কুমিল্লা প্রতিনিধি
ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কিত হয়ে দৌড়ে বের হওয়ার সময় পদদলিত হয়ে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে একটি গার্মেন্টসের অন্তত ৮০ শ্রমিক আহত হয়েছেন। তাঁদের চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
চৌদ্দগ্রাম ফায়ার সার্ভিস ও থানা-পুলিশ ওই গার্মেন্টসের শ্রমিকদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। স্থানীয় প্রশাসন বলছে, ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কিত হয়ে তাড়াহুড়ো করে বের হতে গিয়ে শ্রমিকেরা আহত হয়েছে। তারা সবাই শঙ্কামুক্ত।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কমিউনিটি স্বার্থ কর্মকর্তা সোলায়মান বাদশা জানান, আমাদের কাছে এ পর্যন্ত ৭৫ জন চিকিৎসা নিয়েছে। আমরা চারজনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেছি।
এদিকে ভূমিকম্পে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি আবাসিক হল, বিজ্ঞান অনুষদ ও মসজিদ ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পরই এসব ফাটল তাঁরা দেখতে পায়। পর্যবেক্ষণের পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তিনটি ভবনে ফাটল দেখা গেছে। কুবির প্রকৌশল দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, শঙ্কার কিছু নেই।
জানা যায়, বঙ্গবন্ধু হলের ২০৯ নম্বর কক্ষের দেয়াল ও ৫০৪ নম্বর কক্ষের সামনের করিডরের মেঝের দুটি টাইলস উঠে গেছে। একই তলায় নতুন ও ব্লকের সংযোগস্থলের করিডরে নতুন ফাটল দেখা গেছে। পাশাপাশি দক্ষিণ ব্লকের দুই করিডরের মাঝের সংযোগস্থলে পুরো পাঁচতলাব্যাপী ফাটল ধরেছে। এ ছাড়া নজরুল হলের দোতলার ২০৭ নম্বর কক্ষের দেয়ালে, টিভি রুমের সামনের পিলারের সংযোগস্থলে নতুন ফাটল দেখা গেছে।
নওয়াব চৌধুরানী ফয়জুনেজা হলের চার তলায় ৪০৩ নম্বর রুম, পাঁচ তলার ৫০৩ ও ৫১১ নম্বর রুম এবং ছাদে ফাটল দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া হলের পুরোনো ফাটলগুলো বড় হয়ে গেছে। শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের ৫০০১ রুমেও ফাটল দেখা দেয়। এ ছাড়া নতুন নির্মিত শেখ হাসিনা হলের রিডিং রুমে ফাটল দেখা দেয়।
কাজী নজরুল ইসলাম হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মোহাম্মদ জোবায়ের আহমেদ বলেন, ‘ভূমিকম্প শুরুর সময় আমি নামাজ রুমে পড়ছিলাম হঠাৎ করে কম্পন শুরু হলে প্রথমে বুঝতে পারিনি কি হচ্ছে। তারপর যখন বুঝলাম ভূমিকম্প হচ্ছে তখন আমি দ্রুত ফাঁকা জায়গায় চলে যাই এবং হল থেকে অনেকেই বেড়িয়ে যেতে দেখি, এ সময় ১৭ তম আবর্তনের আকাশ নামের একজন আহত হয়। ভূমিকম্প শেষে আমার হলে আসলে বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখতে পাই।’
নওয়াব ফয়জুন্নেছা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আমেনা আক্তার বলেন, পরিস্থিতি যখন শান্ত হলে দেখি হলের কয়েকটি ফ্লোরে ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। ৪র্থ তলার তিন দিকে ও ৫ম তলার ছাদে ফাটল দেখা দিয়েছে। যা হল এ অবস্থানকারী মেয়েদের জন্য খুবই আতঙ্কের একটি বিষয়। পরবর্তীতে এ রকম কোনো ভূমিকম্প হল ভেঙে পড়ে কি না এ বিষয়টি নিয়ে মেয়েরা খুবই ভয়ে আছে।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এসএম শহিদুল হাসান বলেন, ভূমিকম্পে যে-সব ভবনে ফাটল সৃষ্টি হয়েছে সেগুলো ঝুঁকিপূর্ণ নয়। কারণ এই ভবনগুলোর দেয়াল এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যেখানে ভূমিকম্প হলে মূল কাঠামোতে সরাসরি প্রভাব পড়ার আগেই দেয়ালে প্রভাব পড়বে এবং ঝাঁকুনিটা দেয়ালেই লাগবেই। তবে বিষয়টি দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তরে কথা বলবেন বিষয়টি দেখার জন্য।
ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কিত হয়ে দৌড়ে বের হওয়ার সময় পদদলিত হয়ে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে একটি গার্মেন্টসের অন্তত ৮০ শ্রমিক আহত হয়েছেন। তাঁদের চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
চৌদ্দগ্রাম ফায়ার সার্ভিস ও থানা-পুলিশ ওই গার্মেন্টসের শ্রমিকদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। স্থানীয় প্রশাসন বলছে, ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কিত হয়ে তাড়াহুড়ো করে বের হতে গিয়ে শ্রমিকেরা আহত হয়েছে। তারা সবাই শঙ্কামুক্ত।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কমিউনিটি স্বার্থ কর্মকর্তা সোলায়মান বাদশা জানান, আমাদের কাছে এ পর্যন্ত ৭৫ জন চিকিৎসা নিয়েছে। আমরা চারজনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেছি।
এদিকে ভূমিকম্পে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি আবাসিক হল, বিজ্ঞান অনুষদ ও মসজিদ ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পরই এসব ফাটল তাঁরা দেখতে পায়। পর্যবেক্ষণের পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তিনটি ভবনে ফাটল দেখা গেছে। কুবির প্রকৌশল দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, শঙ্কার কিছু নেই।
জানা যায়, বঙ্গবন্ধু হলের ২০৯ নম্বর কক্ষের দেয়াল ও ৫০৪ নম্বর কক্ষের সামনের করিডরের মেঝের দুটি টাইলস উঠে গেছে। একই তলায় নতুন ও ব্লকের সংযোগস্থলের করিডরে নতুন ফাটল দেখা গেছে। পাশাপাশি দক্ষিণ ব্লকের দুই করিডরের মাঝের সংযোগস্থলে পুরো পাঁচতলাব্যাপী ফাটল ধরেছে। এ ছাড়া নজরুল হলের দোতলার ২০৭ নম্বর কক্ষের দেয়ালে, টিভি রুমের সামনের পিলারের সংযোগস্থলে নতুন ফাটল দেখা গেছে।
নওয়াব চৌধুরানী ফয়জুনেজা হলের চার তলায় ৪০৩ নম্বর রুম, পাঁচ তলার ৫০৩ ও ৫১১ নম্বর রুম এবং ছাদে ফাটল দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া হলের পুরোনো ফাটলগুলো বড় হয়ে গেছে। শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের ৫০০১ রুমেও ফাটল দেখা দেয়। এ ছাড়া নতুন নির্মিত শেখ হাসিনা হলের রিডিং রুমে ফাটল দেখা দেয়।
কাজী নজরুল ইসলাম হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মোহাম্মদ জোবায়ের আহমেদ বলেন, ‘ভূমিকম্প শুরুর সময় আমি নামাজ রুমে পড়ছিলাম হঠাৎ করে কম্পন শুরু হলে প্রথমে বুঝতে পারিনি কি হচ্ছে। তারপর যখন বুঝলাম ভূমিকম্প হচ্ছে তখন আমি দ্রুত ফাঁকা জায়গায় চলে যাই এবং হল থেকে অনেকেই বেড়িয়ে যেতে দেখি, এ সময় ১৭ তম আবর্তনের আকাশ নামের একজন আহত হয়। ভূমিকম্প শেষে আমার হলে আসলে বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখতে পাই।’
নওয়াব ফয়জুন্নেছা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আমেনা আক্তার বলেন, পরিস্থিতি যখন শান্ত হলে দেখি হলের কয়েকটি ফ্লোরে ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। ৪র্থ তলার তিন দিকে ও ৫ম তলার ছাদে ফাটল দেখা দিয়েছে। যা হল এ অবস্থানকারী মেয়েদের জন্য খুবই আতঙ্কের একটি বিষয়। পরবর্তীতে এ রকম কোনো ভূমিকম্প হল ভেঙে পড়ে কি না এ বিষয়টি নিয়ে মেয়েরা খুবই ভয়ে আছে।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এসএম শহিদুল হাসান বলেন, ভূমিকম্পে যে-সব ভবনে ফাটল সৃষ্টি হয়েছে সেগুলো ঝুঁকিপূর্ণ নয়। কারণ এই ভবনগুলোর দেয়াল এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যেখানে ভূমিকম্প হলে মূল কাঠামোতে সরাসরি প্রভাব পড়ার আগেই দেয়ালে প্রভাব পড়বে এবং ঝাঁকুনিটা দেয়ালেই লাগবেই। তবে বিষয়টি দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তরে কথা বলবেন বিষয়টি দেখার জন্য।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। প্রধান শিক্ষকবিহীন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, যেসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তাঁদের অনেকেরই প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ
৬ ঘণ্টা আগেদুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
৬ ঘণ্টা আগেরাত ১০টার দিকে ওই দুই যুবক মোটরসাইকেলে করে আড়ংঘাটা থানার লতার বাইপাস মোড় লিংক রোড থেকে বাইপাস মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময়ে আফিলগেট থেকে খুলনাগামী একটি বাস তাঁদের ধাক্কা দেয়।
৭ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর হাতিয়ায় গভীর রাতে বসতঘরে আগুন লেগে নিমাই চন্দ্র মজুমদার ও তাঁর স্ত্রী মিলনবালার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে বিকেল ৫টায় নিমাই চন্দ্রের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে পৌছার পর রাত ৯টার দিকে মিলন বালাও মারা যান।
৭ ঘণ্টা আগে