Ajker Patrika

ডব্লিউটিও মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে ৩ প্রস্তাব দেবে বাংলাদেশ

রেজাউর রহিম, ঢাকা 
ডব্লিউটিও মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে ৩ প্রস্তাব দেবে বাংলাদেশ

আগামী ৩০ নভেম্বর সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) মন্ত্রী পর্যায়ের ১২তম বৈঠক শুরু হচ্ছে। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির নেতৃত্ব বাংলাদেশের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল এ বৈঠকে যোগ দেবেন। এতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তিনটি প্রস্তাব দেওয়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। 

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, জেনেভাতে ডব্লিউটিও মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে উত্থাপনের জন্য তিনটি প্রধান এজেন্ডা নির্ধারণ করা হয়েছে। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পর রপ্তানির ধারাবাহিকতা ও অর্থনৈতিক গতিশীলতা অব্যাহত রাখতে উন্নত দেশগুলোর বাজারে বাংলাদেশ একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য শুল্ক ও কোটামুক্ত পণ্য প্রবেশাধিকার সুবিধাসহ ৩টি পয়েন্টের ওপর আলোচনা করবে বলে জানান তিনি। 

এ ব্যাপারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ডব্লিউটিও মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের (এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন) পর একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত উন্নত দেশগুলোতে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিতে আলোচনা করা। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ মধ্য আফ্রিকার দেশ চাদের সঙ্গে স্বল্পোন্নত দেশ হওয়ার পর রপ্তানিতে শুল্ক সুবিধার ধারাবাহিকতার প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি তুলে ধরবে। আমরা চাদের মাধ্যমে আমাদের দাবিগুলো উত্থাপন করব।’ 

এদিকে বাংলাদেশ ২০২৪ সালে এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় উন্নীত হওয়ার কথা। জাতিসংঘের উন্নয়ন নীতি-সংক্রান্ত কমিটি ইউএনসিডিপি কোন দেশ এই তালিকাভুক্ত হবে—সে বিষয়টি নির্ধারণ করে। তবে বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে এই সময়সীমা ২০২৬ সাল পর্যন্ত বাড়িয়েছে ইউএনসিডিপি। সে হিসাবে বাংলাদেশি পণ্যের প্রধান রপ্তানি গন্তব্য ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশ এবং যুক্তরাজ্যে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা ২০২৬ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। তবে এর পর ইউরোপের বাজারে পণ্য রপ্তানিতে বাংলাদেশকে ১২ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে। 

উল্লেখ্য, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে কোনো দেশ উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পর আন্তর্জাতিক বাজারে শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার ও সুবিধাপ্রাপ্তির বিষয়ে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সদস্য দেশগুলোর ক্ষেত্রে বেশ কিছু বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আর উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হলে বাংলাদেশ বিশ্ব বাণিজ্যে তীব্র প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হবে। আর রপ্তানির ধারাবাহিকতা ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য বাংলাদেশের আরও বেশি সময় শুল্ক সুবিধা পাওয়া জরুরি। রপ্তানিতে বাংলাদেশের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ভিয়েতনামের সঙ্গে এরই মধ্যে ইইউর একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি হয়েছে, যা রপ্তানিতে বাংলাদেশকে আরও প্রতিযোগিতার মুখে ফেলবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইউটিউবে ১০০০ ভিউতে আয় কত

বাকৃবির ৫৭ শিক্ষকসহ ১৫৪ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা

বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে পারে সরকার, ভয়ে কলকাতায় দিলীপ কুমারের আত্মহত্যা

স্ত্রী রাজি নন, সাবেক সেনাপ্রধান হারুনের মরদেহের ময়নাতদন্ত হবে না: পুলিশ

সাবেক সেনাপ্রধান হারুন ছিলেন চট্টগ্রাম ক্লাবের গেস্ট হাউসে, দরজা ভেঙে বিছানায় মিলল তাঁর লাশ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত