নীলফামারী প্রতিনিধি
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের বলেছেন, ‘সরকার যেভাবে মেগা প্রজেক্ট করে দুর্নীতি করছে, তাতে মনে হচ্ছে, তারা বাংলাদেশের মানুষকে রক্তশূন্য করে গায়ে গয়না পরিয়ে দিচ্ছে। সরকার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র করার পর আমার মনে হয়েছে, শুধু রক্তশূন্য করছে না, আপনার লিভার, কিডনি এগুলো কেটে নিয়ে তারা বিক্রি করছেন। এই ধরনের একটি দেহ আমাদের বাংলাদেশে অবশিষ্ট থাকছে। এর কারণ হলো, দেশে কোন গণতন্ত্র নেই, সরকার কোন গণতন্ত্র দেয় নাই।’
আজ শুক্রবার নীলফামারী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে জেলা জাতীয় পার্টির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র আমাদের মতো জনবহুল দেশে জন্য একটা বড় ধরনের ঝুঁকি। নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টের সমস্যা হলো এটার যদি কোনো (অ্যাকসিডেন্ট) দুর্ঘটনা হয়, তা হবে ভয়ংকর। ১৯৮৬ সালে রাশিয়ার চেরনোবিলে নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টে (অ্যাকসিডেন্ট) দুর্ঘটনা ঘটেছিল। ওখানে এখন পর্যন্ত ৫০ মাইল এলাকাজুড়ে কোনো বসতি স্থাপন করতে দেওয়া হয় না। আমাদের দেশে যদি এমন একটি (অ্যাকসিডেন্ট) দুর্ঘটনা হয়, ৫০ বর্গ কিলোমিটার যদি কোনো বসতি স্থাপন করতে দেওয়া না হয়, গরু-ছাগল কোনো কিছুই ওখানে না বাঁচে, আর সেই ধরনের প্রজেক্ট আমরা তৈরি করেছি এবং বলছি আণবিক শক্তি। আণবিক শক্তি নয়, আণবিক বিপদ আমরা ঘরে নিয়েছি।’
বিরোধীদলীয় উপনেতা বলেন, ‘বর্তমানে বিভিন্ন উন্নত দেশ বলছে, আমরা আর বিদ্যুতের জন্য পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র করব না, এটা তাদের কথা। আর আমরা সস্তার নাম নিয়ে এটা করছি, হচ্ছে তিনগুণ দামে, এটা সস্তা হবে না। অত্যন্ত বিপজ্জনক আমরা সবাই, আমরা বিষাক্ত একটা প্রযুক্তি নিয়ে এসেছি এবং আমাদের হাতে কোনো শক্তি নাই। এটার সব ইঞ্জিনিয়ার হলো রাশিয়ান, কিছু কনসালট্যান্ট ভারতীয়। এটা অপারেট করবে রাশিয়ানরা। বাংলাদেশের কোনো কন্ট্রোল থাকবে না। আমি এর আগেও এ কথা বলেছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের মানুষ ভোটের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। মানুষ স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে চায়। ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ, ভোটাধিকার ও সুষ্ঠু রাজনীতি চায় দেশের মানুষ। আমরা সংসদে, বক্তৃতা ও বিবৃতি দিয়ে গণমানুষের ভোটাধিকারের দাবিতে সোচ্চার আছি। বিদেশিরাও ভোটাধিকারের প্রশ্নে জোরালো ভূমিকা রাখছে। এ কারণেই সব বিষয়ে একটি অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে।’
জেলা জাতীয় পাটির আহ্বায়ক সাবেক সংসদ সদস্য এন কে আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পাটির মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর মাসুদ, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, নাজমা আক্তার এমপি, আলমগীর সিকদার লোটন, মেজর (অব.) রানা মোহাম্মদ সোহেল এমপি, জহিরুল ইসলাম জহির, মোস্তফা আল মাহমুদ, ভাইস চেয়ারম্যান আদেলুর রহমান এমপি, যুগ্ম মহাসচিব মো. বেলাল হোসেন, জেলা জাতীয় পাটির সদস্যসচিব সাজ্জাদ পারভেজ, যুগ্ম আহ্বায়ক সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক ও রশিদুল ইসলাম প্রমুখ।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের বলেছেন, ‘সরকার যেভাবে মেগা প্রজেক্ট করে দুর্নীতি করছে, তাতে মনে হচ্ছে, তারা বাংলাদেশের মানুষকে রক্তশূন্য করে গায়ে গয়না পরিয়ে দিচ্ছে। সরকার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র করার পর আমার মনে হয়েছে, শুধু রক্তশূন্য করছে না, আপনার লিভার, কিডনি এগুলো কেটে নিয়ে তারা বিক্রি করছেন। এই ধরনের একটি দেহ আমাদের বাংলাদেশে অবশিষ্ট থাকছে। এর কারণ হলো, দেশে কোন গণতন্ত্র নেই, সরকার কোন গণতন্ত্র দেয় নাই।’
আজ শুক্রবার নীলফামারী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে জেলা জাতীয় পার্টির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র আমাদের মতো জনবহুল দেশে জন্য একটা বড় ধরনের ঝুঁকি। নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টের সমস্যা হলো এটার যদি কোনো (অ্যাকসিডেন্ট) দুর্ঘটনা হয়, তা হবে ভয়ংকর। ১৯৮৬ সালে রাশিয়ার চেরনোবিলে নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টে (অ্যাকসিডেন্ট) দুর্ঘটনা ঘটেছিল। ওখানে এখন পর্যন্ত ৫০ মাইল এলাকাজুড়ে কোনো বসতি স্থাপন করতে দেওয়া হয় না। আমাদের দেশে যদি এমন একটি (অ্যাকসিডেন্ট) দুর্ঘটনা হয়, ৫০ বর্গ কিলোমিটার যদি কোনো বসতি স্থাপন করতে দেওয়া না হয়, গরু-ছাগল কোনো কিছুই ওখানে না বাঁচে, আর সেই ধরনের প্রজেক্ট আমরা তৈরি করেছি এবং বলছি আণবিক শক্তি। আণবিক শক্তি নয়, আণবিক বিপদ আমরা ঘরে নিয়েছি।’
বিরোধীদলীয় উপনেতা বলেন, ‘বর্তমানে বিভিন্ন উন্নত দেশ বলছে, আমরা আর বিদ্যুতের জন্য পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র করব না, এটা তাদের কথা। আর আমরা সস্তার নাম নিয়ে এটা করছি, হচ্ছে তিনগুণ দামে, এটা সস্তা হবে না। অত্যন্ত বিপজ্জনক আমরা সবাই, আমরা বিষাক্ত একটা প্রযুক্তি নিয়ে এসেছি এবং আমাদের হাতে কোনো শক্তি নাই। এটার সব ইঞ্জিনিয়ার হলো রাশিয়ান, কিছু কনসালট্যান্ট ভারতীয়। এটা অপারেট করবে রাশিয়ানরা। বাংলাদেশের কোনো কন্ট্রোল থাকবে না। আমি এর আগেও এ কথা বলেছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের মানুষ ভোটের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। মানুষ স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে চায়। ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ, ভোটাধিকার ও সুষ্ঠু রাজনীতি চায় দেশের মানুষ। আমরা সংসদে, বক্তৃতা ও বিবৃতি দিয়ে গণমানুষের ভোটাধিকারের দাবিতে সোচ্চার আছি। বিদেশিরাও ভোটাধিকারের প্রশ্নে জোরালো ভূমিকা রাখছে। এ কারণেই সব বিষয়ে একটি অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে।’
জেলা জাতীয় পাটির আহ্বায়ক সাবেক সংসদ সদস্য এন কে আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পাটির মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর মাসুদ, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, নাজমা আক্তার এমপি, আলমগীর সিকদার লোটন, মেজর (অব.) রানা মোহাম্মদ সোহেল এমপি, জহিরুল ইসলাম জহির, মোস্তফা আল মাহমুদ, ভাইস চেয়ারম্যান আদেলুর রহমান এমপি, যুগ্ম মহাসচিব মো. বেলাল হোসেন, জেলা জাতীয় পাটির সদস্যসচিব সাজ্জাদ পারভেজ, যুগ্ম আহ্বায়ক সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক ও রশিদুল ইসলাম প্রমুখ।
দুই দিনের মধ্যে ভোজ্যতেলের সংকট কেটে যাবে—এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। উপদেষ্টার দেওয়া দুই দিন কেটে গেছে, কিন্তু কাটেনি বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট। গতকাল বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ও সুপারশপগুলো ঘুরে অধিকাংশ জায়গায় বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যায়নি।
২৯ মিনিট আগেরাজশাহীতে রিকশাচালককে জুতাপেটা করে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পবা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জাহিদ হাসান রাসেলের কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ ছিলেন বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাঁর বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দুটি লিখিত অভিযোগও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এসব বিষয়ে কোনো তদন্ত হয়নি। ফলে বারবার পার পেয়ে গেছেন
১ ঘণ্টা আগেমাসালা দোসা, হায়দরাবাদি চিকেনসহ বিদেশি স্বাদের খাবার যেমন আছে, তেমনি রয়েছে দেশের প্রচলিত ইফতার—ছোলা, মুড়ি, বেগুনি। নানান স্বাদের বাহারি ইফতারসামগ্রী স্তরে স্তরে সাজানো। রকমারি এসব ইফতার নিয়ে ক্রেতার অপেক্ষায় বসে আছেন বিক্রয়কর্মীরা। তবে ক্রেতা তুলনামূলক কম।
২ ঘণ্টা আগেরংপুরের পীরগাছা উপজেলা দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রমত্তা তিস্তা নদীতে এখন হাঁটুপানি। যে তিস্তায় একসময় উত্তাল ঢেউ ছিল, সেখানে এখন ধু-ধু বালুচর। নাব্যতা হারিয়ে তিস্তা নদী এখন যেন একটি মরা খাল। এর পানি শুকিয়ে যাওয়ায় প্রায় ৪ হাজার জেলে ও মাঝি বেকার হয়ে পড়েছেন। পরিবার নিয়ে তাঁদের মানবেতর জীবন কাটছে।
২ ঘণ্টা আগে