Ajker Patrika

কোম্পানীগঞ্জে মা-মেয়েকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, আটক ২

নোয়াখালী প্রতিনিধি
Thumbnail image
প্রতীকী ছবি

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে মা-মেয়েকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গতকাল শনিবার রাতে হাসান (৪২) ও হারুন (৩০) নামের দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

গত ২১ অক্টোবর রাতে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে বলে অভিযোগ ওঠে। স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে বিচার না পেয়ে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় চরবালুয়া পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে মৌখিক অভিযোগ দেন ভুক্তভোগীরা।

চরবালুয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শাহাদাত বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরই অভিযান চালিয়ে হাসান ও হারুনকে আটক করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী নারী (৩৮) জানান, তাঁর স্বামী গাড়িচালক। বাড়িতে তিনি ও তাঁর মেয়ে (১৭) এবং এক দেবর (২১) থাকেন। তাঁদের বাড়ির কাছে বাড়িঘর কম। গত ২১ অক্টোবর রাতে উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নের রাশেদ, সাইফুল, হাসান, হারুন, রাজু ও ইব্রাহিম তাঁদের বাড়িতে আসেন। তারা ঘরের দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে ওই নারীর দেবরের মুখ, হাত-পা বেঁধে রেখে তাঁর মেয়ে ও তাঁকে ঘর থেকে বের করে আনে।

অভিযোগ ওঠা যুবকদের মধ্যে তিনজন ওই নারীকে টেনে বাড়ির পুকুর পাড়ে নিয়ে যায়। আর অপর তিনজন মেয়েকে বসতঘরের পাশের রান্নাঘরের সামনে নিয়ে যায়। এরপর ওই নারীকে পুকুর পাড়ে ও তাঁর মেয়েকে রান্নাঘরের সামনে রাত ৩টা পর্যন্ত সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। যাওয়ার সময় ঘর থেকে টাকা-পয়সাসহ মূল্যবান জিনিসপত্রও লুট করে নিয়ে যান অভিযোগ ওঠা ব্যক্তিরা। ঘটনাটি কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি দেন তাঁরা।

ঘটনার পর পরদিন সকালে বিষয়টি স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিদের জানান এবং তাঁদের কাছে ঘটনার বিচার চান ভুক্তভোগী নারী ও তাঁর মেয়ে। কিন্তু স্থানীয় ব্যক্তিরা বিচারের নামে তালবাহানা করতে থাকেন। পরে বাধ্য হয়ে ওই নারী গতকাল শনিবার বিকেলে স্থানীয় চরবালুয়া পুলিশ ক্যাম্পে গিয়ে মৌখিক অভিযোগ করেন।

কোম্পানীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুস সুলতান বলেন, এ ঘটনায় ৬ জনকে আসামি করে ভুক্তভোগী অভিযোগ দিয়েছিলেন। ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত