Ajker Patrika

তিস্তা প্রকল্পে জরিপ চলছে

জসিম উদ্দিন, নীলফামারী
আপডেট : ২৬ জুলাই ২০২১, ১৯: ৫৮
তিস্তা প্রকল্পে জরিপ চলছে

তিস্তা সেচ প্রকল্প এলাকা থেকে প্রতিবছর এক লাখ টন ধান উৎপাদন বাড়াতে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। ‘তিস্তা সেচ প্রকল্পের কমান্ড এলাকার পুনর্বাসন ও সম্প্রসারণ’ শীর্ষক এ প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এখন বাস্তবায়নে চলছে প্রকল্প এলাকায় জরিপ ও নকশা প্রণয়নের কাজ।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়–নীলফামারী, দিনাজপুর ও রংপুরের তিস্তা সেচ এলাকাজুড়ে সেচের পানি নিশ্চিত করতে প্রকল্পটি হাতে নেয় সরকার। এর মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা। চলতি বছর জুনে শুরু হয়ে তিন বছরের মধ্যে তা বাস্তবায়নের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রস্তাবে বলা হয়, প্রকল্প এলাকার ১ লাখ ৪ হাজার হেক্টর জমিতে নিরবচ্ছিন্নভাবে সেচের পানি সরবরাহ করা হবে। এতে ফসলের নিবিড়তা ২৩১ শতাংশ থেকে ২৬৮ পর্যন্ত বাড়ানোর উদ্দেশ্য রয়েছে। 

সৈয়দপুর পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী কৃষ্ণ কমল সরকার বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে চলতি জুলাইয়ে শুরু হয়েছে জরিপ ও নকশা প্রণয়নের কাজ। এতে ওই এলাকায় পরিবেশ ও ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তরের উন্নতি, জীববৈচিত্র্য রক্ষা, কর্মসংস্থান বাড়ানো এবং জনগণের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। 

নীলফামারী পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, প্রকল্পটির আওতায় ৭৬৬ কিলোমিটার সেচ খালের ‘ডাইক’ শক্তিশালী করা হবে। ৭২ কিলোমিটার সেচ পাইপ স্থাপন করা হবে। স্লোপ প্রোটেকশন দেওয়া হবে ১০ দশমিক ০৮ কিলোমিটার। বাইপাস সেচ খাল নির্মাণ করা হবে ৭ দশমিক ১৩ কিলোমিটার। ২৭টি কালভার্ট নির্মাণ, জলাধার পুনঃ: খনন ২৭০ হেক্টর এবং সাড়ে নয় কিলোমিটারের চ্যানেল পুনঃ: খনন করা হবে। এ ছাড়া ৫২ কিলোমিটার পরিদর্শন রাস্তা মেরামত, ২০টি রেগুলেটর নির্মাণ, ৮৭ হাজারের বেশি গাছ রোপণ করা হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বর্ষা মৌসুমের কারণে মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করতে আরও ২ / ৩ মাস সময় লাগতে পারে। 

উল্লেখ্য, নীলফামারী, দিনাজপুর ও রংপুরের ৫ লাখ ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে আমন মৌসুমে বৃষ্টির অভাবে খরা মোকাবিলায় সেচের লক্ষ্যে গড়ে ওঠে তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্প। এর প্রথম পর্যায়ের নির্মাণকাজ ১৯৭৯ সালে এবং ক্যানেল সিস্টেমের নির্মাণকাজ ১৯৮৪-৮৫ সালে হাতে নেওয়া হয়। ১৯৯৮ সালে শেষ হয় প্রথম পর্যায়ের কাজ। তবে নির্মাণের পর থেকে প্রধান খাল, শাখা খাল, উপ-শাখা খালগুলো সংস্কার করা হয়নি। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘তুমি ঘুমাও কীভাবে’, সৌদি যুবরাজকে নিয়ে ট্রাম্পের বিস্ময়

বিদ্যালয়ে সময় দেন না শিক্ষক, ইউএনওর কাছে অভিযোগ করায় সহকর্মীকে মারধর

কুয়েটে ক্লাস বর্জন নিয়ে শিক্ষক সমিতিতে মতবিরোধ, এক শিক্ষকের পদত্যাগ

এনবিআর বিলুপ্তির জেরে প্রায় অচল দেশের রাজস্ব কর্মকাণ্ড

দুটি নোবেলের গৌরব বোধ করতে পারে চবি: প্রধান উপদেষ্টা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত