Ajker Patrika

সুনামগঞ্জে বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ওপরে পানি, বাড়ছে দুর্ভোগ

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ১৬ জুন ২০২২, ১৬: ৪৬
সুনামগঞ্জে বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ওপরে পানি, বাড়ছে দুর্ভোগ

যত সময় যাচ্ছে, সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি ততই অবনতির দিকে যাচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বৃষ্টি না হলেও সুরমা নদীর সুনামগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। কিছুদিন আগের বন্যার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও ভয়াবহ বন্যার কবলে সুনামগঞ্জবাসী। 

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ভারতের চেরাপুঞ্জিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬২৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এই বৃষ্টির পানি সীমান্ত নদীগুলো দিয়ে প্রবাহিত হলে সুনামগঞ্জ পৌর শহরসহ ছয় উপজেলার দুই শতাধিক গ্রামের দেড় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় আছে। এতে জেলার ছাতক, দোয়ারাবাজার, শান্তিগঞ্জ, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর ও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। গত কয়েক দিনের পাহাড়ি ঢলে আবারও পৌর শহরের অন্তত ৩০টি আবাসিক এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে। এ ছাড়া সদর উপজেলার অন্তত ৫০ গ্রামের মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় আছে। জেলা সদরের সঙ্গে পাঁচ উপজেলার যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। 

এ বিষয়ে পৌর এলাকার বাসিন্দা তেঘরিয়া আবাসিক এলাকার নাদের আহমদ বলেন, ‘যেভাবে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে, এটা আগে কোনো সময়ে দেখিনি। এবার পানি ঢোকেনি এমন কোনো ঘরবাড়ি নেই।’ 

হাছননগর এলাকার বাসিন্দা রিপন মিয়া বলেন, ‘বাসাবাড়িত পানি আইছে, বাচ্চাকাচ্চা লইয়া বেশি চিন্তাত আছি। ঘরের ভেতরে পানি, বাইরেও পানি। ঘরের ভেতরে পানি বাচ্চাকাচ্চার জন্যি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়িছে।’ 

পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামসুদ্দোহা জানান, ভারতের চেরাপুঞ্জিতে এবার বৃষ্টি বেশি হচ্ছে। আগামী দুই দিন আরও বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এতে নদীর পানি আরও বাড়বে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রতি উপজেলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলা হয়েছে। 

জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘প্রায় ২০০ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে এবং প্রতি উপজেলায় চাল ও শুষ্ক খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আমরা আরও ত্রাণসহায়তার জন্য চিঠি পাঠিয়েছি। আশা করি খাদ্যসহায়তার কোনো সমস্যা হবে না।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত