রাসেল মাহমুদ, ঢাকা
অপরাধবিষয়ক সাংবাদিকতার কারণে আমাকে মাঝেমধ্যে হতাহতদের বিষয়ে খোঁজ নিতে হাসপাতালে যেতে হয়। তবে জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের সময় এ কাজটি করার অভিজ্ঞতা ছিল ভিন্ন রকম। আহতদের আর্তচিৎকার এবং স্বজন বা আন্দোলনের সহকর্মীদের আহাজারির মধ্যে নিজেকে স্বাভাবিক রেখে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করতে হয়েছে। ১৮ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত এই তথ্য সংগ্রহের কাজটা ছিল বেশ কঠিন।
৫ আগস্ট সকালে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর নিয়ে ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাই। গিয়ে দেখি, এরই মধ্যে কয়েকজন আহতকে নিয়ে আসা হয়েছে। জরুরি বিভাগের হিসাব অনুযায়ী সকাল ১০টা ৫২ মিনিট পর্যন্তই আন্দোলনে আহত ৪০ জনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। বেলা সাড়ে ১১টার পর রাজধানীর কাজলা এলাকা থেকে দুটি অজ্ঞাতনামা গুলিবিদ্ধ মরদেহ আনা হয়। রাজধানীর উত্তরা, মিরপুরসহ আরও কিছু এলাকা থেকেও গুলিবিদ্ধ কয়েকটি লাশ আসে।
এরই মধ্যে চানখাঁরপুল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নতুন ভবনের সামনে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। সেখানে রাকিব হোসেন (২২) নামের সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হলে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালের নতুন ভবনের সামনের গেটে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করতে থাকেন।
বেলা ২টা পর্যন্ত ১০-১২টি গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ আসে। হতাহতদের পরিবারের সদস্যদের কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের বাতাস। বেলা ২টার কিছুক্ষণ পর খবর পাওয়া যায়, সেনাপ্রধান জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে দেবেন। এই খবর পেয়ে জরুরি বিভাগের সামনেই ছয়-সাতজন তরুণ কৃতজ্ঞতায় সিজদা দিতে থাকেন। তবে সেনাপ্রধানের ভাষণের সময় পিছিয়ে যায়। আবার শুরু হয় উৎকণ্ঠা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবন্ধন নথি ও মর্গের তথ্য অনুযায়ী, ৫ আগস্ট ৪০টির বেশি মৃত্যুর তথ্য পাওয়া যায়।
অপরাধবিষয়ক সাংবাদিকতার কারণে আমাকে মাঝেমধ্যে হতাহতদের বিষয়ে খোঁজ নিতে হাসপাতালে যেতে হয়। তবে জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের সময় এ কাজটি করার অভিজ্ঞতা ছিল ভিন্ন রকম। আহতদের আর্তচিৎকার এবং স্বজন বা আন্দোলনের সহকর্মীদের আহাজারির মধ্যে নিজেকে স্বাভাবিক রেখে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করতে হয়েছে। ১৮ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত এই তথ্য সংগ্রহের কাজটা ছিল বেশ কঠিন।
৫ আগস্ট সকালে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর নিয়ে ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাই। গিয়ে দেখি, এরই মধ্যে কয়েকজন আহতকে নিয়ে আসা হয়েছে। জরুরি বিভাগের হিসাব অনুযায়ী সকাল ১০টা ৫২ মিনিট পর্যন্তই আন্দোলনে আহত ৪০ জনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। বেলা সাড়ে ১১টার পর রাজধানীর কাজলা এলাকা থেকে দুটি অজ্ঞাতনামা গুলিবিদ্ধ মরদেহ আনা হয়। রাজধানীর উত্তরা, মিরপুরসহ আরও কিছু এলাকা থেকেও গুলিবিদ্ধ কয়েকটি লাশ আসে।
এরই মধ্যে চানখাঁরপুল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নতুন ভবনের সামনে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। সেখানে রাকিব হোসেন (২২) নামের সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হলে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালের নতুন ভবনের সামনের গেটে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করতে থাকেন।
বেলা ২টা পর্যন্ত ১০-১২টি গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ আসে। হতাহতদের পরিবারের সদস্যদের কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের বাতাস। বেলা ২টার কিছুক্ষণ পর খবর পাওয়া যায়, সেনাপ্রধান জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে দেবেন। এই খবর পেয়ে জরুরি বিভাগের সামনেই ছয়-সাতজন তরুণ কৃতজ্ঞতায় সিজদা দিতে থাকেন। তবে সেনাপ্রধানের ভাষণের সময় পিছিয়ে যায়। আবার শুরু হয় উৎকণ্ঠা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবন্ধন নথি ও মর্গের তথ্য অনুযায়ী, ৫ আগস্ট ৪০টির বেশি মৃত্যুর তথ্য পাওয়া যায়।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মুমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফনের জন্য আমরা প্রস্তুত ছিলাম। কিন্তু পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাঁর ইচ্ছা ছিল যেন সাধারণভাবে দাফন করা হয়। তাই সেই অনুযায়ী দাফন সম্পন্ন হয়েছে।’
১৪ মিনিট আগেচট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে এক নারীসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার (৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় এই তথ্য জানায়। এ ছাড়া সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৯ জনের ডেঙ্গু এবং ২০ জনের চিকুনগুনিয়া শনাক্ত হয়েছে।
১৭ মিনিট আগেগত শনিবার বাড়িতে বসে নিজের অভিজ্ঞতা জানান হাসান। তিনি বলেন, ‘১৮ জুলাই ঢাকার রামপুরা ব্রিজ এলাকায় ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে প্রথম পায়ে গুলিবিদ্ধ হই। তখন ভয়ে হাসপাতালে যাইনি, একজন ডাক্তারের মাধ্যমে এক বাসায় বসে চিকিৎসা নিই। কিছুটা সুস্থ হয়ে ৫ আগস্ট আবার আন্দোলনে যাই।’
২৫ মিনিট আগেজানা গেছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর ঢাকায় ছাত্র-জনতার বিজয় মিছিলে অংশ নেন রথিন বিশ্বাস। ওই মিছিল সংসদ ভবনে প্রবেশ করলে তাঁর মাথায় কাচের একটি টুকরো ভেঙে পড়ায় গুরুতর আহত হন তিনি। আহত অবস্থায় সহযোদ্ধারা তাঁকে জাতীয় নিউরোসায়েন্স ইনস্টিটিউটে ভর্তি করেন।
২৮ মিনিট আগে