Ajker Patrika

বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সরকারি পরিকল্পনায় তরুণদের সম্পৃক্ত করার আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০: ৪৪
বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সরকারি পরিকল্পনায় তরুণদের সম্পৃক্ত করার আহ্বান

বাংলাদেশে বাল্যবিয়ে একটি ক্রমবর্ধমান সামাজিক সমস্যা। যা একই সঙ্গে নারীদের প্রতি বৈষম্যের একটি উৎস এবং ফলাফল। বাল্যবিয়ের প্রভাব রোধ করতে তরুণী এবং তরুণদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে বিভিন্ন সরকারি পরিকল্পনায় তরুণদের যুক্ত করা প্রয়োজন।

আজ বুধবার রাজধানীর ডেইলি স্টার সেন্টারে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) আয়োজিত 'বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ: পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে বাল্যবিবাহ নিরসনে তরুণদের ভূমিকা ও করণীয়' শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

'বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ: পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে বাল্যবিবাহ নিরসনে তরুণদের ভূমিকা ও করণীয়' শীর্ষক মতবিনিময় সভা

সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসরিয়াল ফেলো ড. এম নিয়াজ আসাদুল্লাহ বলেন, বিগত দশকের অর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং ২০১৭ বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন সত্ত্বেও বাল্যবিবাহ নিরসনের বাংলাদেশের অর্জন এবং অগ্রগতি আশাব্যঞ্জক নয়। নারী শিক্ষার ব্যাপক সম্প্রসারণ হলেও বাল্যবিবাহের হারের দিক থেকে বাংলাদেশর অবস্থান বিশ্বের শীর্ষ ১০ টি দেশের তালিকায়।

তিনি আরও বলেন, জুলাই বিপ্লব পরবর্তী বাংলাদেশে বৈষম্যমূলক সমাজের দাবিতে পরিবর্তন এবং সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রয়োজন তরুণ-তরুণীদের সম্পৃক্তি সাপেক্ষে বাল্য বিবাহ নিরসনে নতুন ও সৃজনশীল উদ্যোগ। বাল্যবিবাহ নিরসনে একে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিতকরণ ও শাস্তির বিধান বৃদ্ধি যথেষ্ট নয়। নতুন উদ্যোগের পাশাপাশি প্রয়োজন চলমান প্রকল্পের কার্যকারিতা বৃদ্ধি।

ব্লাস্টের অনারারি নির্বাহী পরিচালক সারা হোসেন বলেন, ‘আইন এবং অধিকার নিয়ে সচেতনতার পাশাপাশি যদি একজন ব্যক্তিকে সুযোগ তৈরি করে দেওয়া না হয়, তবে একজন ব্যক্তি তাঁর জীবনধারণের জন্য পথ বেছে নিতে পারবেন না। মেয়েদের জন্য যদি আমরা অধিকার সচেতন করার পাশাপাশি তাদের জন্য সুযোগ করে দিতে পারি তবে তাঁরা শিক্ষা অর্জনের পাশাপাশি জীবনধারণের জন্য চাকরি কিংবা ব্যবসা বা অন্য যে কোনো পেশায় নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন।’

বাল্যবিবাহ নিরসনে তরুণদের ভূমিকা প্রসঙ্গে স্বর্ণকিশোরী প্রকল্পের প্রতিষ্ঠাতা ফারজানা ব্রাউনিয়া বলেন, বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে গেলে নানাবিধ ঝুঁকি থাকে। সামাজিক সুরক্ষার অভাব বাল্য বিয়ের অন্যতম কারণ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তসলিমা ইয়াসমীন সভা সঞ্চালনা করেন এবং সমাপনী বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, বাল্যবিবাহ তরুণদের জন্য একটি হুমকিস্বরূপ। দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের মধ্যে বাল্যবিবাহ নিরসন এবং নারীদের অধিকার নিয়ে আলোচনা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত