বিমানবাহিনীর প্রাথমিক প্রতিবেদন
শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিধ্বস্ত হওয়ার আগে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমানটি মাত্র সাত মিনিট উড়েছিল। ২১ জুলাই বেলা ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়নের পর যুদ্ধবিমানটি ১টা ১৩ মিনিটে উত্তরার দিয়াবাড়িতে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একটি একাডেমিক ভবনে আছড়ে পড়ে।
ওই দুর্ঘটনার পরদিন (২২ জুলাই) বিমানবাহিনীর বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো প্রাথমিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য রয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগমুহূর্তে পাইলটকে বারবার বিমান থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বের হয়ে (ইজেক্ট) যেতে কল দেওয়া হয়েছিল। সেই প্রক্রিয়ার চেষ্টার মধ্যেই বিধ্বস্ত হয় বিমানটি। আঘাতের পর মারাত্মক জখমের কারণে মৃত্যু হয় পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলামের। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব জানা গেছে।
ওই যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় গতকাল রোববার পর্যন্ত মারা গেছেন পাইলট তৌকিরসহ ৩৪ জন। নিহতদের অধিকাংশই শিশু। তারা মাইলস্টোন স্কুলের শিক্ষার্থী।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিমানবাহিনীর ৩৫ স্কোয়াড্রনের ঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করা এফটি/৭ বিজিওয়ান মডেলের প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানটি নিয়ে তৌকিরের সলো মিশন ছিল সর্বোচ্চ ২০ মিনিটের। কিন্তু উড্ডয়নের মাত্র সাত মিনিটেই ঘটে বিপর্যয়।
বিমানবাহিনীর সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রে জানা যায়, রানওয়ে থেকে উড্ডয়নের পর যুদ্ধবিমানটির তিনটি চক্কর দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। প্রথম ও দ্বিতীয় রাউন্ড শেষে তৃতীয় রাউন্ডে রানওয়ে-১৪-এর দিকে ঘুরে আসার সময় পাইলটের অবস্থানে অস্বাভাবিকতা লক্ষ করেন তাঁর কমান্ডিং অফিসার। বিমান হঠাৎ নিচে নেমে আসতে থাকে। ওই সময় থেকে বারবার উচ্চতা খেয়াল রাখতে বলা হলেও পাইলট কোনো জবাব দেননি। অবস্থা বেগতিক দেখে কমান্ডিং অফিসার একাধিকবার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বের হয়ে (ইজেক্ট) আসতে কল দেন; কিন্তু কোনো জবাব আসেনি। এরপরই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
উদ্ধারকারীরা জানান, বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার এক ঘণ্টা পর পাইলট তৌকিরকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তিনি তখনো জীবিত ছিলেন। তবে প্যারাস্যুট খোলার আগেই নিচে পড়ায় দেহে গুরুতর অভ্যন্তরীণ আঘাত পান। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত বাঁচানো সম্ভব হয়নি। বিমানবাহিনীর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মনে করেন, পাইলট ‘ইজেক্ট’ করার চেষ্টা করছিলেন এবং বিমানটি জনবহুল এলাকা এড়িয়ে নিরাপদ স্থানে নামানোর সর্বাত্মক চেষ্টায় ছিলেন।
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট মো. মকবুল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, পাইলটকে উদ্ধার করে কলেজের মেডিকেল কক্ষে নেওয়া হয়। তাঁর নাড়ির গতি ও রক্তচাপ পাওয়া গিয়েছিল। মুখে রক্ত ছিল। তবে বাইরের দিকে কোনো বড় আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি।
২২ জুলাই পর্যন্ত বিমানবাহিনীর প্রাথমিক হিসাবে ওই দুর্ঘটনায় ২০ জন নিহত এবং ১৭১ জন আহত হওয়ার তথ্য জানানো হয়েছিল। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায়, গতকাল পর্যন্ত ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১৭ জন, ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ১৪ জন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজন, উত্তরার লুবানা জেনারেল হাসপাতালে একজন ও ইউনাইটেড হাসপাতালে একজন মারা যায়। লুবানা হাসপাতালে মারা যাওয়া ব্যক্তির পরিচয় তখনো জানা যায়নি।
বিমানবাহিনীর সাবেক সহকারী প্রধান ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সাবেক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) এম সানাউল হক একটি গণমাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘পাইলটের জবাব না দেওয়া অস্বাভাবিক নয়। তিনি হয়তো ব্যস্ত ছিলেন বিমান নিয়ন্ত্রণে। আমার নিজের সঙ্গেও এমন ঘটনা ঘটেছে। প্লেন যখন ক্র্যাশের মুখে, তখন পাইলটের প্রধান কাজ হয় সেটি স্থিতিশীল করা, জবাব দেওয়া নয়। এই দুর্ঘটনায় আমি কোনো গাফিলতি দেখি না।’ তিনি মনে করেন, যান্ত্রিক ত্রুটিই এই দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ। অনেকে যান্ত্রিক ত্রুটি এবং বিমানটির বয়স নিয়ে প্রশ্ন তুললেও তদন্তের আগপর্যন্ত নির্দিষ্ট করে কিছু বলার সুযোগ নেই।
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিধ্বস্ত হওয়ার আগে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমানটি মাত্র সাত মিনিট উড়েছিল। ২১ জুলাই বেলা ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়নের পর যুদ্ধবিমানটি ১টা ১৩ মিনিটে উত্তরার দিয়াবাড়িতে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একটি একাডেমিক ভবনে আছড়ে পড়ে।
ওই দুর্ঘটনার পরদিন (২২ জুলাই) বিমানবাহিনীর বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো প্রাথমিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য রয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগমুহূর্তে পাইলটকে বারবার বিমান থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বের হয়ে (ইজেক্ট) যেতে কল দেওয়া হয়েছিল। সেই প্রক্রিয়ার চেষ্টার মধ্যেই বিধ্বস্ত হয় বিমানটি। আঘাতের পর মারাত্মক জখমের কারণে মৃত্যু হয় পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলামের। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব জানা গেছে।
ওই যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় গতকাল রোববার পর্যন্ত মারা গেছেন পাইলট তৌকিরসহ ৩৪ জন। নিহতদের অধিকাংশই শিশু। তারা মাইলস্টোন স্কুলের শিক্ষার্থী।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিমানবাহিনীর ৩৫ স্কোয়াড্রনের ঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করা এফটি/৭ বিজিওয়ান মডেলের প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানটি নিয়ে তৌকিরের সলো মিশন ছিল সর্বোচ্চ ২০ মিনিটের। কিন্তু উড্ডয়নের মাত্র সাত মিনিটেই ঘটে বিপর্যয়।
বিমানবাহিনীর সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রে জানা যায়, রানওয়ে থেকে উড্ডয়নের পর যুদ্ধবিমানটির তিনটি চক্কর দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। প্রথম ও দ্বিতীয় রাউন্ড শেষে তৃতীয় রাউন্ডে রানওয়ে-১৪-এর দিকে ঘুরে আসার সময় পাইলটের অবস্থানে অস্বাভাবিকতা লক্ষ করেন তাঁর কমান্ডিং অফিসার। বিমান হঠাৎ নিচে নেমে আসতে থাকে। ওই সময় থেকে বারবার উচ্চতা খেয়াল রাখতে বলা হলেও পাইলট কোনো জবাব দেননি। অবস্থা বেগতিক দেখে কমান্ডিং অফিসার একাধিকবার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বের হয়ে (ইজেক্ট) আসতে কল দেন; কিন্তু কোনো জবাব আসেনি। এরপরই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
উদ্ধারকারীরা জানান, বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার এক ঘণ্টা পর পাইলট তৌকিরকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তিনি তখনো জীবিত ছিলেন। তবে প্যারাস্যুট খোলার আগেই নিচে পড়ায় দেহে গুরুতর অভ্যন্তরীণ আঘাত পান। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত বাঁচানো সম্ভব হয়নি। বিমানবাহিনীর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মনে করেন, পাইলট ‘ইজেক্ট’ করার চেষ্টা করছিলেন এবং বিমানটি জনবহুল এলাকা এড়িয়ে নিরাপদ স্থানে নামানোর সর্বাত্মক চেষ্টায় ছিলেন।
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট মো. মকবুল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, পাইলটকে উদ্ধার করে কলেজের মেডিকেল কক্ষে নেওয়া হয়। তাঁর নাড়ির গতি ও রক্তচাপ পাওয়া গিয়েছিল। মুখে রক্ত ছিল। তবে বাইরের দিকে কোনো বড় আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি।
২২ জুলাই পর্যন্ত বিমানবাহিনীর প্রাথমিক হিসাবে ওই দুর্ঘটনায় ২০ জন নিহত এবং ১৭১ জন আহত হওয়ার তথ্য জানানো হয়েছিল। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায়, গতকাল পর্যন্ত ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১৭ জন, ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ১৪ জন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজন, উত্তরার লুবানা জেনারেল হাসপাতালে একজন ও ইউনাইটেড হাসপাতালে একজন মারা যায়। লুবানা হাসপাতালে মারা যাওয়া ব্যক্তির পরিচয় তখনো জানা যায়নি।
বিমানবাহিনীর সাবেক সহকারী প্রধান ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সাবেক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) এম সানাউল হক একটি গণমাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘পাইলটের জবাব না দেওয়া অস্বাভাবিক নয়। তিনি হয়তো ব্যস্ত ছিলেন বিমান নিয়ন্ত্রণে। আমার নিজের সঙ্গেও এমন ঘটনা ঘটেছে। প্লেন যখন ক্র্যাশের মুখে, তখন পাইলটের প্রধান কাজ হয় সেটি স্থিতিশীল করা, জবাব দেওয়া নয়। এই দুর্ঘটনায় আমি কোনো গাফিলতি দেখি না।’ তিনি মনে করেন, যান্ত্রিক ত্রুটিই এই দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ। অনেকে যান্ত্রিক ত্রুটি এবং বিমানটির বয়স নিয়ে প্রশ্ন তুললেও তদন্তের আগপর্যন্ত নির্দিষ্ট করে কিছু বলার সুযোগ নেই।
রাকসু নির্বাচনের চারটি কেন্দ্রের ফলাফলে এগিয়ে আছেন ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের ভিপি ও এজিএস প্রার্থীরা। আর জিএস পদে এগিয়ে আছেন আধিপত্যবিরোধী ঐক্য প্যানেলের প্রার্থী সালাউদ্দিন আম্মার। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক।
১৮ মিনিট আগেচট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (সিইপিজেড) এলাকায় কারখানার আগুন ছড়িয়ে পড়ে সাততলার পুরো ভবনটিই জ্বলছে। ১০ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুন। আগুনের তাপের কারণে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা কাছে যেতে পারছেন না। দূর থেকে পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন তাঁরা।
১৯ মিনিট আগেরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে মেয়েদের বেগম রোকেয়া হলেও ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী শেখ নূর উদ্দিন আবিরের চেয়ে তিন গুণ বেশি ভোট পেয়েছেন ছাত্রশিবির প্যানেলের প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ।
২৯ মিনিট আগেতিস্তা মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে তিস্তা নদীপারে মশাল প্রজ্বালন করেছে হাজারো মানুষ। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রংপুর বিভাগের পাঁচ জেলা কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, রংপুর ও নীলফামারীতে একযোগে এই কর্মসূচি পালন করে ‘তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটি’।
১ ঘণ্টা আগে