Ajker Patrika

ঋণ বাড়ায় উৎপাদন ও কর্মসংস্থানে বাধা সৃষ্টি হবে: আহসান এইচ মনসুর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৯ জুন ২০২২, ২২: ২৪
ঋণ বাড়ায় উৎপাদন ও কর্মসংস্থানে বাধা সৃষ্টি হবে: আহসান এইচ মনসুর

বিশ্ব অর্থনীতির অস্থির পরিস্থিতি ও মূল্যস্ফীতির মতো চ্যালেঞ্জ সামনে রেখে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব করেছেন। ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বিশাল এ প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। ঘাটতি মেটাতে ১ লাখ ৬ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকার ব্যাংকঋণ নেবে সরকার, যার প্রভাব বেসরকারি বিনিয়োগ এবং সেই সূত্রে উৎপাদন ও কর্মসংস্থানের ওপর পড়বে বলে মনে করছেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর।

জাতীয় সংসদে আজ বৃহস্পতিবার দেশের ৫১তম এবং আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ২৩তম জাতীয় বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। প্রস্তাবিত এ বাজেটের আকার ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে ঘাটতির পরিমাণ ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৪ কোটি টাকা, যা মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৫ দশমিক ৪ শতাংশ। এ ঘাটতি মেটাতে ১ লাখ ৬ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকার ব্যাংকঋণ নেবে সরকার। এই ঋণের পরিমাণ চলতি অর্থবছরের (২০২১-২২) চেয়ে ২৯ হাজার ৮৮২ কোটি টাকা বেশি। চলতি অর্থবছরের বাজেটে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ৭৬ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য রয়েছে। ঘাটতি বাজেটের বাকিটা আসবে বিদেশি ঋণ থেকে, যার সুদহার আবার বেশি।

ঘাটতি বাজেটকে সমস্যা হিসেবে না দেখলেও ঘাটতি পূরণে নেওয়া ঋণের ব্যবহার এবং ব্যাংকিং খাত থেকে নেওয়া ঋণের কারণে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্বল হয়ে যাওয়াকে বড় করে দেখছেন আহসান এইচ মনসুর। তাঁর মতে, দেশে ঘাটতি বাজেট কোনো সমস্যা নয়। তবে বাজেট ব্যবস্থাপনার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে ঋণ নিয়ে সেই অর্থের যথাযথ ব্যবহার করতে হবে।’

জাতীয় বাজেটের আয়ের উৎস হিসেবে থাকে কর, শুল্ক ভ্যাট ইত্যাদি। ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কর ও কর বহির্ভূত রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে ৩ লাখ ৭০ হাজার এবং অন্যান্য উৎস থেকে ৬৩ হাজার কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছে। ফলে এই বাজেট বিশেষভাবে এনবিআরের লক্ষ্য অর্জনের ওপর নির্ভর করবে।

 এ বিষয়ে আহসান এইচ মনসুর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে, বিশেষ করে এনবিআর আয়ের লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হলে তার প্রভাব পড়বে পরবর্তী বাজেটে। আর এনবিআর কোনো দিনও লক্ষ্য পূরণ করতে পারবে না। ফলে সামনের অর্থবছরের বাজেটে আরও ৪৫ থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি সৃষ্টি হবে। এখান থেকে বের হওয়া উচিত। তবে এটা কোনোভাবে সম্ভব না।’

ফলে ঋণের ওপর নির্ভরশীলতা বাড়বে বলে মনে করছেন এই বিশেষজ্ঞ। প্রস্তাবিত বাজেটের ঘাটতি পূরণে নেওয়া দেশি-বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধেই শুধু ৮০ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যা মোট বাজেটের ১১ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এর মধ্যে ৭৩ হাজার ১৭৫ কোটি টাকা অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ, আর বিদেশি ঋণের সুদ ৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা। এই ঋণ ও এর সুদ দুইই বোঝা হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক।

ঘাটতি বাজেট পূরণে নেওয়া ঋণ ও এর ব্যবহার নিয়ে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘সরকার ঋণ করে ঘাটতি পূরণ করে। কিন্তু সুদে নেওয়া টাকার সূক্ষ্ম ব্যবহার হওয়াটা একেবারে জরুরি। টাকা নিয়ে ফেলে রাখা বা কম গুরুত্বপূর্ণ কাজে ফেলে রাখা বন্ধ করতে হবে। সব মিলিয়ে বিদেশি ঋণ বেড়ে যাচ্ছে। আর দেশে ব্যাংক খাত থেকে নতুন করে ১ লাখ ৬ হাজার কোটি টাকার ঋণের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, যার সুদহার ৮ শতাংশ। আর বিনা ঝুঁকিতে এবং কোন ব্যবস্থাপনা খরচ ছাড়া ঋণ দিতে ব্যাংকগুলোও অতি উৎসাহী মনোভাব দেখায়। কারণ ঋণখেলাপিও হবে না। যদিও এতে ব্যাংকগুলো মারাত্মক দুর্বল হয়ে পড়ে। সরকার ঋণ নেওয়ায় ব্যাংকগুলো বেসরকারি খাতে বিনিয়োগে কম আগ্রহ দেখায়। ফলে বিনিয়োগ কমে যায়। উৎপাদন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বাধা সৃষ্টি হয়।’

 এ ছাড়া এই বাজেটে স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য কিছু নেই বলেও মন্তব্য করেছেন আহসান এইচ মনসুর। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এবারের বাজেট প্রায় পরোটাই গতানুগতিক বলা যায়। সামান্য নতুন কয়েকটি বিষয় সংযোজন হয়েছে। বিশেষ করে স্বল্প আয়ের মানুষে জন্য অনেক ভালো কিছু করার ছিল। কিন্তু সেসব বিষয়ে বাজেটে তেমন কিছু উল্লেখ নেই। কেবল ভাতা ১০০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এটি মূল্যস্ফীতির সঙ্গে মিল রেখে কমপক্ষে ৭৫০ টাকা করা যেত।’

প্রস্তাবিত বাজেটে রেমিট্যান্স প্রবাহকে উৎসাহিত করতে আড়াই শতাংশ প্রণোদনা বহাল রাখার প্রয়োজন ছিল না বলেও মন্তব্য করেন এই অর্থনীতিবিদ। তাঁর মতে, ‘বিশেষ করে রেমিট্যান্সের প্রণোদনা বন্ধ করে সেখানকার প্রায় সাড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার কোটি টাকা স্বল্প আয়ের ও দরিদ্র মানুষের মধ্যে বিতরণ করা যেত। কারণ, ডলারের দাম বাড়ায় তারা তো এখন ভালো দাম পাচ্ছেন। গত কয়েক মাসে ডলারের দাম ৬-৭ টাকা বেড়েছে। এতে তারাও ভালো দাম পাচ্ছে। তাহলে আড়াই শতাংশ প্রণোদনার তো প্রয়োজন পড়ে না।’

এ ছাড়া সরকার করোনায় ব্যাংকগুলোর সুদহার বেঁধে দিয়েছিল। এটিকে মুক্তবাজার অর্থনীতির সঙ্গে মানানসই বলে মনে করেন না আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, ‘মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য না রেখে সুদহারের ক্যাপ বেঁধে দিলে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। এর সবচেয়ে ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে সীমিত ও স্বল্প আয়ের ভোক্তার ওপর।’

সব মিলিয়ে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য পূরণ, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও সুষম উন্নয়ন বাস্তবায়ন সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হবে বলে মনে করেন তিনি। তিনি বলেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তা, রিজার্ভ ও আর্থিক স্থিতিশীলতায় অধিক মনোযোগ দিতে হবে। এসব করতে পারলে দেশের উন্নয়নের সুফল মানুষ পাবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষকেরা ভাতা পান না, নতুন গাড়ি-অফিস চান সদস্যসচিব

ইসির তালিকায় যুক্ত নতুন নির্বাচনী প্রতীক ‘শাপলা কলি’

৫ বছরে যুক্তরাষ্ট্রকে ‘ধরে ফেলবে’ চীন, নতুন পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশ ট্রাম্পের

গণভোট নিয়ে দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধান উপদেষ্টা: আসিফ নজরুল

ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে এমন ‘অদ্ভুতুড়ে’ ঘটনার কারণ তাহলে এটাই

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সোনার দাম আরও কমে দুই লাখের ঘরে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

দেশের বাজারে কমেছে সোনার দাম। এবার নতুন করে প্রতি ভরি ভালো মানের সোনার (২২ ক্যারেট) দাম কমেছে ২ হাজার ৬১৩ টাকা। এখন থেকে দেশের বাজারে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের সোনা বিক্রি হবে ২ লাখ ৯৬ টাকায়।

আগামীকাল শুক্রবার থেকে সারা দেশে সোনার নতুন এ দর কার্যকর হবে।

আজ বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) এক বিজ্ঞপ্তিতে সোনার এ দাম কমার তথ্য জানায়। এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি (পিওর গোল্ড) সোনার মূল্য কমেছে। সে কারণে সোনার দাম সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাজুস।

নতুন মূল্য অনুযায়ী, ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৯০ হাজার ৯৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৬৩ হাজার ৭১৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৩৬ হাজার ১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

তবে সোনার দাম কমলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের রুপার ভরি ৪ হাজার ২৪৬ টাকা, ২১ ক্যারেটের রুপার ভরি ৪ হাজার ৪৭ টাকা ও ১৮ ক্যারেটের রুপার ভরি ৩ হাজার ৪৭৬ টাকা দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ৬০১ টাকা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষকেরা ভাতা পান না, নতুন গাড়ি-অফিস চান সদস্যসচিব

ইসির তালিকায় যুক্ত নতুন নির্বাচনী প্রতীক ‘শাপলা কলি’

৫ বছরে যুক্তরাষ্ট্রকে ‘ধরে ফেলবে’ চীন, নতুন পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশ ট্রাম্পের

গণভোট নিয়ে দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধান উপদেষ্টা: আসিফ নজরুল

ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে এমন ‘অদ্ভুতুড়ে’ ঘটনার কারণ তাহলে এটাই

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

১০ শতাংশ শুল্কছাড়ের বিনিময়ে ট্রাম্পকে ফেন্টানিল ও বিরল খনিজ দিচ্ছেন সি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ২১: ৪৩
দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে এপেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। ছবি: এএফপি
দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে এপেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। ছবি: এএফপি

চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপরেই তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, চীনের ওপর আরোপিত শুল্ক কিছুটা কমানো হবে। তিনি বলেছেন, ‘বেইজিং অবৈধ ফেন্টানিলের বাণিজ্য বন্ধ, যুক্তরাষ্ট্র থেকে পুনরায় সয়াবিন আমদানি শুরু এবং বিরল উপাদান রপ্তানি অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তাই আমরা চীনের ওপর আরোপিত শুল্ক কিছুটা কমাব।’

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান শহরে আজ বৃহস্পতিবার দুই নেতার মুখোমুখি বৈঠকে এই সমঝোতা হয়েছে। ২০১৯ সালের পর এটাই তাঁদের প্রথম সরাসরি সাক্ষাৎ। এর আগে ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে বৈঠক করেন।

দক্ষিণ কোরিয়া ছাড়ার কিছুক্ষণ পর এয়ারফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, ‘অসাধারণ একটি বৈঠক হয়েছে—আমি একে ১০-এর মধ্যে ১২ দেব।’

ট্রাম্প জানান, চীন থেকে আমদানি পণ্যের ওপর শুল্ক ৫৭ থেকে কমিয়ে ৪৭ শতাংশ করা হবে। বিশেষ করে, ফেন্টানিল উৎপাদনে ব্যবহৃত রাসায়নিক দ্রব্যের বাণিজ্যের ক্ষেত্রে শুল্ক ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে। তিনি বলেন, সি চিন পিং কথা দিয়েছেন, ফেন্টানিলের পাচার রোধে তিনি সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন।

প্রসঙ্গত, ফেন্টানিল সাধারণত চিকিৎসায় ব্যথা উপশমকারী হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর শক্তি মরফিন বা হেরোইনের চেয়ে ৫০ থেকে ১০০ গুণ বেশি। তবে এর মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার বা অপব্যবহার অত্যন্ত বিপজ্জনক। ফেন্টানিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাচার হওয়া সবচেয়ে ভয়ানক মাদকগুলোর মধ্যে অন্যতম। এর কারণে শুধু ২০২২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ১২ মাসে ৫২ হাজারের বেশি মার্কিন নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে, চীন বিরল খনিজ উপাদান রপ্তানির ওপর আরোপিত বিধিনিষেধ এক বছরের জন্য স্থগিত করেছে। চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায়, এই উপাদানগুলো গাড়ি, বিমান ও অস্ত্রশিল্পে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধে এগুলো বেইজিংয়ের অন্যতম শক্তিশালী হাতিয়ার হয়ে উঠেছিল।

এ ছাড়া দুই দেশ কৃষি-বাণিজ্য বাড়ানোর বিষয়ে একমত হয়েছে। এর পাশাপাশি টিকটক অ্যাপসংক্রান্ত মালিকানা সমস্যার সমাধানেও একসঙ্গে কাজ করবে বলে জানিয়েছে বেইজিং।

যদিও ট্রাম্প এই বৈঠককে ‘অসাধারণ সাফল্য’ হিসেবে তুলে ধরেছেন, তবে বৈশ্বিক শেয়ারবাজারে এর প্রতিক্রিয়া ছিল মিশ্র। চীনের সাংহাই কম্পোজিট সূচক ১০ বছরের সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে কিছুটা নেমে আসে এবং যুক্তরাষ্ট্রে সয়াবিন ফিউচারও দুর্বল ছিল।

অস্ট্রেলিয়ার উইলিয়াম বাক পরামর্শক সংস্থার প্রধান অর্থনীতিবিদ বেসা ডেডা রয়টার্সকে বলেন, বাজারের প্রতিক্রিয়া ট্রাম্পের বর্ণনার মতো উচ্ছ্বসিত নয়—বরং বেশ সতর্ক।

অন্যদিকে, মার্কিন সিনেটের ডেমোক্র্যাট নেতা চাক শুমার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘ট্রাম্প চীনের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন—তাঁর কথায় বিশ্বাস করা উচিত নয়।’

বুসানে সির সঙ্গে বৈঠকের আগে ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিউংয়ের সঙ্গে শুল্কসংক্রান্ত চুক্তির অধিকাংশ বিষয় চূড়ান্ত করেন। ট্রাম্প জানান, চীনও যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি ক্রয়ের প্রক্রিয়া শুরু করবে। তিনি ইঙ্গিত দেন, আলাস্কায় ৪৪ বিলিয়ন ডলারের এলএনজি প্রকল্প নিয়ে বড় ধরনের চুক্তি হতে পারে। তিনি আরও জানান, আগামী এপ্রিলে তিনি চীন সফর করবেন এবং পরে সি চিন পিংকে যুক্তরাষ্ট্রে আমন্ত্রণ জানাবেন।

চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া এ বৈঠককে সির কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে বর্ণনা করেছে।

তবে বৈঠকে তাইওয়ান বা এনভিডিয়ার আধুনিক ব্ল্যাকওয়েল চিপ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে ট্রাম্প জানান। এতে চীনের ৫০ বিলিয়ন ডলারের এআই বাজারে এনভিডিয়ার অবস্থান আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে। তবে তাইওয়ানের প্রধান বাণিজ্য আলোচক জানান, তিনি এপেক সম্মেলনের ফাঁকে এক মার্কিন বাণিজ্য কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেছেন, যদিও আলোচনার বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানান।

এদিকে বৈঠক শুরুর কয়েক মিনিট আগে ৩৩ বছর পর আবারও পেন্টাগনকে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশ দেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি জানান, রাশিয়া ও চীনের বাড়তে থাকা প্রভাবের প্রেক্ষাপটে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, তারা আশা করে, যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক পরীক্ষা স্থগিত রাখার নীতি বজায় রাখবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষকেরা ভাতা পান না, নতুন গাড়ি-অফিস চান সদস্যসচিব

ইসির তালিকায় যুক্ত নতুন নির্বাচনী প্রতীক ‘শাপলা কলি’

৫ বছরে যুক্তরাষ্ট্রকে ‘ধরে ফেলবে’ চীন, নতুন পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশ ট্রাম্পের

গণভোট নিয়ে দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধান উপদেষ্টা: আসিফ নজরুল

ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে এমন ‘অদ্ভুতুড়ে’ ঘটনার কারণ তাহলে এটাই

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বন্দরের মাশুল নিয়ে ১০-১৫ দিনের মধ্যে স্টেকহোল্ডারদের বৈঠক: পোর্ট ইউজারস ফোরাম

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বন্দরের মাশুল নিয়ে ১০-১৫ দিনের মধ্যে স্টেকহোল্ডারদের বৈঠক হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি ও পোর্ট ইউজারস ফোরামের সভাপতি আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী। বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের সিটি হল কনভেনশনে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।

আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান সাহেব সম্মত হয়েছেন, উনারা বন্দর ব্যবহারকারী, ক্ষতিগ্রস্ত, স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে ১০-১৫ দিনের মধ্যে বৈঠকে বসবেন ইনশা আল্লাহ। বৈঠকে উনারা ঠিক করবেন কোনটা যৌক্তিক ও বাস্তবসম্মত ট্যারিফ। সেটিই গ্রহণযোগ্য হবে। প্রাথমিকভাবে আমরা সফল হয়েছি।’

চট্টগ্রাম পোর্ট ইউজার্স ফোরাম চট্টগ্রামের বাণিজ্যিক প্রসারে প্রতিবন্ধক ওজন স্কেল, বন্দর ট্রাফিক ও চিটাগাং চেম্বারকে জবাবদিহিমূলক ও ব্যবসায়ীবান্ধব করার প্রত্যয়ে মতবিনিময় সভা হয়। সভায় আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘চট্টগ্রাম পোর্ট ইউজার্স ফোরামের প্রথম সভায় এক সপ্তাহ আগে আলটিমেটাম দেওয়ার পর বন্দরের চেয়ারম্যান স্বপ্রণোদিত হয়ে মন্ত্রণালয়ে লিখে চারটি খাতে ট্রাক, প্রাইমমুভার, ট্রেইলার, গেট ফি খাতে বর্ধিত ট্যারিফ স্থগিতের ব্যবস্থা করেছিলেন। সিঅ্যান্ডএফ ৪ ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছিল, সে কারণে কর্মসূচি উইথড্র করে নিয়েছি। আমরা চাইনি চট্টগ্রাম বন্দরের কোনো ক্ষতি হোক।’

পোর্ট ইউজারস ফোরামের সভাপতি বলেন, ‘মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার কাছে আমরা চিঠি দিয়েছি। উনি একটি পক্ষকে আমাদের সঙ্গে আলাপ করার জন্য নিযুক্ত করেছেন। গতকাল (বুধবার) বন্দর চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলাপ করেছি। আমি অত্যন্ত খুশি হয়ে বলতে পারি আপনাদের, বন্দরের চেয়ারম্যান সম্মত হয়েছেন যে, উনারা বন্দর ব্যবহারকারী, ক্ষতিগ্রস্ত, স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে ১০-১৫ দিনের মধ্যে বৈঠকে বসবেন ইনশা আল্লাহ।’

পোর্ট ইউজারস ফোরামের সভাপতি আরও বলেন, ‘দ্বিতীয় পর্যায়ে অনুরোধ করব সব অ্যাসোসিয়েশনকে বন্দরের ট্যারিফ কোন কোন খাতে বেশি হয়েছে, তা আমাদের জানাবেন। আমরা চেষ্টা করব সরকারের সঙ্গে বোঝাপড়া করে যৌক্তিক ও বাস্তবসম্মত ট্যারিফ যাতে নির্ধারণ করতে পারি। আমরা আশা করব, সরকার ব্যবসায়ীদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেবে।’

সভার বিশেষ অতিথি বিজিএমইএর পরিচালক এম এ সালাম বলেন, আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন চিটাগাং চেম্বারে গতিশীল নেতৃত্ব দরকার। বিভিন্ন সেক্টর থেকে প্রতিনিধি নিয়ে ইউনাইটেড বিজনেস ফোরামের প্যানেল দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের বর্ধিত ট্যারিফ নিয়ে এ ফোরাম সোচ্চার ছিল।

ব্যবসায়ী নেতা মোহাম্মদ আমিরুল হক বলেন, ‘আপনারা শুনে লজ্জিত হবেন, খুবই দুঃখজনক মহাসড়কে একটা স্কেলের জন্য চট্টগ্রাম থেকে মিরসরাই পাথর, কয়লা যায় না। মোংলা বন্দর থেকে ট্রাকে মিরসরাইর ইকোনমিক জোনে কয়লা-পাথর আসে। তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ দুর্ভোগ আমাদের দিয়ে গেছে।’

বক্তরা জানান, বন্দর ট্যারিফ ৪১ শতাংশ বেড়েছে প্রচার করলেও কোনো ক্ষেত্রে ৩০০ শতাংশও বেড়েছে। আগে ৩৭১ ডলার দিতে হতো, এখন ১৫০০ ডলার দিতে হচ্ছে। ব্যাপারটা উদ্বেগজনক।

বারভিডার সাবেক সভাপতি হাবিবুল্লাহ ডন বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর আমদানি-রপ্তানির লাইফলাইন। সম্প্রতি বন্দরের সেবার ওপর যেভাবে ট্যারিফ বাড়ানো হয়েছে, তাতে ব্যবসায়ীরা উদ্বিগ্ন। চট্টগ্রাম চেম্বারে এক বছর ধরে প্রশাসক।

নাসিরুদ্দিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাইফুল আলম, চট্টগ্রাম কাস্টম এজেন্ট সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী চৌধুরী, বিজিএপিএমইএর প্রথম সহসভাপতি শহীদুল্লাহ্ চৌধুরী, বিজিএপিএমইএর উপদেষ্টা লতিফুর রহমান আজিম, টেরিবাজার ব্যবসায়ী সমিতির উপদেষ্টা বেলায়েত হোসেন ও সভাপতি আবদুল মান্নান, টায়ার টিউব ডিলার গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান, চাক্তাই=খাতুনগঞ্জ আড়তদার সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, চট্টগ্রাম বন্দর মেরিন কন্ট্রাক্টর অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি দোস্ত মোহাম্মদ, সেন্ট্রাল প্লাজা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আলম টিটু, ফিনলে স্কয়ার ব্যবসায়ী সমিতির মিয়া মো. খালেদ, ব্যবসায়ী নেতা এরফান উদ্দিন খোকন প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষকেরা ভাতা পান না, নতুন গাড়ি-অফিস চান সদস্যসচিব

ইসির তালিকায় যুক্ত নতুন নির্বাচনী প্রতীক ‘শাপলা কলি’

৫ বছরে যুক্তরাষ্ট্রকে ‘ধরে ফেলবে’ চীন, নতুন পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশ ট্রাম্পের

গণভোট নিয়ে দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধান উপদেষ্টা: আসিফ নজরুল

ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে এমন ‘অদ্ভুতুড়ে’ ঘটনার কারণ তাহলে এটাই

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বড় পতনের পর ঘুরে দাঁড়াল সোনার দাম

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ২১: ২৮
বড় পতনের পর ঘুরে দাঁড়াল সোনার দাম

বড় দরপতনের পর বিশ্ববাজারে সোনার দাম আবার প্রায় ২ শতাংশ বেড়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ফেডারেল রিজার্ভের সুদহার কমানো ও যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য চুক্তির ফলাফল ঘিরে অনিশ্চয়তার কারণে এই দাম বেড়েছে।

পূর্বাঞ্চলীয় সময় সকাল ৯টা ৪৩ মিনিটে স্পট সোনার দাম বেড়ে প্রতি আউন্সে দাঁড়ায় ৩ হাজার ৯৭০ দশমিক ৩৬ ডলার, যা দিনের শুরুতে প্রায় ২ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছিল। ডিসেম্বরে সরবরাহের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে সোনার ভবিষ্যৎ ক্রয়াদেশ (গোল্ড ফিউচারস) স্থিতিশীল ছিল, প্রতি আউন্সে ৩ হাজার ৯৯২ দশমিক ৪০ ডলার।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আজ ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি চীনের ওপর আরোপিত শুল্ক ৫৭ থেকে কমিয়ে ৪৭ শতাংশে আনবেন। বিনিময়ে বেইজিং আবারও যুক্তরাষ্ট্র থেকে সয়াবিন কেনা শুরু করবে, বিরল খনিজ রপ্তানি পুনরায় চালু করবে এবং অবৈধ ফেন্টানিল ব্যবসা দমনে পদক্ষেপ নেবে।

সিপিএম গ্রুপের ম্যানেজিং পার্টনার জেফ্রি ক্রিশ্চিয়ান বলেন, সোনার বাজার কিছুটা টালমাটাল হয়েছিল, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র-চীনের চুক্তির বিস্তারিত প্রকাশ পাওয়ার পর দেখা যায়, এটি বেশ ফাঁপা একটি সমঝোতা। তাই বাজার বুঝে নিয়েছে যে বাণিজ্যযুদ্ধ এখনই শেষ হচ্ছে না।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ গতকাল বুধবার বাজারের প্রত্যাশা অনুযায়ী সুদের হার কমিয়েছে। তবে সংকেত দিয়েছে, চলমান সরকারী অচলাবস্থার কারণে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক তথ্যপ্রবাহ ব্যাহত হওয়ায় এ বছর এটি সম্ভবত শেষবারের মতো হার কমানো হতে পারে।

সুদহার কমে গেলে সোনা আরও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে, কারণ, এটি সুদবিহীন সম্পদ। পাশাপাশি ভূরাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার সময়েও সোনা সাধারণত স্থিতিশীল থাকে এবং দাম বাড়ে।

ওয়েলস ফার্গো ইনভেস্টমেন্ট ইনস্টিটিউট তাদের ২০২৬ সালের সোনার দাম লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে প্রতি আউন্সে ৪ হাজার ৫০০ থেকে ৪ হাজার ৭০০ ডলার নির্ধারণ করেছে, যা আগে ছিল ৩ হাজার ৯০০ থেকে ৪ হাজার ১০০ ডলার। প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, ‘আমরা মনে করি, ভূরাজনৈতিক ও বাণিজ্য নীতিগত অনিশ্চয়তা বেসরকারি ও সরকারি পর্যায়ে সোনার চাহিদা বাড়াবে এবং দাম আরও ওপরে তুলবে।’

অন্যদিকে, স্পট সিলভার বা রুপার দাম ১ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্সে ৪৮ দশমিক ৩৪ ডলারে দাঁড়ায়। প্লাটিনাম ০ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৫৯৮ দশমিক ৫৫ ডলারে এবং প্যালাডিয়াম ১ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৪১৫ দশমিক ৫২ ডলারে পৌঁছায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষকেরা ভাতা পান না, নতুন গাড়ি-অফিস চান সদস্যসচিব

ইসির তালিকায় যুক্ত নতুন নির্বাচনী প্রতীক ‘শাপলা কলি’

৫ বছরে যুক্তরাষ্ট্রকে ‘ধরে ফেলবে’ চীন, নতুন পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশ ট্রাম্পের

গণভোট নিয়ে দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধান উপদেষ্টা: আসিফ নজরুল

ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে এমন ‘অদ্ভুতুড়ে’ ঘটনার কারণ তাহলে এটাই

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত