ইসমাইল হোসেন কিরন, হাতিয়া (নোয়াখালী)
আবর্জনা ও পলিমাটিতে ভরাট হয়ে নালায় পরিণত হয়েছিল খালগুলো। পাড়ে গাছ-গাছালি ও লতাপাতায় হাঁটা যেত না। অনেক স্থানে জোয়ার-ভাটার পানি আসা-যাওয়া ছিল বন্ধ। এতে খালের পাশে আবাদি অনেক জমি জলাবদ্ধতায় অনাবাদি হয়ে পড়ে।
কিন্তু সেই চিত্র এখন বদলে গেছে। খালগুলো খননের মাধ্যমে প্রশস্ত করা হয়েছে। দুই পাড়ে মাটি দিয়ে বাঁধাই করে তৈরি করা হয়েছে হাঁটার রাস্তা। সহজে জোয়ার-ভাটার পানি সরবরাহের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
নোয়াখালীর হাতিয়ায় গত দুই বছরে ৯টি খালের প্রায় ৩০ কিলোমিটার খননে এই চিত্র বদলে দিয়েছে। কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন দুটি প্রকল্পের মাধ্যমে এসব খাল খনন করে। এতে খালের পাড়ের পাশের অনেক অনাবাদি জমিতে এখন আবাদ হচ্ছে। পাড় দিয়ে গ্রামের মানুষ হাঁটাচলা করছে অনায়াসে।
হাতিয়ার বুড়িরচর ইউনিয়নের গুল্লাখালী গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহিম (৬০) জানান, গ্রামের মাঝখানে অবস্থিত বুড়ির দোনা শাখা খালটি। এটি আনুমানিক ৪৫ বছর আগে একবার খনন করা হয়েছিল। খালটি পলি জমে জমে নালায় পরিণত হয়। বড় খালগুলো অনেক দূরে হওয়ায় এই খাল দিয়ে জোয়ার-ভাটার পানি চলাচল করতে পারত না। এতে বর্ষায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়ে খালের দুই পাশে শত শত একর জমি অনাবাদি থেকে যেত। বর্ষায় গ্রামের কাঁচা রাস্তাগুলো ডুবে থাকত পানিতে।
আব্দুর রহিম বলেন, এখন এই খালের ৪ কিলোমিটার খনন করা হয়েছে। দুই পাড়ে ১০ ফুট প্রশস্ত রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। কিছু দূর পরপর জমি থেকে খালে পানি নামার জন্য পাইপ বসানো হয়েছে। খালপাড়ে জমির মালিকেরা শিমসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করেছেন। এই খাল খননে পুরো গ্রামের চিত্র পাল্টে গেছে।
একই চিত্র চরকিং ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের। গ্রামটির বাসিন্দা কৃষক মোজাহার উদ্দিন (৬২) জানান, বোয়ালিয়া গ্রামে অধিকাংশ রাস্তা কাঁচা। এখানে বেশির ভাগ মানুষ কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। নদী থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে গ্রামটি। একমাত্র খালের সংস্কার না হওয়ায় এত দিন জোয়ার-ভাটার পানি চলাচল করতে পারত না। এতে খালের দুই পাড়ের পাশের জমিগুলো অল্প বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা লেগেই থাকত। খুবই উর্বর এই জমিতে রবিশস্যের ভালো ফলন হতো। কিন্তু পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় অনাবৃষ্টিতে ক্ষতির মধ্যে পড়তে হতো কৃষকদের। এসব এলাকার কৃষকেরা নিজেদের জমি বিক্রি করতে চাইলেও ভালো মূল্য পেতেন না।
মোজাহার উদ্দিন বলেন, তবে সম্প্রতি বোয়ালিয়া খালটি বোয়ালিয়া গ্রামের শরিফ মার্কেট থেকে ব্রিজ বাজার পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার খনন করা হয়। খাল খননের পাশাপাশি দুই পাড়ে চলাচলের জন্য করা হয় প্রশস্ত রাস্তা। এতে পাড়ের রাস্তা ব্যবহার করে মানুষ বাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় চলাফেরার সুযোগ পাচ্ছে। এ ছাড়া গ্রামের চিত্র সম্পূর্ণ বদলে গেছে।
শুধু বোয়ালিয়া আর গুল্লাখালী গ্রাম নয়, জলাবদ্ধতা লেগেই থাকত হাতিয়া উপজেলা সদরের পৌরসভার কয়েকটি ওয়ার্ডে। সম্প্রতি কাজীর বাজার খালের চার কিলোমিটার ও মার্টিন খালের তিন কিলোমিটার খননে বদলে গেছে পৌরসভার জলাবদ্ধতার চিত্র।
হাতিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, গত দুই বছরে হাতিয়ায় অনেকগুলো খাল খনন করা হয়েছে। এসব খাল খননে স্থানীয় কৃষক চাষাবাদের ক্ষেত্রে উপকৃত হচ্ছেন। এসব খাল খননের তালিকা গুরুত্ব অনুপাতে করা হয়েছে। তবে চরঈশ্বর, জাহাজমারা ও নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের আরও কিছু খাল দ্রুত সময়ের মধ্যে খনন করা প্রয়োজন।
কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (ক্ষুদ্র সেচ) নোয়াখালী জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, হাতিয়াতে গত দুই বছরে পুরোনো ৯টি খালের প্রায় ৩০ কিলোমিটার এলাকা খনন করা হয়েছে। খালপাড়ের ৬০ কিলোমিটার প্রশস্ত মাটির রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। এগুলো স্মল হোল্ডার এগ্রিকালচারাল কম্পিটিটিভনেস (এসএসিপি) প্রকল্প ও নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও ফেনী জেলার ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এতে প্রতিষ্ঠানের সমীক্ষা অনুযায়ী ৯০০ হেক্টর অনাবাদি জমি চাষযোগ্য হয়েছে।
এ ব্যাপারে কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (ক্ষুদ্র সেচ) নোয়াখালী জেলার সহকারী প্রকৌশলী মো. জুয়েল হোসেন বলেন, ‘হাতিয়াতে গত দুই বছরে আমরা প্রায় ৩০ কিলোমিটার খাল খনন ও পুনঃখননের কাজ সম্পন্ন করেছি। এতে প্রায় ৬০ কিলোমিটার মাটির রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। হাতিয়া উপজেলায় ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা। বিশাল এই এলাকার জলাবদ্ধতা দূর করতে শুধু হাতিয়া উপজেলার জন্য আরও একটি প্রকল্পের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে দেওয়া আছে। এটি অনুমোদন পেলে হাতিয়ার কৃষিতে বড় ধরনের বিপ্লব ঘটানো যাবে।’
আবর্জনা ও পলিমাটিতে ভরাট হয়ে নালায় পরিণত হয়েছিল খালগুলো। পাড়ে গাছ-গাছালি ও লতাপাতায় হাঁটা যেত না। অনেক স্থানে জোয়ার-ভাটার পানি আসা-যাওয়া ছিল বন্ধ। এতে খালের পাশে আবাদি অনেক জমি জলাবদ্ধতায় অনাবাদি হয়ে পড়ে।
কিন্তু সেই চিত্র এখন বদলে গেছে। খালগুলো খননের মাধ্যমে প্রশস্ত করা হয়েছে। দুই পাড়ে মাটি দিয়ে বাঁধাই করে তৈরি করা হয়েছে হাঁটার রাস্তা। সহজে জোয়ার-ভাটার পানি সরবরাহের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
নোয়াখালীর হাতিয়ায় গত দুই বছরে ৯টি খালের প্রায় ৩০ কিলোমিটার খননে এই চিত্র বদলে দিয়েছে। কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন দুটি প্রকল্পের মাধ্যমে এসব খাল খনন করে। এতে খালের পাড়ের পাশের অনেক অনাবাদি জমিতে এখন আবাদ হচ্ছে। পাড় দিয়ে গ্রামের মানুষ হাঁটাচলা করছে অনায়াসে।
হাতিয়ার বুড়িরচর ইউনিয়নের গুল্লাখালী গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহিম (৬০) জানান, গ্রামের মাঝখানে অবস্থিত বুড়ির দোনা শাখা খালটি। এটি আনুমানিক ৪৫ বছর আগে একবার খনন করা হয়েছিল। খালটি পলি জমে জমে নালায় পরিণত হয়। বড় খালগুলো অনেক দূরে হওয়ায় এই খাল দিয়ে জোয়ার-ভাটার পানি চলাচল করতে পারত না। এতে বর্ষায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়ে খালের দুই পাশে শত শত একর জমি অনাবাদি থেকে যেত। বর্ষায় গ্রামের কাঁচা রাস্তাগুলো ডুবে থাকত পানিতে।
আব্দুর রহিম বলেন, এখন এই খালের ৪ কিলোমিটার খনন করা হয়েছে। দুই পাড়ে ১০ ফুট প্রশস্ত রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। কিছু দূর পরপর জমি থেকে খালে পানি নামার জন্য পাইপ বসানো হয়েছে। খালপাড়ে জমির মালিকেরা শিমসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করেছেন। এই খাল খননে পুরো গ্রামের চিত্র পাল্টে গেছে।
একই চিত্র চরকিং ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের। গ্রামটির বাসিন্দা কৃষক মোজাহার উদ্দিন (৬২) জানান, বোয়ালিয়া গ্রামে অধিকাংশ রাস্তা কাঁচা। এখানে বেশির ভাগ মানুষ কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। নদী থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে গ্রামটি। একমাত্র খালের সংস্কার না হওয়ায় এত দিন জোয়ার-ভাটার পানি চলাচল করতে পারত না। এতে খালের দুই পাড়ের পাশের জমিগুলো অল্প বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা লেগেই থাকত। খুবই উর্বর এই জমিতে রবিশস্যের ভালো ফলন হতো। কিন্তু পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় অনাবৃষ্টিতে ক্ষতির মধ্যে পড়তে হতো কৃষকদের। এসব এলাকার কৃষকেরা নিজেদের জমি বিক্রি করতে চাইলেও ভালো মূল্য পেতেন না।
মোজাহার উদ্দিন বলেন, তবে সম্প্রতি বোয়ালিয়া খালটি বোয়ালিয়া গ্রামের শরিফ মার্কেট থেকে ব্রিজ বাজার পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার খনন করা হয়। খাল খননের পাশাপাশি দুই পাড়ে চলাচলের জন্য করা হয় প্রশস্ত রাস্তা। এতে পাড়ের রাস্তা ব্যবহার করে মানুষ বাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় চলাফেরার সুযোগ পাচ্ছে। এ ছাড়া গ্রামের চিত্র সম্পূর্ণ বদলে গেছে।
শুধু বোয়ালিয়া আর গুল্লাখালী গ্রাম নয়, জলাবদ্ধতা লেগেই থাকত হাতিয়া উপজেলা সদরের পৌরসভার কয়েকটি ওয়ার্ডে। সম্প্রতি কাজীর বাজার খালের চার কিলোমিটার ও মার্টিন খালের তিন কিলোমিটার খননে বদলে গেছে পৌরসভার জলাবদ্ধতার চিত্র।
হাতিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, গত দুই বছরে হাতিয়ায় অনেকগুলো খাল খনন করা হয়েছে। এসব খাল খননে স্থানীয় কৃষক চাষাবাদের ক্ষেত্রে উপকৃত হচ্ছেন। এসব খাল খননের তালিকা গুরুত্ব অনুপাতে করা হয়েছে। তবে চরঈশ্বর, জাহাজমারা ও নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের আরও কিছু খাল দ্রুত সময়ের মধ্যে খনন করা প্রয়োজন।
কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (ক্ষুদ্র সেচ) নোয়াখালী জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, হাতিয়াতে গত দুই বছরে পুরোনো ৯টি খালের প্রায় ৩০ কিলোমিটার এলাকা খনন করা হয়েছে। খালপাড়ের ৬০ কিলোমিটার প্রশস্ত মাটির রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। এগুলো স্মল হোল্ডার এগ্রিকালচারাল কম্পিটিটিভনেস (এসএসিপি) প্রকল্প ও নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও ফেনী জেলার ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এতে প্রতিষ্ঠানের সমীক্ষা অনুযায়ী ৯০০ হেক্টর অনাবাদি জমি চাষযোগ্য হয়েছে।
এ ব্যাপারে কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (ক্ষুদ্র সেচ) নোয়াখালী জেলার সহকারী প্রকৌশলী মো. জুয়েল হোসেন বলেন, ‘হাতিয়াতে গত দুই বছরে আমরা প্রায় ৩০ কিলোমিটার খাল খনন ও পুনঃখননের কাজ সম্পন্ন করেছি। এতে প্রায় ৬০ কিলোমিটার মাটির রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। হাতিয়া উপজেলায় ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা। বিশাল এই এলাকার জলাবদ্ধতা দূর করতে শুধু হাতিয়া উপজেলার জন্য আরও একটি প্রকল্পের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে দেওয়া আছে। এটি অনুমোদন পেলে হাতিয়ার কৃষিতে বড় ধরনের বিপ্লব ঘটানো যাবে।’
রাজধানীতে অপরাধ দমন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশকে সহায়তার জন্য অক্সিলিয়ারি ফোর্স হিসেবে ৪২৬ জন ‘সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা’ নিয়োগ দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। প্রশিক্ষণ ছাড়াই তড়িঘড়ি করে নিয়োগ দেওয়ায় তাঁদের অনেকে নিজেদের দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে জানেন না।
৫ ঘণ্টা আগেনতুন করে অচলাবস্থা দেখা দিল খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট)। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদকে অপসারণের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। দাবি পূরণ না হলে আজ সোমবার বেলা ৩টা থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
৫ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম নগরের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করার জন্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) ৩৬টি খাল ঘিরে বড় প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। ৫ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা বরাদ্দে শুরু করা এ প্রকল্পের আকার এখন ৮ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা।
৫ ঘণ্টা আগেসরকার পতনের পর কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) মেয়রকে অপসারণ ও কাউন্সিলদের বরখাস্ত করা হয়। এরপর জরুরি সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন করপোরেশনের কর্মকর্তারা। তবে তাঁদের দৈনন্দিন কার্যক্রমের পর এই বাড়তি দায়িত্ব পালন করে থাকেন। নাগরিক সনদ, জন্ম-মৃত্যুনিবন্ধন, রাস্তা মেরামত, পরিচ্ছন্নতা, মশক নিয়ন্ত্রণসহ
৫ ঘণ্টা আগে