Ajker Patrika

কুষ্টিয়ায় ভারী বর্ষণে বিপর্যস্ত জনজীবন, বিপাকে খেটে খাওয়া মানুষেরা

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
Thumbnail image

কুষ্টিয়ায় ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। গন্তব্যে পৌঁছাতে ভোগান্তি পড়তে হয়েছে। বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষেরা। গতকাল বুধবার রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে শহরের বেশ কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে শহরের বেশ কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতার লোকজনের আনাগোনা কমেছে। টানা এই বৃষ্টিতে রিকশাচালকসহ দিনমজুররা কষ্টে দিন পার করছেন সেই সঙ্গে বিপাকে গবাদিপশু পালন কারিরা।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্য মতে, গত বুধবার সকাল ৯টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১১৯ দশমিক ৫ মিলিমিটার। যা এই চলতি বছরে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত বলে জানিয়েছেন কুষ্টিয়া পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান।

এদিকে ভারী বৃষ্টির ফলে আগাম শীতকালীন সবজিসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন চাষিরা।

দৌলতপুর উপজেলা টমেটো চাষি ওয়ারেস আলি বলেন, তিন বিঘা টমেটো খেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এভাবে বৃষ্টি হতে থাকলে পুরো খেতের টমেটো গাছ নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

বাদাম চাষি আশারুল বলেন, বাদাম খেত পানিতে তলিয়ে গেছে। বৃষ্টি না কমলে বাদামের ফলন ভালো না হওয়া নিয়ে চিন্তিত।

দুখুমিয়া নামের এক কলা চাষি বলেন, ‘আমার পুরো কলায় খেত পানিতে ডুবে গেছে। দ্রুত খেত থেকে পানি নিষ্কাশন না হলে পুরো খেতের কালা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।’ 

ভারী বৃষ্টিতে বিপাকে পড়েছেন অফিস আদালতের কর্মকর্তা, শিক্ষার্থীসহ দিনমজুররা। কথা হয় অটোরিকশাচালক দেলুয়ার হোসেনের সঙ্গে তিনি জানান, রাত থেকে বৃষ্টির কারণে সকালে রাস্তায় মানুষের আনাগোনা কম থাকায় ভাড়া হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন তিনি। 

কথা হয় শহরের রিকশাচালক তরিকুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘রাস্তায় মানুষ কম বের হয়েছে। আজ বৃষ্টির কারণে ভাড়া কম হচ্ছে। আমি নিজেও বৃষ্টিতে ভিজে গেছি।’ 

দিনমজুর ওবায়দুল জানান, বৃষ্টির কারণে তারা আজ কাজে যেতে পারেননি। তাঁদের দলের ১০ জন বাড়িতে বসে আছেন। দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে একদিন কাজ না করলে সংসার চলে না। 

একই সঙ্গে বিপাকে পড়েছেন গবাদিপশু পালন কারি কৃষকেরা। পশুর খাবারের ব্যবস্থা করতে বিপাকে পড়তে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন, আকিজ নামের এক খামারি। 

এদিকে ফসলের ক্ষয়-ক্ষতির বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার নুরুল ইসলাম বলেন, ‘কলাসহ আগাম শীত কালীন সবজির কিছুটা ক্ষতি হতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত পুরো ক্ষতির তথ্য আমাদের হাতে আসেনি। পরে বিস্তারিত জানাতে পারব।’ 

এ বিষয়ে জেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. হায়াত মাহমুদ জানান, এখন পর্যন্ত ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি। পেলে জানানো হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত