Ajker Patrika

জুনে কমার পূর্বাভাস আইএমএফের

খাদ্যে কমলেও সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়েছে মার্চে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
খাদ্যে কমলেও সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়েছে মার্চে

চলতি বছরের মার্চে দেশে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি কমে ৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ হয়েছে, যা আগের মাসেও ছিল ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ। তবে টানা তিন মাস কমার পর সার্বিক মূল্যস্ফীতির কিছুটা বেড়ে ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশে পৌঁছেছে। এর আগের মাস ফেব্রুয়ারিতে যা ছিল ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ। আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্যে এ চিত্র উঠে এসেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শীতকাল শেষ হলেও মার্চে সবজিসহ খাদ্য খাতের পণ্যগুলোর মূল্য কিছুটা কম ছিল। পাশাপাশি বর্ষার মৌসুম না থাকায় পণ্য সরবরাহও ভালো ছিল। এসব কারণে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। এপ্রিল-মে মাসে বোরোর নতুন ধান বাজারে এলে মূল্যস্ফীতি আরও কমতে পারে। অন্যদিকে ঈদে কিছু পণ্য উচ্চমূল্যে কেনাবেচা হওয়ার কারণে খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে।

এ বিষয়ে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম আজকের পত্রিকাকে বলেন, মূল্যস্ফীতি খুব বেশি কমেনি। কারণ বিগত ১ থেকে দেড় বছরে পণ্যমূল্য অত্যধিক বেড়েছে। সেখান থেকে অতি উচ্চমূল্যের অভিঘাত কিছুটা লাঘব হয়েছে কেবল।

এদিকে বিবিএসের প্রতিবেদনে জাতীয় পর্যায়ে মজুরি হার তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়, পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ভিত্তিতে মার্চ মাসে সাধারণ মজুরি হার দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ, যা গত ফেব্রুয়ারিতে ছিল ৮ দশমিক ১২ শতাংশ। এর মানে হলো, মজুরি যত বেড়েছে, তার চেয়ে বেশি বেড়েছে জিনিসপত্রের দাম। গত ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চে জাতীয় মজুরি হার কিছুটা বেড়েছে।

আইএমএফের পূর্বাভাস:

এদিকে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি কমার এমন প্রবণতার মধ্যে আগামী জুন মাস নাগাদ সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৫ শতাংশের নিচে নেমে আসার পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান সংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠকে ঢাকা সফররত আইএমএফ মিশন এ পূর্বাভাস দেয় বলে গতকাল সংবাদিকদের জানিয়েছেন আরিফ হোসেন খান। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে চলা বৈঠকে আইএমএফের প্রতিনিধিদল মূল্যস্ফীতি নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। এ সময় তারা আগামী জুন নাগাদ মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৫ শতাংশের নিচে নেমে আসবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে।

আইএমএফের কাছ থেকে ঋণের চতুর্থ কিস্তির ২৩৯ কোটি ডলার পাবে বাংলাদেশ। সেই অর্থছাড়ের আগে বিভিন্ন শর্ত পর্যালোচনা করতে ৬ এপ্রিল থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করছে আইএমএফের প্রতিনিধিদল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত