সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
রাজস্ব ঘাটতির বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর। এবারও রাজস্ব ঘাটতি ৩৯৫ কোটি টাকা। ওয়্যার হাউস চালু না হওয়া, ডলারের সংকট, উচ্চ শুল্কের পণ্য আমদানি না হওয়াসহ নানাবিধ কারণে ৪০ শতাংশ রাজস্ব ঘাটতিতে পড়েছে বন্দরটি।
এর আগের অর্থবছরেও বিপুল রাজস্ব ঘাটতিতে ছিল ভোমরা স্থলবন্দর। বন্দরটির হারানো গৌরব ফিরে আনতে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ব্যবসায়ীরা।
১৯৯৬ সালের ১৫ এপ্রিল ১৬টি পণ্যের আমদানি নিয়ে এলসি স্টেশন হিসেবে ভোমরা স্থলবন্দর যাত্রা শুরু করে। ২০১৩ সালে ওয়্যার হাউস নির্মাণের পর বন্দরটি পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দরের মর্যাদা পায়। ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত রাজস্ব ঘাটতির পরিবর্তে রাজস্ব উদ্বৃত্ত ছিল ভোমরা স্থলবন্দরে। তবে এরপর থেকে রাজস্ব ঘাটতি লেগেই রয়েছে। ২১-২২ অর্থবছরে ভোমরা স্থলবন্দরে রাজস্ব টার্গেট ৯৫৪ কোটি টাকার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৭৪১ কোটি টাকা। ঘাটতি ২১৩ কোটি টাকা। এর আগের বছরও রাজস্ব ঘাটতি ছিল প্রায় ৩০০ কোটি টাকা।
ভোমরা স্থলবন্দর শুল্ক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বিগত অর্থবছরে (২২-২৩) ভোমরা স্থলবন্দরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ২৬ কোটি টাকা। এর বিপরীতে আদায় হয়েছে ৬৩১ কোটি টাকা। ঘাটতি হয় ৩৯৫ কোটি টাকা। ভোমরা স্থলবন্দর থেকে কলকাতার দূরত্ব মাত্র ৬০ কিলোমিটার হওয়ায় ব্যবসায়ীরা এই বন্দর ব্যবহার করতে অধিক আগ্রহী। তবে সব পণ্য আমদানি না হওয়া এবং অবকাঠামোগত সংকটে এই বন্দর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। অন্যান্য স্থলবন্দরের চেয়ে এই বন্দরের ব্যবসায়ীরা বেশি বৈষম্যের শিকার বলে প্রায়ই অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে ব্যবসায়ী এজাজ আহমেদ স্বপন জানান, বাংলাদেশে দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর ভোমরা স্থলবন্দর। বিগত ২০১৮ সাল পর্যন্ত এই বন্দরে রাজস্ব উদ্বৃত্ত থাকত। পরের বছর থেকে ঘাটতি লেগেই আছে। এর প্রধান কারণ ওয়্যার হাউস থাকা সত্ত্বেও তা চালু না হওয়া।
ওয়্যার হাউস না থাকার বিষয়ে তিনি আরও জানান, সব ধরনের পণ্য আমদানির অনুমতি রয়েছে এই বন্দরে। কিন্তু ওয়্যার হাউস চালু না থাকার কারণে মোটর পার্টসসহ অনেক দামি পণ্য আমদানি করা যাচ্ছে না। এ ছাড়া ডলারের সংকট তো রয়েছেই।
আরেক ব্যবসায়ী আক্তারুজ্জামান জানান, ফল-ফলাদি আমদানি হলে রাজস্ব বাড়ে। একসময় বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ফল আমদানি হতো কম, ভোমরা দিয়ে হতো বেশি। আর এখন ভোমরা দিয়ে ফল আমদানি একপ্রকার বন্ধ হয়ে গেছে। সাধারণ ব্যবসায়ীদের যে লিগ্যাল সুবিধা পাওয়ার কথা, তা-ও না দেওয়ার কারণে ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে কোনো ফল আমদানি হচ্ছে না। ফলে রাজস্ব ঘাটতি থেকে যাচ্ছে।
সাতক্ষীরার ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ খান জানান, খুলনা অফিসের আন্ডারে ভোমরা শুল্ক স্টেশনের কার্যক্রম চলছে। সহকারী কমিশনার মূলত ভ্যাট কর্মকর্তা। ভ্যাটের টাকায় তাঁর টার্গেট ফুল হয়ে যায়। ফলে ভোমরা শুল্ক স্টেশন নিয়ে তাঁর মাথাব্যথা নেই।
তিনি বলেছেন, রাজস্ব আদায় নিয়ে তাঁর মাথাব্যথা নেই। এ ছাড়া এলসি ঘাটতির কারণেও ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে পারছে না। ২১ সাল পর্যন্ত বন্দর দিয়ে ফল ও মাছ আসত। এখন আসে না, বেনাপোল দিয়ে আসে। কেন জানি না। জেসি (যুগ্ম কমিশনার) পোস্টিং না থাকার কারণে এখানে ব্যবসা নেই।
তবে ভোমরা স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক মামুন তরফদার জানান, ওয়্যার হাউসের পণ্য পরীক্ষা করতে যে লেভেলের কর্মকর্তা লাগে, তা এখানে নেই। ডিসেম্বরের মধ্যে শুল্ক বিভাগের জেসি লেবেলের কর্মকর্তা আমরা পাব বলে আশা করছি। ভোমরা শুল্ক বিভাগের তথ্য কর্মকর্তা শান্ত হাওলাদার জানান, আগামীতে রাজস্ব ঘাটতি কমিয়ে আনতে শুল্ক বিভাগের সবার প্রচেষ্টা থাকবে।
রাজস্ব ঘাটতির বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর। এবারও রাজস্ব ঘাটতি ৩৯৫ কোটি টাকা। ওয়্যার হাউস চালু না হওয়া, ডলারের সংকট, উচ্চ শুল্কের পণ্য আমদানি না হওয়াসহ নানাবিধ কারণে ৪০ শতাংশ রাজস্ব ঘাটতিতে পড়েছে বন্দরটি।
এর আগের অর্থবছরেও বিপুল রাজস্ব ঘাটতিতে ছিল ভোমরা স্থলবন্দর। বন্দরটির হারানো গৌরব ফিরে আনতে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ব্যবসায়ীরা।
১৯৯৬ সালের ১৫ এপ্রিল ১৬টি পণ্যের আমদানি নিয়ে এলসি স্টেশন হিসেবে ভোমরা স্থলবন্দর যাত্রা শুরু করে। ২০১৩ সালে ওয়্যার হাউস নির্মাণের পর বন্দরটি পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দরের মর্যাদা পায়। ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত রাজস্ব ঘাটতির পরিবর্তে রাজস্ব উদ্বৃত্ত ছিল ভোমরা স্থলবন্দরে। তবে এরপর থেকে রাজস্ব ঘাটতি লেগেই রয়েছে। ২১-২২ অর্থবছরে ভোমরা স্থলবন্দরে রাজস্ব টার্গেট ৯৫৪ কোটি টাকার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৭৪১ কোটি টাকা। ঘাটতি ২১৩ কোটি টাকা। এর আগের বছরও রাজস্ব ঘাটতি ছিল প্রায় ৩০০ কোটি টাকা।
ভোমরা স্থলবন্দর শুল্ক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বিগত অর্থবছরে (২২-২৩) ভোমরা স্থলবন্দরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ২৬ কোটি টাকা। এর বিপরীতে আদায় হয়েছে ৬৩১ কোটি টাকা। ঘাটতি হয় ৩৯৫ কোটি টাকা। ভোমরা স্থলবন্দর থেকে কলকাতার দূরত্ব মাত্র ৬০ কিলোমিটার হওয়ায় ব্যবসায়ীরা এই বন্দর ব্যবহার করতে অধিক আগ্রহী। তবে সব পণ্য আমদানি না হওয়া এবং অবকাঠামোগত সংকটে এই বন্দর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। অন্যান্য স্থলবন্দরের চেয়ে এই বন্দরের ব্যবসায়ীরা বেশি বৈষম্যের শিকার বলে প্রায়ই অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে ব্যবসায়ী এজাজ আহমেদ স্বপন জানান, বাংলাদেশে দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর ভোমরা স্থলবন্দর। বিগত ২০১৮ সাল পর্যন্ত এই বন্দরে রাজস্ব উদ্বৃত্ত থাকত। পরের বছর থেকে ঘাটতি লেগেই আছে। এর প্রধান কারণ ওয়্যার হাউস থাকা সত্ত্বেও তা চালু না হওয়া।
ওয়্যার হাউস না থাকার বিষয়ে তিনি আরও জানান, সব ধরনের পণ্য আমদানির অনুমতি রয়েছে এই বন্দরে। কিন্তু ওয়্যার হাউস চালু না থাকার কারণে মোটর পার্টসসহ অনেক দামি পণ্য আমদানি করা যাচ্ছে না। এ ছাড়া ডলারের সংকট তো রয়েছেই।
আরেক ব্যবসায়ী আক্তারুজ্জামান জানান, ফল-ফলাদি আমদানি হলে রাজস্ব বাড়ে। একসময় বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ফল আমদানি হতো কম, ভোমরা দিয়ে হতো বেশি। আর এখন ভোমরা দিয়ে ফল আমদানি একপ্রকার বন্ধ হয়ে গেছে। সাধারণ ব্যবসায়ীদের যে লিগ্যাল সুবিধা পাওয়ার কথা, তা-ও না দেওয়ার কারণে ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে কোনো ফল আমদানি হচ্ছে না। ফলে রাজস্ব ঘাটতি থেকে যাচ্ছে।
সাতক্ষীরার ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ খান জানান, খুলনা অফিসের আন্ডারে ভোমরা শুল্ক স্টেশনের কার্যক্রম চলছে। সহকারী কমিশনার মূলত ভ্যাট কর্মকর্তা। ভ্যাটের টাকায় তাঁর টার্গেট ফুল হয়ে যায়। ফলে ভোমরা শুল্ক স্টেশন নিয়ে তাঁর মাথাব্যথা নেই।
তিনি বলেছেন, রাজস্ব আদায় নিয়ে তাঁর মাথাব্যথা নেই। এ ছাড়া এলসি ঘাটতির কারণেও ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে পারছে না। ২১ সাল পর্যন্ত বন্দর দিয়ে ফল ও মাছ আসত। এখন আসে না, বেনাপোল দিয়ে আসে। কেন জানি না। জেসি (যুগ্ম কমিশনার) পোস্টিং না থাকার কারণে এখানে ব্যবসা নেই।
তবে ভোমরা স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক মামুন তরফদার জানান, ওয়্যার হাউসের পণ্য পরীক্ষা করতে যে লেভেলের কর্মকর্তা লাগে, তা এখানে নেই। ডিসেম্বরের মধ্যে শুল্ক বিভাগের জেসি লেবেলের কর্মকর্তা আমরা পাব বলে আশা করছি। ভোমরা শুল্ক বিভাগের তথ্য কর্মকর্তা শান্ত হাওলাদার জানান, আগামীতে রাজস্ব ঘাটতি কমিয়ে আনতে শুল্ক বিভাগের সবার প্রচেষ্টা থাকবে।
রাজশাহীতে রিকশাচালককে জুতাপেটা করে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পবা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জাহিদ হাসান রাসেলের কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ ছিলেন বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাঁর বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দুটি লিখিত অভিযোগও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এসব বিষয়ে কোনো তদন্ত হয়নি। ফলে বারবার পার পেয়ে গেছেন
১ মিনিট আগেমাসালা দোসা, হায়দরাবাদি চিকেনসহ বিদেশি স্বাদের খাবার যেমন আছে, তেমনি রয়েছে দেশের প্রচলিত ইফতার—ছোলা, মুড়ি, বেগুনি। নানান স্বাদের বাহারি ইফতারসামগ্রী স্তরে স্তরে সাজানো। রকমারি এসব ইফতার নিয়ে ক্রেতার অপেক্ষায় বসে আছেন বিক্রয়কর্মীরা। তবে ক্রেতা তুলনামূলক কম।
৩৪ মিনিট আগেরংপুরের পীরগাছা উপজেলা দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রমত্তা তিস্তা নদীতে এখন হাঁটুপানি। যে তিস্তায় একসময় উত্তাল ঢেউ ছিল, সেখানে এখন ধু-ধু বালুচর। নাব্যতা হারিয়ে তিস্তা নদী এখন যেন একটি মরা খাল। এর পানি শুকিয়ে যাওয়ায় প্রায় ৪ হাজার জেলে ও মাঝি বেকার হয়ে পড়েছেন। পরিবার নিয়ে তাঁদের মানবেতর জীবন কাটছে।
৩৭ মিনিট আগেময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌর শহরের নয়াপাড়া মহল্লার বাসিন্দা হোসনে আরা খাতুনের বাসার টেলিফোন সংযোগ ছিল একসময়। ১০ বছর আগে হঠাৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তখন স্থানীয় বিটিসিএল কার্যালয়ে যোগাযোগ করেছেন সংযোগ সচল করতে। তারা জানিয়েছে, মাটির নিচের কেব্ল লাইন নষ্ট হয়েছে। বরাদ্দ এলে মেরামত করা হবে।
৩৯ মিনিট আগে