গনেশ দাস, বগুড়া
আলু সংরক্ষণ করা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বগুড়ার কৃষকেরা। পর্যাপ্ত হিমাগার না থাকায় কৃষকের বাড়িতেই আলু নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে কম দামে আলু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষক। যে কারণে আলু চাষ করে লোকসান গুনতে হচ্ছে এই অঞ্চলের কৃষকদের।
কৃষি বিভাগ বলছে, এ বছর অধিক পরিমাণ জমিতে আলু চাষ করেছেন বগুড়ার কৃষকেরা। পাশাপাশি ফলনও হয়েছে বাম্পার। এত বেশি পরিমাণ আলু সংরক্ষণ করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে কৃষককে।
বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর বগুড়া জেলায় ৬০ হাজার ৪৩৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়। এই পরিমাণ জমি থেকে প্রতি হেক্টরে ২৩ টন হিসেবে আলু উৎপাদন হয়েছে প্রায় ১৪ লাখ টন। গত বছর এই জেলায় ৫৫ হাজার ২৬০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়েছিল। ফলন হয়েছিল প্রতি হেক্টর ২১ টন। কৃষি বিভাগের মতে, বগুড়া জেলার সাড়ে ৩৭ লাখ জনসংখ্যার জন্য বছরে আলুর চাহিদা রয়েছে ৩ লাখ টন। আর জেলার ৪২টি হিমাগারে আলু সংরক্ষণ করা যায় ৪ লাখ টন।
শিবগঞ্জ উপজেলার অনন্তবালা গ্রামের কৃষক সেলিম উদ্দিন বলেন, দুই বিঘা জমিতে আলু চাষ করে এবার তাঁর লোকসান হয়েছে কমপক্ষে ২০ হাজার টাকা। ফলন ভালো হওয়ায় দুই বিঘা জমিতে ৮৫ মণ আলু পেয়েছেন। ভালো দাম না পাওয়ায় এখনো তাঁর বাড়িতে ৫০ মণ আলু রয়েছে। সংরক্ষণের অভাবে সেই আলুতে পচন ধরেছে।
তিনি বলেন, গ্রামের প্রতিটি কৃষকের ঘরে আলু অবিক্রীত অবস্থায় পড়ে আছে। আলুর চাহিদা এতটাই কম যে, গরিব মানুষকে বিনা মূল্যে দিলেও তা নিচ্ছে না। বগুড়া সদরের ঘোলাগাড়ী গ্রামের আব্দুল মজিদ বলেন, মৌসুমের শুরুতে দাম ভালো পাওয়া গেলেও এখন আলু বিক্রি করে লোকসান হচ্ছে। তিনি বলেন, সাড়ে তিন বিঘা জমিতে পাকড়ি জাতের আলু উৎপাদন হয়েছে ২০০ মণ। কিন্তু ভালো দামে বিক্রি করতে না পারায় নষ্ট হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি লোকসান গুনতে হচ্ছে।
বগুড়ার মহাস্থান হাট ঘুরে দেখা গেছে, পাকড়ি আলু প্রতি মণ ৪০০ থেকে ৪২০ টাকা এবং সাদা স্টিক আলু ৩৫০ থেকে ৩৮০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মমতা হক বলেন, বগুড়ায় এই প্রথমবারের মতো কৃষকের বসতবাড়িতে প্রাকৃতিক উপায়ে আলু সংরক্ষণের জন্য ৬৭টি অহিমায়িত ঘর তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। এই ঘরগুলোয় বিনা খরচে ২ হাজার মেট্রিকটন আলু চার মাস সংরক্ষণ করা যাবে। কৃষক এর সুফল পেলে ভবিষ্যতে নিজ নিজ বাড়িতে অহিমায়িত ঘর তৈরি করলে আলু, পেঁয়াজসহ গ্রীষ্মকালীন বিভিন্ন সবজি সংরক্ষণ করতে পারবেন।
বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সোহেল মো. সামছুদ্দিন ফিরোজ বলেন, এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চলে আলুর ফলন বেশি হয়েছে। এ ছাড়া আলুর চাষও হয়েছে অনেক বেশি জমিতে। ফলে বাজারে আলুর দাম তুলনামূলক কম। এত বিপুল পরিমাণ আলু সংরক্ষণ করতে কৃষকের পাশাপাশি কৃষি বিভাগও হিমশিম খাচ্ছে।
আলু সংরক্ষণ করা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বগুড়ার কৃষকেরা। পর্যাপ্ত হিমাগার না থাকায় কৃষকের বাড়িতেই আলু নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে কম দামে আলু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষক। যে কারণে আলু চাষ করে লোকসান গুনতে হচ্ছে এই অঞ্চলের কৃষকদের।
কৃষি বিভাগ বলছে, এ বছর অধিক পরিমাণ জমিতে আলু চাষ করেছেন বগুড়ার কৃষকেরা। পাশাপাশি ফলনও হয়েছে বাম্পার। এত বেশি পরিমাণ আলু সংরক্ষণ করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে কৃষককে।
বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর বগুড়া জেলায় ৬০ হাজার ৪৩৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়। এই পরিমাণ জমি থেকে প্রতি হেক্টরে ২৩ টন হিসেবে আলু উৎপাদন হয়েছে প্রায় ১৪ লাখ টন। গত বছর এই জেলায় ৫৫ হাজার ২৬০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়েছিল। ফলন হয়েছিল প্রতি হেক্টর ২১ টন। কৃষি বিভাগের মতে, বগুড়া জেলার সাড়ে ৩৭ লাখ জনসংখ্যার জন্য বছরে আলুর চাহিদা রয়েছে ৩ লাখ টন। আর জেলার ৪২টি হিমাগারে আলু সংরক্ষণ করা যায় ৪ লাখ টন।
শিবগঞ্জ উপজেলার অনন্তবালা গ্রামের কৃষক সেলিম উদ্দিন বলেন, দুই বিঘা জমিতে আলু চাষ করে এবার তাঁর লোকসান হয়েছে কমপক্ষে ২০ হাজার টাকা। ফলন ভালো হওয়ায় দুই বিঘা জমিতে ৮৫ মণ আলু পেয়েছেন। ভালো দাম না পাওয়ায় এখনো তাঁর বাড়িতে ৫০ মণ আলু রয়েছে। সংরক্ষণের অভাবে সেই আলুতে পচন ধরেছে।
তিনি বলেন, গ্রামের প্রতিটি কৃষকের ঘরে আলু অবিক্রীত অবস্থায় পড়ে আছে। আলুর চাহিদা এতটাই কম যে, গরিব মানুষকে বিনা মূল্যে দিলেও তা নিচ্ছে না। বগুড়া সদরের ঘোলাগাড়ী গ্রামের আব্দুল মজিদ বলেন, মৌসুমের শুরুতে দাম ভালো পাওয়া গেলেও এখন আলু বিক্রি করে লোকসান হচ্ছে। তিনি বলেন, সাড়ে তিন বিঘা জমিতে পাকড়ি জাতের আলু উৎপাদন হয়েছে ২০০ মণ। কিন্তু ভালো দামে বিক্রি করতে না পারায় নষ্ট হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি লোকসান গুনতে হচ্ছে।
বগুড়ার মহাস্থান হাট ঘুরে দেখা গেছে, পাকড়ি আলু প্রতি মণ ৪০০ থেকে ৪২০ টাকা এবং সাদা স্টিক আলু ৩৫০ থেকে ৩৮০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মমতা হক বলেন, বগুড়ায় এই প্রথমবারের মতো কৃষকের বসতবাড়িতে প্রাকৃতিক উপায়ে আলু সংরক্ষণের জন্য ৬৭টি অহিমায়িত ঘর তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। এই ঘরগুলোয় বিনা খরচে ২ হাজার মেট্রিকটন আলু চার মাস সংরক্ষণ করা যাবে। কৃষক এর সুফল পেলে ভবিষ্যতে নিজ নিজ বাড়িতে অহিমায়িত ঘর তৈরি করলে আলু, পেঁয়াজসহ গ্রীষ্মকালীন বিভিন্ন সবজি সংরক্ষণ করতে পারবেন।
বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সোহেল মো. সামছুদ্দিন ফিরোজ বলেন, এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চলে আলুর ফলন বেশি হয়েছে। এ ছাড়া আলুর চাষও হয়েছে অনেক বেশি জমিতে। ফলে বাজারে আলুর দাম তুলনামূলক কম। এত বিপুল পরিমাণ আলু সংরক্ষণ করতে কৃষকের পাশাপাশি কৃষি বিভাগও হিমশিম খাচ্ছে।
বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে পড়ে নিখোঁজ সাগর হাওলাদার (৩৮) নামের এক রিকশাচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার বেলা ৩টার দিকে নদীর দপদপিয়া খেয়াঘাটসংলগ্ন এলাকা থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। বরিশাল সদর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অসীম কুমার সিকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ মিনিট আগেক্লাস শেষে স্কুল ছুটির ঘণ্টা বেজেছিল। শ্রেণিকক্ষ থেকে বের হওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছিল ছাত্রছাত্রীরা। ঠিক সেই সময় বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমানটি ভবনের ওপর আছড়ে পড়ে। মুহূর্তে চারপাশ ঢেকে যায় আগুন ও ধোঁয়ায়।
৬ মিনিট আগেকুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল-কোরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন প্রকাশের পর এটি ‘হত্যাকাণ্ড’ বলে অভিহিত করে হত্যার ঘটনায় প্রশাসনের প্রহসনের প্রতিবাদে
২৪ মিনিট আগেনেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় উপদাখালী নদীতে ডুবে মো. আলী আসাদ (৩) নামের এক শিশু মারা গেছে। সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ঘোষপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিশুটি ঘোষপাড়া গ্রামের বিল্লাল হোসেন (৩৫) ও আম্বিয়া খাতুন (২৮) দম্পতির একমাত্র সন্তান।
২৭ মিনিট আগে