Ajker Patrika

চাঁপাইনবাবগঞ্জে সড়কে খুঁটি রেখেই সংস্কার

আব্দুল বাশির, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
আপডেট : ২৫ জুন ২০২৫, ০৯: ০০
সড়কের মাঝে বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই কংক্রিটের সিসি ঢালাই দেওয়া হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার রানীহাটি বাজারে। 	ছবি: আজকের পত্রিকা
সড়কের মাঝে বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই কংক্রিটের সিসি ঢালাই দেওয়া হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার রানীহাটি বাজারে। ছবি: আজকের পত্রিকা

সড়কের মধ্যে থেকে বিদ্যুতের খুঁটি অপসারণ না করেই প্রশস্ত করা হচ্ছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ মহাসড়ক। সড়কটি ৬ দশমিক ২ মিটার থেকে উন্নীত করা হচ্ছে ১০ দশমিক ৩ মিটারে। এ অবস্থায় ৪৮১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়ক প্রশস্তকরণের সুফল নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া দুর্ঘটনার ঝুঁকি বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে সড়ক বিভাগ বলছে, পর্যায়ক্রমে খুঁটিগুলো সরানো হবে। এতে সড়কের কাজের মানে কোনো প্রভাব পড়বে না।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) সূত্রে জানা গেছে, সড়কের ১৪৫০ মিটার অংশ প্রশস্তকরণ ও মজবুত করতে কাজ শুরু করেছে সওজ। এর মধ্যে বারঘরিয়া, ছত্রজিৎপুর ও রানীহাটি এলাকায় কংক্রিটের ঢালাই করা হবে। বাকি অংশ হবে কার্পেটিং বা বিটুমিনের। প্রকল্পের মোট ব্যয় হচ্ছে ৪৮১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। সড়কটি একেকটি অংশে একেক রকম প্রশস্ত করা হবে। কাজটি ২০২৪ সালের জুলাই মাসে শুরু হয়েছে, যা ২০২৬ সালের ডিসেম্বর মাসে শেষ হওয়ার কথা। প্রতি কিলোমিটার সড়ক প্রশস্তকরণে গড়ে খরচ ধরা হয়েছে ১৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রানীহাটি ও ছত্রজিৎপুর এলাকায় সড়কের বর্তমান প্রস্থ ৬ দশমিক ২ মিটার। দুই পাশে প্রশস্ত করে সড়কটি ১০ দশমিক ৩ মিটারে উন্নীত করা হচ্ছে। সড়কের ওই অংশে ৩৪০ মিমি কংক্রিটের ঢালাই দিয়ে উঁচু করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ৪ ইঞ্চি ঢালাই হয়ে গেছে। কিন্তু সড়কের মধ্যে বিদ্যুতের খুঁটি রেখেই দেওয়া হচ্ছে ঢালাই। প্রায় ৪ ইঞ্চি পুরুত্বের ঢালাই ভেঙে ভবিষ্যতে এই খুঁটি স্থানান্তর করা কঠিন হবে। অবশ্যই খুঁটির পাশে কিছুটা ফাঁকা রাখা হচ্ছে। তবে সেটা যথেষ্ট না। এতে প্রশস্ত করা বাকি অংশ দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে পারবে না। আবার যানবাহন চলাচল করলেও দুর্ঘটনার শঙ্কা থাকে। সড়কের অন্যান্য অংশেও খুঁটি রেখেই প্রশস্ত করা হচ্ছে। তবে মোট কতটি খুঁটি সরাতে হবে, এমন কোনো তথ্য দিতে পারেনি সড়ক বিভাগ।

জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী শাহ্ মো. আসিফ বলেন, ‘বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থানান্তরের জন্য নেসকো ও পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগকে ৭ কোটি ৫৮ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ বুঝিয়ে দিয়েছি। তারা ঠিকাদার নিয়োগ করে খুঁটিগুলো সরানোর ব্যবস্থা করছে।’ তবে কবে নাগাদ খুঁটিগুলো সরানো শেষ হবে, তার কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি এই কর্মকর্তা।

খুঁটি রেখে কাজ করা কতটা যুক্তিসংগত, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘খুঁটির পাশে কিছু জায়গা ফাঁকা রাখা হচ্ছে। পরে সেই খুঁটিগুলো সরানো হবে। এতে করে সড়কের কোনো ক্ষতি হবে না। এর জন্য তো সড়ক বিভাগের কাজ থেমে থাকতে পারে না।’

বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১, নেসকো লিমিটেড, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আলিউল আজিম বলেন, খুঁটিগুলো স্থাপনের জন্য ঠিকাদার নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। সেটা হলেই কাজ শুরু হবে। তবে সেটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।

পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগ চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেনারেল ম্যানেজার হাওলাদার মো. ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমাদের জন্য সড়ক বিভাগের কোনো ক্ষতি হবে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত