পাবনা প্রতিনিধি
অন্তর্বর্তী সরকারের সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ বলেছেন, ‘বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ ধরে কাঠামোগতভাবে যে বৈষম্য তৈরি হয়েছে, প্রাতিষ্ঠানিকভাবে যাকে স্থায়ী করা হয়েছে, সেগুলো কেবল প্রাণের বিনিময়ে অবিলম্বে দূর করতে পারব—এ রকম ভাবার সুযোগ নেই। ১৯৭২ সালে পৃথিবীজুড়ে অনেক অর্থনীতিবিদ বলেছিলেন, বাংলাদেশ টিকবে না, তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত হবে। বাংলাদেশের মানুষ প্রমাণ করেছে, তারা পারে। বাংলাদেশ অগ্রসর হয়েছে।’
আজ দুপুরে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ বর্ষের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ উপলক্ষে আয়োজিত ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আলী রীয়াজ বলেন, ‘সবাই দায়িত্ববোধ, জ্ঞান, আচরণ দিয়ে একটু একটু করে বৈষম্য কমানো সম্ভব। অর্জনের প্রথম কাজ হলো পরস্পরের প্রতি সহমর্মিতাবোধ তৈরি করা। নানা প্রতিকূলতার মাঝেও বাংলাদেশের মানুষ নিজস্ব কর্ম উদ্যোগে অনেক কিছু অর্জন করেছে। তরুণেরাই হচ্ছে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। তাই এই তরুণদের প্রাণপ্রকৃতি রক্ষা, ভিন্নমতদের প্রতি সহমর্মিতাবোধ তৈরি, সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের প্রাপ্য সুবিধা নিশ্চিত করা। সকলকে সমতার জায়গায় নেওয়ার চেষ্টা থাকলে সাফল্য অর্জিত হবে।’
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ড. আলী রীয়াজ বলেন, ‘৫৪ বছর ধরে মানুষ নিজ উদ্যোগে অনেক কিছু অর্জন করেছে। ফলে সমাজ এগিয়েছে। ২০২৪ বলে দিচ্ছে, আপনারা পারেন। এই কমিটমেন্ট ধরে রাখতে হবে। যে বীর শহীদেরা নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছেন, তাঁদের মেধা, পরিশ্রম, আন্তরিকতা, সহযোগিতা ও আন্দোলনের ফসল নতুন বাংলাদেশ। আমি অনুভব করি, এটার প্রয়োজন ছিল। তাঁদের অবদান আপনি যদি স্বীকার না করেন, তাহলে সেটা ব্যক্তির উদ্যাপন হবে। কোথাও অন্যায় হলে কণ্ঠস্বর স্পষ্ট হওয়া উচিত। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হওয়া দরকার। ছোট অন্যায্য একদিন বড় হয়ে যায়। অন্যায্য সমাজকে ধ্বংস করে দেয়। অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকুন। সৃষ্টিশীল মানুষ সম্পদশালী হয়।’
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে নিহত শহীদদের জন্য দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে নিহত শহীদ ও আহতদের জন্য দোয়া করা হয়।
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য ড. এস এম আব্দুল আওয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আনোয়ারুল আজিম আকন্দ, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. নকীব মুহাম্মদ নাসরুল্লাহ, রাজশাহী ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এস এম আব্দুর রাজ্জাক।
শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য মো. নজরুল ইসলাম।
অন্তর্বর্তী সরকারের সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ বলেছেন, ‘বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ ধরে কাঠামোগতভাবে যে বৈষম্য তৈরি হয়েছে, প্রাতিষ্ঠানিকভাবে যাকে স্থায়ী করা হয়েছে, সেগুলো কেবল প্রাণের বিনিময়ে অবিলম্বে দূর করতে পারব—এ রকম ভাবার সুযোগ নেই। ১৯৭২ সালে পৃথিবীজুড়ে অনেক অর্থনীতিবিদ বলেছিলেন, বাংলাদেশ টিকবে না, তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত হবে। বাংলাদেশের মানুষ প্রমাণ করেছে, তারা পারে। বাংলাদেশ অগ্রসর হয়েছে।’
আজ দুপুরে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ বর্ষের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ উপলক্ষে আয়োজিত ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আলী রীয়াজ বলেন, ‘সবাই দায়িত্ববোধ, জ্ঞান, আচরণ দিয়ে একটু একটু করে বৈষম্য কমানো সম্ভব। অর্জনের প্রথম কাজ হলো পরস্পরের প্রতি সহমর্মিতাবোধ তৈরি করা। নানা প্রতিকূলতার মাঝেও বাংলাদেশের মানুষ নিজস্ব কর্ম উদ্যোগে অনেক কিছু অর্জন করেছে। তরুণেরাই হচ্ছে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। তাই এই তরুণদের প্রাণপ্রকৃতি রক্ষা, ভিন্নমতদের প্রতি সহমর্মিতাবোধ তৈরি, সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের প্রাপ্য সুবিধা নিশ্চিত করা। সকলকে সমতার জায়গায় নেওয়ার চেষ্টা থাকলে সাফল্য অর্জিত হবে।’
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ড. আলী রীয়াজ বলেন, ‘৫৪ বছর ধরে মানুষ নিজ উদ্যোগে অনেক কিছু অর্জন করেছে। ফলে সমাজ এগিয়েছে। ২০২৪ বলে দিচ্ছে, আপনারা পারেন। এই কমিটমেন্ট ধরে রাখতে হবে। যে বীর শহীদেরা নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছেন, তাঁদের মেধা, পরিশ্রম, আন্তরিকতা, সহযোগিতা ও আন্দোলনের ফসল নতুন বাংলাদেশ। আমি অনুভব করি, এটার প্রয়োজন ছিল। তাঁদের অবদান আপনি যদি স্বীকার না করেন, তাহলে সেটা ব্যক্তির উদ্যাপন হবে। কোথাও অন্যায় হলে কণ্ঠস্বর স্পষ্ট হওয়া উচিত। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হওয়া দরকার। ছোট অন্যায্য একদিন বড় হয়ে যায়। অন্যায্য সমাজকে ধ্বংস করে দেয়। অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকুন। সৃষ্টিশীল মানুষ সম্পদশালী হয়।’
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে নিহত শহীদদের জন্য দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে নিহত শহীদ ও আহতদের জন্য দোয়া করা হয়।
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য ড. এস এম আব্দুল আওয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আনোয়ারুল আজিম আকন্দ, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. নকীব মুহাম্মদ নাসরুল্লাহ, রাজশাহী ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এস এম আব্দুর রাজ্জাক।
শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য মো. নজরুল ইসলাম।
রাজধানীর উত্তরায় বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ঢাকা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আরও দুজন মারা গেল। এ পর্যন্ত বার্ন ইনস্টিটিউট ও ঢাকা মেডিকেল বার্ন ইউনিটে মোট চারজন মারা গেল। ভর্তি রয়েছে ৪৪জন।
৬ মিনিট আগেরাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মাইলস্টোন স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী মেহেনাজ আক্তার হুমায়রা মারা গেছে। হুমায়রা টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার হতেয়া কেরানীপাড়া এলাকার দেলোয়ার হোসেন রানার একমাত্র মেয়ে।
২৩ মিনিট আগেশরীয়তপুরে ওয়ার্কশপে কাজ করার সময় বিদ্যুতায়িত হয়ে টুটুল খান (১৪) নামের এক কিশোর গ্রিলমিস্ত্রি মারা গেছে। আজ সোমবার (২১ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সদর উপজেলার রাজগঞ্জ বাজারের তারা মিয়া মল্লিকের ওয়ার্কশপে এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেগত বছর জুলাই আন্দোলন চলাকালে বাসার বারান্দায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছিল ছোট মেয়ে নাঈমা সুলতানা। সেই ঘটনার এক বছর পর বড় মেয়ে তাসপিয়া সুলতানাও আজ অসুস্থ, মূর্ছা যাচ্ছে বারবার। দুই মেয়েই রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী।
১ ঘণ্টা আগে