Ajker Patrika

২ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে শিক্ষক আটক 

প্রতিনিধি, মোহনগঞ্জ (নেত্রকোনা)
২ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে শিক্ষক আটক 

নেত্রকোনায় দুই মাদ্রাসা ছাত্রকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে হাফেজ মোবাশ্বির (৩০) নামে এক মাদ্রাসার শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার দুপুরে তাঁকে আটক করা হয়। আটক মোবাশ্বির সদর উপজেলার কুনিয়া মাইজপাড়া তানকুল উলুম মাদ্রাসার শিক্ষক।

অভিযুক্ত হাফেজ মোবাশ্বির সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় টেকেরঘাট দক্ষিণপাড়া এলাকার মৃত আজমল হোসেনের ছেলে। দুই সন্তানের জনক তিনি। 

এলাকাবাসী জানায়, কুনিয়া মাইজপাড়া এলাকায় তানকুল উলুম নামে এলাকাবাসী নিজেদের অর্থায়নে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। সাত-আট মাস আগে ওই মাদ্রাসায় শিক্ষকতা পেশায় যোগদান করেন অভিযুক্ত মোবাশ্বির। এলাকাবাসী তাঁকে পরিবারসহ থাকার জন্য ঘর তৈরি করে বাসস্থানের ব্যবস্থা করে দেন। স্ত্রী ও দুই ছেলে সন্তান নিয়ে এখানে থেকে মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করছিলেন।

উলুয়াটী গ্রামের ওই দুই শিক্ষার্থীকে কয়েকবার শারীরিক নির্যাতন করেন হাফেজ মোবাশ্বির। শারীরিক নির্যাতনের বিষয়টি শিশু দুটি প্রথমে চেপে গেলেও হুজুরের অত্যাচারে বাধ্য হয়ে বাবা-মাকে জানায়। পরে তা এলাকাবাসী জেনে গেলে অভিযুক্ত হুজুর স্ত্রী-সন্তান রেখে পালিয়ে যান। তিন-চার দিন পালিয়ে থাকার পর এলাকাবাসী মোবাইলে সমঝোতার প্রস্তাব দেয়। সেই সঙ্গে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাঁকে আসতে বলে। আজ দুপুরে কুনিয়া এলাকায় আসার পর এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মোবাশ্বিরকে আটক করে।

নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ এ তথ্য  নিশ্চিত করে বলেন, দুই শিক্ষার্থীসহ তাদের অভিভাবকগণ থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করছেন। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত