Ajker Patrika

পাঠকের বিচিত্র স্বাদ

শরীফ নাসরুল্লাহ, ঢাকা
স্টলে বইয়ের পাতা ওলটাচ্ছেন এক তরুণ। গতকাল রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের একুশে বইমেলা প্রাঙ্গণে। ছবি: আজকের পত্রিকা
স্টলে বইয়ের পাতা ওলটাচ্ছেন এক তরুণ। গতকাল রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের একুশে বইমেলা প্রাঙ্গণে। ছবি: আজকের পত্রিকা

বইয়ের ঝাঁপি খুলে বসেছেন প্রকাশকেরা। নতুন বইয়ের খোঁজে আসেন পাঠক। তাঁরা নানান বয়সের এবং পেশার। বিচিত্র বিষয়ে আগ্রহ তাঁদের।

যোবায়ের আহমেদ সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। বন্ধুকে নিয়ে বইয়ের খোঁজে হাজির মেলায়। গোয়েন্দা কাহিনির পাঁড় ভক্ত তিনি; বিশেষ করে রকিব হাসানের বই। বললেন, ‘আমি রকিব হাসানের বইয়ের ভক্ত। এ বছর তাঁর নতুন বই আসেনি। তাই কিছু অন্য বই কিনলাম। জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে একটি বই। আরেকটি উপন্যাস।’

দুই ভাগিনা কামরুল হাসান আর সাব্বিরকে নিয়ে মেলায় এসেছেন শাহাদত হোসেন। কুমিল্লার লাকসামের নীলকান্ত সরকারি ডিগ্রি কলেজে পড়েন। শাহাদাত কিনেছেন সাহাবিদের জীবনী। কিনেছেন আরিফ আজাদের ‘প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ’ বইটিও।

পরিবার নিয়ে মেলায় আসা মানুষের সংখ্যাও কম নয়। বাবা-মায়েদের সঙ্গে শিশুরা এসেছে বইমেলায়। কেউ বই কিনছে, কেউ করছে দৌড়াদৌড়ি। এক মা তাঁর দুই সন্তানকে বই মেলে দেখাচ্ছিলেন। নতুন বই কিনে এখনই দেখতে হবে—এই তাদের আবদার।

নওগাঁ থেকে মেলায় এসেছেন কবি কাওসার। এলাকায় তাঁর একটি পাঠাগার আছে। পেশায় স্কুলশিক্ষক। পাঠাগারের জন্য বেশ কিছু বই কিনেছেন। এগুলোর মধ্যে চিরায়ত সাহিত্যই বেশি।

বেলজিয়ামে পড়ালেখা করেন হৃদয় আহমেদ। ছুটিতে এসেছেন বাংলাদেশে। জানান, নবীন লেখক ইলমা বেহরোজের ‘পদ্মজা’ এবং নোয়াখালীর লোকজ সংস্কৃতি নিয়ে বই কিনেছেন। বললেন, ‘আমি আদতে থ্রিলার পছন্দ করি। ড্যান ব্রাউন, স্টিফেন কিংয়ের বই পড়তে ভালোবাসি।’

নতুন বইয়ের খোঁজে: জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পরে দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে এক নতুন বাস্তবতা। একটি বৈষম্যহীন অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখছে তরুণসমাজ। কিন্তু সেই লক্ষ্য অর্জনের পথে অর্থনীতির পথযাত্রায় বাংলাদেশের অবস্থান কোথায়? তারই একটি চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি: বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ বইয়ে। এটি লিখেছেন সেলিম জাহান। পাওয়া যাবে জাগৃতি প্রকাশনীতে।

কারও হাতে প্রিয় লেখকের বই; কেউবা খুঁজছেন। গতকাল বইমেলার একটি স্টলে। ছবি: আজকের পত্রিকা
কারও হাতে প্রিয় লেখকের বই; কেউবা খুঁজছেন। গতকাল বইমেলার একটি স্টলে। ছবি: আজকের পত্রিকা

সমাজ, রাষ্ট্র এবং মানুষের মনস্তাত্ত্বিক সুখ ও অসুখের আখ্যান উঠে আসে রাশেদ রহমানের গল্পে। তাঁর গল্পের বুনন, বপন ও পরিচর্যা একান্তই তাঁর নিজস্ব ধারায় বহমান। এবার তিনি এসেছেন গল্পের বই ‘অসাম্প্রদায়িক মাংস’ নিয়ে। বেহুলা বাংলা প্রকাশনীতে পাওয়া যাবে বইটি। বিখ্যাত সুফি মনসুর হাল্লাজের লেখা কবিতা এসেছে মেলায় ‘মনসুর হাল্লাজের কবিতা’ নামে। পাশাপাশি আছে সেই সময়ের দর্শন, রাজনীতি আর সমাজের ইতিহাস নিয়ে বিশদ আলোচনা। আছে মওলানা রুমি, আল কুশাইরি, মাহমুদ শাবিস্তারিসহ ধ্রুপদি উৎসে মনসুর হাল্লাজকে নিয়ে আলোচনা।

বাংলা একাডেমি জানিয়েছে, গতকাল নতুন বই এসেছে ১১৩টি। মেলায় আসা মোট বইয়ের সংখ্যা ১ হাজার ৬৪৪।

লেখকের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন: কবি সোহেল হাসান গালিবকে আটকের প্রতিবাদে এবং মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেন একদল প্রকাশক, লেখক, কবি ও সাংবাদিক। বইমেলার লেখক মঞ্চের সামনে গতকাল বিকেল ৫টার দিকে মানববন্ধন করা হয়। সেখানে গালিবকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তির সময়সীমা দেওয়া হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘শেখ হাসিনা আসবে, বাংলাদেশ হাসবে’ ব্যানারে বিমানবন্দর এলাকায় আ.লীগের মিছিল

ইটনায় এবার ডিলার নিয়োগে ঘুষ চাওয়ার কল রেকর্ড ফাঁস

কুষ্টিয়ায় গভীর রাতে বিএনপি নেতার বাড়িতে গুলি, দেখে নেওয়ার হুমকি

‘ওরা সোনার তৈরি, আমরা মাটির’, কারখানার ভেতর আত্মহত্যার আগে শ্রমিকের ফেসবুক পোস্ট

মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তনে প্রক্রিয়া মানা হয়নি: ইউনেসকো

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত