নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

‘রোডসে আর টেন্ডার সাবমিট করবেন না।’ ঠিকাদার শাহজাহান আলী ফোন ধরতেই এ কথা বললেন মাহবুবুর রহমান রুবেল। শাহজাহান প্রশ্ন করলেন, ‘কেন?’ রুবেল এবার বললেন, ‘কারণ, আমরা নিজেরাই খাইতে পাচ্ছি না। আমার কথা হলো, আপনি ভাই টেন্ডার-মেন্ডার দিয়েন না, আমার অনুরোধ থাকল। আমরা ১৭ বছর খাইতে পারিনি। এখন আমরা খাব।’ এমন একটি কলরেকর্ড পাওয়া গেছে।
দরপত্র জমা দিয়ে গাছ কেনায় নওগাঁর মান্দা উপজেলার ঠিকাদার শাহজাহান আলীকে এভাবেই শাসিয়েছেন রাজশাহী নগরের রাজপাড়া থানা বিএনপির সদ্য সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রুবেল। ঠিকাদার শাহজাহান আলীও বিএনপির রাজনীতি করেন। তিনি মান্দা উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি ও ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সদস্য।
জানা গেছে, কলরেকর্ডটি গতকাল সোমবার দুপুরের। ৯ মিনিট ৪৫ সেকেন্ডের ওই কথোপকথনে রুবেলকে অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ করতেও শোনা যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সম্প্রতি সড়ক ও জনপদ বিভাগের (সওজ) রাজশাহীর বৃক্ষপালনবিদের কার্যালয় থেকে ৯টি লটে গাছ বিক্রির জন্য ঠিকাদারদের কাছ থেকে দরপত্র আহ্বান করা হয়। এতে অংশ নেন শাহজাহান আলী। দরপত্র জমা দেওয়ার দিন রুবেলসহ কিছু ঠিকাদার ও তাঁদের লোকজন সওজ অফিসেই অবস্থান নেন, যাতে তাঁদের বাইরে কেউ দরপত্র জমা দিতে না পারেন। তবে শাহজাহান আলী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে রাখা বাক্সে দরপত্র জমা দেন। এতে তিনি প্রায় ৬ লাখ টাকায় দুটি লটের গাছ পান। টাকা জমা দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে তাঁকে বৃক্ষপালনবিদের কার্যালয় থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ঠিকাদার শাহজাহান আলীকে ফোন করেন রুবেল। কথোপকথনে তিনি দাবি করেন, ১৭ বছর তিনি ‘খেতে’ পাননি। তবে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেও তিনি সওজের প্রচুর কাজ করেছেন। নগরের লক্ষ্মীপুর এলাকায় তাঁর খাবারের হোটেল। একই এলাকায় সওজের অফিস। এই প্রভাব খাটিয়ে তিনি সব সময়ই কাজ বাগিয়ে নিয়েছেন।
রুবেল ঠিকাদার শাহজাহানকে বলেন, ‘আপনি এই কাজগুলা কইরেন না, জাস্ট সমস্যা হবে।’ শাহজাহান বলেন, ‘আপনারা যদি নিষেধ করেন, তাহলে বিষয়টা কেমন হয় না?’ রুবেল বলেন, ‘এখন এমন অবস্থা হয়েছে, মান্দার লোক শুনলেই চার-পাঁচটা থাপ্পড় মারবে।’ শাহজাহান বলেন, ‘মান্দার লোক তো আরও টেন্ডার করছে।’ জবাবে রুবেল বলেন, ‘একটার পর একটা অপমান হবেই, দেখবেন। আপনাকে আমি বললাম ভাই ব্যক্তিগতভাবে। মাথায় রাইখেন।’ শাহজাহান জানতে চান, ‘কী করলে অপমান হবে না সেইটা বলেন।’ রুবেলের সাফ জবাব, ‘টেন্ডার না দিলেই অপমান হবেন না।’ ‘টেন্ডার তো হয়েই গেছে’, শাহজাহান এ কথা জানালে এরপর অশ্লীল ভাষায় কথা বলেন বিএনপি নেতা রুবেল।
তিনি বলেন, ‘আপনাকে এতবার ফোন দিলাম। আপনি ফোনই ধরেন না। তাহলে কী করব বলেন?’ শাহজাহান এ সময় ভদ্রভাবে কথা বলার অনুরোধ করেন। রুবেল বলেন, ‘আপনাকে ফোন করলাম যে এটা উইথড্র করা লাগবে, আপনি ফোনই ধরেননি।’ শাহজাহান বলেন, ‘উইথড্র কেউ না করলে আমি কেন করব ভাই?’ রুবেল বলেন, ‘এটা আমরা মীমাংসা করতাম। শোনেন ভাই, এখন ডিজিটাল যুগ। কাউকে গোপনে টাকা দিয়ে কোনো ব্যবসা হবে না। ওপেন আপনাকে আসতে হবে।’
শাহজাহান বলেন, ‘আপনি টেন্ডার করবেন, করে কাজ নিবেন আপনি।’ শাহজাহান বলেন, ‘নিজের এলাকাতে এখন কুইত্তাও ভাগ দেয় না, জানেন? কুইত্তাও বুলছে যে, তোর এলাকা তুই খা, আমার এলাকা আমি খাই।’ এ সময় শাহজাহান রুবেলের দলীয় পরিচয় জানতে চান। তখন রুবেল বলেন, ‘বিএনপির আমি সভাপতি, রাজপাড়া থানার।’ যদিও রাজপাড়া থানা বিএনপির সভাপতি মিজানুর রহমান নামের এক ব্যক্তি। রুবেল সভাপতি পরিচয় দেওয়ার পর শাহজাহান জানান, তিনিও ছাত্রজীবনে ছাত্রদল করেছেন। এখন বিএনপি করেন।
শাহজাহান বলেন, ‘আপনি বলবেন একবার, হারুন বলবে আরেকবার। আমরা কয়জনাকে টাকা দিব রে ভাই? আমি বিধি মোতাবেক কাজ পেয়েছি। আপনাদের দাবি থাকলে মানতে চেয়েছি। এখন আপনি বলছেন দেন, হারুন বলতেছে দেন। তাহলে কয়জনাকে দিব? আমার কয় টাকা লাভ হবে একটা লটে?’ রুবেল বলেন, ‘আমি টাকা চাইনি, আপনাকে আসতে বলেছিলাম।’ শাহজাহান জানতে চান, ‘তাহলে কেন ডেকেছিলেন?’ রুবেল বলেন, ‘যারা যারা পার্টি আসছে, সবার সাথে বসে একটা সিস্টেম করতাম।’
এ পর্যায়ে রুবেলের কাছ থেকে ফোন নেন হারুন, তিনি নিজেকে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি হুমায়ুন কবীর লালুর ভাই বলে পরিচয় দেন। তিনি বলেন, ‘এর পরে টেন্ডার হলে আপনি আমাদের সাথে অবশ্যই যোগাযোগ করবেন। আমাদের সাথে যোগাযোগ রেখে কাজ করবেন। আপনার ভাই আমাদের সাথে যোগাযোগ করেই টেন্ডার ড্রপ করে।’
শাহজাহান বলেন, ‘আপনার সাথে যোগাযোগ রেখেই তো করি ভাই। আমরা তো বুঝি। যে এলাকার কাজ সে এলাকার কিছু দাবি থাকে। ব্যবসা করি গোটা বাংলাদেশ, এটা আমরা বুঝি। সুতরাং, যেটাই হোক করা হবে। কারণ, আমাদের দিকেও দেখতে হবে। একটা লট পেয়েছি ১৬ বছর পর। আমি ভাই রাজশাহী কলেজ ছাত্রদলেরও শিক্ষা সম্পাদক ছিলাম। আমি আপনাদের সাথে যোগাযোগ করবই ভাই, আপনারা কোনো চিন্তা করবেন না।’
এ সময় হারুন বলেন, ‘ঈদের আর বেশি দিন নাই। আপনি আসেন, এসে আমাদের সাথে দেখা করে যান।’ শাহজাহান তখন বলেন, ‘লটটা (গাছ) আগে কাটি, তারপরে তো দুই পয়সা হবে, তাই না? কেবল তো টাকা জমার অর্ডার হলো। আপনাদের সাথে সাক্ষাৎ না করে ব্যবসা করতে পারব? ব্যবসা করলে তো লক্ষ্মীপুরে আপনাদের কাছে যেতে হবে। আমি আসব।’
হারুন বলতে থাকেন, ‘এইডা বইলেন না। সমাধান আপনাকে ঈদের আগেই করতে হবে এবং খুব তাড়াতাড়ি করতে হবে।’ শাহজাহান বলেন, ‘ঈদের আগে তো লটই কাটতে পারব না। আমাদেরও তো ঈদ-টিদ আছে, বুঝেননি?’ হারুন বলেন, ‘আপনাকে দু-এক দিনের মধ্যেই করতে হবে। সবাই (দরপত্রে গাছ কেনা অন্য ঠিকাদারেরাও) তা-ই করবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদার শাহজাহান আলী বলেন, ‘ওদের বাড়ি লক্ষ্মীপুরে। সড়ক অফিসও ওই এলাকায়। ওদের অনেক কথাই থাকে। আমাকে ফোন করে বলেছে। আমার তো কিছু করার নেই।’
বিএনপি নেতা রুবেল বলেন, ‘অনেক ছেলেপিলে থাকে। তাদেরও দাবিদাওয়া থাকে একটা কাজ হলে। কিন্তু শাহজাহান দেখা করেনি। তাই ফোন করে দুইটা কথা বলেছি। এটা ঠিক হয়নি। অডিওটা ভাই অমিট (ডিলিট) করে দেন। নিউজ-টিউজ করিয়েন না ভাই।’
আরও খবর পড়ুন:

‘রোডসে আর টেন্ডার সাবমিট করবেন না।’ ঠিকাদার শাহজাহান আলী ফোন ধরতেই এ কথা বললেন মাহবুবুর রহমান রুবেল। শাহজাহান প্রশ্ন করলেন, ‘কেন?’ রুবেল এবার বললেন, ‘কারণ, আমরা নিজেরাই খাইতে পাচ্ছি না। আমার কথা হলো, আপনি ভাই টেন্ডার-মেন্ডার দিয়েন না, আমার অনুরোধ থাকল। আমরা ১৭ বছর খাইতে পারিনি। এখন আমরা খাব।’ এমন একটি কলরেকর্ড পাওয়া গেছে।
দরপত্র জমা দিয়ে গাছ কেনায় নওগাঁর মান্দা উপজেলার ঠিকাদার শাহজাহান আলীকে এভাবেই শাসিয়েছেন রাজশাহী নগরের রাজপাড়া থানা বিএনপির সদ্য সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রুবেল। ঠিকাদার শাহজাহান আলীও বিএনপির রাজনীতি করেন। তিনি মান্দা উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি ও ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সদস্য।
জানা গেছে, কলরেকর্ডটি গতকাল সোমবার দুপুরের। ৯ মিনিট ৪৫ সেকেন্ডের ওই কথোপকথনে রুবেলকে অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ করতেও শোনা যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সম্প্রতি সড়ক ও জনপদ বিভাগের (সওজ) রাজশাহীর বৃক্ষপালনবিদের কার্যালয় থেকে ৯টি লটে গাছ বিক্রির জন্য ঠিকাদারদের কাছ থেকে দরপত্র আহ্বান করা হয়। এতে অংশ নেন শাহজাহান আলী। দরপত্র জমা দেওয়ার দিন রুবেলসহ কিছু ঠিকাদার ও তাঁদের লোকজন সওজ অফিসেই অবস্থান নেন, যাতে তাঁদের বাইরে কেউ দরপত্র জমা দিতে না পারেন। তবে শাহজাহান আলী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে রাখা বাক্সে দরপত্র জমা দেন। এতে তিনি প্রায় ৬ লাখ টাকায় দুটি লটের গাছ পান। টাকা জমা দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে তাঁকে বৃক্ষপালনবিদের কার্যালয় থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ঠিকাদার শাহজাহান আলীকে ফোন করেন রুবেল। কথোপকথনে তিনি দাবি করেন, ১৭ বছর তিনি ‘খেতে’ পাননি। তবে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেও তিনি সওজের প্রচুর কাজ করেছেন। নগরের লক্ষ্মীপুর এলাকায় তাঁর খাবারের হোটেল। একই এলাকায় সওজের অফিস। এই প্রভাব খাটিয়ে তিনি সব সময়ই কাজ বাগিয়ে নিয়েছেন।
রুবেল ঠিকাদার শাহজাহানকে বলেন, ‘আপনি এই কাজগুলা কইরেন না, জাস্ট সমস্যা হবে।’ শাহজাহান বলেন, ‘আপনারা যদি নিষেধ করেন, তাহলে বিষয়টা কেমন হয় না?’ রুবেল বলেন, ‘এখন এমন অবস্থা হয়েছে, মান্দার লোক শুনলেই চার-পাঁচটা থাপ্পড় মারবে।’ শাহজাহান বলেন, ‘মান্দার লোক তো আরও টেন্ডার করছে।’ জবাবে রুবেল বলেন, ‘একটার পর একটা অপমান হবেই, দেখবেন। আপনাকে আমি বললাম ভাই ব্যক্তিগতভাবে। মাথায় রাইখেন।’ শাহজাহান জানতে চান, ‘কী করলে অপমান হবে না সেইটা বলেন।’ রুবেলের সাফ জবাব, ‘টেন্ডার না দিলেই অপমান হবেন না।’ ‘টেন্ডার তো হয়েই গেছে’, শাহজাহান এ কথা জানালে এরপর অশ্লীল ভাষায় কথা বলেন বিএনপি নেতা রুবেল।
তিনি বলেন, ‘আপনাকে এতবার ফোন দিলাম। আপনি ফোনই ধরেন না। তাহলে কী করব বলেন?’ শাহজাহান এ সময় ভদ্রভাবে কথা বলার অনুরোধ করেন। রুবেল বলেন, ‘আপনাকে ফোন করলাম যে এটা উইথড্র করা লাগবে, আপনি ফোনই ধরেননি।’ শাহজাহান বলেন, ‘উইথড্র কেউ না করলে আমি কেন করব ভাই?’ রুবেল বলেন, ‘এটা আমরা মীমাংসা করতাম। শোনেন ভাই, এখন ডিজিটাল যুগ। কাউকে গোপনে টাকা দিয়ে কোনো ব্যবসা হবে না। ওপেন আপনাকে আসতে হবে।’
শাহজাহান বলেন, ‘আপনি টেন্ডার করবেন, করে কাজ নিবেন আপনি।’ শাহজাহান বলেন, ‘নিজের এলাকাতে এখন কুইত্তাও ভাগ দেয় না, জানেন? কুইত্তাও বুলছে যে, তোর এলাকা তুই খা, আমার এলাকা আমি খাই।’ এ সময় শাহজাহান রুবেলের দলীয় পরিচয় জানতে চান। তখন রুবেল বলেন, ‘বিএনপির আমি সভাপতি, রাজপাড়া থানার।’ যদিও রাজপাড়া থানা বিএনপির সভাপতি মিজানুর রহমান নামের এক ব্যক্তি। রুবেল সভাপতি পরিচয় দেওয়ার পর শাহজাহান জানান, তিনিও ছাত্রজীবনে ছাত্রদল করেছেন। এখন বিএনপি করেন।
শাহজাহান বলেন, ‘আপনি বলবেন একবার, হারুন বলবে আরেকবার। আমরা কয়জনাকে টাকা দিব রে ভাই? আমি বিধি মোতাবেক কাজ পেয়েছি। আপনাদের দাবি থাকলে মানতে চেয়েছি। এখন আপনি বলছেন দেন, হারুন বলতেছে দেন। তাহলে কয়জনাকে দিব? আমার কয় টাকা লাভ হবে একটা লটে?’ রুবেল বলেন, ‘আমি টাকা চাইনি, আপনাকে আসতে বলেছিলাম।’ শাহজাহান জানতে চান, ‘তাহলে কেন ডেকেছিলেন?’ রুবেল বলেন, ‘যারা যারা পার্টি আসছে, সবার সাথে বসে একটা সিস্টেম করতাম।’
এ পর্যায়ে রুবেলের কাছ থেকে ফোন নেন হারুন, তিনি নিজেকে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি হুমায়ুন কবীর লালুর ভাই বলে পরিচয় দেন। তিনি বলেন, ‘এর পরে টেন্ডার হলে আপনি আমাদের সাথে অবশ্যই যোগাযোগ করবেন। আমাদের সাথে যোগাযোগ রেখে কাজ করবেন। আপনার ভাই আমাদের সাথে যোগাযোগ করেই টেন্ডার ড্রপ করে।’
শাহজাহান বলেন, ‘আপনার সাথে যোগাযোগ রেখেই তো করি ভাই। আমরা তো বুঝি। যে এলাকার কাজ সে এলাকার কিছু দাবি থাকে। ব্যবসা করি গোটা বাংলাদেশ, এটা আমরা বুঝি। সুতরাং, যেটাই হোক করা হবে। কারণ, আমাদের দিকেও দেখতে হবে। একটা লট পেয়েছি ১৬ বছর পর। আমি ভাই রাজশাহী কলেজ ছাত্রদলেরও শিক্ষা সম্পাদক ছিলাম। আমি আপনাদের সাথে যোগাযোগ করবই ভাই, আপনারা কোনো চিন্তা করবেন না।’
এ সময় হারুন বলেন, ‘ঈদের আর বেশি দিন নাই। আপনি আসেন, এসে আমাদের সাথে দেখা করে যান।’ শাহজাহান তখন বলেন, ‘লটটা (গাছ) আগে কাটি, তারপরে তো দুই পয়সা হবে, তাই না? কেবল তো টাকা জমার অর্ডার হলো। আপনাদের সাথে সাক্ষাৎ না করে ব্যবসা করতে পারব? ব্যবসা করলে তো লক্ষ্মীপুরে আপনাদের কাছে যেতে হবে। আমি আসব।’
হারুন বলতে থাকেন, ‘এইডা বইলেন না। সমাধান আপনাকে ঈদের আগেই করতে হবে এবং খুব তাড়াতাড়ি করতে হবে।’ শাহজাহান বলেন, ‘ঈদের আগে তো লটই কাটতে পারব না। আমাদেরও তো ঈদ-টিদ আছে, বুঝেননি?’ হারুন বলেন, ‘আপনাকে দু-এক দিনের মধ্যেই করতে হবে। সবাই (দরপত্রে গাছ কেনা অন্য ঠিকাদারেরাও) তা-ই করবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদার শাহজাহান আলী বলেন, ‘ওদের বাড়ি লক্ষ্মীপুরে। সড়ক অফিসও ওই এলাকায়। ওদের অনেক কথাই থাকে। আমাকে ফোন করে বলেছে। আমার তো কিছু করার নেই।’
বিএনপি নেতা রুবেল বলেন, ‘অনেক ছেলেপিলে থাকে। তাদেরও দাবিদাওয়া থাকে একটা কাজ হলে। কিন্তু শাহজাহান দেখা করেনি। তাই ফোন করে দুইটা কথা বলেছি। এটা ঠিক হয়নি। অডিওটা ভাই অমিট (ডিলিট) করে দেন। নিউজ-টিউজ করিয়েন না ভাই।’
আরও খবর পড়ুন:

চট্টগ্রামে হালিশহরে নিজ বাসার সামনে মো. আকবর (৩৫) নামে এক যুবককে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। পরিবারের দাবি, চাঁদা না পেয়ে সন্ত্রাসীরা তাঁকে হত্যা করেছে। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আজ শনিবার লাশ নিয়ে পরিবার ও এলাকাবাসী বিক্ষোভ করে।
১৩ মিনিট আগে
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় এক যুবকের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র দেখা যাওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই যুবকের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির নেতা লুৎফুজ্জামান বাবর বলেছেন, ‘বর্তমান সরকার নিরপেক্ষতার কথা বলছে; কিন্তু কিছু উপদেষ্টা স্পষ্ট পক্ষপাতমূলক আচরণ করছেন, এটা আমরা বুঝতে পারছি। সামনে আমাদের একটা বড় সুযোগ আসতে পারে। ক্ষমতায় যাওয়ার সে সুযোগটা যেন আমরা নষ্ট না করি।’
১ ঘণ্টা আগে
একপর্যায়ে হামলাকারীদের মধ্য থেকে তারিফ নামের একজন এনামুলের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে বলেন, ‘তোকে কই গুলি করব—মাথায়, না বুকে।’ পরে অস্ত্রধারীরা সোহেল ও তাঁর বন্ধুদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টাকাপয়সা ছিনিয়ে নেয়। এ সময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে হালিশহরে নিজ বাসার সামনে মো. আকবর (৩৫) নামে এক যুবককে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। পরিবারের দাবি, চাঁদা না পেয়ে সন্ত্রাসীরা তাঁকে হত্যা করেছে। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আজ শনিবার লাশ নিয়ে পরিবার ও এলাকাবাসী বিক্ষোভ করে।
এর আগে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ নগরের হালিশহর থানার মাইজপাড়া এলাকায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে মো. সোহেল (৩০) ও মো. আরমান (২০) নামে দুজনকে আটক করেছে।
নিহত আকবর মাইজপাড়া এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে। তাঁর স্ত্রী ও তিন সন্তান রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার দিন বাড়ির কাছে মোটরসাইকেলে আসা চার থেকে পাঁচজন যুবক আকবরকে ধারালো দা ও চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়।
চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম আশেক আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুক্রবার রাত ১১টা নাগাদ আকবরকে চমেক হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের বোন মোছাম্মৎ সায়েমা আজকের পত্রিকাকে জানান, আকবর এলাকায় একটি ক্ষুদ্রঋণের সমবায় সমিতি চালাতেন। এলাকার মানুষ সমিতিতে সঞ্চয়ের টাকা জমা রাখতেন, ঋণও নিতেন। বছর দেড়েক আগে ওই সমিতি ছেড়ে দেন আকবর। কদিন আগে কয়েকজন ওই সমিতির কথা বলে চাঁদা দাবি করেন। সমিতি এখন বন্ধ হয়ে গেছে জানালেও তাঁরা চাঁদা দাবি করতেই থাকেন। আকবর চাঁদা দিতে রাজি না তারা তাঁকে হুমকি দিচ্ছিলেন। সায়েমা জানান, এ ঘটনায় কাশেম, সোহেল, আরমানসহ চারজনের নামে এবং অজ্ঞাতনামা সাত-আটজনের নামে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল আবছার বলেছেন, টাকাপয়সার লেনদেনের দ্বন্দ্বে আকবরকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন। এ ছাড়া ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুজনকে আটক করা হয়েছে।
স্থানীয় আরও দুজন জানিয়েছেন, টাকাপয়সা লেনদেন নিয়ে আকবরের সঙ্গে তর্কে জড়িয়েছিলেন পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার সোহেল। একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে সোহেল ফোন দিলে তাঁর পক্ষে তিনটি মোটরসাইকেলে করে এসে কয়েক যুবক এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়।
এদিকে চমেক হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে আকবরের লাশ হাসপাতাল থেকে এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে লাশবাহী খাটিয়া নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে নিহতের পরিবার ও স্থানীয় এলাকাবাসী। এ সময় খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবি জানায় তারা। মিছিলটি নগরের হালিশহরে বিভিন্ন সড়কে প্রদক্ষিণ করে।
ওই বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেওয়া নিহতের নিকটাত্মীয় ও স্থানীয় বাসিন্দা নুর আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, লাশ নিয়ে এলাকাবাসী একটি বিক্ষোভ মিছিল করেছে। মিছিলটি মাইজপাড়া এলাকা থেকে শুরু করে ফইল্যাতলী বাজার, হালিশহর থানা চত্বর, হালিশহর বি-ব্লক ঘুরে হালিশহর ১০ নম্বর লেনে গিয়ে শেষ হয়েছে। লাশ দাফনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

চট্টগ্রামে হালিশহরে নিজ বাসার সামনে মো. আকবর (৩৫) নামে এক যুবককে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। পরিবারের দাবি, চাঁদা না পেয়ে সন্ত্রাসীরা তাঁকে হত্যা করেছে। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আজ শনিবার লাশ নিয়ে পরিবার ও এলাকাবাসী বিক্ষোভ করে।
এর আগে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ নগরের হালিশহর থানার মাইজপাড়া এলাকায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে মো. সোহেল (৩০) ও মো. আরমান (২০) নামে দুজনকে আটক করেছে।
নিহত আকবর মাইজপাড়া এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে। তাঁর স্ত্রী ও তিন সন্তান রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার দিন বাড়ির কাছে মোটরসাইকেলে আসা চার থেকে পাঁচজন যুবক আকবরকে ধারালো দা ও চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়।
চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম আশেক আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুক্রবার রাত ১১টা নাগাদ আকবরকে চমেক হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের বোন মোছাম্মৎ সায়েমা আজকের পত্রিকাকে জানান, আকবর এলাকায় একটি ক্ষুদ্রঋণের সমবায় সমিতি চালাতেন। এলাকার মানুষ সমিতিতে সঞ্চয়ের টাকা জমা রাখতেন, ঋণও নিতেন। বছর দেড়েক আগে ওই সমিতি ছেড়ে দেন আকবর। কদিন আগে কয়েকজন ওই সমিতির কথা বলে চাঁদা দাবি করেন। সমিতি এখন বন্ধ হয়ে গেছে জানালেও তাঁরা চাঁদা দাবি করতেই থাকেন। আকবর চাঁদা দিতে রাজি না তারা তাঁকে হুমকি দিচ্ছিলেন। সায়েমা জানান, এ ঘটনায় কাশেম, সোহেল, আরমানসহ চারজনের নামে এবং অজ্ঞাতনামা সাত-আটজনের নামে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল আবছার বলেছেন, টাকাপয়সার লেনদেনের দ্বন্দ্বে আকবরকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন। এ ছাড়া ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুজনকে আটক করা হয়েছে।
স্থানীয় আরও দুজন জানিয়েছেন, টাকাপয়সা লেনদেন নিয়ে আকবরের সঙ্গে তর্কে জড়িয়েছিলেন পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার সোহেল। একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে সোহেল ফোন দিলে তাঁর পক্ষে তিনটি মোটরসাইকেলে করে এসে কয়েক যুবক এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়।
এদিকে চমেক হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে আকবরের লাশ হাসপাতাল থেকে এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে লাশবাহী খাটিয়া নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে নিহতের পরিবার ও স্থানীয় এলাকাবাসী। এ সময় খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবি জানায় তারা। মিছিলটি নগরের হালিশহরে বিভিন্ন সড়কে প্রদক্ষিণ করে।
ওই বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেওয়া নিহতের নিকটাত্মীয় ও স্থানীয় বাসিন্দা নুর আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, লাশ নিয়ে এলাকাবাসী একটি বিক্ষোভ মিছিল করেছে। মিছিলটি মাইজপাড়া এলাকা থেকে শুরু করে ফইল্যাতলী বাজার, হালিশহর থানা চত্বর, হালিশহর বি-ব্লক ঘুরে হালিশহর ১০ নম্বর লেনে গিয়ে শেষ হয়েছে। লাশ দাফনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

‘রোডসে আর টেন্ডার সাবমিট করবেন না।’ ঠিকাদার শাহজাহান আলী ফোন ধরতেই এ কথা বললেন মাহবুবুর রহমান রুবেল। শাহজাহান প্রশ্ন করলেন, ‘কেন?’ রুবেল এবার বললেন, ‘কারণ আমরা নিজেরাই খাইতে পাচ্ছি না। আমার কথা হলো, আপনি ভাই টেন্ডার-মেন্ডার দিয়েন না, আমার অনুরোধ থাকল। আমরা ১৭ বছর খাইতে পারিনি। এখন আমরা খাব।’
২০ মে ২০২৫
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় এক যুবকের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র দেখা যাওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই যুবকের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির নেতা লুৎফুজ্জামান বাবর বলেছেন, ‘বর্তমান সরকার নিরপেক্ষতার কথা বলছে; কিন্তু কিছু উপদেষ্টা স্পষ্ট পক্ষপাতমূলক আচরণ করছেন, এটা আমরা বুঝতে পারছি। সামনে আমাদের একটা বড় সুযোগ আসতে পারে। ক্ষমতায় যাওয়ার সে সুযোগটা যেন আমরা নষ্ট না করি।’
১ ঘণ্টা আগে
একপর্যায়ে হামলাকারীদের মধ্য থেকে তারিফ নামের একজন এনামুলের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে বলেন, ‘তোকে কই গুলি করব—মাথায়, না বুকে।’ পরে অস্ত্রধারীরা সোহেল ও তাঁর বন্ধুদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টাকাপয়সা ছিনিয়ে নেয়। এ সময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়।
১ ঘণ্টা আগেফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় এক যুবকের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র দেখা যাওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই যুবকের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহামুদুল হাসান আজ শনিবার দুপুরে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখেছি এবং খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তবে সংঘর্ষের ঘটনায় কোনো পক্ষ এখনো অভিযোগ করেননি বলে জানিয়েছেন ওসি।
এর আগে গতকাল শুক্রবার বিকেলে উপজেলা সদরের ওয়াপদা মোড় এলাকায় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের কর্মসূচি থেকে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। ওই সময়কার ভিডিও ফুটেজে আগ্নেয়াস্ত্রের পাশাপাশি চায়নিজ কুড়াল, রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র হাতে বেশ কয়েকজনকে দেখা গেছে।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, সাবেক সংসদ সদস্য কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম ও উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি মো. শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনুর সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। এতে ঝুনু সমর্থিত উপজেলা বিএনপির একাংশের কার্যালয়ে ভাঙচুরসহ ১৫টি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয় প্রতিপক্ষ। এ ছাড়া আশপাশের অন্তত ১০টি দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্ততপক্ষে অর্ধশত কর্মী-সমর্থকেরা আহত হন।
ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, এক যুবক তোয়ালে দিয়ে ঢেকে রাখা আগ্নেয়াস্ত্রটি বের করার চেষ্টা করেন। তখন আরেকজন তাঁকে আগ্নেয়াস্ত্রটি বের না করতে বলছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ওই যুবক হলেন খন্দকার নাসিরুল ইসলাম সমর্থক শাহ মো. জাকারিয়া কাজী (২৫)। তিনি গুনবহা ইউনিয়নের উমরনগর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি উপজেলা জিয়া প্রজন্ম দলের সাধারণ সম্পাদক। এদিকে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে তাঁর আরও একটি ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
বিষয়টি নিয়ে কথা হয় সাবেক সংসদ সদস্য ও দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী খন্দকার নাসিরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই ভিডিওটি আমার সমর্থকদের রামদা কেড়ে নেওয়ার একটি দৃশ্য, আগ্নেয়াস্ত্র ছিল না।’ পরে আবার তিনি বলেন, ‘আর যদি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র থেকেই থাকে পুলিশ সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।’

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় এক যুবকের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র দেখা যাওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই যুবকের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহামুদুল হাসান আজ শনিবার দুপুরে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখেছি এবং খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তবে সংঘর্ষের ঘটনায় কোনো পক্ষ এখনো অভিযোগ করেননি বলে জানিয়েছেন ওসি।
এর আগে গতকাল শুক্রবার বিকেলে উপজেলা সদরের ওয়াপদা মোড় এলাকায় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের কর্মসূচি থেকে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। ওই সময়কার ভিডিও ফুটেজে আগ্নেয়াস্ত্রের পাশাপাশি চায়নিজ কুড়াল, রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র হাতে বেশ কয়েকজনকে দেখা গেছে।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, সাবেক সংসদ সদস্য কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম ও উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি মো. শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনুর সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। এতে ঝুনু সমর্থিত উপজেলা বিএনপির একাংশের কার্যালয়ে ভাঙচুরসহ ১৫টি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয় প্রতিপক্ষ। এ ছাড়া আশপাশের অন্তত ১০টি দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্ততপক্ষে অর্ধশত কর্মী-সমর্থকেরা আহত হন।
ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, এক যুবক তোয়ালে দিয়ে ঢেকে রাখা আগ্নেয়াস্ত্রটি বের করার চেষ্টা করেন। তখন আরেকজন তাঁকে আগ্নেয়াস্ত্রটি বের না করতে বলছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ওই যুবক হলেন খন্দকার নাসিরুল ইসলাম সমর্থক শাহ মো. জাকারিয়া কাজী (২৫)। তিনি গুনবহা ইউনিয়নের উমরনগর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি উপজেলা জিয়া প্রজন্ম দলের সাধারণ সম্পাদক। এদিকে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে তাঁর আরও একটি ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
বিষয়টি নিয়ে কথা হয় সাবেক সংসদ সদস্য ও দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী খন্দকার নাসিরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই ভিডিওটি আমার সমর্থকদের রামদা কেড়ে নেওয়ার একটি দৃশ্য, আগ্নেয়াস্ত্র ছিল না।’ পরে আবার তিনি বলেন, ‘আর যদি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র থেকেই থাকে পুলিশ সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।’

‘রোডসে আর টেন্ডার সাবমিট করবেন না।’ ঠিকাদার শাহজাহান আলী ফোন ধরতেই এ কথা বললেন মাহবুবুর রহমান রুবেল। শাহজাহান প্রশ্ন করলেন, ‘কেন?’ রুবেল এবার বললেন, ‘কারণ আমরা নিজেরাই খাইতে পাচ্ছি না। আমার কথা হলো, আপনি ভাই টেন্ডার-মেন্ডার দিয়েন না, আমার অনুরোধ থাকল। আমরা ১৭ বছর খাইতে পারিনি। এখন আমরা খাব।’
২০ মে ২০২৫
চট্টগ্রামে হালিশহরে নিজ বাসার সামনে মো. আকবর (৩৫) নামে এক যুবককে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। পরিবারের দাবি, চাঁদা না পেয়ে সন্ত্রাসীরা তাঁকে হত্যা করেছে। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আজ শনিবার লাশ নিয়ে পরিবার ও এলাকাবাসী বিক্ষোভ করে।
১৩ মিনিট আগে
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির নেতা লুৎফুজ্জামান বাবর বলেছেন, ‘বর্তমান সরকার নিরপেক্ষতার কথা বলছে; কিন্তু কিছু উপদেষ্টা স্পষ্ট পক্ষপাতমূলক আচরণ করছেন, এটা আমরা বুঝতে পারছি। সামনে আমাদের একটা বড় সুযোগ আসতে পারে। ক্ষমতায় যাওয়ার সে সুযোগটা যেন আমরা নষ্ট না করি।’
১ ঘণ্টা আগে
একপর্যায়ে হামলাকারীদের মধ্য থেকে তারিফ নামের একজন এনামুলের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে বলেন, ‘তোকে কই গুলি করব—মাথায়, না বুকে।’ পরে অস্ত্রধারীরা সোহেল ও তাঁর বন্ধুদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টাকাপয়সা ছিনিয়ে নেয়। এ সময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়।
১ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনা প্রতিনিধি

সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির নেতা লুৎফুজ্জামান বাবর বলেছেন, ‘বর্তমান সরকার নিরপেক্ষতার কথা বলছে; কিন্তু কিছু উপদেষ্টা স্পষ্ট পক্ষপাতমূলক আচরণ করছেন, এটা আমরা বুঝতে পারছি। সামনে আমাদের একটা বড় সুযোগ আসতে পারে। ক্ষমতায় যাওয়ার সে সুযোগটা যেন আমরা নষ্ট না করি।’
আজ শনিবার দুপুরে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর বিএনপির পরিচিতি সভায় ভিডিও কলে সংযুক্ত হয়ে বাবর এসব কথা বলেন। শহরের অডিটরিয়াম কাম মাল্টিপারপাস হলরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাবর বলেন, ‘এখনো কালো মেঘের ছায়া কিন্তু যায়নি, কালো মেঘ খুব ভালোভাবে রয়ে গেছে। অনেক ষড়যন্ত্র রয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে শেখ হাসিনার প্রথম মামলার রায় হবে। আওয়ামী লীগ এবং পাশের এক পরাশক্তির রাষ্ট্র সাংঘাতিকভাবে লেগে আছে, যেন রায় অথবা নির্বাচন বানচাল করা যায়। এর সঙ্গে কিছু রাজনৈতিক দলও জড়িত রয়েছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা ক্ষমতায় যাব—এটা নিশ্চিতভাবে আল্লাহ ছাড়া কেউ জানেন না। তবে আশা তো রাখতেই হবে। তাই সবাইকে দায়িত্বশীল ও শিষ্টাচার আচরণ করতে হবে। দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের কোনো সুযোগ নেই। কেউ শৃঙ্খলাভঙ্গ করলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না, এমনকি আমি করলেও না। সবারই রুজি দরকার, কিন্তু এর মানে এই নয় যে, যা খুশি তা করব। সেটা অবশ্যই হালাল পথে, ন্যায্যতার ভিত্তিতে হতে হবে।’
নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বাবর বলেন, ‘সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। ঐক্য ছাড়া কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সম্ভব নয়। তাই সবাইকে সংগঠনের প্রতি অনুগত থেকে ধৈর্য ও সংযমের পরিচয় দিতে হবে। আমরা চাই যেকোনোভাবে বিশৃঙ্খল এ সময়টা পার করে নির্বাচন পর্যন্ত পৌঁছাতে। সামনে অনেক বাধা-বিপত্তি আসবে। অনেক কিছু আপনারা দেখতে বা বুঝতে পারেন না; কিন্তু আমরা প্রতিনিয়ত তা মোকাবিলা করছি। সব কথা বলা যায় না, তবে জানিয়ে রাখছি, চ্যালেঞ্জ বড়।’
তরুণদের প্রতি সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সময়টা তথ্যপ্রযুক্তির। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সবাইকে কারিগরি ও প্রযুক্তিগত জ্ঞান অর্জন করতে হবে। না হলে এ কঠিন প্রতিযোগিতার যুগে টিকে থাকা সম্ভব নয়। সবাইকে মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করতে হবে এবং নিজের যোগ্যতায় এগিয়ে যেতে হবে।’
সভায় মোহনগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সেলিম কার্নায়েন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম এরশাদুর রহমান, পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী পুতুলসহ নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির নেতা লুৎফুজ্জামান বাবর বলেছেন, ‘বর্তমান সরকার নিরপেক্ষতার কথা বলছে; কিন্তু কিছু উপদেষ্টা স্পষ্ট পক্ষপাতমূলক আচরণ করছেন, এটা আমরা বুঝতে পারছি। সামনে আমাদের একটা বড় সুযোগ আসতে পারে। ক্ষমতায় যাওয়ার সে সুযোগটা যেন আমরা নষ্ট না করি।’
আজ শনিবার দুপুরে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর বিএনপির পরিচিতি সভায় ভিডিও কলে সংযুক্ত হয়ে বাবর এসব কথা বলেন। শহরের অডিটরিয়াম কাম মাল্টিপারপাস হলরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাবর বলেন, ‘এখনো কালো মেঘের ছায়া কিন্তু যায়নি, কালো মেঘ খুব ভালোভাবে রয়ে গেছে। অনেক ষড়যন্ত্র রয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে শেখ হাসিনার প্রথম মামলার রায় হবে। আওয়ামী লীগ এবং পাশের এক পরাশক্তির রাষ্ট্র সাংঘাতিকভাবে লেগে আছে, যেন রায় অথবা নির্বাচন বানচাল করা যায়। এর সঙ্গে কিছু রাজনৈতিক দলও জড়িত রয়েছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা ক্ষমতায় যাব—এটা নিশ্চিতভাবে আল্লাহ ছাড়া কেউ জানেন না। তবে আশা তো রাখতেই হবে। তাই সবাইকে দায়িত্বশীল ও শিষ্টাচার আচরণ করতে হবে। দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের কোনো সুযোগ নেই। কেউ শৃঙ্খলাভঙ্গ করলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না, এমনকি আমি করলেও না। সবারই রুজি দরকার, কিন্তু এর মানে এই নয় যে, যা খুশি তা করব। সেটা অবশ্যই হালাল পথে, ন্যায্যতার ভিত্তিতে হতে হবে।’
নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বাবর বলেন, ‘সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। ঐক্য ছাড়া কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সম্ভব নয়। তাই সবাইকে সংগঠনের প্রতি অনুগত থেকে ধৈর্য ও সংযমের পরিচয় দিতে হবে। আমরা চাই যেকোনোভাবে বিশৃঙ্খল এ সময়টা পার করে নির্বাচন পর্যন্ত পৌঁছাতে। সামনে অনেক বাধা-বিপত্তি আসবে। অনেক কিছু আপনারা দেখতে বা বুঝতে পারেন না; কিন্তু আমরা প্রতিনিয়ত তা মোকাবিলা করছি। সব কথা বলা যায় না, তবে জানিয়ে রাখছি, চ্যালেঞ্জ বড়।’
তরুণদের প্রতি সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সময়টা তথ্যপ্রযুক্তির। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সবাইকে কারিগরি ও প্রযুক্তিগত জ্ঞান অর্জন করতে হবে। না হলে এ কঠিন প্রতিযোগিতার যুগে টিকে থাকা সম্ভব নয়। সবাইকে মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করতে হবে এবং নিজের যোগ্যতায় এগিয়ে যেতে হবে।’
সভায় মোহনগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সেলিম কার্নায়েন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম এরশাদুর রহমান, পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী পুতুলসহ নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

‘রোডসে আর টেন্ডার সাবমিট করবেন না।’ ঠিকাদার শাহজাহান আলী ফোন ধরতেই এ কথা বললেন মাহবুবুর রহমান রুবেল। শাহজাহান প্রশ্ন করলেন, ‘কেন?’ রুবেল এবার বললেন, ‘কারণ আমরা নিজেরাই খাইতে পাচ্ছি না। আমার কথা হলো, আপনি ভাই টেন্ডার-মেন্ডার দিয়েন না, আমার অনুরোধ থাকল। আমরা ১৭ বছর খাইতে পারিনি। এখন আমরা খাব।’
২০ মে ২০২৫
চট্টগ্রামে হালিশহরে নিজ বাসার সামনে মো. আকবর (৩৫) নামে এক যুবককে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। পরিবারের দাবি, চাঁদা না পেয়ে সন্ত্রাসীরা তাঁকে হত্যা করেছে। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আজ শনিবার লাশ নিয়ে পরিবার ও এলাকাবাসী বিক্ষোভ করে।
১৩ মিনিট আগে
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় এক যুবকের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র দেখা যাওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই যুবকের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
একপর্যায়ে হামলাকারীদের মধ্য থেকে তারিফ নামের একজন এনামুলের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে বলেন, ‘তোকে কই গুলি করব—মাথায়, না বুকে।’ পরে অস্ত্রধারীরা সোহেল ও তাঁর বন্ধুদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টাকাপয়সা ছিনিয়ে নেয়। এ সময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়।
১ ঘণ্টা আগেশ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের শ্রীপুরে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি মো. সোহেল সরকার ও তাঁর বন্ধুদের ওপর সশস্ত্র হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় ২০ থেকে ২২ জনের একটি দল সোহেল, তাঁর সঙ্গে থাকা এনামুল হক ও আল আমীন নামের আরও দুজনকে রড, লোহার পাইপ, হেমার দিয়ে আঘাত করে।
একপর্যায়ে হামলাকারীদের মধ্য থেকে তারিফ নামের একজন এনামুলের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে বলেন, ‘তোকে কই গুলি করব—মাথায়, না বুকে।’ পরে অস্ত্রধারীরা সোহেল ও তাঁর বন্ধুদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টাকাপয়সা ছিনিয়ে নেয়। এ সময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়।
গতকাল শুক্রবার রাতে শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বরমী বাজারের পাশে কোষাদিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আজ শনিবার সোহেল সরকার এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
আহত ব্যক্তিরা হলেন গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি বরমী ইউনিয়নের পাঠানটেক গ্রামের মো. রাসেল সরকার (৩৫), এনামুল হক (৩৫) ও আল আমীন (৩২। রাতেই তাঁদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন একই গ্রামের মোসলেম উদ্দিন মাস্টারের ছেলে মো. রাসেল শেখ (২৬), তারিফ (২৫) ও জাহিদ (২৪)। তাঁদের সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন ছিলেন বলে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
অভিযোগে সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রদল নেতা সোহেল সরকার তাঁর বন্ধু এনামুল ও আল আমীনকে নিয়ে অসুস্থ শাশুড়িকে দেখার জন্য অটোরিকশায় করে যাচ্ছিলেন। অভিযুক্তরা কোষাদিয় এলাকায় পিস্তলসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অটোরিকশা গতিরোধ করেন। এ সময় ২০ থেকে ২২ জনের একটি দল তিনজনের তাঁদের ওপর এলোপাতাড়ি হামলা চালিয়ে মারধর শুরু করেন। অভিযুক্ত তারিফ একপর্যায়ে এনামুলের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে বলেন, ‘তোর কই গুলি করব—বুকে, না মাথায়।’
সোহেল সরকার অভিযোগ করে বলেন, ‘অভিযুক্ত রাসেল পুলিশের ওপর হামলা করে আসামি ছিনতাই, অস্ত্র, মাদকসহ একাধিক মামলার পলাতক আসামি। আমরা এলাকায় সন্ত্রাস-চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করি। সে জন্য রাসেল তার দলবল নিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করেছে।’
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হামলার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। মামলা নেওয়া হবে। আমরা খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই। অভিযুক্ত রাসেল একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। অপরাধীরা পালিয়ে গেছে। তাদের গ্রেপ্তার করতে কাজ করছে পুলিশ।’

গাজীপুরের শ্রীপুরে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি মো. সোহেল সরকার ও তাঁর বন্ধুদের ওপর সশস্ত্র হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় ২০ থেকে ২২ জনের একটি দল সোহেল, তাঁর সঙ্গে থাকা এনামুল হক ও আল আমীন নামের আরও দুজনকে রড, লোহার পাইপ, হেমার দিয়ে আঘাত করে।
একপর্যায়ে হামলাকারীদের মধ্য থেকে তারিফ নামের একজন এনামুলের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে বলেন, ‘তোকে কই গুলি করব—মাথায়, না বুকে।’ পরে অস্ত্রধারীরা সোহেল ও তাঁর বন্ধুদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টাকাপয়সা ছিনিয়ে নেয়। এ সময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়।
গতকাল শুক্রবার রাতে শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বরমী বাজারের পাশে কোষাদিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আজ শনিবার সোহেল সরকার এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
আহত ব্যক্তিরা হলেন গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি বরমী ইউনিয়নের পাঠানটেক গ্রামের মো. রাসেল সরকার (৩৫), এনামুল হক (৩৫) ও আল আমীন (৩২। রাতেই তাঁদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন একই গ্রামের মোসলেম উদ্দিন মাস্টারের ছেলে মো. রাসেল শেখ (২৬), তারিফ (২৫) ও জাহিদ (২৪)। তাঁদের সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন ছিলেন বলে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
অভিযোগে সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রদল নেতা সোহেল সরকার তাঁর বন্ধু এনামুল ও আল আমীনকে নিয়ে অসুস্থ শাশুড়িকে দেখার জন্য অটোরিকশায় করে যাচ্ছিলেন। অভিযুক্তরা কোষাদিয় এলাকায় পিস্তলসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অটোরিকশা গতিরোধ করেন। এ সময় ২০ থেকে ২২ জনের একটি দল তিনজনের তাঁদের ওপর এলোপাতাড়ি হামলা চালিয়ে মারধর শুরু করেন। অভিযুক্ত তারিফ একপর্যায়ে এনামুলের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে বলেন, ‘তোর কই গুলি করব—বুকে, না মাথায়।’
সোহেল সরকার অভিযোগ করে বলেন, ‘অভিযুক্ত রাসেল পুলিশের ওপর হামলা করে আসামি ছিনতাই, অস্ত্র, মাদকসহ একাধিক মামলার পলাতক আসামি। আমরা এলাকায় সন্ত্রাস-চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করি। সে জন্য রাসেল তার দলবল নিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করেছে।’
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হামলার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। মামলা নেওয়া হবে। আমরা খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই। অভিযুক্ত রাসেল একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। অপরাধীরা পালিয়ে গেছে। তাদের গ্রেপ্তার করতে কাজ করছে পুলিশ।’

‘রোডসে আর টেন্ডার সাবমিট করবেন না।’ ঠিকাদার শাহজাহান আলী ফোন ধরতেই এ কথা বললেন মাহবুবুর রহমান রুবেল। শাহজাহান প্রশ্ন করলেন, ‘কেন?’ রুবেল এবার বললেন, ‘কারণ আমরা নিজেরাই খাইতে পাচ্ছি না। আমার কথা হলো, আপনি ভাই টেন্ডার-মেন্ডার দিয়েন না, আমার অনুরোধ থাকল। আমরা ১৭ বছর খাইতে পারিনি। এখন আমরা খাব।’
২০ মে ২০২৫
চট্টগ্রামে হালিশহরে নিজ বাসার সামনে মো. আকবর (৩৫) নামে এক যুবককে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। পরিবারের দাবি, চাঁদা না পেয়ে সন্ত্রাসীরা তাঁকে হত্যা করেছে। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আজ শনিবার লাশ নিয়ে পরিবার ও এলাকাবাসী বিক্ষোভ করে।
১৩ মিনিট আগে
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় এক যুবকের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র দেখা যাওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই যুবকের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির নেতা লুৎফুজ্জামান বাবর বলেছেন, ‘বর্তমান সরকার নিরপেক্ষতার কথা বলছে; কিন্তু কিছু উপদেষ্টা স্পষ্ট পক্ষপাতমূলক আচরণ করছেন, এটা আমরা বুঝতে পারছি। সামনে আমাদের একটা বড় সুযোগ আসতে পারে। ক্ষমতায় যাওয়ার সে সুযোগটা যেন আমরা নষ্ট না করি।’
১ ঘণ্টা আগে