নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের চাপে করোনা সংক্রমণের মধ্যেই ৬ মে গণপরিবহন চালু করেছে সরকার। মহানগর এলাকায় গণপরিবহন চালুর পাঁচ দিন হয়ে গেল। তবে কোথাও সরকারের জুড়ে দেওয়া শর্ত মানা হচ্ছে না। প্রতিটা বাস স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এসব দেখার দায়িত্ব বিআরটিএকে দিয়েছে সরকার। তবে সড়কে কোথাও দেখা যাচ্ছে না বিআরটিএর ম্যাজিস্ট্রেটদের।
রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কর্মব্যস্ততা বাড়ার সাথে সাথে স্বাভাবিক গতিতে চলছে গণপরিবহন। দিনদিন কমছে স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা। নগরীর গণপরিবহনগুলোর দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, যাত্রী ও চালকদের মধ্যে মাস্ক পরতে অনীহা। কোন গাড়িতেই রাখা হচ্ছেনা স্যানিটাইজার। এক সিটে বসানো হচ্ছে দু'জন করে। সিটের অধিক দাঁড়িয়েও যাত্রী নেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া বাসের ট্রিপ শুরুতে গাড়ি স্যানিটাইজার করার কথা বলা হলেও, সেটি করছেন না পরিবহন মালিকরা।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআরটিএকে সড়কের গণপরিবহন দেখভাল করতে বলা হলেও রাজধানী কোথাও দেখা মেলেনি বিআরটিএ'র ম্যাজিস্ট্রেটদের। আজ পাঁচ দিন হলো চলছে বাস। রজাধানীর কোথাও নেই বিআরটিএর
ম্যাজিস্ট্রেটদের চেকপোস্ট।
গণপরিবহনের বেশিরভাগ যাত্রীরা অভিযোগ করে বলেছেন, 'আমরা কোন পরিবহনে অতিরিক্ত যাত্রী হতে চাই না। বাসের হেলপার আমাদের ডেকে ডেকে গাড়িতে তোলেন। বাসে অধিক যাত্রীও তুলছে আবার ভাড়াও বেশি নিচ্ছে।
স্বাস্থ্যবিধি মানাতে বিআরটিএ কি মাঠে কাজ করছে না জানতে চাইলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআরটিএর পরিচালক (এনফর্সমেন্ট) সরওয়ার আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'আমাদের যা লোকবল বা ম্যাজিস্ট্রেট আছে তা দিয়ে রাজধানীসহ পুরো দেশ কাভার করা সম্ভব নয়। বিআরটিএর প্রয়োজন আরও লোকবল। ম্যাজিস্ট্রেট জরিমানা করে তো গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মানানো সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে চালক এবং যাত্রীদের নিজে থেকেই সচেতন হতে হবে'।
রাজধানীতে যানজট
ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে রাজধানীতে যানজট ততোই বাড়ছে। বেশিরভাগ সিগনালেই জ্যামে আটকে থাকতে হচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব থাকা কর্মকর্তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে কথা হলে ধানমন্ডি-২৭ নম্বরের ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্বে থাকা মো.আসাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'ঈদকে সামনে রেখে মানুষ প্রয়োজনীয় কাজ সারতে বাহিরে আসছেন। তাছাড়া ঈদের মার্কেট করতে বিভিন্ন দোকান গুলোতে যাচ্ছেন মানুষ । ফলে নগরীতে ব্যক্তিগত গাড়ি, রিক্সা ও মোটরসাইকেল সংখ্যা বাড়ছে। যার কারণে যানজট তৈরি হচ্ছে'।
চালু হয়নি দূরপাল্লার বাস
পরিবহন মালিকদের হুমকি পরেও এখনও চালু হয়নি দূরপাল্লার কোনো বাস। তবে সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে এক জেলার বাস অন্য জেলায় চলছে। অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে রাতের আধারে অনেক দূরপাল্লার বাস রাজধানী থেকে বিভিন্ন জেলায় ছেড়ে যাচ্ছে। তবে শ্যামলী, গ্রীন লাইন, এস আর ট্রাভেলস, এনা পরিবহনসহ বড় বড় যেসব দূরপাল্লার বাস আছে সেগুলো ঢাকা থেকে যেতে দেখা যায়নি।
বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান এবং শ্যামলী পরিবহনের মালিক রমেশ চন্দ্র ঘোষ আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'সরকার শেষ পর্যন্ত পরিবহন মালিকদের কথা ভাবলেন না। মানুষ কিন্তু ঠিকই বাড়ি যাচ্ছে। আজ ফেরি ঘাটের কি অবস্থা। পুরো দেশে স্বাস্থ্যবিধি ভেঙে পড়েছে। দূরপাল্লার বাস চালু হলে এমনটি হতো না। আমাদের কর্মসূচি দেওয়া আছে ।ঈদের দিন শ্রমিকরা টার্মিনালে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন'।
ঢাকা: পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের চাপে করোনা সংক্রমণের মধ্যেই ৬ মে গণপরিবহন চালু করেছে সরকার। মহানগর এলাকায় গণপরিবহন চালুর পাঁচ দিন হয়ে গেল। তবে কোথাও সরকারের জুড়ে দেওয়া শর্ত মানা হচ্ছে না। প্রতিটা বাস স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এসব দেখার দায়িত্ব বিআরটিএকে দিয়েছে সরকার। তবে সড়কে কোথাও দেখা যাচ্ছে না বিআরটিএর ম্যাজিস্ট্রেটদের।
রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কর্মব্যস্ততা বাড়ার সাথে সাথে স্বাভাবিক গতিতে চলছে গণপরিবহন। দিনদিন কমছে স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা। নগরীর গণপরিবহনগুলোর দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, যাত্রী ও চালকদের মধ্যে মাস্ক পরতে অনীহা। কোন গাড়িতেই রাখা হচ্ছেনা স্যানিটাইজার। এক সিটে বসানো হচ্ছে দু'জন করে। সিটের অধিক দাঁড়িয়েও যাত্রী নেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া বাসের ট্রিপ শুরুতে গাড়ি স্যানিটাইজার করার কথা বলা হলেও, সেটি করছেন না পরিবহন মালিকরা।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআরটিএকে সড়কের গণপরিবহন দেখভাল করতে বলা হলেও রাজধানী কোথাও দেখা মেলেনি বিআরটিএ'র ম্যাজিস্ট্রেটদের। আজ পাঁচ দিন হলো চলছে বাস। রজাধানীর কোথাও নেই বিআরটিএর
ম্যাজিস্ট্রেটদের চেকপোস্ট।
গণপরিবহনের বেশিরভাগ যাত্রীরা অভিযোগ করে বলেছেন, 'আমরা কোন পরিবহনে অতিরিক্ত যাত্রী হতে চাই না। বাসের হেলপার আমাদের ডেকে ডেকে গাড়িতে তোলেন। বাসে অধিক যাত্রীও তুলছে আবার ভাড়াও বেশি নিচ্ছে।
স্বাস্থ্যবিধি মানাতে বিআরটিএ কি মাঠে কাজ করছে না জানতে চাইলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআরটিএর পরিচালক (এনফর্সমেন্ট) সরওয়ার আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'আমাদের যা লোকবল বা ম্যাজিস্ট্রেট আছে তা দিয়ে রাজধানীসহ পুরো দেশ কাভার করা সম্ভব নয়। বিআরটিএর প্রয়োজন আরও লোকবল। ম্যাজিস্ট্রেট জরিমানা করে তো গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মানানো সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে চালক এবং যাত্রীদের নিজে থেকেই সচেতন হতে হবে'।
রাজধানীতে যানজট
ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে রাজধানীতে যানজট ততোই বাড়ছে। বেশিরভাগ সিগনালেই জ্যামে আটকে থাকতে হচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব থাকা কর্মকর্তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে কথা হলে ধানমন্ডি-২৭ নম্বরের ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্বে থাকা মো.আসাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'ঈদকে সামনে রেখে মানুষ প্রয়োজনীয় কাজ সারতে বাহিরে আসছেন। তাছাড়া ঈদের মার্কেট করতে বিভিন্ন দোকান গুলোতে যাচ্ছেন মানুষ । ফলে নগরীতে ব্যক্তিগত গাড়ি, রিক্সা ও মোটরসাইকেল সংখ্যা বাড়ছে। যার কারণে যানজট তৈরি হচ্ছে'।
চালু হয়নি দূরপাল্লার বাস
পরিবহন মালিকদের হুমকি পরেও এখনও চালু হয়নি দূরপাল্লার কোনো বাস। তবে সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে এক জেলার বাস অন্য জেলায় চলছে। অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে রাতের আধারে অনেক দূরপাল্লার বাস রাজধানী থেকে বিভিন্ন জেলায় ছেড়ে যাচ্ছে। তবে শ্যামলী, গ্রীন লাইন, এস আর ট্রাভেলস, এনা পরিবহনসহ বড় বড় যেসব দূরপাল্লার বাস আছে সেগুলো ঢাকা থেকে যেতে দেখা যায়নি।
বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান এবং শ্যামলী পরিবহনের মালিক রমেশ চন্দ্র ঘোষ আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'সরকার শেষ পর্যন্ত পরিবহন মালিকদের কথা ভাবলেন না। মানুষ কিন্তু ঠিকই বাড়ি যাচ্ছে। আজ ফেরি ঘাটের কি অবস্থা। পুরো দেশে স্বাস্থ্যবিধি ভেঙে পড়েছে। দূরপাল্লার বাস চালু হলে এমনটি হতো না। আমাদের কর্মসূচি দেওয়া আছে ।ঈদের দিন শ্রমিকরা টার্মিনালে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন'।
যশোরের কেশবপুরে প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে ভূগর্ভস্থ পানি তুলে মাছের ঘেরগুলো পূর্ণ করা হচ্ছে। এতে করে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে অতিরিক্ত পানির কারণে এলাকায় ফের বন্যাসহ ভয়াবহ জলাবদ্ধতার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এলাকাবাসী বলছেন, এখন ভূগর্ভস্থ পানি তুলে ঘের ভর্তি করে রাখায় বর্ষার পানি ধারণের জায়গা
১৮ মিনিট আগেইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে দায়িত্ব দেওয়ার দাবিতে নগর ভবনের সামনে সড়ক অবরোধ করে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছে। এতে করে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক নগর ভবন সংলগ্ন গুলিস্তান-বঙ্গবাজার সড়কের উভয়পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে।
১৮ মিনিট আগেচট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে মহাসড়ক পার হওয়ার সময় পিকআপ ভ্যানের চাপায় আবুল হোসেন (৭৫) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও দুই পথচারী গুরুতর আহত হয়েছেন।
২১ মিনিট আগেমানিকগঞ্জের হরিরামপুরে পদ্মা নদীতে এক জেলের জালে ধরা পড়েছে বিশাল আকারের চিতল মাছ। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়নের সেলিমপুর থেকে হরিনা ঘাটের মাঝামাঝি এলাকায় মাছটি ধরা পড়ে।
৩৭ মিনিট আগে