নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। বামপন্থী দলগুলো বিদ্যমান ‘জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা’ বহাল রেখেই কমিশনের প্রস্তাবিত ‘সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার, গণতন্ত্র এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সম্প্রীতি’ যুক্ত করার পক্ষে।
বিদ্যমান মূলনীতি বাদ দিলে সংলাপের আলোচনা বয়কট করবে বলে জানায় সিপিবি, বাসদ, বাসদ-মার্ক্সবাদী ও বাংলাদেশ জাসদ।
বিএনপি ও জামায়াত কমিশনের প্রস্তাবের সঙ্গে পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে যুক্ত হওয়া ‘আল্লাহর ওপর অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস’ রাখার কথা বলে। এনসিপি কমিশনের প্রস্তাবে একমত।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ রোববার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ১৯তম দিনে দলগুলোর প্রতিনিধিরা তাঁদের আপত্তির কথা তুলে ধরেন। এ নিয়ে কমিশনের বৈঠকে কিছুটা উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়।
মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স সাংবাদিকদের বলেন, ‘সংবিধানের মূলনীতির প্রশ্নে ঐকমত্য হওয়া সম্ভব নয়। কারণ, এখানে বিভিন্ন আদর্শের মানুষ আছে। এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ; রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের কাছে যাবে, তারা সিদ্ধান্ত দেবে।’
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত আমাদের এই সংবিধানে অনেক অসম্পূর্ণতা আছে। সে জন্য আমরা আলোচনা করছি, যাতে সম্পূর্ণ করা যায়। কিন্তু মূলনীতির প্রশ্নে ছাড় দেওয়া সম্ভব নয়।’
বিকল্প প্রস্তাব তুলে ধরে প্রিন্স বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি প্রসঙ্গে এইভাবে লেখা যেতে পারে। সংবিধানে রাষ্ট্রীয় পরিচালনার চার মূলনীতির সঙ্গে (৭২ সংবিধান অনুযায়ী—জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা) সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সম্প্রীতি যুক্ত করা যেতে পারে।
প্রিন্স বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত বাংলাদেশের সংবিধানে যে চার মূলনীতি আছে, শব্দের মারপ্যাঁচে সেটা পরিবর্তনের কোনো ইঙ্গিত জাতির সামনে প্রকাশ করা হয়, সেটার সঙ্গে আমরা একেবারেই নেই। এ রকম অবস্থা যদি চলতে থাকে, আমাদের পক্ষে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনা নিয়মিত করা সম্ভব হবে না। একই সঙ্গে যে ঐকমত্য গঠনের জন্য দীর্ঘ সময় ধরে একমত হচ্ছি, সেটাও বাধাগ্রস্ত হবে।’
এ সময় কমিশনের কাছ থেকে দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশার কথা জানান সিপিবির এই নেতা।
কমিশনের প্রস্তাবিত মূলনীতির প্রসঙ্গে আলোচনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘কমিশনের প্রস্তাবিত রাষ্ট্রের মূলনীতি নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। বরং এটাই আমাদের প্রস্তাব।’
জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা সংলাপে জোরালো বক্তব্য দিতে পারছি না। এটা নিয়ে আমাদের কর্মী–সমর্থকদের কাছ থেকে প্রশ্ন শুনতে হয়। তাদের কথা, বামপন্থীরা শক্ত করে বলে, কিন্তু আমরা নীরব থাকি। আমরা শক্ত করে বললে এখানে বিষম ব্যাপার। তাই উনাদেরও সংযত হওয়া দরকার। নির্বাচন হলে উনাদের বক্তব্য টিকবে না। তাই জোরালো বক্তব্য দিচ্ছি না।’
একই প্রসঙ্গে এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘আমাদের দলীয় অবস্থান হচ্ছে, পূর্বের (মূলনীতি) সবকিছু বাতিল করা। কমিশনের দেওয়া প্রস্তাবের সঙ্গে আমরা আছি। আমরা পূর্বেকার তর্কে যেতে চাই না।’
গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের মূলনীতি—সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র ও ধর্মীয় স্বাধীনতা—সংবিধানে অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব করা হয়েছে, বিশেষ করে, পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল হওয়ার সম্ভাবনার প্রেক্ষাপটে।’
তিনি বলেন, ‘সমাজতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদের মতো বিতর্কিত ধারণার পরিবর্তে কমিশন একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ন্যায়ভিত্তিক সংবিধানের আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেছে, যা বাংলাদেশের জনগণের স্বপ্ন পূরণ করবে।’
বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ‘রাষ্ট্রের মূলনীতি নিয়ে আমরা গত চার দিন ধরে আলোচনা করছি। অধিকাংশ রাজনৈতিক দল মনে করে, ৭২–এর সংবিধানে ফিরে যাওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। কারণ, সমাজতন্ত্র আন্তর্জাতিকভাবে একটা পরিত্যক্ত বিষয় হয়ে গেছে।’
শাহাদাত হোসেন সেলিম আরও বলেন, ‘বিগত চার দিনের আলোচনার পর কমিশন আজ যে প্রস্তাব দিয়েছে, তার প্রতি আমরা সমর্থন দিয়েছি। যদিও আমাদের অনেকের মনের মধ্য ভিন্নমত আছে। সেটা হলো, আল্লাহর ওপর অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস—এই শব্দটা যুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছিলাম। তারপর কমিশনের প্রস্তাবে যেহেতু ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সম্প্রীতির কথা আছে, তাই আমরা ভিন্নমত থেকে সরে এসেছি। তবে ভবিষ্যতে কোনো রাজনৈতিক দল যদি সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব করে এবং সেটা পাস হয়, হয়তো তখন আমরা তার বিরোধিতা করব না।’
আরও খবর পড়ুন:

রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। বামপন্থী দলগুলো বিদ্যমান ‘জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা’ বহাল রেখেই কমিশনের প্রস্তাবিত ‘সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার, গণতন্ত্র এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সম্প্রীতি’ যুক্ত করার পক্ষে।
বিদ্যমান মূলনীতি বাদ দিলে সংলাপের আলোচনা বয়কট করবে বলে জানায় সিপিবি, বাসদ, বাসদ-মার্ক্সবাদী ও বাংলাদেশ জাসদ।
বিএনপি ও জামায়াত কমিশনের প্রস্তাবের সঙ্গে পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে যুক্ত হওয়া ‘আল্লাহর ওপর অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস’ রাখার কথা বলে। এনসিপি কমিশনের প্রস্তাবে একমত।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ রোববার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ১৯তম দিনে দলগুলোর প্রতিনিধিরা তাঁদের আপত্তির কথা তুলে ধরেন। এ নিয়ে কমিশনের বৈঠকে কিছুটা উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়।
মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স সাংবাদিকদের বলেন, ‘সংবিধানের মূলনীতির প্রশ্নে ঐকমত্য হওয়া সম্ভব নয়। কারণ, এখানে বিভিন্ন আদর্শের মানুষ আছে। এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ; রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের কাছে যাবে, তারা সিদ্ধান্ত দেবে।’
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত আমাদের এই সংবিধানে অনেক অসম্পূর্ণতা আছে। সে জন্য আমরা আলোচনা করছি, যাতে সম্পূর্ণ করা যায়। কিন্তু মূলনীতির প্রশ্নে ছাড় দেওয়া সম্ভব নয়।’
বিকল্প প্রস্তাব তুলে ধরে প্রিন্স বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি প্রসঙ্গে এইভাবে লেখা যেতে পারে। সংবিধানে রাষ্ট্রীয় পরিচালনার চার মূলনীতির সঙ্গে (৭২ সংবিধান অনুযায়ী—জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা) সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সম্প্রীতি যুক্ত করা যেতে পারে।
প্রিন্স বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত বাংলাদেশের সংবিধানে যে চার মূলনীতি আছে, শব্দের মারপ্যাঁচে সেটা পরিবর্তনের কোনো ইঙ্গিত জাতির সামনে প্রকাশ করা হয়, সেটার সঙ্গে আমরা একেবারেই নেই। এ রকম অবস্থা যদি চলতে থাকে, আমাদের পক্ষে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনা নিয়মিত করা সম্ভব হবে না। একই সঙ্গে যে ঐকমত্য গঠনের জন্য দীর্ঘ সময় ধরে একমত হচ্ছি, সেটাও বাধাগ্রস্ত হবে।’
এ সময় কমিশনের কাছ থেকে দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশার কথা জানান সিপিবির এই নেতা।
কমিশনের প্রস্তাবিত মূলনীতির প্রসঙ্গে আলোচনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘কমিশনের প্রস্তাবিত রাষ্ট্রের মূলনীতি নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। বরং এটাই আমাদের প্রস্তাব।’
জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা সংলাপে জোরালো বক্তব্য দিতে পারছি না। এটা নিয়ে আমাদের কর্মী–সমর্থকদের কাছ থেকে প্রশ্ন শুনতে হয়। তাদের কথা, বামপন্থীরা শক্ত করে বলে, কিন্তু আমরা নীরব থাকি। আমরা শক্ত করে বললে এখানে বিষম ব্যাপার। তাই উনাদেরও সংযত হওয়া দরকার। নির্বাচন হলে উনাদের বক্তব্য টিকবে না। তাই জোরালো বক্তব্য দিচ্ছি না।’
একই প্রসঙ্গে এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘আমাদের দলীয় অবস্থান হচ্ছে, পূর্বের (মূলনীতি) সবকিছু বাতিল করা। কমিশনের দেওয়া প্রস্তাবের সঙ্গে আমরা আছি। আমরা পূর্বেকার তর্কে যেতে চাই না।’
গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের মূলনীতি—সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র ও ধর্মীয় স্বাধীনতা—সংবিধানে অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব করা হয়েছে, বিশেষ করে, পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল হওয়ার সম্ভাবনার প্রেক্ষাপটে।’
তিনি বলেন, ‘সমাজতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদের মতো বিতর্কিত ধারণার পরিবর্তে কমিশন একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ন্যায়ভিত্তিক সংবিধানের আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেছে, যা বাংলাদেশের জনগণের স্বপ্ন পূরণ করবে।’
বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ‘রাষ্ট্রের মূলনীতি নিয়ে আমরা গত চার দিন ধরে আলোচনা করছি। অধিকাংশ রাজনৈতিক দল মনে করে, ৭২–এর সংবিধানে ফিরে যাওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। কারণ, সমাজতন্ত্র আন্তর্জাতিকভাবে একটা পরিত্যক্ত বিষয় হয়ে গেছে।’
শাহাদাত হোসেন সেলিম আরও বলেন, ‘বিগত চার দিনের আলোচনার পর কমিশন আজ যে প্রস্তাব দিয়েছে, তার প্রতি আমরা সমর্থন দিয়েছি। যদিও আমাদের অনেকের মনের মধ্য ভিন্নমত আছে। সেটা হলো, আল্লাহর ওপর অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস—এই শব্দটা যুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছিলাম। তারপর কমিশনের প্রস্তাবে যেহেতু ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সম্প্রীতির কথা আছে, তাই আমরা ভিন্নমত থেকে সরে এসেছি। তবে ভবিষ্যতে কোনো রাজনৈতিক দল যদি সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব করে এবং সেটা পাস হয়, হয়তো তখন আমরা তার বিরোধিতা করব না।’
আরও খবর পড়ুন:
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। বামপন্থী দলগুলো বিদ্যমান ‘জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা’ বহাল রেখেই কমিশনের প্রস্তাবিত ‘সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার, গণতন্ত্র এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সম্প্রীতি’ যুক্ত করার পক্ষে।
বিদ্যমান মূলনীতি বাদ দিলে সংলাপের আলোচনা বয়কট করবে বলে জানায় সিপিবি, বাসদ, বাসদ-মার্ক্সবাদী ও বাংলাদেশ জাসদ।
বিএনপি ও জামায়াত কমিশনের প্রস্তাবের সঙ্গে পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে যুক্ত হওয়া ‘আল্লাহর ওপর অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস’ রাখার কথা বলে। এনসিপি কমিশনের প্রস্তাবে একমত।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ রোববার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ১৯তম দিনে দলগুলোর প্রতিনিধিরা তাঁদের আপত্তির কথা তুলে ধরেন। এ নিয়ে কমিশনের বৈঠকে কিছুটা উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়।
মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স সাংবাদিকদের বলেন, ‘সংবিধানের মূলনীতির প্রশ্নে ঐকমত্য হওয়া সম্ভব নয়। কারণ, এখানে বিভিন্ন আদর্শের মানুষ আছে। এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ; রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের কাছে যাবে, তারা সিদ্ধান্ত দেবে।’
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত আমাদের এই সংবিধানে অনেক অসম্পূর্ণতা আছে। সে জন্য আমরা আলোচনা করছি, যাতে সম্পূর্ণ করা যায়। কিন্তু মূলনীতির প্রশ্নে ছাড় দেওয়া সম্ভব নয়।’
বিকল্প প্রস্তাব তুলে ধরে প্রিন্স বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি প্রসঙ্গে এইভাবে লেখা যেতে পারে। সংবিধানে রাষ্ট্রীয় পরিচালনার চার মূলনীতির সঙ্গে (৭২ সংবিধান অনুযায়ী—জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা) সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সম্প্রীতি যুক্ত করা যেতে পারে।
প্রিন্স বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত বাংলাদেশের সংবিধানে যে চার মূলনীতি আছে, শব্দের মারপ্যাঁচে সেটা পরিবর্তনের কোনো ইঙ্গিত জাতির সামনে প্রকাশ করা হয়, সেটার সঙ্গে আমরা একেবারেই নেই। এ রকম অবস্থা যদি চলতে থাকে, আমাদের পক্ষে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনা নিয়মিত করা সম্ভব হবে না। একই সঙ্গে যে ঐকমত্য গঠনের জন্য দীর্ঘ সময় ধরে একমত হচ্ছি, সেটাও বাধাগ্রস্ত হবে।’
এ সময় কমিশনের কাছ থেকে দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশার কথা জানান সিপিবির এই নেতা।
কমিশনের প্রস্তাবিত মূলনীতির প্রসঙ্গে আলোচনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘কমিশনের প্রস্তাবিত রাষ্ট্রের মূলনীতি নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। বরং এটাই আমাদের প্রস্তাব।’
জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা সংলাপে জোরালো বক্তব্য দিতে পারছি না। এটা নিয়ে আমাদের কর্মী–সমর্থকদের কাছ থেকে প্রশ্ন শুনতে হয়। তাদের কথা, বামপন্থীরা শক্ত করে বলে, কিন্তু আমরা নীরব থাকি। আমরা শক্ত করে বললে এখানে বিষম ব্যাপার। তাই উনাদেরও সংযত হওয়া দরকার। নির্বাচন হলে উনাদের বক্তব্য টিকবে না। তাই জোরালো বক্তব্য দিচ্ছি না।’
একই প্রসঙ্গে এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘আমাদের দলীয় অবস্থান হচ্ছে, পূর্বের (মূলনীতি) সবকিছু বাতিল করা। কমিশনের দেওয়া প্রস্তাবের সঙ্গে আমরা আছি। আমরা পূর্বেকার তর্কে যেতে চাই না।’
গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের মূলনীতি—সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র ও ধর্মীয় স্বাধীনতা—সংবিধানে অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব করা হয়েছে, বিশেষ করে, পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল হওয়ার সম্ভাবনার প্রেক্ষাপটে।’
তিনি বলেন, ‘সমাজতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদের মতো বিতর্কিত ধারণার পরিবর্তে কমিশন একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ন্যায়ভিত্তিক সংবিধানের আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেছে, যা বাংলাদেশের জনগণের স্বপ্ন পূরণ করবে।’
বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ‘রাষ্ট্রের মূলনীতি নিয়ে আমরা গত চার দিন ধরে আলোচনা করছি। অধিকাংশ রাজনৈতিক দল মনে করে, ৭২–এর সংবিধানে ফিরে যাওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। কারণ, সমাজতন্ত্র আন্তর্জাতিকভাবে একটা পরিত্যক্ত বিষয় হয়ে গেছে।’
শাহাদাত হোসেন সেলিম আরও বলেন, ‘বিগত চার দিনের আলোচনার পর কমিশন আজ যে প্রস্তাব দিয়েছে, তার প্রতি আমরা সমর্থন দিয়েছি। যদিও আমাদের অনেকের মনের মধ্য ভিন্নমত আছে। সেটা হলো, আল্লাহর ওপর অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস—এই শব্দটা যুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছিলাম। তারপর কমিশনের প্রস্তাবে যেহেতু ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সম্প্রীতির কথা আছে, তাই আমরা ভিন্নমত থেকে সরে এসেছি। তবে ভবিষ্যতে কোনো রাজনৈতিক দল যদি সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব করে এবং সেটা পাস হয়, হয়তো তখন আমরা তার বিরোধিতা করব না।’
আরও খবর পড়ুন:

রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। বামপন্থী দলগুলো বিদ্যমান ‘জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা’ বহাল রেখেই কমিশনের প্রস্তাবিত ‘সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার, গণতন্ত্র এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সম্প্রীতি’ যুক্ত করার পক্ষে।
বিদ্যমান মূলনীতি বাদ দিলে সংলাপের আলোচনা বয়কট করবে বলে জানায় সিপিবি, বাসদ, বাসদ-মার্ক্সবাদী ও বাংলাদেশ জাসদ।
বিএনপি ও জামায়াত কমিশনের প্রস্তাবের সঙ্গে পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে যুক্ত হওয়া ‘আল্লাহর ওপর অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস’ রাখার কথা বলে। এনসিপি কমিশনের প্রস্তাবে একমত।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ রোববার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ১৯তম দিনে দলগুলোর প্রতিনিধিরা তাঁদের আপত্তির কথা তুলে ধরেন। এ নিয়ে কমিশনের বৈঠকে কিছুটা উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়।
মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স সাংবাদিকদের বলেন, ‘সংবিধানের মূলনীতির প্রশ্নে ঐকমত্য হওয়া সম্ভব নয়। কারণ, এখানে বিভিন্ন আদর্শের মানুষ আছে। এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ; রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের কাছে যাবে, তারা সিদ্ধান্ত দেবে।’
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত আমাদের এই সংবিধানে অনেক অসম্পূর্ণতা আছে। সে জন্য আমরা আলোচনা করছি, যাতে সম্পূর্ণ করা যায়। কিন্তু মূলনীতির প্রশ্নে ছাড় দেওয়া সম্ভব নয়।’
বিকল্প প্রস্তাব তুলে ধরে প্রিন্স বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি প্রসঙ্গে এইভাবে লেখা যেতে পারে। সংবিধানে রাষ্ট্রীয় পরিচালনার চার মূলনীতির সঙ্গে (৭২ সংবিধান অনুযায়ী—জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা) সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সম্প্রীতি যুক্ত করা যেতে পারে।
প্রিন্স বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত বাংলাদেশের সংবিধানে যে চার মূলনীতি আছে, শব্দের মারপ্যাঁচে সেটা পরিবর্তনের কোনো ইঙ্গিত জাতির সামনে প্রকাশ করা হয়, সেটার সঙ্গে আমরা একেবারেই নেই। এ রকম অবস্থা যদি চলতে থাকে, আমাদের পক্ষে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনা নিয়মিত করা সম্ভব হবে না। একই সঙ্গে যে ঐকমত্য গঠনের জন্য দীর্ঘ সময় ধরে একমত হচ্ছি, সেটাও বাধাগ্রস্ত হবে।’
এ সময় কমিশনের কাছ থেকে দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশার কথা জানান সিপিবির এই নেতা।
কমিশনের প্রস্তাবিত মূলনীতির প্রসঙ্গে আলোচনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘কমিশনের প্রস্তাবিত রাষ্ট্রের মূলনীতি নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। বরং এটাই আমাদের প্রস্তাব।’
জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা সংলাপে জোরালো বক্তব্য দিতে পারছি না। এটা নিয়ে আমাদের কর্মী–সমর্থকদের কাছ থেকে প্রশ্ন শুনতে হয়। তাদের কথা, বামপন্থীরা শক্ত করে বলে, কিন্তু আমরা নীরব থাকি। আমরা শক্ত করে বললে এখানে বিষম ব্যাপার। তাই উনাদেরও সংযত হওয়া দরকার। নির্বাচন হলে উনাদের বক্তব্য টিকবে না। তাই জোরালো বক্তব্য দিচ্ছি না।’
একই প্রসঙ্গে এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘আমাদের দলীয় অবস্থান হচ্ছে, পূর্বের (মূলনীতি) সবকিছু বাতিল করা। কমিশনের দেওয়া প্রস্তাবের সঙ্গে আমরা আছি। আমরা পূর্বেকার তর্কে যেতে চাই না।’
গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের মূলনীতি—সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র ও ধর্মীয় স্বাধীনতা—সংবিধানে অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব করা হয়েছে, বিশেষ করে, পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল হওয়ার সম্ভাবনার প্রেক্ষাপটে।’
তিনি বলেন, ‘সমাজতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদের মতো বিতর্কিত ধারণার পরিবর্তে কমিশন একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ন্যায়ভিত্তিক সংবিধানের আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেছে, যা বাংলাদেশের জনগণের স্বপ্ন পূরণ করবে।’
বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ‘রাষ্ট্রের মূলনীতি নিয়ে আমরা গত চার দিন ধরে আলোচনা করছি। অধিকাংশ রাজনৈতিক দল মনে করে, ৭২–এর সংবিধানে ফিরে যাওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। কারণ, সমাজতন্ত্র আন্তর্জাতিকভাবে একটা পরিত্যক্ত বিষয় হয়ে গেছে।’
শাহাদাত হোসেন সেলিম আরও বলেন, ‘বিগত চার দিনের আলোচনার পর কমিশন আজ যে প্রস্তাব দিয়েছে, তার প্রতি আমরা সমর্থন দিয়েছি। যদিও আমাদের অনেকের মনের মধ্য ভিন্নমত আছে। সেটা হলো, আল্লাহর ওপর অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস—এই শব্দটা যুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছিলাম। তারপর কমিশনের প্রস্তাবে যেহেতু ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সম্প্রীতির কথা আছে, তাই আমরা ভিন্নমত থেকে সরে এসেছি। তবে ভবিষ্যতে কোনো রাজনৈতিক দল যদি সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব করে এবং সেটা পাস হয়, হয়তো তখন আমরা তার বিরোধিতা করব না।’
আরও খবর পড়ুন:

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে ভোট দেওয়ার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭৪ জন প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজারে আশ্রিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক সহায়তার জন্য ‘গ্রেইন ফ্রম ইউক্রেন’ উদ্যোগের অধীনে ৩ হাজার টন সূর্যমুখী তেল আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে। গত ৩ ডিসেম্বর কক্সবাজারের মধুরছড়ায় বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)-এর লজিস্টিকস হাবে এই হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
স্বাধীনতা ঘোষণা করে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়া বাংলাদেশকে একই দিন স্বীকৃতি দিয়েছিল ভুটান ও ভারত। দিনটি ছিল ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর। যুদ্ধের শেষ দিকে বাংলাদেশের বিজয় ক্রমেই নিশ্চিত হয়ে আসায় এই স্বীকৃতি এসেছিল। আবার একই দিন শত্রুসেনামুক্ত হয়েছিল দেশের সীমান্তবর্তী দুই জেলা যশোর ও ফেনী।
৭ ঘণ্টা আগে
শুক্রবার সন্ধ্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরের আইসিপিতে আনুষ্ঠানিক পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে সোনালী খাতুন এবং তার আট বছরের সন্তান মো. সাব্বির শেখকে সুস্থ ও নিরাপদ অবস্থায় বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
১২ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে ভোট দেওয়ার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭৪ জন প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।
আজ শনিবার বেলা ১১টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত পোস্টাল ভোটিং আপডেট থেকে এই তথ্য জানা যায়। আউট অব কান্ট্রি ভোটিং সিস্টেম অ্যান্ড ইমপ্লিমেন্টেশন (ওসিভি-এসডিআই) প্রকল্পের টিম লিডার সালীম আহমদ খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে মোট ১ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭৪ জন প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ১ লাখ ৭৪ হাজার ৯০৯ এবং নারীর সংখ্যা ১৮ হাজার ৯৬৫ জন।
দেশভিত্তিক নিবন্ধনের ক্ষেত্রে সৌদি আরবের প্রবাসী ভোটাররা শীর্ষে রয়েছেন; যেখানে ৩৮ হাজার ২৬৯ জন নিবন্ধন করেছেন। এরপরই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যেখানে ১৯ হাজার ২৭১ জন প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন করেছেন।
নির্বাচন কমিশন প্রবাসীদের সুবিধার্থে নিবন্ধনের সময়সীমা আরও বাড়িয়েছে। ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছেন, নিবন্ধনের সময়সীমা ২৫ ডিসেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর আগে এই সময়সীমা ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারিত ছিল। বর্তমানে বিশ্বের যেকোনো স্থান থেকেই এই অ্যাপ ডাউনলোড করে যে কেউ ভোটার নিবন্ধন করতে পারছেন।
নির্বাচন কমিশন পোস্টাল ব্যালট পেপার নির্বিঘ্নে ভোটারদের কাছে পৌঁছানোর জন্য সঠিক ঠিকানা প্রদানের ওপর জোর দিয়েছে। ইসি থেকে পাঠানো এক বার্তায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনুরোধ জানানো হয়েছে:
নিবন্ধনের সময় আপনার অবস্থানকালীন দেশের প্রচলিত নিয়মানুযায়ী সঠিক ঠিকানা দিন। প্রয়োজনে কর্মস্থল অথবা পরিচিতজনের ঠিকানা ব্যবহার করুন।
নিবন্ধনের সময় ভুল ঠিকানা দিয়ে থাকলে, ৬ ডিসেম্বরের মধ্যে মোবাইল অ্যাপের এডিট মেনু ব্যবহার করে তা সংশোধন করুন।
ইসি সতর্ক করেছে যে সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা প্রদান ব্যতিরেকে পোস্টাল ব্যালট পেপার ভোটারদের নিকট পাঠানো সম্ভব হবে না।
সেই সঙ্গে প্রবাসীদের ভোটার নিবন্ধন ও ভোট দেওয়ার সময় ইন্টারনেট ভিপিএন ব্যবহার না করার ব্যাপারে সতর্ক করেছে।
অভ্যন্তরীণ পোস্টাল ভোটিং (আইসিপিভি) চালু হবে
ইসি সচিব আখতার আহমেদ আরও জানান, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া সরকারি কর্মকর্তা, আইনি হেফাজতে থাকা ভোটার এবং নিজ ভোটার এলাকার বাইরে অবস্থানরত সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ইন-কান্ট্রি পোস্টাল ভোটিং (আইসিপিভি) প্রক্রিয়াও চালু করা হবে।
তিনি জানান, আইসিপিভির জন্য তফসিল ঘোষণার পর থেকে ১৫ দিনের মেয়াদে নিবন্ধনপ্রক্রিয়া চালু করা হবে।
উল্লেখ্য, প্রধান নির্বাচন কমিশনার গত ১৮ নভেম্বর ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের উদ্বোধন করেন এবং ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রাথমিকভাবে ১৪৮টি নির্দিষ্ট দেশে ভোটার নিবন্ধনের সময়সূচি ঘোষণা করেছিলেন। পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোটদানের জন্য প্রবাসী ভোটারকে অবশ্যই যেখান থেকে ভোট দেবেন, সেই দেশের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতে হবে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে ভোট দেওয়ার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭৪ জন প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।
আজ শনিবার বেলা ১১টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত পোস্টাল ভোটিং আপডেট থেকে এই তথ্য জানা যায়। আউট অব কান্ট্রি ভোটিং সিস্টেম অ্যান্ড ইমপ্লিমেন্টেশন (ওসিভি-এসডিআই) প্রকল্পের টিম লিডার সালীম আহমদ খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে মোট ১ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭৪ জন প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ১ লাখ ৭৪ হাজার ৯০৯ এবং নারীর সংখ্যা ১৮ হাজার ৯৬৫ জন।
দেশভিত্তিক নিবন্ধনের ক্ষেত্রে সৌদি আরবের প্রবাসী ভোটাররা শীর্ষে রয়েছেন; যেখানে ৩৮ হাজার ২৬৯ জন নিবন্ধন করেছেন। এরপরই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যেখানে ১৯ হাজার ২৭১ জন প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন করেছেন।
নির্বাচন কমিশন প্রবাসীদের সুবিধার্থে নিবন্ধনের সময়সীমা আরও বাড়িয়েছে। ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছেন, নিবন্ধনের সময়সীমা ২৫ ডিসেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর আগে এই সময়সীমা ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারিত ছিল। বর্তমানে বিশ্বের যেকোনো স্থান থেকেই এই অ্যাপ ডাউনলোড করে যে কেউ ভোটার নিবন্ধন করতে পারছেন।
নির্বাচন কমিশন পোস্টাল ব্যালট পেপার নির্বিঘ্নে ভোটারদের কাছে পৌঁছানোর জন্য সঠিক ঠিকানা প্রদানের ওপর জোর দিয়েছে। ইসি থেকে পাঠানো এক বার্তায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনুরোধ জানানো হয়েছে:
নিবন্ধনের সময় আপনার অবস্থানকালীন দেশের প্রচলিত নিয়মানুযায়ী সঠিক ঠিকানা দিন। প্রয়োজনে কর্মস্থল অথবা পরিচিতজনের ঠিকানা ব্যবহার করুন।
নিবন্ধনের সময় ভুল ঠিকানা দিয়ে থাকলে, ৬ ডিসেম্বরের মধ্যে মোবাইল অ্যাপের এডিট মেনু ব্যবহার করে তা সংশোধন করুন।
ইসি সতর্ক করেছে যে সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা প্রদান ব্যতিরেকে পোস্টাল ব্যালট পেপার ভোটারদের নিকট পাঠানো সম্ভব হবে না।
সেই সঙ্গে প্রবাসীদের ভোটার নিবন্ধন ও ভোট দেওয়ার সময় ইন্টারনেট ভিপিএন ব্যবহার না করার ব্যাপারে সতর্ক করেছে।
অভ্যন্তরীণ পোস্টাল ভোটিং (আইসিপিভি) চালু হবে
ইসি সচিব আখতার আহমেদ আরও জানান, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া সরকারি কর্মকর্তা, আইনি হেফাজতে থাকা ভোটার এবং নিজ ভোটার এলাকার বাইরে অবস্থানরত সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ইন-কান্ট্রি পোস্টাল ভোটিং (আইসিপিভি) প্রক্রিয়াও চালু করা হবে।
তিনি জানান, আইসিপিভির জন্য তফসিল ঘোষণার পর থেকে ১৫ দিনের মেয়াদে নিবন্ধনপ্রক্রিয়া চালু করা হবে।
উল্লেখ্য, প্রধান নির্বাচন কমিশনার গত ১৮ নভেম্বর ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের উদ্বোধন করেন এবং ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রাথমিকভাবে ১৪৮টি নির্দিষ্ট দেশে ভোটার নিবন্ধনের সময়সূচি ঘোষণা করেছিলেন। পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোটদানের জন্য প্রবাসী ভোটারকে অবশ্যই যেখান থেকে ভোট দেবেন, সেই দেশের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতে হবে।

রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। সব দল কমিশনের প্রস্তাবিত নীতির সঙ্গে একমত হলেও বেঁকে বসেছে বামপন্থী দলগুলো।
২৭ জুলাই ২০২৫
কক্সবাজারে আশ্রিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক সহায়তার জন্য ‘গ্রেইন ফ্রম ইউক্রেন’ উদ্যোগের অধীনে ৩ হাজার টন সূর্যমুখী তেল আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে। গত ৩ ডিসেম্বর কক্সবাজারের মধুরছড়ায় বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)-এর লজিস্টিকস হাবে এই হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
স্বাধীনতা ঘোষণা করে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়া বাংলাদেশকে একই দিন স্বীকৃতি দিয়েছিল ভুটান ও ভারত। দিনটি ছিল ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর। যুদ্ধের শেষ দিকে বাংলাদেশের বিজয় ক্রমেই নিশ্চিত হয়ে আসায় এই স্বীকৃতি এসেছিল। আবার একই দিন শত্রুসেনামুক্ত হয়েছিল দেশের সীমান্তবর্তী দুই জেলা যশোর ও ফেনী।
৭ ঘণ্টা আগে
শুক্রবার সন্ধ্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরের আইসিপিতে আনুষ্ঠানিক পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে সোনালী খাতুন এবং তার আট বছরের সন্তান মো. সাব্বির শেখকে সুস্থ ও নিরাপদ অবস্থায় বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কক্সবাজারে আশ্রিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক সহায়তার জন্য ‘গ্রেইন ফ্রম ইউক্রেন’ উদ্যোগের অধীনে ৩ হাজার টন সূর্যমুখী তেল আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে। গত ৩ ডিসেম্বর কক্সবাজারের মধুরছড়ায় বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)-এর লজিস্টিকস হাবে এই হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ, সুইডেন এবং ইউক্রেন সরকারের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) প্রতিনিধিরাও অংশ নেন।
ইউক্রেন সরকারের ২০২২ সালে চালু করা ‘গ্রেইন ফ্রম ইউক্রেন’ উদ্যোগের লক্ষ্য হলো আন্তর্জাতিক মানবিক সংকটে ইউক্রেনীয় খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ করা। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য দেওয়া এই সূর্যমুখী তেল ইউক্রেনেই উৎপাদিত হয়েছে। এই তেলের সংগ্রহ ও পরিবহন বাবদ মোট ৭ মিলিয়ন (৭০ লাখ) মার্কিন ডলার ব্যয় হয়েছে, যা সম্পূর্ণরূপে সুইডেন সরকার বহন করেছে।
অনুষ্ঠানের পর প্রতিনিধিদল খাদ্য বিতরণ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। সেখানে রোহিঙ্গা পরিবারগুলোকে ডব্লিউএফপি-এর ই-ভাউচার পদ্ধতির মাধ্যমে সূর্যমুখী তেল ও অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। এই সিস্টেমে প্রতিটি রোহিঙ্গা পরিবারকে মাসিক মাথাপিছু ১২ মার্কিন ডলার বরাদ্দ দেওয়া হয়, যা দিয়ে তাঁরা প্রয়োজনীয় খাদ্য, তাজা সবজি, মাছ ও মুরগি কিনতে পারেন। স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে পণ্য কেনার এই ব্যবস্থাটি স্থানীয় অর্থনীতিকেও সমর্থন জোগায়।
অনুষ্ঠানে ইউক্রেন, সুইডেন এবং ডব্লিউএফপি-এর প্রতিনিধিরা রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে আন্তর্জাতিক মহলের মনোযোগ বজায় রাখার এবং সহায়তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান। বর্তমানে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ডব্লিউএফপি-এর কার্যক্রমে ১৭২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার তহবিলের ঘাটতি রয়েছে। এই ঘাটতির কারণে ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসেই খাদ্য সরবরাহ ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

কক্সবাজারে আশ্রিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক সহায়তার জন্য ‘গ্রেইন ফ্রম ইউক্রেন’ উদ্যোগের অধীনে ৩ হাজার টন সূর্যমুখী তেল আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে। গত ৩ ডিসেম্বর কক্সবাজারের মধুরছড়ায় বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)-এর লজিস্টিকস হাবে এই হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ, সুইডেন এবং ইউক্রেন সরকারের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) প্রতিনিধিরাও অংশ নেন।
ইউক্রেন সরকারের ২০২২ সালে চালু করা ‘গ্রেইন ফ্রম ইউক্রেন’ উদ্যোগের লক্ষ্য হলো আন্তর্জাতিক মানবিক সংকটে ইউক্রেনীয় খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ করা। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য দেওয়া এই সূর্যমুখী তেল ইউক্রেনেই উৎপাদিত হয়েছে। এই তেলের সংগ্রহ ও পরিবহন বাবদ মোট ৭ মিলিয়ন (৭০ লাখ) মার্কিন ডলার ব্যয় হয়েছে, যা সম্পূর্ণরূপে সুইডেন সরকার বহন করেছে।
অনুষ্ঠানের পর প্রতিনিধিদল খাদ্য বিতরণ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। সেখানে রোহিঙ্গা পরিবারগুলোকে ডব্লিউএফপি-এর ই-ভাউচার পদ্ধতির মাধ্যমে সূর্যমুখী তেল ও অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। এই সিস্টেমে প্রতিটি রোহিঙ্গা পরিবারকে মাসিক মাথাপিছু ১২ মার্কিন ডলার বরাদ্দ দেওয়া হয়, যা দিয়ে তাঁরা প্রয়োজনীয় খাদ্য, তাজা সবজি, মাছ ও মুরগি কিনতে পারেন। স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে পণ্য কেনার এই ব্যবস্থাটি স্থানীয় অর্থনীতিকেও সমর্থন জোগায়।
অনুষ্ঠানে ইউক্রেন, সুইডেন এবং ডব্লিউএফপি-এর প্রতিনিধিরা রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে আন্তর্জাতিক মহলের মনোযোগ বজায় রাখার এবং সহায়তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান। বর্তমানে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ডব্লিউএফপি-এর কার্যক্রমে ১৭২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার তহবিলের ঘাটতি রয়েছে। এই ঘাটতির কারণে ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসেই খাদ্য সরবরাহ ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। সব দল কমিশনের প্রস্তাবিত নীতির সঙ্গে একমত হলেও বেঁকে বসেছে বামপন্থী দলগুলো।
২৭ জুলাই ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে ভোট দেওয়ার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭৪ জন প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
স্বাধীনতা ঘোষণা করে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়া বাংলাদেশকে একই দিন স্বীকৃতি দিয়েছিল ভুটান ও ভারত। দিনটি ছিল ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর। যুদ্ধের শেষ দিকে বাংলাদেশের বিজয় ক্রমেই নিশ্চিত হয়ে আসায় এই স্বীকৃতি এসেছিল। আবার একই দিন শত্রুসেনামুক্ত হয়েছিল দেশের সীমান্তবর্তী দুই জেলা যশোর ও ফেনী।
৭ ঘণ্টা আগে
শুক্রবার সন্ধ্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরের আইসিপিতে আনুষ্ঠানিক পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে সোনালী খাতুন এবং তার আট বছরের সন্তান মো. সাব্বির শেখকে সুস্থ ও নিরাপদ অবস্থায় বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
১২ ঘণ্টা আগেশত্রুমুক্ত তিনটি জেলা
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা, যশোর, কুড়িগ্রাম ও ফেনী প্রতিনিধি

স্বাধীনতা ঘোষণা করে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়া বাংলাদেশকে একই দিন স্বীকৃতি দিয়েছিল ভুটান ও ভারত। দিনটি ছিল ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর। যুদ্ধের শেষ দিকে বাংলাদেশের বিজয় ক্রমেই নিশ্চিত হয়ে আসায় এই স্বীকৃতি এসেছিল। আবার একই দিন শত্রুসেনামুক্ত হয়েছিল দেশের সীমান্তবর্তী দুই জেলা যশোর ও ফেনী।
বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের কাছে ভুটানের তৎকালীন রাজা স্বীকৃতি দিয়ে পাঠিয়েছিলেন এক ঐতিহাসিক বার্তা।
ভুটান ও ভারতের মধ্যে কোন দেশ প্রথম স্বীকৃতি দিয়েছিল, এ নিয়ে কখনো কখনো মিডিয়ার খবরের সূত্রে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। ভারত ও ভুটান যথাক্রমে ৬ ও ৭ ডিসেম্বর স্বীকৃতি দিয়েছে—মিডিয়ার একাংশের এমন খবরের পর একবার বিতর্ক ছড়ায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এই ঐতিহাসিক সত্য নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই...। ১৯৭১ সালে ভুটান প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। ৬ ডিসেম্বর একটি ওয়্যারলেস বার্তার মাধ্যমে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল।...আমাদের ইতিহাসে রয়েছে যে এমনকি বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের আগেই ভুটান প্রথম স্বীকৃতি দিয়েছে। ভারত ও ভুটান উভয়ই ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু প্রথমে দিয়েছে ভুটান।’
অর্থাৎ দুই প্রতিবেশীর স্বীকৃতি এসেছিল মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে।
সচিব জানিয়েছিলেন, স্বীকৃতির বার্তায় ভুটানের তখনকার রাজা জিগমে দর্জি ওয়াংচুক বাংলাদেশের জনগণের সাফল্য কামনা করেন এবং স্বাধীনতা-যুদ্ধের নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের নিরাপত্তার জন্য প্রার্থনা করেন।’
ভুটান সরকার ২০১৪ সালে বাংলাদেশের কাছে সেই ওয়্যারলেস বার্তার একটি টেক্সট হস্তান্তর করেছিল।
এই দিনেই শত্রুমুক্ত যশোর ও ফেনী
একাত্তরের ৬ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে ফেনী ও যশোরে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা ওড়ান।
৬ তারিখ দুপুরের পরপরই যশোর সেনানিবাস ছেড়ে পালিয়ে যায় পাকিস্তানি সেনারা। শত্রুমুক্ত হয় যশোর জেলা। শহরে ওড়ে বিজয়ী বাংলাদেশের পতাকাখচিত প্রথম পতাকা।
যশোরের বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল আলম জানান, ১৯৭১ সালের ৩ থেকে ৫ ডিসেম্বর যশোর অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রচণ্ড যুদ্ধ হয়। এ সময় সহায়তাকারী ভারতের মিত্রবাহিনীও সীমান্ত এলাকা থেকে যশোর সেনানিবাসসহ পাকিস্তানি সেনা স্থাপনায় বিমান হামলা ও গোলা নিক্ষেপ করে। একপর্যায়ে পর্যুদস্ত হয়ে পাকিস্তানি বাহিনী ৫ ডিসেম্বর থেকে পালানো শুরু করে। যশোর সেনানিবাস ছেড়ে তারা খুলনার গিলাতলা সেনানিবাসের দিকে পালিয়ে যেতে থাকে। এ সময় ৫ ও ৬ ডিসেম্বর শহরতলির রাজারহাটসহ বিভিন্ন স্থানে মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে তাদের প্রচণ্ড লড়াই হয়। ৬ ডিসেম্বর বিকেলে মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনী সেনানিবাসে প্রবেশ করে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মুক্তির আনন্দে উচ্ছ্বসিত মুক্তিযোদ্ধা-জনতার ঢল নামে শহরে। মুক্তির আনন্দে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে ফেটে পড়ে গোটা জেলার মানুষ।
ঐতিহাসিক যশোর মুক্ত দিবস উপলক্ষে যশোর জেলা প্রশাসন আজ শনিবার বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে। সকাল ১০টায় ঐতিহাসিক টাউন হল ময়দানে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন জেলা প্রশাসক মো. আশেক হাসান।
৬ ডিসেম্বর কুড়িগ্রামও হানাদার মুক্ত হয়। এই দিনে বীর প্রতীক আব্দুল হাই সরকারের নেতৃত্বে ৩৩৫ জন মুক্তিযোদ্ধার একটি দল বিকেল ৪টায় কুড়িগ্রাম শহরে প্রথম প্রবেশ করে। এরপর তারা নতুন শহরের পানির ট্যাংকের ওপরে (বর্তমান সদর থানার উত্তরে অবস্থিত) স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে চারদিকে ছড়িয়ে দেয় বিজয়বার্তা। বিজয়ী মুক্তিযোদ্ধাদের স্বাগত জানাতে হাজারো মুক্তিকামী মানুষ রাস্তায় নেমে আসে।
মুক্তিযুদ্ধে অর্ধশতাধিক অভিযানে অংশ নেওয়া আব্দুল হাই সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন এখনো পূরণ হয়নি। আমরা যুদ্ধ করেছি জাতির মুক্তির আশায়; প্রজাতন্ত্র, গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদের জন্য।...মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি নেই। সবাই শুধু ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আন্দোলন করছে।’
দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কুড়িগ্রাম জেলা ও সদর উপজেলা ইউনিট কমান্ড, জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ, প্রীতিলতা ব্রিগেডসহ কয়েকটি সংগঠন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। আজ জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশের সহযোগিতায় মুক্তিযোদ্ধাদের অংশগ্রহণে বিজয় র্যালি করে শহরের কলেজ মোড়ের বিজয়স্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে।
১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সেনাদের কবল থেকে মুক্ত হয়েছিল আরেক জেলা ফেনী। পাকিস্তানি সেনারা প্রথম আত্মসমর্পণ করেছিল সীমান্তের বিলোনিয়ায়।
৬ ডিসেম্বর ভোর থেকে সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধারা সাব-সেক্টর কমান্ডার ক্যাপ্টেন জাফর ইমামের নেতৃত্বে ফেনী শহরে প্রবেশ করতে থাকেন। পরে শহরের রাজাঝির দীঘিরপাড়ে ডাকবাংলোর সামনে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা-জনতার ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে কেঁপে ওঠে শহর। পরাজয় নিশ্চিত জেনে পাকিস্তানি বাহিনী আর তাদের দোসর রাজাকার, আলবদর, আলশামস সদস্যরা ফেনীর বিভিন্ন অঞ্চল থেকে চট্টগ্রামের দিকে পালিয়ে যান।
স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস, এখনো তরুণ প্রজন্ম চাইলে এ দেশকে মুক্তিযুদ্ধের কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। এজন্য সবার আগে দেশপ্রেমকে প্রাধান্য দিতে হবে।’
ফেনীমুক্ত দিবস সম্পর্কে বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন ভিপি বলেন, ‘ডিসেম্বরের শুরু থেকে গেরিলা যুদ্ধ করতে করতে আমরা পাঁচগাছিয়া এলাকার কাছাকাছি চলে আসি। ৫ ডিসেম্বর আমরা ঠিক ফেনীর কাছাকাছি যখন আসি, তখন পাকিস্তানি সেনারা রণেভঙ্গ দিয়ে শেষ রাতের দিকে শুভপুর ও বারইয়ারহাট হয়ে চট্টগ্রামের দিকে পালিয়ে যায়।
ঐতিহাসিক এদিনটি উপলক্ষে আজ ফেনীতে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবারের সদস্য, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ এতে অংশ নিয়ে স্মরণ করবেন বিজয়ের সেই স্মরণীয় মুহূর্তকে।

স্বাধীনতা ঘোষণা করে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়া বাংলাদেশকে একই দিন স্বীকৃতি দিয়েছিল ভুটান ও ভারত। দিনটি ছিল ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর। যুদ্ধের শেষ দিকে বাংলাদেশের বিজয় ক্রমেই নিশ্চিত হয়ে আসায় এই স্বীকৃতি এসেছিল। আবার একই দিন শত্রুসেনামুক্ত হয়েছিল দেশের সীমান্তবর্তী দুই জেলা যশোর ও ফেনী।
বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের কাছে ভুটানের তৎকালীন রাজা স্বীকৃতি দিয়ে পাঠিয়েছিলেন এক ঐতিহাসিক বার্তা।
ভুটান ও ভারতের মধ্যে কোন দেশ প্রথম স্বীকৃতি দিয়েছিল, এ নিয়ে কখনো কখনো মিডিয়ার খবরের সূত্রে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। ভারত ও ভুটান যথাক্রমে ৬ ও ৭ ডিসেম্বর স্বীকৃতি দিয়েছে—মিডিয়ার একাংশের এমন খবরের পর একবার বিতর্ক ছড়ায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এই ঐতিহাসিক সত্য নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই...। ১৯৭১ সালে ভুটান প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। ৬ ডিসেম্বর একটি ওয়্যারলেস বার্তার মাধ্যমে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল।...আমাদের ইতিহাসে রয়েছে যে এমনকি বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের আগেই ভুটান প্রথম স্বীকৃতি দিয়েছে। ভারত ও ভুটান উভয়ই ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু প্রথমে দিয়েছে ভুটান।’
অর্থাৎ দুই প্রতিবেশীর স্বীকৃতি এসেছিল মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে।
সচিব জানিয়েছিলেন, স্বীকৃতির বার্তায় ভুটানের তখনকার রাজা জিগমে দর্জি ওয়াংচুক বাংলাদেশের জনগণের সাফল্য কামনা করেন এবং স্বাধীনতা-যুদ্ধের নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের নিরাপত্তার জন্য প্রার্থনা করেন।’
ভুটান সরকার ২০১৪ সালে বাংলাদেশের কাছে সেই ওয়্যারলেস বার্তার একটি টেক্সট হস্তান্তর করেছিল।
এই দিনেই শত্রুমুক্ত যশোর ও ফেনী
একাত্তরের ৬ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে ফেনী ও যশোরে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা ওড়ান।
৬ তারিখ দুপুরের পরপরই যশোর সেনানিবাস ছেড়ে পালিয়ে যায় পাকিস্তানি সেনারা। শত্রুমুক্ত হয় যশোর জেলা। শহরে ওড়ে বিজয়ী বাংলাদেশের পতাকাখচিত প্রথম পতাকা।
যশোরের বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল আলম জানান, ১৯৭১ সালের ৩ থেকে ৫ ডিসেম্বর যশোর অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রচণ্ড যুদ্ধ হয়। এ সময় সহায়তাকারী ভারতের মিত্রবাহিনীও সীমান্ত এলাকা থেকে যশোর সেনানিবাসসহ পাকিস্তানি সেনা স্থাপনায় বিমান হামলা ও গোলা নিক্ষেপ করে। একপর্যায়ে পর্যুদস্ত হয়ে পাকিস্তানি বাহিনী ৫ ডিসেম্বর থেকে পালানো শুরু করে। যশোর সেনানিবাস ছেড়ে তারা খুলনার গিলাতলা সেনানিবাসের দিকে পালিয়ে যেতে থাকে। এ সময় ৫ ও ৬ ডিসেম্বর শহরতলির রাজারহাটসহ বিভিন্ন স্থানে মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে তাদের প্রচণ্ড লড়াই হয়। ৬ ডিসেম্বর বিকেলে মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনী সেনানিবাসে প্রবেশ করে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মুক্তির আনন্দে উচ্ছ্বসিত মুক্তিযোদ্ধা-জনতার ঢল নামে শহরে। মুক্তির আনন্দে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে ফেটে পড়ে গোটা জেলার মানুষ।
ঐতিহাসিক যশোর মুক্ত দিবস উপলক্ষে যশোর জেলা প্রশাসন আজ শনিবার বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে। সকাল ১০টায় ঐতিহাসিক টাউন হল ময়দানে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন জেলা প্রশাসক মো. আশেক হাসান।
৬ ডিসেম্বর কুড়িগ্রামও হানাদার মুক্ত হয়। এই দিনে বীর প্রতীক আব্দুল হাই সরকারের নেতৃত্বে ৩৩৫ জন মুক্তিযোদ্ধার একটি দল বিকেল ৪টায় কুড়িগ্রাম শহরে প্রথম প্রবেশ করে। এরপর তারা নতুন শহরের পানির ট্যাংকের ওপরে (বর্তমান সদর থানার উত্তরে অবস্থিত) স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে চারদিকে ছড়িয়ে দেয় বিজয়বার্তা। বিজয়ী মুক্তিযোদ্ধাদের স্বাগত জানাতে হাজারো মুক্তিকামী মানুষ রাস্তায় নেমে আসে।
মুক্তিযুদ্ধে অর্ধশতাধিক অভিযানে অংশ নেওয়া আব্দুল হাই সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন এখনো পূরণ হয়নি। আমরা যুদ্ধ করেছি জাতির মুক্তির আশায়; প্রজাতন্ত্র, গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদের জন্য।...মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি নেই। সবাই শুধু ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আন্দোলন করছে।’
দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কুড়িগ্রাম জেলা ও সদর উপজেলা ইউনিট কমান্ড, জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ, প্রীতিলতা ব্রিগেডসহ কয়েকটি সংগঠন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। আজ জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশের সহযোগিতায় মুক্তিযোদ্ধাদের অংশগ্রহণে বিজয় র্যালি করে শহরের কলেজ মোড়ের বিজয়স্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে।
১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সেনাদের কবল থেকে মুক্ত হয়েছিল আরেক জেলা ফেনী। পাকিস্তানি সেনারা প্রথম আত্মসমর্পণ করেছিল সীমান্তের বিলোনিয়ায়।
৬ ডিসেম্বর ভোর থেকে সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধারা সাব-সেক্টর কমান্ডার ক্যাপ্টেন জাফর ইমামের নেতৃত্বে ফেনী শহরে প্রবেশ করতে থাকেন। পরে শহরের রাজাঝির দীঘিরপাড়ে ডাকবাংলোর সামনে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা-জনতার ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে কেঁপে ওঠে শহর। পরাজয় নিশ্চিত জেনে পাকিস্তানি বাহিনী আর তাদের দোসর রাজাকার, আলবদর, আলশামস সদস্যরা ফেনীর বিভিন্ন অঞ্চল থেকে চট্টগ্রামের দিকে পালিয়ে যান।
স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস, এখনো তরুণ প্রজন্ম চাইলে এ দেশকে মুক্তিযুদ্ধের কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। এজন্য সবার আগে দেশপ্রেমকে প্রাধান্য দিতে হবে।’
ফেনীমুক্ত দিবস সম্পর্কে বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন ভিপি বলেন, ‘ডিসেম্বরের শুরু থেকে গেরিলা যুদ্ধ করতে করতে আমরা পাঁচগাছিয়া এলাকার কাছাকাছি চলে আসি। ৫ ডিসেম্বর আমরা ঠিক ফেনীর কাছাকাছি যখন আসি, তখন পাকিস্তানি সেনারা রণেভঙ্গ দিয়ে শেষ রাতের দিকে শুভপুর ও বারইয়ারহাট হয়ে চট্টগ্রামের দিকে পালিয়ে যায়।
ঐতিহাসিক এদিনটি উপলক্ষে আজ ফেনীতে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবারের সদস্য, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ এতে অংশ নিয়ে স্মরণ করবেন বিজয়ের সেই স্মরণীয় মুহূর্তকে।

রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। সব দল কমিশনের প্রস্তাবিত নীতির সঙ্গে একমত হলেও বেঁকে বসেছে বামপন্থী দলগুলো।
২৭ জুলাই ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে ভোট দেওয়ার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭৪ জন প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজারে আশ্রিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক সহায়তার জন্য ‘গ্রেইন ফ্রম ইউক্রেন’ উদ্যোগের অধীনে ৩ হাজার টন সূর্যমুখী তেল আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে। গত ৩ ডিসেম্বর কক্সবাজারের মধুরছড়ায় বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)-এর লজিস্টিকস হাবে এই হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
শুক্রবার সন্ধ্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরের আইসিপিতে আনুষ্ঠানিক পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে সোনালী খাতুন এবং তার আট বছরের সন্তান মো. সাব্বির শেখকে সুস্থ ও নিরাপদ অবস্থায় বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভারতীয় হাইকমিশনের অনুরোধ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পর কূটনৈতিক যোগাযোগের ভিত্তিতে অমানবিক পুশইনের শিকার অন্তঃসত্ত্বা ভারতীয় নারী সোনালী খাতুনকে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। মানবিক ঝুঁকি ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
শুক্রবার সন্ধ্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরের আইসিপিতে আনুষ্ঠানিক পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে সোনালী খাতুন এবং তার আট বছরের সন্তান মো. সাব্বির শেখকে সুস্থ ও নিরাপদ অবস্থায় বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ সময় মহানন্দা ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া উপস্থিত ছিলেন।
বিজিবি সদরদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হস্তান্তর শেষে লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া সাংবাদিকদের বলেন, বিএসএফের এই অমানবিক পুশইন কার্যক্রম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ড ও দ্বিপাক্ষিক সীমান্ত ব্যবস্থাপনা চুক্তির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। দীর্ঘদিন ধরে এসব কর্মকাণ্ড সীমান্ত এলাকায় মানবিক সংকট তৈরি করছে এবং দুই দেশের সৌহার্দ্যপূর্ণ সীমান্ত ব্যবস্থাপনার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বিজিবি মানবিক মূল্যবোধ, আন্তর্জাতিক আইন ও শুভ প্রতিবেশীসুলভ সম্পর্কের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সম্পূর্ণ স্বচ্ছ, নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণভাবে হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। বিশেষ করে অন্তঃসত্ত্বা নারী ও শিশুর নিরাপত্তা এবং চিকিৎসাগত ঝুঁকি বিবেচনায় বিজিবির এই উদ্যোগ দায়িত্বশীলতার এক উদাহরণ।
বিজিবি আশা প্রকাশ করেছে, পুশইনসহ এ ধরনের আন্তর্জাতিক আইনবিরোধী ও অমানবিক কর্মকাণ্ড বিএসএফ ভবিষ্যতে বন্ধ করবে এবং সীমান্তে মানবিক, আইনসঙ্গত ও সৌহার্দ্যপূর্ণ প্রক্রিয়া বজায় রাখবে।

ভারতীয় হাইকমিশনের অনুরোধ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পর কূটনৈতিক যোগাযোগের ভিত্তিতে অমানবিক পুশইনের শিকার অন্তঃসত্ত্বা ভারতীয় নারী সোনালী খাতুনকে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। মানবিক ঝুঁকি ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
শুক্রবার সন্ধ্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরের আইসিপিতে আনুষ্ঠানিক পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে সোনালী খাতুন এবং তার আট বছরের সন্তান মো. সাব্বির শেখকে সুস্থ ও নিরাপদ অবস্থায় বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ সময় মহানন্দা ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া উপস্থিত ছিলেন।
বিজিবি সদরদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হস্তান্তর শেষে লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া সাংবাদিকদের বলেন, বিএসএফের এই অমানবিক পুশইন কার্যক্রম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ড ও দ্বিপাক্ষিক সীমান্ত ব্যবস্থাপনা চুক্তির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। দীর্ঘদিন ধরে এসব কর্মকাণ্ড সীমান্ত এলাকায় মানবিক সংকট তৈরি করছে এবং দুই দেশের সৌহার্দ্যপূর্ণ সীমান্ত ব্যবস্থাপনার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বিজিবি মানবিক মূল্যবোধ, আন্তর্জাতিক আইন ও শুভ প্রতিবেশীসুলভ সম্পর্কের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সম্পূর্ণ স্বচ্ছ, নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণভাবে হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। বিশেষ করে অন্তঃসত্ত্বা নারী ও শিশুর নিরাপত্তা এবং চিকিৎসাগত ঝুঁকি বিবেচনায় বিজিবির এই উদ্যোগ দায়িত্বশীলতার এক উদাহরণ।
বিজিবি আশা প্রকাশ করেছে, পুশইনসহ এ ধরনের আন্তর্জাতিক আইনবিরোধী ও অমানবিক কর্মকাণ্ড বিএসএফ ভবিষ্যতে বন্ধ করবে এবং সীমান্তে মানবিক, আইনসঙ্গত ও সৌহার্দ্যপূর্ণ প্রক্রিয়া বজায় রাখবে।

রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। সব দল কমিশনের প্রস্তাবিত নীতির সঙ্গে একমত হলেও বেঁকে বসেছে বামপন্থী দলগুলো।
২৭ জুলাই ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে ভোট দেওয়ার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭৪ জন প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজারে আশ্রিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক সহায়তার জন্য ‘গ্রেইন ফ্রম ইউক্রেন’ উদ্যোগের অধীনে ৩ হাজার টন সূর্যমুখী তেল আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে। গত ৩ ডিসেম্বর কক্সবাজারের মধুরছড়ায় বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)-এর লজিস্টিকস হাবে এই হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
স্বাধীনতা ঘোষণা করে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়া বাংলাদেশকে একই দিন স্বীকৃতি দিয়েছিল ভুটান ও ভারত। দিনটি ছিল ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর। যুদ্ধের শেষ দিকে বাংলাদেশের বিজয় ক্রমেই নিশ্চিত হয়ে আসায় এই স্বীকৃতি এসেছিল। আবার একই দিন শত্রুসেনামুক্ত হয়েছিল দেশের সীমান্তবর্তী দুই জেলা যশোর ও ফেনী।
৭ ঘণ্টা আগে