ফয়সাল পারভেজ, মাগুরা
হেমন্তের মাঝামাঝি সময়ে শীত পড়তে শুরু করেছে দক্ষিণ জনপদের জেলা মাগুরায়। গত বছরের থেকে এবার শীতের আগমনী বার্তা কিছুটা দেরিতে হলেও চলতি সপ্তাহ জুড়েই ঠান্ডা আমেজ অনুভূত হতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে খেজুর রসের খোঁজে বের হচ্ছেন নগরবাসী। ইতিমধ্যে গাছিরা রস সংগ্রহ শেষে গুড় তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
মাগুরা সদরের পাটকেলবাড়িয়ার এলাকায় খেজুর রস ও গুড়ের গন্ধে এখন ম-ম চারপাশ। এ এলাকায় অন্তত হাজার খানিক খেজুর গাছ দাঁড়িয়ে আছে রাস্তাসহ মাঠের নানা প্রান্তে। ভোর থেকে এসব গাছে রসের হাঁড়ি পাতা ও রস সংগ্রহের সময়টা চোখে পড়ার মতো। সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে রস জ্বালানোর ধোয়া উড়ছে এ বাড়ি ও বাড়ি থেকে। শীতের এ সময় খেজুরের টাটকা গুড়ের গন্ধ এ এলাকার পথ-ঘাটে যেন মাখতে শুরু করেছে।
সদরের রাঘবদাইড় ইউনিয়নের পাটকেল বাড়িয়ার শ্মশানে রয়েছে প্রায় ৩০০ এর ওপরে গাছ। সব থেকে বেশি খেজুর গাছ এ এলাকায়। আব্দুল মালেকের বাড়ি রাজশাহী। তিনি ও তার তিনজনের দল এই শ্মশান এলাকার গাছগুলো চার মাসের জন্য গাছের মালিকের থেকে চুক্তিতে ভাড়া নিয়েছেন ৫০ হাজারে। রাজশাহীর আমের সময় তাঁরা শ্রমিক হিসেবে খাটেন নিজ এলাকায়। বাকি সময় দেশের নানা প্রান্তের খেজুর গাছ ভাড়া নিয়ে শীতকালে আয়-রোজগার করেন বলে জানান, আব্দুল মালেক।
আব্দুল মালেক বলেন, এবার শীত পড়েছে দেরিতে। তাই রসও কম। শীত যত বেশি হবে খেজুরের রসের স্বাদ তত বাড়বে। তিনিসহ চারজনের সংসার চলে এই খেজুর রস বিক্রি করে। গত সপ্তাহ থেকে রস ভালো পাওয়ায় গুড় ও পাটালি বেশি করে তৈরি করা যাচ্ছে।
মালেকের সঙ্গে আসা ষাটোর্ধ্ব হাবিবুর রহমান। খেজুরের রস ও গুড় তৈরিতে অভিজ্ঞতা প্রায় ৩০ বছর। তিনিও রাজশাহী থেকে মাগুরা এসেছেন মালেকের সঙ্গে।
হাবিবুর রহমান জানান, মাগুরার মাটি ভালো। তাই খেজুরের রসের স্বাদ ভালো হচ্ছে। বেশ মিষ্টি রস এখানকার। রস পাচ্ছেন প্রায় ২৫০ গাছে। প্রতিদিন প্রায় ২২০ লিটার রস পেতে শুরু করেছেন। এই রস জ্বালিয়ে গুড় তৈরি হচ্ছে প্রায় দেড় মণ। সেই সঙ্গে পাটালিও তৈরি করছেন তাঁরা।
মালেক ও হাবিবুর রহমানের দলে অন্যরাও ব্যস্ত খেজুর রস ও গুড় নিয়ে। তারা বলছেন, এই আয় দিয়ে চলেন বছরের বাকি সময়। শীত গেলে যে বৈশাখ মাস শুরু হয় তখন থেকে মূলত রাজশাহীর কোনো আম বাগানে তাঁরা শ্রমিক হিসেবে কাজ নেন। সারা বছর শ্রমিক হয়ে দেশের নানা প্রান্তে তাদের জীবন কাটে।
শ্মশান এলাকায় বৃহস্পতিবার ভোর দেখা মেলে স্থানীয় বাসিন্দা নজরুল মিয়ার। তিনি বলেন, ঢাকা থেকে মেয়েরা নাতি-নাতনি নিয়ে এসেছে বেড়াতে। তারা পিঠা খেতে চায়। তাই সরাসরি গুড় ও পাটালি তৈরির কারিগরদের কাছে চলে এলাম। এখানে ভালো ও টাটকা গুড় পাওয়া যায়।
স্থানীয় গাছি জিম্মাত হোসেন বলেন, এখন রস ভালো হচ্ছে। শীত আরও বেশি পড়লে আরও ভালো স্বাদের রস পাওয়া যাবে। তবে এলাকায় গাছি কমে গেছে। নতুন করে কেউ এসব কাজে আসে না। ফলে খেজুর রস সেভাবে তৈরি হচ্ছে না। এক সময় এ অঞ্চলের গুড়ও পাটালি যেত দেশের নানা প্রান্তে। অথচ এখন গাছ থাকলেও প্রয়োজন সংখ্যক গাছি না থাকায় বাইরে থেকে অনেকে এসব গাছ কম কাটায় ভাড়া নিচ্ছ। তারা ভালো আয় করছে।
হেমন্তের মাঝামাঝি সময়ে শীত পড়তে শুরু করেছে দক্ষিণ জনপদের জেলা মাগুরায়। গত বছরের থেকে এবার শীতের আগমনী বার্তা কিছুটা দেরিতে হলেও চলতি সপ্তাহ জুড়েই ঠান্ডা আমেজ অনুভূত হতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে খেজুর রসের খোঁজে বের হচ্ছেন নগরবাসী। ইতিমধ্যে গাছিরা রস সংগ্রহ শেষে গুড় তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
মাগুরা সদরের পাটকেলবাড়িয়ার এলাকায় খেজুর রস ও গুড়ের গন্ধে এখন ম-ম চারপাশ। এ এলাকায় অন্তত হাজার খানিক খেজুর গাছ দাঁড়িয়ে আছে রাস্তাসহ মাঠের নানা প্রান্তে। ভোর থেকে এসব গাছে রসের হাঁড়ি পাতা ও রস সংগ্রহের সময়টা চোখে পড়ার মতো। সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে রস জ্বালানোর ধোয়া উড়ছে এ বাড়ি ও বাড়ি থেকে। শীতের এ সময় খেজুরের টাটকা গুড়ের গন্ধ এ এলাকার পথ-ঘাটে যেন মাখতে শুরু করেছে।
সদরের রাঘবদাইড় ইউনিয়নের পাটকেল বাড়িয়ার শ্মশানে রয়েছে প্রায় ৩০০ এর ওপরে গাছ। সব থেকে বেশি খেজুর গাছ এ এলাকায়। আব্দুল মালেকের বাড়ি রাজশাহী। তিনি ও তার তিনজনের দল এই শ্মশান এলাকার গাছগুলো চার মাসের জন্য গাছের মালিকের থেকে চুক্তিতে ভাড়া নিয়েছেন ৫০ হাজারে। রাজশাহীর আমের সময় তাঁরা শ্রমিক হিসেবে খাটেন নিজ এলাকায়। বাকি সময় দেশের নানা প্রান্তের খেজুর গাছ ভাড়া নিয়ে শীতকালে আয়-রোজগার করেন বলে জানান, আব্দুল মালেক।
আব্দুল মালেক বলেন, এবার শীত পড়েছে দেরিতে। তাই রসও কম। শীত যত বেশি হবে খেজুরের রসের স্বাদ তত বাড়বে। তিনিসহ চারজনের সংসার চলে এই খেজুর রস বিক্রি করে। গত সপ্তাহ থেকে রস ভালো পাওয়ায় গুড় ও পাটালি বেশি করে তৈরি করা যাচ্ছে।
মালেকের সঙ্গে আসা ষাটোর্ধ্ব হাবিবুর রহমান। খেজুরের রস ও গুড় তৈরিতে অভিজ্ঞতা প্রায় ৩০ বছর। তিনিও রাজশাহী থেকে মাগুরা এসেছেন মালেকের সঙ্গে।
হাবিবুর রহমান জানান, মাগুরার মাটি ভালো। তাই খেজুরের রসের স্বাদ ভালো হচ্ছে। বেশ মিষ্টি রস এখানকার। রস পাচ্ছেন প্রায় ২৫০ গাছে। প্রতিদিন প্রায় ২২০ লিটার রস পেতে শুরু করেছেন। এই রস জ্বালিয়ে গুড় তৈরি হচ্ছে প্রায় দেড় মণ। সেই সঙ্গে পাটালিও তৈরি করছেন তাঁরা।
মালেক ও হাবিবুর রহমানের দলে অন্যরাও ব্যস্ত খেজুর রস ও গুড় নিয়ে। তারা বলছেন, এই আয় দিয়ে চলেন বছরের বাকি সময়। শীত গেলে যে বৈশাখ মাস শুরু হয় তখন থেকে মূলত রাজশাহীর কোনো আম বাগানে তাঁরা শ্রমিক হিসেবে কাজ নেন। সারা বছর শ্রমিক হয়ে দেশের নানা প্রান্তে তাদের জীবন কাটে।
শ্মশান এলাকায় বৃহস্পতিবার ভোর দেখা মেলে স্থানীয় বাসিন্দা নজরুল মিয়ার। তিনি বলেন, ঢাকা থেকে মেয়েরা নাতি-নাতনি নিয়ে এসেছে বেড়াতে। তারা পিঠা খেতে চায়। তাই সরাসরি গুড় ও পাটালি তৈরির কারিগরদের কাছে চলে এলাম। এখানে ভালো ও টাটকা গুড় পাওয়া যায়।
স্থানীয় গাছি জিম্মাত হোসেন বলেন, এখন রস ভালো হচ্ছে। শীত আরও বেশি পড়লে আরও ভালো স্বাদের রস পাওয়া যাবে। তবে এলাকায় গাছি কমে গেছে। নতুন করে কেউ এসব কাজে আসে না। ফলে খেজুর রস সেভাবে তৈরি হচ্ছে না। এক সময় এ অঞ্চলের গুড়ও পাটালি যেত দেশের নানা প্রান্তে। অথচ এখন গাছ থাকলেও প্রয়োজন সংখ্যক গাছি না থাকায় বাইরে থেকে অনেকে এসব গাছ কম কাটায় ভাড়া নিচ্ছ। তারা ভালো আয় করছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সকালে অনেকে ভিজিএফ কার্ড নিয়ে চাল নিতে গিয়েও ফেরত আসেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ক্ষোভ তৈরি হলে বিকেলে স্থানীয়রা শরিফ উদ্দিনের বাড়িতে গিয়ে একটি ঘরে তল্লাশি চালান। তখনই মজুদকৃত ১৭ বস্তা চাল দেখতে পান তারা। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে চালগুলো জব্দ করে।
২৩ মিনিট আগেপবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সরকার সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় শাকুয়াই ইউনিয়নের প্রান্তিক নারী উপকারভোগীদের (ভিডব্লিউবি) মাঝে চাল বিতরণ করছে। মঙ্গলবার প্রতিজন উপকারভোগীকে তিন বস্তা করে চাল দেওয়া হয়। অভিযোগ উঠেছে, কিছু ব্যবসায়ী ওই চাল উপকারভোগীদের কাছ থেকে কিনে মজুদ করছেন।
২৬ মিনিট আগেগোপন সংবাদের ভিত্তিতে তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছে সরকারি চাল দেখতে পান। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে ইউএনওকে অবহিত করলে তিনি সেখানে গিয়ে প্রথমে ৩০ বস্তা পরে আরও ৮৭ বস্তাসহ মোট ১১৭ বস্তা চাল জব্দ করেন এবং জামতৈল ইউনিয়ন পরিষদে তা সংরক্ষণ করা হয়।
২৯ মিনিট আগেবঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় কৃষি খাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। টানা কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে ওই এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে উপজেলার গ্রীষ্মকালীন সবজি, আউশ ধানের বীজতলা ও রোপা আউশ ধান চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে