নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
এক সপ্তাহের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের বর্ধিত মাশুল নিয়ে সমস্যার সমাধান না হলে চট্টগ্রাম বন্দর বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে পোর্ট ইউজার্স ফোরাম। চট্টগ্রাম বন্দরে বিভিন্ন সেবায় ‘অযৌক্তিক ও অতিরিক্ত’ মাশুল আরোপের প্রতিবাদে শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে নগরীর নেভি কনভেনশন হলে পোর্ট ইউজার্স ফোরাম আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় এই হুঁশিয়ারি দেন ফোরামের সভাপতি আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী।
আমীর হুমায়ুন মাহমুদ বলেন, ‘আমরা আগামী এক সপ্তাহ দেখব, এ সময় প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করা হবে।’
চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক পরিচালক আমিরুল হক বলেন, ‘বন্দর ট্যারিফ বাড়াবেন—সবার সঙ্গে বসেন, কোন জায়গায় ট্যারিফ বাড়াতে হবে ঠিক করেন। স্টেকহোল্ডারদের ডাকেন। নতুন ট্যারিফ বা কোনো কারণে বন্দর বন্ধ হলে যারা এটা করেছে, তারা দায়ী থাকবে। আমরা দায়ী থাকব না।’
আমিরুল হক আরও বলেন, ‘কাস্টমস অফিসার আন্দোলন করবে, সফটওয়্যার কাজ করছে না—আপনি কি স্টোর রেন্ট বাদ দিয়েছেন? এমন সময় নতুন ট্যারিফ দিলেন যখন চিটাগাং চেম্বারে নেতৃত্ব নেই। নতুন ট্যারিফ বাস্তবায়ন হতে দেব না। বন্দরে সাধারণ একজন ট্রাক ড্রাইভার, ট্রেইলার ড্রাইভারের ৫৭ টাকার ফি ২৩০ টাকা করা হয়েছে। এটা বাটপারি নাকি জোচ্চুরি! আমার ড্রাইভার পয়সা দেবে কেন?’ একসময় এ পাস ছিল ৫০ পয়সা বলে তিনি উল্লেখ করেন।
স্বাগত বক্তব্যে পোট ইউজার্স ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ সালাম বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি। ৮৫ শতাংশ আমদানি-রপ্তানি চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে হয়। বন্দরের নতুন ট্যারিফে ব্যবসায়ীরা ইনসিকিউরড ফিল করছেন। আমি বিশ্বাস করি, আমরা সমস্বরে না বললে সমাধান হবে না।’
সালাম আরও বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর সেবাকেন্দ্র, লসে নেই। আড়াই-তিন হাজার কোটি টাকা লাভ করেছে। তাহলে চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে কেন এত কারসাজি। ট্রেইলার ধর্মঘট শুরু হয়েছে, আমাদের কনটেইনার যাবে না।’ স্টেকহোল্ডারদের দেখে বন্দরের ট্যারিফ শিডিউল পুনর্নির্ধারণ করার দাবি জানান তিনি।
বিজিএমইএর পরিচালক এম ডি এম মহিউদ্দিন বলেন, বন্দরে ট্যারিফ নিয়ে তুঘলকি কাণ্ড ঘটে গেছে। ঘর ভাড়া, দোকান ভাড়ার নীতিমালা আছে। বন্দরের নতুন ট্যারিফে ব্যবসায়ীরা প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, পরে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে মহিউদ্দিন আরও বলেন, ‘আমেরিকার ট্যারিফ নিয়ে সুখে নেই আমরা। এর মধ্যে বন্দরের ট্যারিফ বৃদ্ধি কাম্য নয়।’
শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত কনসার্ন। বন্দর কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৪৪০ শতাংশ ট্যারিফ, চার্জ বাড়িয়েছে। পোর্ট লিমিট বাড়ানোর সময় ট্যারিফ বাড়ানো হয়েছে। পাইলটিং, পোর্ট ডিউজ দিতে হচ্ছে। কস্ট বেইজড ট্যারিফ হওয়া উচিত। শিপ ওনার চার্জ বাড়িয়ে দেবে। শিল্প-বাণিজ্য ক্ষেত্রে অচলাবস্থা তৈরি হবে।’
শেষ ভরসা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস—এমন মন্তব্য করেন নজরুল ইসলাম বলেন, ট্যারিফ বাড়াতে হলে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে বাড়াতে হবে।
বন্দর ট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির সোহেল বলেন, ‘আমাদের ১২ হাজার গাড়ি আছে বন্দরে। বন্দরের উন্নতির পেছনে আমাদের কিছু ভূমিকা আছে। দুই-তিন হাজার টাকায় ট্রিপ মেরে ৫০০ টাকা আয় হয় না, আমার ওপর ৩০ হাজার টাকা আয়কর। বন্দরের নতুন ট্যারিফ শিডিউলে ৫৭ টাকার গেট পাস ২৩০ টাকা করা হয়েছে।’
চট্টগ্রাম প্রাইম মুভার ও ফ্লাটবেড ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ‘বন্দর ৫৭ টাকার পাসের ফি ২৩০ টাকা করেছে। বন্দরে চালকদের ওয়াশ রুম, ক্যানটিন নেই। আমাদের ১৫ হাজার গাড়ি, ১০ হাজার শ্রমিক। বন্দর টার্মিনাল দিচ্ছে না ১৫ বছর বলার পরও। তিন ধরনের ট্যাক্স দিই। একজন মানুষ কতবার ট্যাক্স দেবে। এটা সংস্কার করা দরকার।’
সঞ্চালক এস এম আবু তৈয়ব বলেন, ‘ট্রাম্পের ট্যারিফে পৃথিবীতে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। যে সরকার আমেরিকা গিয়ে ট্যারিফ কমায় সেই সরকার বন্দরে ট্যারিফ বাড়ায়। এতে দেশের ব্যবসায়ীরা উদ্বিগ্ন। এই ট্যারিফ অযৌক্তিক মনে করি। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’
বাফার পরিচালক অমিয় শঙ্কর বর্মণ বলেন, বন্দর ও অফডক একসঙ্গে ট্যারিফ, চার্জ বাড়িয়েছে—তা অসহনীয়। কোনো ক্ষেত্রে ২০০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।
বাংলাদেশ প্লাস্টিক গুডস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিজিএমইএ) নেতা শহীদুল্লাহ চৌধুরী বলেন, লুটপাট শুরু হয়েছে। ২০ ফুটের কনটেইনারে লোড-আনলোডে ৬০ ডলার খরচ হচ্ছে। বেসরকারি পর্যায়ে আরও বেশি লুট হচ্ছে।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাইফুল আলম বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের জন্য দুঃসংবাদ। মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা। বিদেশে ট্যারিফ কমাতে অন্তর্বর্তী সরকার সফল হয়েছে, ধন্যবাদ জানাই। বন্দর অর্থনীতির লাইফ লাইন। এটা শেষ করতে নানা ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।’
সাইফুল আলম আরও বলেন, ‘আমদানি-রপ্তানিকারকের ব্যথা আমরা জানি। ১২ টাকার ফি ১১৫ টাকা করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে যাবে। নতুন ট্যারিফ কমানো না গেলে ব্যবসায়ীদের যাওয়ার জায়গা থাকবে না। প্রতিবাদ, প্রতিরোধ করতে হবে ঐক্যবদ্ধভাবে।’ সিঅ্যান্ডএফের ১৩ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী এ খরচের বোঝা নিয়ে কাজ করতে অপারগ বলে তিনি জানান।
সভায় আরও বক্তব্য দেন সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, শিপিং এজেন্টের শাহেদ সরওয়ার, শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. পারভেজ আকতার, ডব্লিউটিসির সভাপতি মোহাম্মদ শফি, বিপণিবিতান ব্যবসায়ী সমিতির শারুদ নিজাম, টায়ার টিউব ইমপোর্টার্স ও ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের মঈনুদ্দিন আহমেদ মিন্টু, মোহাম্মদ ইয়াসিন প্রমুখ।
এক সপ্তাহের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের বর্ধিত মাশুল নিয়ে সমস্যার সমাধান না হলে চট্টগ্রাম বন্দর বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে পোর্ট ইউজার্স ফোরাম। চট্টগ্রাম বন্দরে বিভিন্ন সেবায় ‘অযৌক্তিক ও অতিরিক্ত’ মাশুল আরোপের প্রতিবাদে শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে নগরীর নেভি কনভেনশন হলে পোর্ট ইউজার্স ফোরাম আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় এই হুঁশিয়ারি দেন ফোরামের সভাপতি আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী।
আমীর হুমায়ুন মাহমুদ বলেন, ‘আমরা আগামী এক সপ্তাহ দেখব, এ সময় প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করা হবে।’
চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক পরিচালক আমিরুল হক বলেন, ‘বন্দর ট্যারিফ বাড়াবেন—সবার সঙ্গে বসেন, কোন জায়গায় ট্যারিফ বাড়াতে হবে ঠিক করেন। স্টেকহোল্ডারদের ডাকেন। নতুন ট্যারিফ বা কোনো কারণে বন্দর বন্ধ হলে যারা এটা করেছে, তারা দায়ী থাকবে। আমরা দায়ী থাকব না।’
আমিরুল হক আরও বলেন, ‘কাস্টমস অফিসার আন্দোলন করবে, সফটওয়্যার কাজ করছে না—আপনি কি স্টোর রেন্ট বাদ দিয়েছেন? এমন সময় নতুন ট্যারিফ দিলেন যখন চিটাগাং চেম্বারে নেতৃত্ব নেই। নতুন ট্যারিফ বাস্তবায়ন হতে দেব না। বন্দরে সাধারণ একজন ট্রাক ড্রাইভার, ট্রেইলার ড্রাইভারের ৫৭ টাকার ফি ২৩০ টাকা করা হয়েছে। এটা বাটপারি নাকি জোচ্চুরি! আমার ড্রাইভার পয়সা দেবে কেন?’ একসময় এ পাস ছিল ৫০ পয়সা বলে তিনি উল্লেখ করেন।
স্বাগত বক্তব্যে পোট ইউজার্স ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ সালাম বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি। ৮৫ শতাংশ আমদানি-রপ্তানি চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে হয়। বন্দরের নতুন ট্যারিফে ব্যবসায়ীরা ইনসিকিউরড ফিল করছেন। আমি বিশ্বাস করি, আমরা সমস্বরে না বললে সমাধান হবে না।’
সালাম আরও বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর সেবাকেন্দ্র, লসে নেই। আড়াই-তিন হাজার কোটি টাকা লাভ করেছে। তাহলে চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে কেন এত কারসাজি। ট্রেইলার ধর্মঘট শুরু হয়েছে, আমাদের কনটেইনার যাবে না।’ স্টেকহোল্ডারদের দেখে বন্দরের ট্যারিফ শিডিউল পুনর্নির্ধারণ করার দাবি জানান তিনি।
বিজিএমইএর পরিচালক এম ডি এম মহিউদ্দিন বলেন, বন্দরে ট্যারিফ নিয়ে তুঘলকি কাণ্ড ঘটে গেছে। ঘর ভাড়া, দোকান ভাড়ার নীতিমালা আছে। বন্দরের নতুন ট্যারিফে ব্যবসায়ীরা প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, পরে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে মহিউদ্দিন আরও বলেন, ‘আমেরিকার ট্যারিফ নিয়ে সুখে নেই আমরা। এর মধ্যে বন্দরের ট্যারিফ বৃদ্ধি কাম্য নয়।’
শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত কনসার্ন। বন্দর কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৪৪০ শতাংশ ট্যারিফ, চার্জ বাড়িয়েছে। পোর্ট লিমিট বাড়ানোর সময় ট্যারিফ বাড়ানো হয়েছে। পাইলটিং, পোর্ট ডিউজ দিতে হচ্ছে। কস্ট বেইজড ট্যারিফ হওয়া উচিত। শিপ ওনার চার্জ বাড়িয়ে দেবে। শিল্প-বাণিজ্য ক্ষেত্রে অচলাবস্থা তৈরি হবে।’
শেষ ভরসা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস—এমন মন্তব্য করেন নজরুল ইসলাম বলেন, ট্যারিফ বাড়াতে হলে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে বাড়াতে হবে।
বন্দর ট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির সোহেল বলেন, ‘আমাদের ১২ হাজার গাড়ি আছে বন্দরে। বন্দরের উন্নতির পেছনে আমাদের কিছু ভূমিকা আছে। দুই-তিন হাজার টাকায় ট্রিপ মেরে ৫০০ টাকা আয় হয় না, আমার ওপর ৩০ হাজার টাকা আয়কর। বন্দরের নতুন ট্যারিফ শিডিউলে ৫৭ টাকার গেট পাস ২৩০ টাকা করা হয়েছে।’
চট্টগ্রাম প্রাইম মুভার ও ফ্লাটবেড ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ‘বন্দর ৫৭ টাকার পাসের ফি ২৩০ টাকা করেছে। বন্দরে চালকদের ওয়াশ রুম, ক্যানটিন নেই। আমাদের ১৫ হাজার গাড়ি, ১০ হাজার শ্রমিক। বন্দর টার্মিনাল দিচ্ছে না ১৫ বছর বলার পরও। তিন ধরনের ট্যাক্স দিই। একজন মানুষ কতবার ট্যাক্স দেবে। এটা সংস্কার করা দরকার।’
সঞ্চালক এস এম আবু তৈয়ব বলেন, ‘ট্রাম্পের ট্যারিফে পৃথিবীতে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। যে সরকার আমেরিকা গিয়ে ট্যারিফ কমায় সেই সরকার বন্দরে ট্যারিফ বাড়ায়। এতে দেশের ব্যবসায়ীরা উদ্বিগ্ন। এই ট্যারিফ অযৌক্তিক মনে করি। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’
বাফার পরিচালক অমিয় শঙ্কর বর্মণ বলেন, বন্দর ও অফডক একসঙ্গে ট্যারিফ, চার্জ বাড়িয়েছে—তা অসহনীয়। কোনো ক্ষেত্রে ২০০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।
বাংলাদেশ প্লাস্টিক গুডস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিজিএমইএ) নেতা শহীদুল্লাহ চৌধুরী বলেন, লুটপাট শুরু হয়েছে। ২০ ফুটের কনটেইনারে লোড-আনলোডে ৬০ ডলার খরচ হচ্ছে। বেসরকারি পর্যায়ে আরও বেশি লুট হচ্ছে।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাইফুল আলম বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের জন্য দুঃসংবাদ। মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা। বিদেশে ট্যারিফ কমাতে অন্তর্বর্তী সরকার সফল হয়েছে, ধন্যবাদ জানাই। বন্দর অর্থনীতির লাইফ লাইন। এটা শেষ করতে নানা ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।’
সাইফুল আলম আরও বলেন, ‘আমদানি-রপ্তানিকারকের ব্যথা আমরা জানি। ১২ টাকার ফি ১১৫ টাকা করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে যাবে। নতুন ট্যারিফ কমানো না গেলে ব্যবসায়ীদের যাওয়ার জায়গা থাকবে না। প্রতিবাদ, প্রতিরোধ করতে হবে ঐক্যবদ্ধভাবে।’ সিঅ্যান্ডএফের ১৩ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী এ খরচের বোঝা নিয়ে কাজ করতে অপারগ বলে তিনি জানান।
সভায় আরও বক্তব্য দেন সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, শিপিং এজেন্টের শাহেদ সরওয়ার, শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. পারভেজ আকতার, ডব্লিউটিসির সভাপতি মোহাম্মদ শফি, বিপণিবিতান ব্যবসায়ী সমিতির শারুদ নিজাম, টায়ার টিউব ইমপোর্টার্স ও ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের মঈনুদ্দিন আহমেদ মিন্টু, মোহাম্মদ ইয়াসিন প্রমুখ।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বাতাস সবচেয়ে বড় বাধা ছিল বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল। একই সঙ্গে অগ্নিকাণ্ডের কারণ তদন্তের পর জানা যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
৩২ মিনিট আগেওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত আট বাংলাদেশির মরদেহ চট্টগ্রামে পৌঁছেছে। শনিবার রাত ৮টা ৪৫ মিনিটের দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট ওমানের মাস্কাট থেকে কফিনবন্দী মরদেহগুলো নিয়ে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) আজও বয়ে বেড়াচ্ছে ৩২ বছরের পুরোনো ক্ষত। ১৯৯৩ সালের ১৮ অক্টোবর ট্রিপল মার্ডার হন মেধাবী শিক্ষার্থী ডা. মিজানুর রহমানসহ তিনজন। তিন দশক পার হলেও সেই হত্যাকাণ্ডের বিচার আজও হয়নি।
১ ঘণ্টা আগেঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে (আমদানি করা পণ্যের মজুত স্থান) ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কারণে রাত ৯টা পর্যন্ত কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা বন্ধ ছিল।
২ ঘণ্টা আগে