নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
জ্বালানি তেলের পর রাসায়নিক সারের দাম বাড়ায় রাজশাহীর কৃষকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। কৃষকেরা বলছেন, সারের দাম বাড়ার কারণে ফসলের উৎপাদন খরচ বাড়বে। কিন্তু সেই তুলনায় ফসলের দাম না বাড়লে লোকসান গুনতে হবে তাঁদের।
তবে কৃষি বিভাগ বলছে, সারের দাম বাড়ানো হয়েছে সামান্যই। এতে খুব বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার গোলাই গ্রামের কৃষক আকবর আলী বলেন, খরার কারণে ঘন ঘন জমিতে সেচ দিতে হচ্ছে। অন্য এলাকার তুলনায় বরেন্দ্র এলাকার চাষিদের ধান চাষে খরচ বেশি। এর মধ্যে সারের দাম বাড়ল। দাম বাড়ার আগেই জমিতে সার দেওয়া হয়েছে। তা না হলে খরচ আরও বেড়ে যেত। তবে অন্য ফসল চাষে এখন গুনতে হবে বাড়তি খরচ।
কৃষকেরা জানান, জমিতে ধান লাগানোর জন্য জমি প্রস্তুতের সময়ই বিঘাপ্রতি পাঁচ কেজি ইউরিয়া এবং এক কেজি করে পটাশ ও টিএসপি সার দিতে হয়। জমিতে ধানগাছের বয়স ২৫ থেকে ৩০ দিন হলেই প্রয়োজন হয় অন্তত ৪০ কেজি ইউরিয়া। এর সঙ্গে এক কেজি দস্তা।
একসঙ্গে সব ধরনের রাসায়নিক সারে কেজিপ্রতি পাঁচ টাকা বাড়ায় অনেক বেশি বলে মনে করছেন কৃষকেরা।
পুঠিয়ার হাড়োগাথী গ্রামের বাসিন্দা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য আবদুস সাত্তার বলেন, ‘একসঙ্গে পাঁচ টাকা দাম বেড়ে যাওয়া অনেক বেশি কৃষকের জন্য। চাষাবাদে খুব সমস্যা হবে। সারের দাম বাড়ার পাশাপাশি ফসলের ন্যায্যমূল্য সরকার যদি নিশ্চিত করতে পারে তাহলে কৃষকের সমস্যা হবে না।’
পুঠিয়ার সাধনপুর গ্রামের চাষি মো. জাহাঙ্গীর বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশের পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার সারের দাম বাড়িয়েছে বলে টিভিতে খবরে দেখলাম।’
জাহাঙ্গীর আরও বলেন, ‘সরকার যে দাম বাড়ায়, এর চেয়েও বেশি দামে বিক্রি হয় খুচরা পর্যায়ে। সরকারকে ভালোভাবে নজরদারি করতে হবে যেন খুচরা পর্যায়ে দাম আরও বেশি না বেড়ে যায়।’
আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ায় কৃষক ও ডিলার পর্যায়ে রাসায়নিক সারের দাম প্রতি কেজিতে পাঁচ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
১০ এপ্রিল থেকে সব ধরনের রাসায়নিক সারের দাম কেজিতে পাঁচ টাকা বাড়িয়ে আদেশ জারি করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়। কৃষক পর্যায়ে প্রতি কেজি ইউরিয়া ও টিএসপির দাম ২২ থেকে ২৭ টাকা, ডিএপি ১৬ থেকে বেড়ে ২১, এমওপির দাম ১৫ থেকে ২০ টাকা নির্ধারণ হয়েছে। সারের নতুন দাম ইতিমধ্যে কার্যকর হয়েছে।
তানোরের পাঁচন্দর গ্রামের কৃষক জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘ফসলের দাম কম, সারের দাম বেশি। এই কারণে তো কৃষকের চিন্তা। এখন যে ফসলে সার কম লাগে, সেটা বেশি করে করতে হবে। সারের দাম বাড়ানোর আগে কৃষকদের মনের কথাটাও একটা জানা দরকার ছিল।’
তবে কৃষি বিভাগ মনে করছে, ‘সারের দাম যা বাড়ানো হয়েছে তা যৌক্তিক। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোজদার হোসেন বলেন, বস্তায় ২৫০ টাকা দাম বেড়েছে, এটা খুব বেশি না। কারও তেমন কোনো সমস্যা হবে না। যৌক্তিকভাবেই দাম বাড়ানো হয়েছে। এটা যুক্তিসংগত।’
‘দাম বাড়ার কারণে একরকম ভালোই হয়েছে। কৃষকেরা পরিমিত সার ব্যবহার করবে। দাম কম হলে তো ইচ্ছেমতো ব্যবহার করে।’ যুক্ত করেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোজদার হোসেন।
জ্বালানি তেলের পর রাসায়নিক সারের দাম বাড়ায় রাজশাহীর কৃষকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। কৃষকেরা বলছেন, সারের দাম বাড়ার কারণে ফসলের উৎপাদন খরচ বাড়বে। কিন্তু সেই তুলনায় ফসলের দাম না বাড়লে লোকসান গুনতে হবে তাঁদের।
তবে কৃষি বিভাগ বলছে, সারের দাম বাড়ানো হয়েছে সামান্যই। এতে খুব বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার গোলাই গ্রামের কৃষক আকবর আলী বলেন, খরার কারণে ঘন ঘন জমিতে সেচ দিতে হচ্ছে। অন্য এলাকার তুলনায় বরেন্দ্র এলাকার চাষিদের ধান চাষে খরচ বেশি। এর মধ্যে সারের দাম বাড়ল। দাম বাড়ার আগেই জমিতে সার দেওয়া হয়েছে। তা না হলে খরচ আরও বেড়ে যেত। তবে অন্য ফসল চাষে এখন গুনতে হবে বাড়তি খরচ।
কৃষকেরা জানান, জমিতে ধান লাগানোর জন্য জমি প্রস্তুতের সময়ই বিঘাপ্রতি পাঁচ কেজি ইউরিয়া এবং এক কেজি করে পটাশ ও টিএসপি সার দিতে হয়। জমিতে ধানগাছের বয়স ২৫ থেকে ৩০ দিন হলেই প্রয়োজন হয় অন্তত ৪০ কেজি ইউরিয়া। এর সঙ্গে এক কেজি দস্তা।
একসঙ্গে সব ধরনের রাসায়নিক সারে কেজিপ্রতি পাঁচ টাকা বাড়ায় অনেক বেশি বলে মনে করছেন কৃষকেরা।
পুঠিয়ার হাড়োগাথী গ্রামের বাসিন্দা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য আবদুস সাত্তার বলেন, ‘একসঙ্গে পাঁচ টাকা দাম বেড়ে যাওয়া অনেক বেশি কৃষকের জন্য। চাষাবাদে খুব সমস্যা হবে। সারের দাম বাড়ার পাশাপাশি ফসলের ন্যায্যমূল্য সরকার যদি নিশ্চিত করতে পারে তাহলে কৃষকের সমস্যা হবে না।’
পুঠিয়ার সাধনপুর গ্রামের চাষি মো. জাহাঙ্গীর বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশের পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার সারের দাম বাড়িয়েছে বলে টিভিতে খবরে দেখলাম।’
জাহাঙ্গীর আরও বলেন, ‘সরকার যে দাম বাড়ায়, এর চেয়েও বেশি দামে বিক্রি হয় খুচরা পর্যায়ে। সরকারকে ভালোভাবে নজরদারি করতে হবে যেন খুচরা পর্যায়ে দাম আরও বেশি না বেড়ে যায়।’
আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ায় কৃষক ও ডিলার পর্যায়ে রাসায়নিক সারের দাম প্রতি কেজিতে পাঁচ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
১০ এপ্রিল থেকে সব ধরনের রাসায়নিক সারের দাম কেজিতে পাঁচ টাকা বাড়িয়ে আদেশ জারি করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়। কৃষক পর্যায়ে প্রতি কেজি ইউরিয়া ও টিএসপির দাম ২২ থেকে ২৭ টাকা, ডিএপি ১৬ থেকে বেড়ে ২১, এমওপির দাম ১৫ থেকে ২০ টাকা নির্ধারণ হয়েছে। সারের নতুন দাম ইতিমধ্যে কার্যকর হয়েছে।
তানোরের পাঁচন্দর গ্রামের কৃষক জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘ফসলের দাম কম, সারের দাম বেশি। এই কারণে তো কৃষকের চিন্তা। এখন যে ফসলে সার কম লাগে, সেটা বেশি করে করতে হবে। সারের দাম বাড়ানোর আগে কৃষকদের মনের কথাটাও একটা জানা দরকার ছিল।’
তবে কৃষি বিভাগ মনে করছে, ‘সারের দাম যা বাড়ানো হয়েছে তা যৌক্তিক। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোজদার হোসেন বলেন, বস্তায় ২৫০ টাকা দাম বেড়েছে, এটা খুব বেশি না। কারও তেমন কোনো সমস্যা হবে না। যৌক্তিকভাবেই দাম বাড়ানো হয়েছে। এটা যুক্তিসংগত।’
‘দাম বাড়ার কারণে একরকম ভালোই হয়েছে। কৃষকেরা পরিমিত সার ব্যবহার করবে। দাম কম হলে তো ইচ্ছেমতো ব্যবহার করে।’ যুক্ত করেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোজদার হোসেন।
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার বজরা ইউনিয়ন অভিযান চালিয়ে হাবিব টিটু (২৮) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এ সময় তাঁর কাছ থেকে একটি এলজি উদ্ধার করা হয়।
৪ মিনিট আগেকিশোরগঞ্জে যুবলীগ নেতা মো. রবিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে লতিবাবাদ ইউনিয়নের মুকসেদপুর বড়পুল এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১৮ মিনিট আগেসিলেটের বিশ্বনাথে সড়কের পাশ থেকে এক ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে তাঁর নাম-পরিচয় শনাক্ত হয়নি। বয়স আনুমানিক ৩২ বলে পুলিশ জানিয়েছে। গতকাল রোববার রাত ১০টার দিকে উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের বাওনপুর-ধনপুর পীরের বাজার এলাকায় সড়কের পাশে ওই ব্যক্তির লাশ দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন।
২ ঘণ্টা আগেরাজধানীতে অপরাধ দমন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশকে সহায়তার জন্য অক্সিলিয়ারি ফোর্স হিসেবে ৪২৬ জন ‘সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা’ নিয়োগ দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। প্রশিক্ষণ ছাড়াই তড়িঘড়ি করে নিয়োগ দেওয়ায় তাঁদের অনেকে নিজেদের দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে জানেন না।
৮ ঘণ্টা আগে