Ajker Patrika

ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে রাবি শিক্ষকদের বাড়ি নির্মাণে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ 

রাবি প্রতিনিধি
ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে রাবি শিক্ষকদের বাড়ি নির্মাণে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ 

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষকদের বাড়ি নির্মাণকাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের দুই নেতাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে। গত বুধবার সন্ধ্যায় মির্জাপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নগরীর মতিহার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী তিন শিক্ষক। 

অভিযোগকারী শিক্ষকেরা হলেন ফোকলোর বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আমিরুল ইসলাম, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক হ্যাপি কুমার দাস এবং ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক মো. ওসমান গণি। 

অন্যদিকে অভিযুক্ত নেতারা হলেন, রাজশাহী মহানগর ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান ইয়ামিন, রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এখলাছুর রহমান সাদ্দাম ও স্থানীয় প্রভাবশালী আল আমিন হোসেন। 

সাধারণ ডায়েরি ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, নগরীর মতিহার থানার মির্জাপুর এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক-কর্মকর্তা মিলে প্রায় এগারো কাঠা জমিক্রম করে। গত ২৪ মে সন্ধ্যায় বাড়ি নির্মাণের অংশ হিসেবে শ্রমিকেরা মাটি কাটছিলেন। এ সময় মো. ইয়ামিন, মো. আল আমিন এবং মো. সাদ্দাম হোসেনের নেতৃত্বে আনুমানিক ১৫-২০ জনের একটি গ্রুপে ঘটনাস্থলে আসেন। তারা দেশীয় অস্ত্রসহ শ্রমিকদের ওপর হামলা চালিয়ে কাজ বন্ধ করে দেন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দুটি ট্রাক ও খননযন্ত্র ঘটনাস্থল থেকে সরাতে বাধ্য করেন। এ সময় তারা শ্রমিকদের হুমকি দিয়ে বলেন, তাদের অনুমতি ছাড়া কোনো নির্মাণকাজ করা যাবে না। 

জানতে চাইলে বাড়ির মালিকানায় থাকা ফোকলোর বিভাগের শিক্ষক আমিরুল ইসলাম কনক বলেন, গত বুধবার শ্রমিকেরা কাজ করতে গেলে তারা তাদের ভয়ভীতি দেখায়। তাদের মারতে উদ্যত হয়। তারা বলে ‘আমাদের কথা ছাড়া এখানে কোনো কাজ হবে না।’ 

অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে যুবলীগ নেতা মেহেদী হাসান ইয়ামিন বলেন, ‘যে জায়গাটিতে বাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে সেটি ময়লা আবর্জনার স্তূপ ছিল। আমরা স্থানীয় কয়েকজন মিলে জায়গাটি পরিষ্কার করি। সে সময় শিক্ষকেরা কথা দিয়েছিলেন বাড়ি নির্মাণের কাজটি আমাদের দিয়ে করাবে। কিন্তু হঠাৎ করে দেখি বাইরের লোকজন গিয়ে কাজ করছে। পরবর্তীতে আমরা কথা বলতে গিয়েছিলাম। এখানে মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি।’ 
 
ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সাদ্দামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। আরেক অভিযুক্ত স্থানীয় বাসিন্দা আলামিন বলেন, ‘আমি কাজে বাধা দিইনি। গতকাল আমি সেখানে ছিলামই না।’ 

মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সেনানিবাস ঘিরে ‘নাশকতার পরিকল্পনা’, বরখাস্ত সৈনিকসহ গ্রেপ্তার ৩

থাইল্যান্ডে পর্যটন ভিসা পেতে আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ দিতে হবে

দক্ষিণপন্থীদের কবজায় বাংলাদেশের রাজনীতি: বদরুদ্দীন উমর

এবার প্রশাসনিক কাজে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত কুয়েট শিক্ষক সমিতির

বন্দর-করিডর আপনার এখতিয়ারে নেই, বিদেশি উপদেষ্টাকে বিদায় করুন: ইউনূসকে সালাহউদ্দিন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত