Ajker Patrika

যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

­­­নওগাঁ প্রতিনিধি
আদালতে মো. মোস্তাফিজুর রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা
আদালতে মো. মোস্তাফিজুর রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা

নওগাঁর নিয়ামতপুরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে মো. মোস্তাফিজুর রহমান (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাঁকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসাইন এ রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।

আদালত সূত্র ও মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০০৭ সালে মান্দা উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের আনিছুর রহমানের মেয়ে রানী বেগমের সঙ্গে নিয়ামতপুর উপজেলার হরিপুর গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমানের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে মোস্তাফিজুরকে ৪০ হাজার টাকা, একটি ভ্যানগাড়ি এবং একটি সেলাই মেশিন দেওয়া হয়। বিয়ের কিছুদিন পরই মোস্তাফিজুর রানী বেগমকে বাবার বাড়ি থেকে আরও ৫০ হাজার টাকা আনার জন্য চাপ দিতে থাকেন। টাকা না আনায় স্ত্রীকে প্রায়ই নির্যাতন করতেন তিনি। ২০১৫ সালের ১০ আগস্ট রাতে যৌতুকের দাবিতে পারিবারিক কলহের একপর্যায়ে মোস্তাফিজুর কাঠের খ্যাটা (হাতুড়ি) দিয়ে মাথায় আঘাত করে রানী বেগমকে হত্যা করেন। পরদিন নিহতের বাবা আনিছুর রহমান বাদী হয়ে নিয়ামতপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

মামলাটি তদন্ত করে ২০১৬ সালের ১৮ অক্টোবর নিয়ামতপুর থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ১৬ জন সাক্ষীর জবানবন্দি ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করে আদালত মোস্তাফিজুরের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) ইকবাল জামিল চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘এ রায় যুগান্তকারী। এতে করে যৌতুকের দাবিতে নারীর ওপর সহিংসতা কমবে এবং সমাজে আইন প্রতিষ্ঠা পাবে।’ অন্যদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী আতিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা এ রায়ে সন্তুষ্ট নই। উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত