মিজানুর রহমান নয়ন, কুমারখালী (কুষ্টিয়া)
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে গতবারের চেয়ে খরচ কম, সময়মতো প্রণোদনা প্রাপ্তি, অনুকূল আবহাওয়া, চারার পর্যাপ্ততা ও লাভজনক ফসল হওয়ায় এ বছর ৫ হাজার ১৬৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের চারা রোপণ করেছেন চাষিরা। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৫৫ হেক্টর বেশি। অপরদিকে, ভালো ফসল ঘরে তোলার জন্য পেঁয়াজের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন চাষিরা। দিনব্যাপী সময় নিয়ে আঁকড়ানো, নিংড়ানো, সার ও স্প্রে দেওয়ার কাজ করছেন তাঁরা।
গতকাল রোববার বিকেল থেকে আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত উপজেলার যদুবয়রা, পান্টি, চাদপুর, বাগুলাট ও চাপড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, চাষিরা দলবদ্ধভাবে শ্রমিক নিয়ে পেঁয়াজের আঁকড়ানো, নিংড়ানো, সার ও স্প্রে দেওয়ার কাজ করছেন।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পেঁয়াজের বীজ গেল বছর খোলা ৬ থেকে ১০ হাজার টাকায় বিক্রি হলেও এ বছর তা কমে বিক্রি হয়েছে ৩ থেকে ৬ হাজার টাকায়। পেঁয়াজের চারা গেল বছর ১৫০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হলেও এবার বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়।
বীজ, চারা, সার, পরিচর্যাসহ এবার বিঘাপ্রতি পেঁয়াজ উৎপাদনে চাষিদের খরচ হবে ২৮ থেকে ৩২ হাজার টাকা। এ বছর মাঠে মাঠে বিদেশি কিং জাতীয় চারা রোপণ করা হচ্ছে। এতে বিঘায় ৪৫ থেকে ৬০ মণ পেঁয়াজ উৎপন্ন হবে। যার বাজার মূল্য হবে ৪০ থেকে প্রায় ৮০ হাজার টাকা।
এ বিষয়ে যদুবয়রা ইউনিয়নের জোতমোড়া গ্রামের চাষি আমিরুল ইসলাম বলেন, ৩ বিঘা জমিতে চারা রোপণ করেছি। এখন আঁকড়ানো, নিংড়ানো, সার ও স্প্রে করার কাজ চলছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে গত বছরের চেয়ে অর্ধেক খরচে পেঁয়াজ ঘরে তুলতে পারব।
পান্টি ইউনিয়নের নগরকয়া গ্রামের চাষি আবুল হোসেন বলেন, পেঁয়াজ চাষে খরচ কমেছে। এবার বিঘাপ্রতি খরচ হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। দেড় বিঘা জমিতে পেঁয়াজের চারা রোপণ করেছি। নিয়মিত পরিচর্যা করছি। আশা করছি ফলন ভালো হবে।
আরও কয়েকজন চাষি বলেন, কৃষি অফিস থেকে এবার সময়মতো বীজ পেয়েছি। তাঁদের দিকনির্দেশনায় চারা ভালো হয়েছিল। সময়মতো চারা রোপণ করেছিলাম। কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে পরিচর্যা করছি। গাছ ভালো হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়া পেলে ভালো ফলন হবে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় মোট কৃষি জমির পরিমাণ ১৮ হাজার ২৪০ হেক্টর। এ বছর পেঁয়াজের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৫ হাজার ১০ হেক্টর এবং অর্জিত হয়েছে ৫ হাজার ১৬৫ হেক্টর। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৫৫ হেক্টর বেশি জমি।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ দেবাশীষ কুমার দাস বলেন, পেঁয়াজ চাষিদের অর্থকারী ফসলের মধ্যে অন্যতম। এ অঞ্চলের মাটি পেঁয়াজ চাষে উপযোগী। কৃষি কর্মকর্তারা সব সময় কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে আসছে। অনুকূল আবহাওয়া, গতবারের চেয়ে খরচ কম ও সময়মতো প্রণোদনার বীজ ও সার প্রদান এবং লাভজনক হওয়ায় পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে।
কৃষি অফিসার আরও বলেন, এ বছর লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৫ হাজার ১০ হেক্টর। অর্জিত হয়েছে ৫ হাজার ১৬৫ হেক্টর। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৫৫ হেক্টর বেশি।
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে গতবারের চেয়ে খরচ কম, সময়মতো প্রণোদনা প্রাপ্তি, অনুকূল আবহাওয়া, চারার পর্যাপ্ততা ও লাভজনক ফসল হওয়ায় এ বছর ৫ হাজার ১৬৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের চারা রোপণ করেছেন চাষিরা। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৫৫ হেক্টর বেশি। অপরদিকে, ভালো ফসল ঘরে তোলার জন্য পেঁয়াজের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন চাষিরা। দিনব্যাপী সময় নিয়ে আঁকড়ানো, নিংড়ানো, সার ও স্প্রে দেওয়ার কাজ করছেন তাঁরা।
গতকাল রোববার বিকেল থেকে আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত উপজেলার যদুবয়রা, পান্টি, চাদপুর, বাগুলাট ও চাপড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, চাষিরা দলবদ্ধভাবে শ্রমিক নিয়ে পেঁয়াজের আঁকড়ানো, নিংড়ানো, সার ও স্প্রে দেওয়ার কাজ করছেন।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পেঁয়াজের বীজ গেল বছর খোলা ৬ থেকে ১০ হাজার টাকায় বিক্রি হলেও এ বছর তা কমে বিক্রি হয়েছে ৩ থেকে ৬ হাজার টাকায়। পেঁয়াজের চারা গেল বছর ১৫০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হলেও এবার বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়।
বীজ, চারা, সার, পরিচর্যাসহ এবার বিঘাপ্রতি পেঁয়াজ উৎপাদনে চাষিদের খরচ হবে ২৮ থেকে ৩২ হাজার টাকা। এ বছর মাঠে মাঠে বিদেশি কিং জাতীয় চারা রোপণ করা হচ্ছে। এতে বিঘায় ৪৫ থেকে ৬০ মণ পেঁয়াজ উৎপন্ন হবে। যার বাজার মূল্য হবে ৪০ থেকে প্রায় ৮০ হাজার টাকা।
এ বিষয়ে যদুবয়রা ইউনিয়নের জোতমোড়া গ্রামের চাষি আমিরুল ইসলাম বলেন, ৩ বিঘা জমিতে চারা রোপণ করেছি। এখন আঁকড়ানো, নিংড়ানো, সার ও স্প্রে করার কাজ চলছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে গত বছরের চেয়ে অর্ধেক খরচে পেঁয়াজ ঘরে তুলতে পারব।
পান্টি ইউনিয়নের নগরকয়া গ্রামের চাষি আবুল হোসেন বলেন, পেঁয়াজ চাষে খরচ কমেছে। এবার বিঘাপ্রতি খরচ হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। দেড় বিঘা জমিতে পেঁয়াজের চারা রোপণ করেছি। নিয়মিত পরিচর্যা করছি। আশা করছি ফলন ভালো হবে।
আরও কয়েকজন চাষি বলেন, কৃষি অফিস থেকে এবার সময়মতো বীজ পেয়েছি। তাঁদের দিকনির্দেশনায় চারা ভালো হয়েছিল। সময়মতো চারা রোপণ করেছিলাম। কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে পরিচর্যা করছি। গাছ ভালো হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়া পেলে ভালো ফলন হবে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় মোট কৃষি জমির পরিমাণ ১৮ হাজার ২৪০ হেক্টর। এ বছর পেঁয়াজের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৫ হাজার ১০ হেক্টর এবং অর্জিত হয়েছে ৫ হাজার ১৬৫ হেক্টর। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৫৫ হেক্টর বেশি জমি।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ দেবাশীষ কুমার দাস বলেন, পেঁয়াজ চাষিদের অর্থকারী ফসলের মধ্যে অন্যতম। এ অঞ্চলের মাটি পেঁয়াজ চাষে উপযোগী। কৃষি কর্মকর্তারা সব সময় কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে আসছে। অনুকূল আবহাওয়া, গতবারের চেয়ে খরচ কম ও সময়মতো প্রণোদনার বীজ ও সার প্রদান এবং লাভজনক হওয়ায় পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে।
কৃষি অফিসার আরও বলেন, এ বছর লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৫ হাজার ১০ হেক্টর। অর্জিত হয়েছে ৫ হাজার ১৬৫ হেক্টর। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৫৫ হেক্টর বেশি।
২০২৫ সালের ১৪ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের নিয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরূপ মন্তব্যের পর সারাদেশে যে ছাত্রআন্দোলন গড়ে ওঠে, তার ঢেউ লাগে সাতক্ষীরাতেও। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা পুলিশের হুমকি-ধামকি উপেক্ষা করে খণ্ড খণ্ড মিছিল করতেন।
৩ মিনিট আগেমসজিদ কমিটির সদস্য ও স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন, ইউপি সদস্য আল-আমিন বরাদ্দ পাওয়া ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন করে তা ব্যক্তিগত কাজে খরচ করেছেন। দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও তিনি টিউবওয়েল স্থাপন না করে বিভিন্ন অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করছেন।
১৯ মিনিট আগেঅপরাধবিষয়ক সাংবাদিকতার কারণে আমাকে মাঝেমধ্যে হতাহতদের বিষয়ে খোঁজ নিতে হাসপাতালে যেতে হয়। তবে জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের সময় এ কাজটি করার অভিজ্ঞতা ছিল ভিন্ন রকম। আহতদের আর্তচিৎকার এবং স্বজন বা আন্দোলনের সহকর্মীদের আহাজারির মধ্যে নিজেকে স্বাভাবিক রেখে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করতে হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেআমি তখন পল্টন এলাকায়। সকাল থেকেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। আগের দিন ৪ আগস্ট রাজধানীসহ দেশজুড়ে সহিংসতায় বহু মানুষের মৃত্যু ঘটে। ছাত্র-জনতার আন্দোলন শেখ হাসিনার পতনের এক দফায় পরিণত হয়ে উত্তেজনার আগুনে ঘি ঢেলেছিল।
১ ঘণ্টা আগে