নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জে বকেয়া বেতন পরিশোধ ছাড়াই দুটি কারখানা বন্ধের ঘটনায় বিক্ষোভ করেছে কারখানা শ্রমিকেরা। আজ শনিবার সকালে ফতুল্লার বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় এবং নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রেসক্লাবের সামনে পৃথক দুটি বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়।
কারখানা দুটি হচ্ছে—ক্রোনী গ্রুপের অবন্তী কালার টেক্স লিমিটেড এবং রূপসী গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ। তবে শ্রমিকদের এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
সরেজমিনে দেখা যায়, শনিবার সকালে ফতুল্লার বিসিক শিল্প নগরী এলাকায় অবন্তী কারখানার শ্রমিকেরা নিজ প্রতিষ্ঠানের সামনে অবস্থান নেয়। এতে ঢাকা মুন্সিগঞ্জ সড়কে অন্তত দুই ঘণ্টার জন্য যান চলাচল বন্ধ হয়। বেলা ১০টার দিকে শিল্প পুলিশের হস্তক্ষেপে রাস্তা ছেড়ে দেয় শ্রমিকেরা। এ সময় তাদের বকেয়া বেতন পরিশোধ ও কারখানা খুলে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়।
শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত বছরের ডিসেম্বর মাসের আংশিক বেতন দেওয়া হয় শ্রমিকদের। ডিসেম্বরের বাকি আংশিক ও জানুয়ারি মাসের বেতন দিতে দেরি করায় গত ৭ এবং ৮ ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভ করে শ্রমিকেরা। এই ঘটনায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ তুলে কারখানা লে অফ ঘোষণা করে মালিকপক্ষ। শনিবার কর্মস্থলে যোগ দিতে এসে লে অফ নোটিশ দেখে সড়ক অবরোধ করে তারা।
কারখানার শ্রমিক কবির হোসেন (৪৪) বলেন, ‘আমি আমার দুই ছেলে-মেয়ে নিয়ে কাশিপুর থাকি। আমি ও আমার স্ত্রী দুজনেই দুই কারখানায় কাজ করি। দ্রব্যমূল্যের বাজারে দুজনের আয় দিয়ে চলতেও কষ্ট হয়। তার ওপর কারখানা ডিসেম্বর মাসের বেতন অর্ধেক দিয়েছে। জানুয়ারির বেতনও দিতে দেরি করছে। ধার দেনা করে কত দিন চলা যায়? ভাড়ার জন্য প্রতিনিয়ত বাড়িওয়ালা চাপ দেয়। এখন কারখানা বন্ধ করে দিলে আমরা কোথায় যাব?’
এ বিষয়ে কারখানার মালিক আসলাম সানির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর তার মালিকানাধীন ক্রোনী টেক্স সোয়েটার লিমিটেড কারখানার লে অফ ঘোষণা করা হয়। সেবারও কারখানার শ্রমিকেরা উত্তেজিত হয়ে ঢাকা মুন্সিগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। পরে তাদের অন্য ইউনিটে সরিয়ে নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে শান্ত করা হয়।
অন্যদিকে রূপসী গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ কারখানার শতাধিক শ্রমিক শনিবার সকাল ১০টায় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন। নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে রাস্তায় নামেন তারা। রোববারের মধ্যে বেতন পরিশোধ করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা দিয়ে ফিরে যান শ্রমিকেরা।
এই বিষয়ে শিল্প পুলিশ-৪ এর পরিদর্শক (ইন্টেলিজেন্স) সেলিম বাদশা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বকেয়া বেতনের দাবিতে বিসিকে এবং প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ করেছে দুটি কারখানার শ্রমিক। ক্রোনী গ্রুপের মালিকের সাথে আমরা যোগাযোগ করেছি। তিনি সোমবার বেতন দেবেন ও কারখানা চালু করবেন। শ্রমিকেরা আশ্বাস পেয়ে সড়ক ছেড়ে দিয়েছে। অন্যদিকে রূপসী ইন্ডাস্ট্রিজের বিদ্যমান সংকট নিরসনে আমরা মালিকপক্ষের সাথে যোগাযোগ করছি।’
নারায়ণগঞ্জে বকেয়া বেতন পরিশোধ ছাড়াই দুটি কারখানা বন্ধের ঘটনায় বিক্ষোভ করেছে কারখানা শ্রমিকেরা। আজ শনিবার সকালে ফতুল্লার বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় এবং নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রেসক্লাবের সামনে পৃথক দুটি বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়।
কারখানা দুটি হচ্ছে—ক্রোনী গ্রুপের অবন্তী কালার টেক্স লিমিটেড এবং রূপসী গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ। তবে শ্রমিকদের এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
সরেজমিনে দেখা যায়, শনিবার সকালে ফতুল্লার বিসিক শিল্প নগরী এলাকায় অবন্তী কারখানার শ্রমিকেরা নিজ প্রতিষ্ঠানের সামনে অবস্থান নেয়। এতে ঢাকা মুন্সিগঞ্জ সড়কে অন্তত দুই ঘণ্টার জন্য যান চলাচল বন্ধ হয়। বেলা ১০টার দিকে শিল্প পুলিশের হস্তক্ষেপে রাস্তা ছেড়ে দেয় শ্রমিকেরা। এ সময় তাদের বকেয়া বেতন পরিশোধ ও কারখানা খুলে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়।
শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত বছরের ডিসেম্বর মাসের আংশিক বেতন দেওয়া হয় শ্রমিকদের। ডিসেম্বরের বাকি আংশিক ও জানুয়ারি মাসের বেতন দিতে দেরি করায় গত ৭ এবং ৮ ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভ করে শ্রমিকেরা। এই ঘটনায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ তুলে কারখানা লে অফ ঘোষণা করে মালিকপক্ষ। শনিবার কর্মস্থলে যোগ দিতে এসে লে অফ নোটিশ দেখে সড়ক অবরোধ করে তারা।
কারখানার শ্রমিক কবির হোসেন (৪৪) বলেন, ‘আমি আমার দুই ছেলে-মেয়ে নিয়ে কাশিপুর থাকি। আমি ও আমার স্ত্রী দুজনেই দুই কারখানায় কাজ করি। দ্রব্যমূল্যের বাজারে দুজনের আয় দিয়ে চলতেও কষ্ট হয়। তার ওপর কারখানা ডিসেম্বর মাসের বেতন অর্ধেক দিয়েছে। জানুয়ারির বেতনও দিতে দেরি করছে। ধার দেনা করে কত দিন চলা যায়? ভাড়ার জন্য প্রতিনিয়ত বাড়িওয়ালা চাপ দেয়। এখন কারখানা বন্ধ করে দিলে আমরা কোথায় যাব?’
এ বিষয়ে কারখানার মালিক আসলাম সানির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর তার মালিকানাধীন ক্রোনী টেক্স সোয়েটার লিমিটেড কারখানার লে অফ ঘোষণা করা হয়। সেবারও কারখানার শ্রমিকেরা উত্তেজিত হয়ে ঢাকা মুন্সিগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। পরে তাদের অন্য ইউনিটে সরিয়ে নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে শান্ত করা হয়।
অন্যদিকে রূপসী গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ কারখানার শতাধিক শ্রমিক শনিবার সকাল ১০টায় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন। নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে রাস্তায় নামেন তারা। রোববারের মধ্যে বেতন পরিশোধ করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা দিয়ে ফিরে যান শ্রমিকেরা।
এই বিষয়ে শিল্প পুলিশ-৪ এর পরিদর্শক (ইন্টেলিজেন্স) সেলিম বাদশা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বকেয়া বেতনের দাবিতে বিসিকে এবং প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ করেছে দুটি কারখানার শ্রমিক। ক্রোনী গ্রুপের মালিকের সাথে আমরা যোগাযোগ করেছি। তিনি সোমবার বেতন দেবেন ও কারখানা চালু করবেন। শ্রমিকেরা আশ্বাস পেয়ে সড়ক ছেড়ে দিয়েছে। অন্যদিকে রূপসী ইন্ডাস্ট্রিজের বিদ্যমান সংকট নিরসনে আমরা মালিকপক্ষের সাথে যোগাযোগ করছি।’
ঘন কুয়াশার কারণে প্রায় ১১ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। দীর্ঘ সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় দুই পথের উভয় প্রান্তে আটকা পড়ে অ্যাম্বুলেন্স, ব্যক্তিগত গাড়ি, যাত্রীবাহী বাসসহ দুই শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক।
২৫ মিনিট আগেরংপুরে ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একই স্থানে একে একে ছয়টি পরিবহন দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। এতে প্রাণহানির কোনো ঘটনা না ঘটলেও অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনাকবলিত পরিবহনগুলোর মধ্যে তিনটি যাত্রীবাহী বাসসহ ট্রাক, পিকআপ ও কাভার্ডভ্যান রয়েছে। গাড়িগুলো ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে...
২৭ মিনিট আগেচট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থান থেকে বাসে-ট্রাকে করে মানুষ মাহফিলে আসতে থাকে। বিকেল ৪টা নাগাদ প্যারেড ময়দানের আশপাশের রাস্তাঘাট লোকারণ্য হয়ে যায়, বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। প্যারেড ময়দানসংলগ্ন চকবাজার তেলিপট্টি মোড় থেকে এক্সেস রোড, অলিখাঁ মোড় থেকে গণি বেকারির মোড় পর্যন্ত যানচলাচল সীমিত হয়ে পড়ে।
৪৩ মিনিট আগেমাঝনদীতে আটকা পড়া এসব ফেরিতে ১৫টির মতো যাত্রীবাহী বাস আছে। এসব বাসের যাত্রীরা কনকনে শীতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। এদিকে পাটুরিয়া ঘাটে ৩০টির মতো যাত্রীবাহী বাস এবং শতাধিক পণ্যবাহী যানবাহন আটকা পড়েছে।
২ ঘণ্টা আগে