যশোর প্রতিনিধি
উচ্চ আদালতে আপিলে হত্যা মামলায় ২০১৭ সালে মৃত্যুদণ্ডাদেশ থেকে খালাস পান খুলনার বটিয়াঘাটার বাসিন্দা ইব্রাহিম আলী শেখ সাগর। কিন্তু আদালতের মুক্তির আদেশের কপি ৮ বছরেও কারাগারে না পৌঁছানোয় তাঁকে বন্দীই থাকতে হয়। বিষয়টি পরিবারের লোকজন কারা কর্তৃপক্ষকে জানান। এরপর কারা কর্তৃপক্ষ উচ্চ আদালতে চিঠি দিয়ে তাঁর মুক্তির আদেশের কপি সংগ্রহ করে। যাচাই শেষে গত শনিবার যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ইব্রাহিম আলী শেখ সাগরকে মুক্তি দেওয়া হয়।
শুধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড নয়, ইব্রাহিম আরও তিনটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ছিলেন। এর মধ্যে একটিতে যাবজ্জীবন, একটিতে ১০ বছর ও আরেকটিতে ৭ বছর সাজা হয়েছিল। এর আগে যাবজ্জীবন সাজার মামলায়ও তিনি খালাস পান। বাকি দুটি মামলায় ইতিমধ্যে সাজার মেয়াদ পূর্ণ করেছেন। মুক্তিপ্রাপ্ত শেখ সাগর বটিয়াঘাটা উপজেলার আমীরপুর ইউনিয়নের চরহরিণাবাদ এলাকার মতিয়ার রহমানের ছেলে।
কারাগার সূত্রে জানা যায়, ২০০৩ সালের একটি হত্যা মামলায় নিম্ন আদালত সাগরকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। পরে মামলাটি উচ্চ আদালতে গেলে ২০১৭ সালে খালাস পান তিনি। কিন্তু কারাগারে তাঁর মুক্তির আদেশ ৮ বছরেও পৌঁছায়নি। কারাগারে রিলিজ অর্ডার (মুক্তির আদেশ) না আসায় তিনি বন্দী ছিলেন। বিষয়টি যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার (কারা তত্ত্বাবধায়ক) নুরশেদ আহমেদ ভূঁইয়া ও জেলার (কারাধ্যক্ষ) মো. শরিফুল আলমকে অবহিত করেন সাগরের পরিবারের লোকজন। এরপর যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের পক্ষ থেকে উচ্চ আদালত, অ্যাটর্নি জেনারেল, সলিসিটর ও কারা কর্তৃপক্ষ বরাবর চিঠি দেওয়া হয়। উচ্চ আদালত থেকে ইব্রাহিম আলী শেখ সাগরের মুক্তির আদেশ (রিলিজ অর্ডার) ৬ ফেব্রুয়ারি যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে এসে পৌঁছায়। এরপর কারা কর্তৃপক্ষ মুক্তির আদেশের কপি ও আসামি যাচাই করে নিশ্চিত হয়। আনুষ্ঠানিকতা শেষে শনিবার যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে সাগরকে মুক্তি দেওয়া হয়।
মুক্তি পেয়ে সাগর আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন এবং কারা কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের কারাধ্যক্ষ শরিফুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইব্রাহিম আলী শেখ সাগর মোট চারটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ছিলেন। হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড, বিস্ফোরক আইনের মামলায় যাবজ্জীবন ও অপর দুটি মামলায় ১০ বছর ও ৭ বছরের সাজা ছিল। ফাঁসি ও যাবজ্জীবন সাজার মামলায় খালাস পান। আর বাকি দুটি মামলায় সাজা ভোগ পূর্ণ হয়েছে। উচ্চ আদালতে যোগাযোগ করে কাগজ পাওয়ার পর যাচাই করে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।’
এ বিষয়ে কারা অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন সাংবাদিকদের জানান, ‘অধিদপ্তরে আমি নতুন এসেছি। যেখানে যে সমস্যা আছে, সব সমাধানের চেষ্টা করছি। আমরা বন্দীদের নিয়েই কাজ করে আসছি। তাঁদের যাতে কোনো ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে না হয়, সে জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’ তিনি এ ঘটনায় যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার নুরশেদ আহমেদ ভূঁইয়া ও জেলার মো. শরিফুল আলমকে ধন্যবাদ জানান। এ ছাড়া অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে তাঁদের পুরস্কৃত করারও ঘোষণা দেন।’
উচ্চ আদালতে আপিলে হত্যা মামলায় ২০১৭ সালে মৃত্যুদণ্ডাদেশ থেকে খালাস পান খুলনার বটিয়াঘাটার বাসিন্দা ইব্রাহিম আলী শেখ সাগর। কিন্তু আদালতের মুক্তির আদেশের কপি ৮ বছরেও কারাগারে না পৌঁছানোয় তাঁকে বন্দীই থাকতে হয়। বিষয়টি পরিবারের লোকজন কারা কর্তৃপক্ষকে জানান। এরপর কারা কর্তৃপক্ষ উচ্চ আদালতে চিঠি দিয়ে তাঁর মুক্তির আদেশের কপি সংগ্রহ করে। যাচাই শেষে গত শনিবার যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ইব্রাহিম আলী শেখ সাগরকে মুক্তি দেওয়া হয়।
শুধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড নয়, ইব্রাহিম আরও তিনটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ছিলেন। এর মধ্যে একটিতে যাবজ্জীবন, একটিতে ১০ বছর ও আরেকটিতে ৭ বছর সাজা হয়েছিল। এর আগে যাবজ্জীবন সাজার মামলায়ও তিনি খালাস পান। বাকি দুটি মামলায় ইতিমধ্যে সাজার মেয়াদ পূর্ণ করেছেন। মুক্তিপ্রাপ্ত শেখ সাগর বটিয়াঘাটা উপজেলার আমীরপুর ইউনিয়নের চরহরিণাবাদ এলাকার মতিয়ার রহমানের ছেলে।
কারাগার সূত্রে জানা যায়, ২০০৩ সালের একটি হত্যা মামলায় নিম্ন আদালত সাগরকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। পরে মামলাটি উচ্চ আদালতে গেলে ২০১৭ সালে খালাস পান তিনি। কিন্তু কারাগারে তাঁর মুক্তির আদেশ ৮ বছরেও পৌঁছায়নি। কারাগারে রিলিজ অর্ডার (মুক্তির আদেশ) না আসায় তিনি বন্দী ছিলেন। বিষয়টি যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার (কারা তত্ত্বাবধায়ক) নুরশেদ আহমেদ ভূঁইয়া ও জেলার (কারাধ্যক্ষ) মো. শরিফুল আলমকে অবহিত করেন সাগরের পরিবারের লোকজন। এরপর যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের পক্ষ থেকে উচ্চ আদালত, অ্যাটর্নি জেনারেল, সলিসিটর ও কারা কর্তৃপক্ষ বরাবর চিঠি দেওয়া হয়। উচ্চ আদালত থেকে ইব্রাহিম আলী শেখ সাগরের মুক্তির আদেশ (রিলিজ অর্ডার) ৬ ফেব্রুয়ারি যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে এসে পৌঁছায়। এরপর কারা কর্তৃপক্ষ মুক্তির আদেশের কপি ও আসামি যাচাই করে নিশ্চিত হয়। আনুষ্ঠানিকতা শেষে শনিবার যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে সাগরকে মুক্তি দেওয়া হয়।
মুক্তি পেয়ে সাগর আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন এবং কারা কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের কারাধ্যক্ষ শরিফুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইব্রাহিম আলী শেখ সাগর মোট চারটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ছিলেন। হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড, বিস্ফোরক আইনের মামলায় যাবজ্জীবন ও অপর দুটি মামলায় ১০ বছর ও ৭ বছরের সাজা ছিল। ফাঁসি ও যাবজ্জীবন সাজার মামলায় খালাস পান। আর বাকি দুটি মামলায় সাজা ভোগ পূর্ণ হয়েছে। উচ্চ আদালতে যোগাযোগ করে কাগজ পাওয়ার পর যাচাই করে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।’
এ বিষয়ে কারা অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন সাংবাদিকদের জানান, ‘অধিদপ্তরে আমি নতুন এসেছি। যেখানে যে সমস্যা আছে, সব সমাধানের চেষ্টা করছি। আমরা বন্দীদের নিয়েই কাজ করে আসছি। তাঁদের যাতে কোনো ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে না হয়, সে জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’ তিনি এ ঘটনায় যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার নুরশেদ আহমেদ ভূঁইয়া ও জেলার মো. শরিফুল আলমকে ধন্যবাদ জানান। এ ছাড়া অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে তাঁদের পুরস্কৃত করারও ঘোষণা দেন।’
৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে সাগরে মাছ ধরার জন্য যায় উপকূলের হাজার হাজার জেলেরা। বঙ্গোপসাগরে আবহাওয়া খারাপ হওয়ার মঙ্গলবার সকাল নয়টার দিকে আমার একটি ট্রলার ঘাটের দিকে আসে। এসময় কোষ্টগার্ড ট্রলার আটক করে। এরপরপরই আলম কোম্পানি আরেকটি ট্রলার আটক করে। পরে আমাদের উপস্থিতিতে কোস্টগার্ড সদস্যরা পাঁচ লক্ষ
১ ঘণ্টা আগেকক্সবাজার শহরে ইউনিয়ন হসপিটাল নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে এক সঙ্গে চারটি শিশু জন্ম দিয়েছেন ইয়াছমিন আক্তার (২৫) নামের এক নারী। এর মধ্যে তিনজন ছেলে ও একজন মেয়ে। এই বিরল জন্মের ঘটনায় পরিবার, চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মাঝে আনন্দের জোয়ার বইছে।
১ ঘণ্টা আগেরাত ২টার দিকে বাজারে আগুনের শিখা দেখতে পেয়ে তারা দ্রুত ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। খবর পেয়ে হালুয়াঘাট ও ফুলপুর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আড়াই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
১ ঘণ্টা আগেআওয়ামী সরকারের পতনের পর রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডি এম জিয়াউর রহমান দলটির ২০০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করতে একটি এজাহার প্রস্তুত করেছিলেন। তবে তা থানায় দেওয়ার আগেই পাঠান আওয়ামী লীগের লোকজনের কাছে এবং মামলার ভয় দেখিয়ে হাতিয়ে নেন মোটা অঙ্কের টাকা।
৯ ঘণ্টা আগে