গাইবান্ধা প্রতিনিধি
ভেঙে পড়েছে গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা ব্যবস্থা। নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, সেই সঙ্গে রোগীদের প্রয়োজনীয়ও চিকিৎসা সেবা না দেওয়া। সরবরাহ তালিকায় ওষুধ বরাদ্দ থাকলেও ওষুধ না দেওয়াসহ উঠেছে বিভিন্ন অভিযোগ। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে জেলাবাসী।
গাইবান্ধা জেলার সাত উপজেলার কয়েক লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসার ভরসাস্থল গাইবান্ধা জেলা হাসপাতাল। হাসপাতালের তথ্য বলছে প্রতিদিন আউটডোরে ৭ থেকে ৮শ ও ইনডোরে প্রায় ৩ শতাধিক মানুষকে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হচ্ছে। ভেতরে প্রবেশ করতে দেখা মিলল সিঁড়িতে ব্যবহৃত রক্তের ব্যাগ, সিরিজ। শিশু ওয়ার্ডের দরজায় চিকিৎসকের ব্যবহৃত পিপিআর। এমন চিত্র গোটা হাসপাতালের। সিঁড়িতে, বারান্দায় ও হাসপাতালের বাইরে বিছানা করে রোগীদের নিতে হচ্ছে চিকিৎসাসেবা।
নোংরা পরিবেশ ও দুর্গন্ধের মধ্যে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে রোগীদের। এতে রোগীরা আরও অসুস্থ হয়ে যাচ্ছেন, বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি। শুধু তাই নয় ভর্তির দীর্ঘ সময়ও চিকিৎসা সেবা না পাওয়া, সরবরাহ তালিকায় ওষুধ ও সার্জারি বিভাগে গজ, ব্যান্ডেজ না দিয়ে অর্থের বিনিময়ে সেলাই ব্যান্ডেজ করা। প্যাথলজি বিভাগে অতিরিক্ত অর্থ আদায়। দালালের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সঙ্গে টেস্ট বাণিজ্যসহ নানা অব্যবস্থপনা এবং দুর্ভোগের অভিযোগ তুলেছেন রোগীরা।
নাকাই ইউনিয়নের আবুল হোসেন বলেন, ‘হাসপাতালে দুই দিন হলো ভর্তি হয়েছি। ডাক্তার যে ওষুধ লিখে দিয়েছে তা হাসপাতালে নেই, বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে।’
বল্লমঝাড়ের সুমাইয়া জানান, নোংরা পরিবেশ ও দুর্গন্ধের মধ্যে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে, যেখানে সেখানে ময়লা পড়ে আছে, কিন্তু পরিষ্কার করা হয় না নিয়মিত।
গাইবান্ধা জেলা শাখার সভাপতি মো. জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, ভুল ও চিকিৎসক নার্সের অবহেলায় প্রসূতি, শিশুসহ একাধিক রোগী মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে সম্প্রতি। হাসপাতালের এমন অবস্থা নিয়ে একাধিকবার সভা সমাবেশ ও প্রতিবাদ জানিয়ে কোন লাভ হয়নি। দ্রুত হাসপাতালটিকে চিকিৎসাবান্ধব করার দাবি জানান তিনি।
গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মো. মাহফুজ হোসেন বলেন, জনবল সংকট এবং অবকাঠামোসহ বিভিন্ন সমস্যার কারণে এমন হচ্ছে। দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
ভেঙে পড়েছে গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা ব্যবস্থা। নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, সেই সঙ্গে রোগীদের প্রয়োজনীয়ও চিকিৎসা সেবা না দেওয়া। সরবরাহ তালিকায় ওষুধ বরাদ্দ থাকলেও ওষুধ না দেওয়াসহ উঠেছে বিভিন্ন অভিযোগ। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে জেলাবাসী।
গাইবান্ধা জেলার সাত উপজেলার কয়েক লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসার ভরসাস্থল গাইবান্ধা জেলা হাসপাতাল। হাসপাতালের তথ্য বলছে প্রতিদিন আউটডোরে ৭ থেকে ৮শ ও ইনডোরে প্রায় ৩ শতাধিক মানুষকে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হচ্ছে। ভেতরে প্রবেশ করতে দেখা মিলল সিঁড়িতে ব্যবহৃত রক্তের ব্যাগ, সিরিজ। শিশু ওয়ার্ডের দরজায় চিকিৎসকের ব্যবহৃত পিপিআর। এমন চিত্র গোটা হাসপাতালের। সিঁড়িতে, বারান্দায় ও হাসপাতালের বাইরে বিছানা করে রোগীদের নিতে হচ্ছে চিকিৎসাসেবা।
নোংরা পরিবেশ ও দুর্গন্ধের মধ্যে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে রোগীদের। এতে রোগীরা আরও অসুস্থ হয়ে যাচ্ছেন, বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি। শুধু তাই নয় ভর্তির দীর্ঘ সময়ও চিকিৎসা সেবা না পাওয়া, সরবরাহ তালিকায় ওষুধ ও সার্জারি বিভাগে গজ, ব্যান্ডেজ না দিয়ে অর্থের বিনিময়ে সেলাই ব্যান্ডেজ করা। প্যাথলজি বিভাগে অতিরিক্ত অর্থ আদায়। দালালের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সঙ্গে টেস্ট বাণিজ্যসহ নানা অব্যবস্থপনা এবং দুর্ভোগের অভিযোগ তুলেছেন রোগীরা।
নাকাই ইউনিয়নের আবুল হোসেন বলেন, ‘হাসপাতালে দুই দিন হলো ভর্তি হয়েছি। ডাক্তার যে ওষুধ লিখে দিয়েছে তা হাসপাতালে নেই, বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে।’
বল্লমঝাড়ের সুমাইয়া জানান, নোংরা পরিবেশ ও দুর্গন্ধের মধ্যে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে, যেখানে সেখানে ময়লা পড়ে আছে, কিন্তু পরিষ্কার করা হয় না নিয়মিত।
গাইবান্ধা জেলা শাখার সভাপতি মো. জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, ভুল ও চিকিৎসক নার্সের অবহেলায় প্রসূতি, শিশুসহ একাধিক রোগী মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে সম্প্রতি। হাসপাতালের এমন অবস্থা নিয়ে একাধিকবার সভা সমাবেশ ও প্রতিবাদ জানিয়ে কোন লাভ হয়নি। দ্রুত হাসপাতালটিকে চিকিৎসাবান্ধব করার দাবি জানান তিনি।
গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মো. মাহফুজ হোসেন বলেন, জনবল সংকট এবং অবকাঠামোসহ বিভিন্ন সমস্যার কারণে এমন হচ্ছে। দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
তখন গুলিতে রেদোয়ান হোসেন সাগরের বুকের বাম পাঁজর ও পেট ঝাঁঝরা হয়। কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করা হয় অন্তত ২০-৩০ জনকে। সন্ধ্যা থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ চলে রাত ১২টা পর্যন্ত। পুরো শহরজুড়ে নেমে আসে আতংক।
১২ মিনিট আগে২০২৫ সালের ১৪ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের নিয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরূপ মন্তব্যের পর সারাদেশে যে ছাত্রআন্দোলন গড়ে ওঠে, তার ঢেউ লাগে সাতক্ষীরাতেও। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা পুলিশের হুমকি-ধামকি উপেক্ষা করে খণ্ড খণ্ড মিছিল করতেন।
২৫ মিনিট আগেমসজিদ কমিটির সদস্য ও স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন, ইউপি সদস্য আল-আমিন বরাদ্দ পাওয়া ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন করে তা ব্যক্তিগত কাজে খরচ করেছেন। দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও তিনি টিউবওয়েল স্থাপন না করে বিভিন্ন অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করছেন।
৪২ মিনিট আগেঅপরাধবিষয়ক সাংবাদিকতার কারণে আমাকে মাঝেমধ্যে হতাহতদের বিষয়ে খোঁজ নিতে হাসপাতালে যেতে হয়। তবে জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের সময় এ কাজটি করার অভিজ্ঞতা ছিল ভিন্ন রকম। আহতদের আর্তচিৎকার এবং স্বজন বা আন্দোলনের সহকর্মীদের আহাজারির মধ্যে নিজেকে স্বাভাবিক রেখে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করতে হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে