ত এবং নীতিগত অনিশ্চয়তা...
১৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এসিআই লিমিটেডের ৫ লাখ শেয়ার কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন কোম্পানিটির চেয়ারম্যান এম আনিস-উদ-দৌলা। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে বিদ্যমান বাজারমূল্যে ব্লক মার্কেটে তিনি ওই পরিমাণ শেয়ার কিনতে চান। আজ বৃহস্পতিবার ডিএসইর মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বিএসইসির (উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শেয়ার অর্জন, অধিগ্রহণ ও কর্তৃত্ব গ্রহণ) বিধিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী এসিআইয়ের চেয়ারম্যান আনিস-উদ-দৌলা ৩০ কার্যদিবসের মাধ্যমে ৫ লাখ শেয়ার কিনতে আগ্রহী। বৃহস্পতিবার শেয়ারটির সর্বশেষ দর দাঁড়িয়েছে ১৭৭ টাকা ১০ পয়সা। সে হিসাবে ৫ লাখ শেয়ারের দাম দাঁড়ায় ৮ কোটি ৮৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
একই সঙ্গে কোম্পানিটি ২০২৫ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এটি দেওয়া হবে কোম্পানির অবণ্টিত মুনাফা (রিটেইন্ড আর্নিংস) থেকে।
কোম্পানি জানায়, এই লভ্যাংশ ক্যাপিটাল রিজার্ভ, সম্পদ পুনর্মূল্যায়ন রিজার্ভ, কোনো আনরিয়েলাইজড আয় বা পরিশোধিত মূলধন কমিয়ে প্রদান করা হচ্ছে না।
গত বুধবার এসিআই লিমিটেড সর্বশেষ হিসাব বছরের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে দেখা যায়, কোম্পানিটি ২০২৪-২৫ হিসাব বছরে ৬৫ কোটি টাকা লোকসান করেছে। এর আগের দুই বছরেও এসিআই লোকসানে ছিল। ২০২৩-২৪ হিসাব বছরে কোম্পানির লোকসান ছিল ১৩৯ কোটি টাকা। এর আগের হিসাব বছরে ছিল ৪৯ কোটি টাকা।
ব্যাংক ঋণের সুদহার বেড়ে যাওয়ার কারণে ব্যবসায়ে ব্যয় বৃদ্ধিকে গত হিসাব বছরে লোকসানের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে এসিআই। কোম্পানির শেয়ারপ্রতি লোকসান দাঁড়িয়েছে ৭ টাকা ৪০ পয়সা। লোকসান সত্ত্বেও এসিআই শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এসিআই লিমিটেডের ৫ লাখ শেয়ার কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন কোম্পানিটির চেয়ারম্যান এম আনিস-উদ-দৌলা। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে বিদ্যমান বাজারমূল্যে ব্লক মার্কেটে তিনি ওই পরিমাণ শেয়ার কিনতে চান। আজ বৃহস্পতিবার ডিএসইর মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বিএসইসির (উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শেয়ার অর্জন, অধিগ্রহণ ও কর্তৃত্ব গ্রহণ) বিধিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী এসিআইয়ের চেয়ারম্যান আনিস-উদ-দৌলা ৩০ কার্যদিবসের মাধ্যমে ৫ লাখ শেয়ার কিনতে আগ্রহী। বৃহস্পতিবার শেয়ারটির সর্বশেষ দর দাঁড়িয়েছে ১৭৭ টাকা ১০ পয়সা। সে হিসাবে ৫ লাখ শেয়ারের দাম দাঁড়ায় ৮ কোটি ৮৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
একই সঙ্গে কোম্পানিটি ২০২৫ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এটি দেওয়া হবে কোম্পানির অবণ্টিত মুনাফা (রিটেইন্ড আর্নিংস) থেকে।
কোম্পানি জানায়, এই লভ্যাংশ ক্যাপিটাল রিজার্ভ, সম্পদ পুনর্মূল্যায়ন রিজার্ভ, কোনো আনরিয়েলাইজড আয় বা পরিশোধিত মূলধন কমিয়ে প্রদান করা হচ্ছে না।
গত বুধবার এসিআই লিমিটেড সর্বশেষ হিসাব বছরের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে দেখা যায়, কোম্পানিটি ২০২৪-২৫ হিসাব বছরে ৬৫ কোটি টাকা লোকসান করেছে। এর আগের দুই বছরেও এসিআই লোকসানে ছিল। ২০২৩-২৪ হিসাব বছরে কোম্পানির লোকসান ছিল ১৩৯ কোটি টাকা। এর আগের হিসাব বছরে ছিল ৪৯ কোটি টাকা।
ব্যাংক ঋণের সুদহার বেড়ে যাওয়ার কারণে ব্যবসায়ে ব্যয় বৃদ্ধিকে গত হিসাব বছরে লোকসানের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে এসিআই। কোম্পানির শেয়ারপ্রতি লোকসান দাঁড়িয়েছে ৭ টাকা ৪০ পয়সা। লোকসান সত্ত্বেও এসিআই শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

আর্জেন্টিনায় ইউএস ডলার এতটাই দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়েছে যে আমেরিকার বহুজাতিক কোম্পানি হোয়ারপুল এখন দেশটিতে চীনের মুদ্রা ইউয়ান দিয়ে বিনিময় করছে। শুধু আর্জেন্টিনাতেই নয়। দক্ষিণ আমেরিকার সব দেশেই মার্কিন ডলারের দুষ্প্রাপ্যতা দেখা দিয়েছে। এতে অনেক কোম্পানিকে ইউয়ান গ্রহণ করতে হচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে দি
২৪ জুন ২০২৩
অনুমোদন ছাড়া বিমা পরিকল্প বা পণ্য চালু রাখলে বা বাজারজাত করলে সংশ্লিষ্ট বিমা কোম্পানি ও দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিমা কোম্পানিগুলোর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)।
২৭ মিনিট আগে
পোশাক রপ্তানি কমছে, চামড়ায় ধাক্কা, কৃষিপণ্যেও মন্থর গতি। তবু এই মন্দার সময়ে দেশের এক খাত চুপচাপ এগিয়ে চলেছে। প্রকৌশল শিল্প, বহুদিন ধরে ‘সহায়ক খাত’ বলে উপেক্ষিত। এখন ধীরে ধীরে জাতীয় রপ্তানি কাঠামোর এক সম্ভাবনাময় স্তম্ভে পরিণত হচ্ছে।
১৭ ঘণ্টা আগে
বিশ্বব্যাংক গ্রুপের সর্বশেষ কমোডিটি মার্কেটস আউটলুক অনুযায়ী, ২০২৬ সালে বৈশ্বিক পণ্যমূল্য ছয় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসবে, যা টানা চতুর্থ বছরের মতো দাম কমার ইঙ্গিত দিচ্ছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুর্বল বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, ক্রমবর্ধমান তেলের উদ্বৃত্ত এবং নীতিগত অনিশ্চয়তা...
১৮ ঘণ্টা আগেরোকন উদ্দীন, ঢাকা

পোশাক রপ্তানি কমছে, চামড়ায় ধাক্কা, কৃষিপণ্যেও মন্থর গতি। তবু এই মন্দার সময়ে দেশের এক খাত চুপচাপ এগিয়ে চলেছে। প্রকৌশল শিল্প, বহুদিন ধরে ‘সহায়ক খাত’ বলে উপেক্ষিত। এখন ধীরে ধীরে জাতীয় রপ্তানি কাঠামোর এক সম্ভাবনাময় স্তম্ভে পরিণত হচ্ছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক (জুলাই-সেপ্টেম্বর) শেষে প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ১৬ দশমিক ৫ কোটি মার্কিন ডলারে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৪৫ শতাংশ বেশি। কেবল সেপ্টেম্বরে প্রবৃদ্ধি ছিল ৩৬ শতাংশ, যা বৈশ্বিক রপ্তানি মন্থরতার মধ্যেও এক ব্যতিক্রমী চিত্র।
দেশে প্রায় ৮০ হাজার মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিট রয়েছে। স্থানীয় বাজারের আকার ইতিমধ্যে ৮০০ কোটি ডলার এবং এটি বছরে ২৮ শতাংশ হারে বাড়ছে। তবে এখনো পাড়ি দিতে হবে দীর্ঘ পথ। বৈশ্বিক বাজারের আকার বর্তমানে যেখানে ৭ ট্রিলিয়ন ডলারের, সেখানে বাংলাদেশের অংশীদারত্ব এখনো ৫০ কোটি ডলারের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে, যা বিশ্ববাজারের মাত্র ০.০১ শতাংশ। বর্তমানে দেশ থেকে প্রকৌশল খাতের রপ্তানি মূলত তিন ভাগে হচ্ছে। এর মধ্যে প্রকৌশল যন্ত্রপাতি, বাইসাইকেল ও ধাতব সামগ্রী; যেমন আয়রন-স্টিল, তামার তার, স্টেইনলেস স্টিল ও ইলেকট্রিক সরঞ্জাম। এই পণ্যগুলো এখন ইউরোপ, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও এশিয়ার ৪০টির বেশি দেশে রপ্তানি হচ্ছে।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান এম মাসরুর রিয়াজ আজকের পত্রিকাকে জানান, যদি খাতটিতে নীতিগত সহায়তা ও সমন্বিত বিনিয়োগ আসে, তাহলে আগামী সাত বছরের মধ্যে এই বাজার ১ হাজার ২০০ কোটি ডলারে পৌঁছাতে পারে।
মন্দার মধ্যেও গতি
খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কা সামলে ইউরোপ ও আমেরিকার অর্থনীতি ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। এতে শিল্পকারখানার সরঞ্জাম, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ও যান্ত্রিক উপকরণের চাহিদা আবার বেড়েছে। এই প্রবাহে বাংলাদেশের রপ্তানিকারকেরাও নতুন অর্ডার ও স্থগিত থাকা পুরোনো অর্ডারগুলো একসঙ্গে পাচ্ছেন।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রকৌশল পণ্যের মোট রপ্তানি আয় ছিল ৫৩.৫ কোটি ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট আয় ছিল ৪৮.৬৭ কোটি ডলার। এই বৃদ্ধির ধারাই চলতি অর্থবছরে আরও ত্বরান্বিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতির (বাইশিমাস) সভাপতি মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘গত কয়েক মাসে যে রপ্তানি বেড়েছে, তার পেছনে অনেক পুরোনো অর্ডারের ডেলিভারি রয়েছে। আমাদের টেস্টিং ল্যাব না থাকা, স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের সেভেন সিস্টার্সে রপ্তানি বন্ধ থাকা—এসব বড় প্রতিবন্ধকতা। তবু এই বৃদ্ধিই প্রমাণ করে খাতটির অন্তর্নিহিত শক্তি কতটা।’
প্রকৌশল পণ্যের মধ্যে সবচেয়ে উজ্জ্বল প্রবৃদ্ধি এসেছে বাইসাইকেল রপ্তানিতে। ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, জুলাই-সেপ্টেম্বরে বাইসাইকেল রপ্তানি বেড়েছে ৬৩ শতাংশ, আয় দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪ কোটি ডলারে, যেখানে আগের বছর একই সময়ে ছিল ২ কোটি ৩৮ লাখ ডলার।
ইলেকট্রিক পণ্যের রপ্তানি প্রবৃদ্ধিও কম নয়; ৪৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে তা দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ২৮ লাখ ডলারে। এই দুটি উপখাতই এখন প্রকৌশল রপ্তানির প্রধান চালিকাশক্তি হয়ে উঠেছে।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের মার্কেটিং ডিরেক্টর কামরুজ্জামান কামাল বলেন, ‘ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি এখন অনেক স্থিতিশীল। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে নতুন ক্রেতা পেয়েছি। আগের বাজারেও বিক্রি কিছুটা বেড়েছে। এ কারণে রপ্তানিতে দৃশ্যমান গতি এসেছে।’
করোনা মহামারির সময় ইউরোপে ব্যক্তিগত পরিবহনের চাহিদা বাড়ায় বাইসাইকেল শিল্পে ব্যাপক উত্থান দেখা দিয়েছিল। যুদ্ধ-পরবর্তী অস্থিরতায় সেই গতি থেমে ছিল, কিন্তু বৈশ্বিক অর্থনীতি যখন আবার সচল হচ্ছে, তখন বাংলাদেশি বাইসাইকেল আবার জায়গা করে নিচ্ছে আন্তর্জাতিক বাজারে।
তবু সীমাবদ্ধতাও কম নয়। টেস্টিং ও স্ট্যান্ডার্ড সার্টিফিকেশনের ঘাটতি, অবকাঠামোগত দুর্বলতা এবং সরকারি নীতি সহায়তার অভাব খাতটির সম্ভাবনাকে বারবার আঘাত করেছে। আব্দুর রাজ্জাকের মতে, ‘আমাদের খাত এখনো ফরমাল ইকোনমিতে ঢুকতে পারেনি।’
আরও খবর পড়ুন:

পোশাক রপ্তানি কমছে, চামড়ায় ধাক্কা, কৃষিপণ্যেও মন্থর গতি। তবু এই মন্দার সময়ে দেশের এক খাত চুপচাপ এগিয়ে চলেছে। প্রকৌশল শিল্প, বহুদিন ধরে ‘সহায়ক খাত’ বলে উপেক্ষিত। এখন ধীরে ধীরে জাতীয় রপ্তানি কাঠামোর এক সম্ভাবনাময় স্তম্ভে পরিণত হচ্ছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক (জুলাই-সেপ্টেম্বর) শেষে প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ১৬ দশমিক ৫ কোটি মার্কিন ডলারে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৪৫ শতাংশ বেশি। কেবল সেপ্টেম্বরে প্রবৃদ্ধি ছিল ৩৬ শতাংশ, যা বৈশ্বিক রপ্তানি মন্থরতার মধ্যেও এক ব্যতিক্রমী চিত্র।
দেশে প্রায় ৮০ হাজার মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিট রয়েছে। স্থানীয় বাজারের আকার ইতিমধ্যে ৮০০ কোটি ডলার এবং এটি বছরে ২৮ শতাংশ হারে বাড়ছে। তবে এখনো পাড়ি দিতে হবে দীর্ঘ পথ। বৈশ্বিক বাজারের আকার বর্তমানে যেখানে ৭ ট্রিলিয়ন ডলারের, সেখানে বাংলাদেশের অংশীদারত্ব এখনো ৫০ কোটি ডলারের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে, যা বিশ্ববাজারের মাত্র ০.০১ শতাংশ। বর্তমানে দেশ থেকে প্রকৌশল খাতের রপ্তানি মূলত তিন ভাগে হচ্ছে। এর মধ্যে প্রকৌশল যন্ত্রপাতি, বাইসাইকেল ও ধাতব সামগ্রী; যেমন আয়রন-স্টিল, তামার তার, স্টেইনলেস স্টিল ও ইলেকট্রিক সরঞ্জাম। এই পণ্যগুলো এখন ইউরোপ, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও এশিয়ার ৪০টির বেশি দেশে রপ্তানি হচ্ছে।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান এম মাসরুর রিয়াজ আজকের পত্রিকাকে জানান, যদি খাতটিতে নীতিগত সহায়তা ও সমন্বিত বিনিয়োগ আসে, তাহলে আগামী সাত বছরের মধ্যে এই বাজার ১ হাজার ২০০ কোটি ডলারে পৌঁছাতে পারে।
মন্দার মধ্যেও গতি
খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কা সামলে ইউরোপ ও আমেরিকার অর্থনীতি ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। এতে শিল্পকারখানার সরঞ্জাম, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ও যান্ত্রিক উপকরণের চাহিদা আবার বেড়েছে। এই প্রবাহে বাংলাদেশের রপ্তানিকারকেরাও নতুন অর্ডার ও স্থগিত থাকা পুরোনো অর্ডারগুলো একসঙ্গে পাচ্ছেন।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রকৌশল পণ্যের মোট রপ্তানি আয় ছিল ৫৩.৫ কোটি ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট আয় ছিল ৪৮.৬৭ কোটি ডলার। এই বৃদ্ধির ধারাই চলতি অর্থবছরে আরও ত্বরান্বিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতির (বাইশিমাস) সভাপতি মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘গত কয়েক মাসে যে রপ্তানি বেড়েছে, তার পেছনে অনেক পুরোনো অর্ডারের ডেলিভারি রয়েছে। আমাদের টেস্টিং ল্যাব না থাকা, স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের সেভেন সিস্টার্সে রপ্তানি বন্ধ থাকা—এসব বড় প্রতিবন্ধকতা। তবু এই বৃদ্ধিই প্রমাণ করে খাতটির অন্তর্নিহিত শক্তি কতটা।’
প্রকৌশল পণ্যের মধ্যে সবচেয়ে উজ্জ্বল প্রবৃদ্ধি এসেছে বাইসাইকেল রপ্তানিতে। ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, জুলাই-সেপ্টেম্বরে বাইসাইকেল রপ্তানি বেড়েছে ৬৩ শতাংশ, আয় দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪ কোটি ডলারে, যেখানে আগের বছর একই সময়ে ছিল ২ কোটি ৩৮ লাখ ডলার।
ইলেকট্রিক পণ্যের রপ্তানি প্রবৃদ্ধিও কম নয়; ৪৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে তা দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ২৮ লাখ ডলারে। এই দুটি উপখাতই এখন প্রকৌশল রপ্তানির প্রধান চালিকাশক্তি হয়ে উঠেছে।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের মার্কেটিং ডিরেক্টর কামরুজ্জামান কামাল বলেন, ‘ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি এখন অনেক স্থিতিশীল। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে নতুন ক্রেতা পেয়েছি। আগের বাজারেও বিক্রি কিছুটা বেড়েছে। এ কারণে রপ্তানিতে দৃশ্যমান গতি এসেছে।’
করোনা মহামারির সময় ইউরোপে ব্যক্তিগত পরিবহনের চাহিদা বাড়ায় বাইসাইকেল শিল্পে ব্যাপক উত্থান দেখা দিয়েছিল। যুদ্ধ-পরবর্তী অস্থিরতায় সেই গতি থেমে ছিল, কিন্তু বৈশ্বিক অর্থনীতি যখন আবার সচল হচ্ছে, তখন বাংলাদেশি বাইসাইকেল আবার জায়গা করে নিচ্ছে আন্তর্জাতিক বাজারে।
তবু সীমাবদ্ধতাও কম নয়। টেস্টিং ও স্ট্যান্ডার্ড সার্টিফিকেশনের ঘাটতি, অবকাঠামোগত দুর্বলতা এবং সরকারি নীতি সহায়তার অভাব খাতটির সম্ভাবনাকে বারবার আঘাত করেছে। আব্দুর রাজ্জাকের মতে, ‘আমাদের খাত এখনো ফরমাল ইকোনমিতে ঢুকতে পারেনি।’
আরও খবর পড়ুন:

আর্জেন্টিনায় ইউএস ডলার এতটাই দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়েছে যে আমেরিকার বহুজাতিক কোম্পানি হোয়ারপুল এখন দেশটিতে চীনের মুদ্রা ইউয়ান দিয়ে বিনিময় করছে। শুধু আর্জেন্টিনাতেই নয়। দক্ষিণ আমেরিকার সব দেশেই মার্কিন ডলারের দুষ্প্রাপ্যতা দেখা দিয়েছে। এতে অনেক কোম্পানিকে ইউয়ান গ্রহণ করতে হচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে দি
২৪ জুন ২০২৩
অনুমোদন ছাড়া বিমা পরিকল্প বা পণ্য চালু রাখলে বা বাজারজাত করলে সংশ্লিষ্ট বিমা কোম্পানি ও দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিমা কোম্পানিগুলোর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)।
২৭ মিনিট আগে
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এসিআই লিমিটেডের ৫ লাখ শেয়ার কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন কোম্পানিটির চেয়ারম্যান এম আনিস-উদ-দৌলা। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে বিদ্যমান বাজারমূল্যে ব্লক মার্কেটে তিনি ওই পরিমাণ শেয়ার কিনতে চান। আজ বৃহস্পতিবার ডিএসইর মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
বিশ্বব্যাংক গ্রুপের সর্বশেষ কমোডিটি মার্কেটস আউটলুক অনুযায়ী, ২০২৬ সালে বৈশ্বিক পণ্যমূল্য ছয় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসবে, যা টানা চতুর্থ বছরের মতো দাম কমার ইঙ্গিত দিচ্ছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুর্বল বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, ক্রমবর্ধমান তেলের উদ্বৃত্ত এবং নীতিগত অনিশ্চয়তা...
১৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিশ্বব্যাংক গ্রুপের সর্বশেষ কমোডিটি মার্কেটস আউটলুক অনুযায়ী, ২০২৬ সালে বৈশ্বিক পণ্যমূল্য ছয় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসবে, যা টানা চতুর্থ বছরের মতো দাম কমার ইঙ্গিত দিচ্ছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুর্বল বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, ক্রমবর্ধমান তেলের উদ্বৃত্ত এবং নীতিগত অনিশ্চয়তা—এই তিন কারণেই ২০২৫ ও ২০২৬ সালে পণ্যমূল্য গড়ে ৭ শতাংশ করে হ্রাস পাবে।
জ্বালানির দাম কমে আসায় বৈশ্বিক মুদ্রাস্ফীতির চাপ কিছুটা প্রশমিত হয়েছে, আবার চাল ও গমের দাম কমায় কিছু উন্নয়নশীল দেশে খাদ্য আরও সাশ্রয়ী হয়েছে। তবে সাম্প্রতিক এই পতনের পরও পণ্যমূল্য এখনো মহামারি-পূর্ব স্তরের চেয়ে অনেক বেশি। ২০২৫ ও ২০২৬ সালে দাম যথাক্রমে ২০১৯ সালের তুলনায় ২৩ শতাংশ ও ১৪ শতাংশ বেশি থাকবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
বিশ্বব্যাংক গ্রুপের প্রধান অর্থনীতিবিদ ও উন্নয়ন অর্থনীতির সিনিয়র সহসভাপতি ইন্দরমিত গিল বলেন, পণ্যের বাজার বৈশ্বিক অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করছে। জ্বালানির দাম কমে আসায় ভোক্তা পর্যায়ের মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস পেয়েছে। তবে এই স্বস্তি স্থায়ী নয়। সরকারগুলোর এখনই এই সুযোগে রাজস্ব ব্যবস্থাপনা ঠিক করা, ব্যবসাবান্ধব অর্থনীতি গড়ে তোলা এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ত্বরান্বিত করা উচিত।
২০২৫ সালে বৈশ্বিক তেল উদ্বৃত্ত উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে এবং ২০২৬ সালে এটি ২০২০ সালের সর্বশেষ উচ্চমাত্রার তুলনায় ৬৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বৈদ্যুতিক ও হাইব্রিড যানবাহনের চাহিদা বৃদ্ধির ফলে তেলের চাহিদা ধীরে বাড়ছে, পাশাপাশি চীনে তেল ব্যবহারের স্থবিরতাও এর প্রভাব ফেলছে।
ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের গড় দাম ২০২৫ সালে ব্যারেলপ্রতি ৬৮ ডলার থেকে কমে ২০২৬ সালে ৬০ ডলারে নামবে, যা পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। সামগ্রিকভাবে জ্বালানির দাম ২০২৫ সালে ১২ শতাংশ এবং ২০২৬ সালে আরও ১০ শতাংশ কমবে বলে পূর্বাভাসে উল্লেখ করা হয়েছে।
খাদ্যদ্রব্যের দামও কমছে। ২০২৫ সালে ৬ দশমিক ১ শতাংশ এবং ২০২৬ সালে শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ হ্রাসের পূর্বাভাস রয়েছে। রেকর্ড পরিমাণ উৎপাদন ও বাণিজ্যিক টানাপোড়েনের কারণে ২০২৫ সালে সয়াবিনের দাম কমছে, যদিও আগামী দুই বছরে তা স্থিতিশীল হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এদিকে সরবরাহ বৃদ্ধির কারণে কফি ও কোকোর দাম ২০২৬ সালে হ্রাস পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি ও বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞার কারণে সার বা সারজাত পণ্যের দাম ২০২৫ সালে ২১ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। যদিও ২০২৬ সালে তা ৫ শতাংশ কমার সম্ভাবনা রয়েছে। এই মূল্যবৃদ্ধি কৃষকদের মুনাফা আরও কমিয়ে দিতে পারে এবং ভবিষ্যৎ ফসল উৎপাদন নিয়ে উদ্বেগ বাড়াতে পারে।
নিরাপদ বিনিয়োগের চাহিদা ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ক্রমবর্ধমান স্বর্ণ ক্রয়ের ফলে ২০২৫ সালে মূল্যবান ধাতুগুলোর দাম ঐতিহাসিক উচ্চতায় পৌঁছেছে। স্বর্ণের দাম ২০২৫ সালে ৪২ শতাংশ বাড়বে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে এবং ২০২৬ সালে আরও ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে স্বর্ণের দাম ২০১৫-২০১৯ সালের গড় মূল্যের প্রায় দ্বিগুণে পৌঁছাবে। রুপার দামও ২০২৫ সালে গড়ে ৩৪ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে এবং ২০২৬ সালে আরও ৮ শতাংশ বাড়বে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
তবে প্রতিবেদনে সতর্ক করে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি দীর্ঘস্থায়ী বাণিজ্যিক টানাপোড়েন ও নীতিগত অনিশ্চয়তার কারণে স্থবির থাকলে পণ্যমূল্য পূর্বাভাসের চেয়ে আরও নিচে নামতে পারে।
ওপেক প্লাস দেশগুলোর প্রত্যাশার চেয়ে বেশি তেল উৎপাদন হলে তেলের উদ্বৃত্ত আরও বাড়তে পারে, যা জ্বালানির দামের ওপর অতিরিক্ত চাপ ফেলবে। ২০৩০ সালের মধ্যে বৈদ্যুতিক গাড়ির বিক্রি দ্রুত বৃদ্ধি পেলে তেলের চাহিদা আরও কমবে।
অন্যদিকে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা ও সংঘাত তেলের দাম বাড়াতে পারে এবং স্বর্ণ ও রুপার মতো নিরাপদ বিনিয়োগের চাহিদা বাড়াবে। তেলের ক্ষেত্রে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ হলে দাম পূর্বাভাসের তুলনায় আরও বাড়তে পারে।
একই সঙ্গে প্রবল লা নিনিয়া চক্রের কারণে চরম আবহাওয়া কৃষি উৎপাদন ব্যাহত করতে পারে এবং গরম-ঠান্ডা সামলাতে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়াতে পারে; যা খাদ্য ও জ্বালানির দামে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করবে।
অন্যদিকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) দ্রুত সম্প্রসারণ এবং ডেটা সেন্টার পরিচালনার জন্য বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় শক্তি ও বেস মেটাল যেমন অ্যালুমিনিয়াম ও তামার দামও বাড়তে পারে, যেগুলো এআই অবকাঠামোর জন্য অত্যাবশ্যক।
বিশ্বব্যাংকের ডেপুটি চিফ ইকোনমিস্ট ও প্রসপেক্টস গ্রুপের পরিচালক আয়হান কোসে বলেন, তেলের দাম কমে যাওয়া উন্নয়নশীল অর্থনীতিগুলোর জন্য এক সময়োপযোগী সুযোগ; যাতে তারা প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধিমুখী রাজস্ব সংস্কার করতে পারে। ব্যয়বহুল জ্বালানি ভর্তুকি ধীরে ধীরে বন্ধ করলে অবকাঠামো ও মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ তৈরি হবে; যা দীর্ঘ মেয়াদে কর্মসংস্থান ও উৎপাদনশীলতা বাড়াবে।
প্রতিবেদনের বিশেষ আলোচ্য অংশে আন্তর্জাতিক পণ্য চুক্তির ইতিহাস বর্তমান অস্থির পণ্য মার্কেটের প্রেক্ষাপটে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, অতীতে মজুত নিয়ন্ত্রণ, উৎপাদন কোটার সীমা এবং বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞার মতো উদ্যোগগুলো স্বল্প মেয়াদে কিছু পণ্যের দাম স্থিতিশীল করলেও টেকসই ফলাফল খুব কমই এনেছিল। সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী আন্তর্জাতিক পণ্য চুক্তি, অর্থাৎ ওপেক, উচ্চমূল্যের সময় বাজার নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে বারবার সংগ্রাম করেছে; কারণ, দাম বাড়লে নতুন প্রতিযোগী বাজারে প্রবেশ করে।
প্রতিবেদনে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, দেশগুলো যেন মূল্য নিয়ন্ত্রণের বদলে উৎপাদন বৈচিত্র্য, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনে বিনিয়োগ, তথ্যের স্বচ্ছতা বৃদ্ধি এবং বাজারভিত্তিক মূল্য নির্ধারণ ব্যবস্থার মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা গড়ে তোলে।

বিশ্বব্যাংক গ্রুপের সর্বশেষ কমোডিটি মার্কেটস আউটলুক অনুযায়ী, ২০২৬ সালে বৈশ্বিক পণ্যমূল্য ছয় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসবে, যা টানা চতুর্থ বছরের মতো দাম কমার ইঙ্গিত দিচ্ছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুর্বল বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, ক্রমবর্ধমান তেলের উদ্বৃত্ত এবং নীতিগত অনিশ্চয়তা—এই তিন কারণেই ২০২৫ ও ২০২৬ সালে পণ্যমূল্য গড়ে ৭ শতাংশ করে হ্রাস পাবে।
জ্বালানির দাম কমে আসায় বৈশ্বিক মুদ্রাস্ফীতির চাপ কিছুটা প্রশমিত হয়েছে, আবার চাল ও গমের দাম কমায় কিছু উন্নয়নশীল দেশে খাদ্য আরও সাশ্রয়ী হয়েছে। তবে সাম্প্রতিক এই পতনের পরও পণ্যমূল্য এখনো মহামারি-পূর্ব স্তরের চেয়ে অনেক বেশি। ২০২৫ ও ২০২৬ সালে দাম যথাক্রমে ২০১৯ সালের তুলনায় ২৩ শতাংশ ও ১৪ শতাংশ বেশি থাকবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
বিশ্বব্যাংক গ্রুপের প্রধান অর্থনীতিবিদ ও উন্নয়ন অর্থনীতির সিনিয়র সহসভাপতি ইন্দরমিত গিল বলেন, পণ্যের বাজার বৈশ্বিক অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করছে। জ্বালানির দাম কমে আসায় ভোক্তা পর্যায়ের মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস পেয়েছে। তবে এই স্বস্তি স্থায়ী নয়। সরকারগুলোর এখনই এই সুযোগে রাজস্ব ব্যবস্থাপনা ঠিক করা, ব্যবসাবান্ধব অর্থনীতি গড়ে তোলা এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ত্বরান্বিত করা উচিত।
২০২৫ সালে বৈশ্বিক তেল উদ্বৃত্ত উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে এবং ২০২৬ সালে এটি ২০২০ সালের সর্বশেষ উচ্চমাত্রার তুলনায় ৬৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বৈদ্যুতিক ও হাইব্রিড যানবাহনের চাহিদা বৃদ্ধির ফলে তেলের চাহিদা ধীরে বাড়ছে, পাশাপাশি চীনে তেল ব্যবহারের স্থবিরতাও এর প্রভাব ফেলছে।
ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের গড় দাম ২০২৫ সালে ব্যারেলপ্রতি ৬৮ ডলার থেকে কমে ২০২৬ সালে ৬০ ডলারে নামবে, যা পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। সামগ্রিকভাবে জ্বালানির দাম ২০২৫ সালে ১২ শতাংশ এবং ২০২৬ সালে আরও ১০ শতাংশ কমবে বলে পূর্বাভাসে উল্লেখ করা হয়েছে।
খাদ্যদ্রব্যের দামও কমছে। ২০২৫ সালে ৬ দশমিক ১ শতাংশ এবং ২০২৬ সালে শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ হ্রাসের পূর্বাভাস রয়েছে। রেকর্ড পরিমাণ উৎপাদন ও বাণিজ্যিক টানাপোড়েনের কারণে ২০২৫ সালে সয়াবিনের দাম কমছে, যদিও আগামী দুই বছরে তা স্থিতিশীল হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এদিকে সরবরাহ বৃদ্ধির কারণে কফি ও কোকোর দাম ২০২৬ সালে হ্রাস পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি ও বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞার কারণে সার বা সারজাত পণ্যের দাম ২০২৫ সালে ২১ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। যদিও ২০২৬ সালে তা ৫ শতাংশ কমার সম্ভাবনা রয়েছে। এই মূল্যবৃদ্ধি কৃষকদের মুনাফা আরও কমিয়ে দিতে পারে এবং ভবিষ্যৎ ফসল উৎপাদন নিয়ে উদ্বেগ বাড়াতে পারে।
নিরাপদ বিনিয়োগের চাহিদা ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ক্রমবর্ধমান স্বর্ণ ক্রয়ের ফলে ২০২৫ সালে মূল্যবান ধাতুগুলোর দাম ঐতিহাসিক উচ্চতায় পৌঁছেছে। স্বর্ণের দাম ২০২৫ সালে ৪২ শতাংশ বাড়বে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে এবং ২০২৬ সালে আরও ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে স্বর্ণের দাম ২০১৫-২০১৯ সালের গড় মূল্যের প্রায় দ্বিগুণে পৌঁছাবে। রুপার দামও ২০২৫ সালে গড়ে ৩৪ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে এবং ২০২৬ সালে আরও ৮ শতাংশ বাড়বে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
তবে প্রতিবেদনে সতর্ক করে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি দীর্ঘস্থায়ী বাণিজ্যিক টানাপোড়েন ও নীতিগত অনিশ্চয়তার কারণে স্থবির থাকলে পণ্যমূল্য পূর্বাভাসের চেয়ে আরও নিচে নামতে পারে।
ওপেক প্লাস দেশগুলোর প্রত্যাশার চেয়ে বেশি তেল উৎপাদন হলে তেলের উদ্বৃত্ত আরও বাড়তে পারে, যা জ্বালানির দামের ওপর অতিরিক্ত চাপ ফেলবে। ২০৩০ সালের মধ্যে বৈদ্যুতিক গাড়ির বিক্রি দ্রুত বৃদ্ধি পেলে তেলের চাহিদা আরও কমবে।
অন্যদিকে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা ও সংঘাত তেলের দাম বাড়াতে পারে এবং স্বর্ণ ও রুপার মতো নিরাপদ বিনিয়োগের চাহিদা বাড়াবে। তেলের ক্ষেত্রে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ হলে দাম পূর্বাভাসের তুলনায় আরও বাড়তে পারে।
একই সঙ্গে প্রবল লা নিনিয়া চক্রের কারণে চরম আবহাওয়া কৃষি উৎপাদন ব্যাহত করতে পারে এবং গরম-ঠান্ডা সামলাতে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়াতে পারে; যা খাদ্য ও জ্বালানির দামে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করবে।
অন্যদিকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) দ্রুত সম্প্রসারণ এবং ডেটা সেন্টার পরিচালনার জন্য বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় শক্তি ও বেস মেটাল যেমন অ্যালুমিনিয়াম ও তামার দামও বাড়তে পারে, যেগুলো এআই অবকাঠামোর জন্য অত্যাবশ্যক।
বিশ্বব্যাংকের ডেপুটি চিফ ইকোনমিস্ট ও প্রসপেক্টস গ্রুপের পরিচালক আয়হান কোসে বলেন, তেলের দাম কমে যাওয়া উন্নয়নশীল অর্থনীতিগুলোর জন্য এক সময়োপযোগী সুযোগ; যাতে তারা প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধিমুখী রাজস্ব সংস্কার করতে পারে। ব্যয়বহুল জ্বালানি ভর্তুকি ধীরে ধীরে বন্ধ করলে অবকাঠামো ও মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ তৈরি হবে; যা দীর্ঘ মেয়াদে কর্মসংস্থান ও উৎপাদনশীলতা বাড়াবে।
প্রতিবেদনের বিশেষ আলোচ্য অংশে আন্তর্জাতিক পণ্য চুক্তির ইতিহাস বর্তমান অস্থির পণ্য মার্কেটের প্রেক্ষাপটে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, অতীতে মজুত নিয়ন্ত্রণ, উৎপাদন কোটার সীমা এবং বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞার মতো উদ্যোগগুলো স্বল্প মেয়াদে কিছু পণ্যের দাম স্থিতিশীল করলেও টেকসই ফলাফল খুব কমই এনেছিল। সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী আন্তর্জাতিক পণ্য চুক্তি, অর্থাৎ ওপেক, উচ্চমূল্যের সময় বাজার নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে বারবার সংগ্রাম করেছে; কারণ, দাম বাড়লে নতুন প্রতিযোগী বাজারে প্রবেশ করে।
প্রতিবেদনে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, দেশগুলো যেন মূল্য নিয়ন্ত্রণের বদলে উৎপাদন বৈচিত্র্য, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনে বিনিয়োগ, তথ্যের স্বচ্ছতা বৃদ্ধি এবং বাজারভিত্তিক মূল্য নির্ধারণ ব্যবস্থার মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা গড়ে তোলে।

আর্জেন্টিনায় ইউএস ডলার এতটাই দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়েছে যে আমেরিকার বহুজাতিক কোম্পানি হোয়ারপুল এখন দেশটিতে চীনের মুদ্রা ইউয়ান দিয়ে বিনিময় করছে। শুধু আর্জেন্টিনাতেই নয়। দক্ষিণ আমেরিকার সব দেশেই মার্কিন ডলারের দুষ্প্রাপ্যতা দেখা দিয়েছে। এতে অনেক কোম্পানিকে ইউয়ান গ্রহণ করতে হচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে দি
২৪ জুন ২০২৩
অনুমোদন ছাড়া বিমা পরিকল্প বা পণ্য চালু রাখলে বা বাজারজাত করলে সংশ্লিষ্ট বিমা কোম্পানি ও দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিমা কোম্পানিগুলোর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)।
২৭ মিনিট আগে
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এসিআই লিমিটেডের ৫ লাখ শেয়ার কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন কোম্পানিটির চেয়ারম্যান এম আনিস-উদ-দৌলা। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে বিদ্যমান বাজারমূল্যে ব্লক মার্কেটে তিনি ওই পরিমাণ শেয়ার কিনতে চান। আজ বৃহস্পতিবার ডিএসইর মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
পোশাক রপ্তানি কমছে, চামড়ায় ধাক্কা, কৃষিপণ্যেও মন্থর গতি। তবু এই মন্দার সময়ে দেশের এক খাত চুপচাপ এগিয়ে চলেছে। প্রকৌশল শিল্প, বহুদিন ধরে ‘সহায়ক খাত’ বলে উপেক্ষিত। এখন ধীরে ধীরে জাতীয় রপ্তানি কাঠামোর এক সম্ভাবনাময় স্তম্ভে পরিণত হচ্ছে।
১৭ ঘণ্টা আগে