ঝালকাঠি প্রতিনিধি
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামের লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের পর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না নৌযানটির মাস্টার, সারেং, সুকানিসহ সব কর্মচারীর। তাঁরা পালিয়ে গেছেন বলে দাবি বেঁচে ফেরা যাত্রীদের। এমনকি লঞ্চের কর্মচারীদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলীও।
গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী লঞ্চটিতে আগুন লাগে। খবর পেয়ে বরিশাল, পিরোজপুর, বরগুনা ও ঝালকাঠির কোস্ট গার্ড ও ফায়ার সার্ভিস উদ্ধারকাজ শুরু করে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আরও অনেকে। ঘটনাস্থলে হেলিকপ্টারযোগে র্যাব, বিআইডব্লিউটিএ, নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
যাত্রীদের অভিযোগ, আগুন লাগার পরও ৩০-৪০ মিনিট চালিয়ে নদীর পাড়ে নিয়ে থামান লঞ্চের মাস্টার। কিন্তু যাত্রীদের ঝুঁকিতে ফেলে লঞ্চের মাস্টার, সারেং, সুকানিসহ সব কর্মচারী পালিয়ে যান। ওই সময় কয়েক শ যাত্রী নামতে পারলেও লঞ্চে থেকে যান ঘুমিয়ে থাকা যাত্রীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মেসার্স নেভিগেশন কোম্পানির এমভি অভিযান-১০ লঞ্চটির ধারণক্ষমতা দিনে ৭৬০ জন। তবে রাতে তা কমে হয় ৪২০ জন। এ ছাড়া লঞ্চটির লাইসেন্সের মেয়াদও ছিল চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় লঞ্চটি ২৫ জন কর্মচারীসহ ৩১০ জনের ভয়েস ক্লিয়ারেন্স দিয়ে টার্মিনাল ত্যাগ করে।
বেঁচে যাওয়া যাত্রীরা জানান, ঘাট থেকে লঞ্চ ছাড়ার সময়ই লোক ভর্তি ছিল। চাঁদপুরে থামালে সেখানে থেকে এত পরিমাণ লোক ওঠে যে তিল ধারণের ঠাঁইও ছিল না। ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া এলাকায় সুগন্ধা নদীতে পৌঁছালে রাত সাড়ে ৩টার দিকে লঞ্চের ইঞ্জিনরুমে আগুন ধরে যায়। এ সময় কেবিন ও ডেকের বেশির ভাগ যাত্রী ঘুমিয়ে ছিল।
অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ যাত্রী রাসেল মিয়া বলেন, ‘আগুন লাগার পর চালক ইচ্ছা করলে লঞ্চটি অনেক আগে থামাতে পারতেন। আগুন লাগার পরও তিনি লঞ্চটি অনেকক্ষণ চালিয়েছেন। পরে নদীর পাড়ে থামিয়ে লঞ্চের সব স্টাফ যাত্রীদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়ে পালিয়ে যান। পরে হুড়োহুড়ি করে কয়েক শ মানুষ নামতে পেরেছে। তবে যারা কেবিনে এবং ঘুমিয়ে ছিল তারা নামতে পারেনি। এ ছাড়া লঞ্চে অক্সিজেনের সংকট দেখা দেয়। আমি ডেকে ছিলাম। প্রথমে টের পাইনি। পরে নামার চেষ্টা করেও পারিনি। ভাসতে ভাসতে ভোরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে। আগুনে আমিও কিছুটা দগ্ধ হই।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আগুনে শতাধিক যাত্রী দগ্ধ হয়। এখন পর্যন্ত ৩৬ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক। তবে ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া জানান ৩৯ জনের মরদেহ উদ্ধারের কথা। দগ্ধ যাত্রীদের উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল ও বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে বরিশাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক শিশু মারা যায়।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দগ্ধদের সঠিক চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার সাইফুল ইসলাম বাদল, ডিআইজি আক্তারুজ্জামানসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।
ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী বলেন, উদ্ধার ৩৬টি মরদেহের মধ্যে পাঁচজনের পররিচয় শনাক্ত হয়েছে। সব মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ছাড়া লঞ্চের কর্মচারীদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ঘটনা তদন্তের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে মরদেহ দাফনের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। এ ছাড়া নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে দেড় লাখ টাকা করে দেওয়া হবে।
ঝালকাঠির ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ৩০টি মরদেহ উদ্ধার করেছে। বাকি ৯টি মরদেহ কোস্ট গার্ড উদ্ধার করেছে। হেলিকপ্টারযোগে র্যাব, বিআইডব্লিউটিএ, ফায়ার সার্ভিস ও কোস্ট গার্ডের ডুবুরি দল সুগন্ধা ও বিষখালী নদীতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে উপপরিচালক কামাল ভূঁইয়া বলেন, ‘তদন্ত ছাড়া এটি পুরোপুরি বলা সম্ভব না। তবে লঞ্চের যাত্রীরা বলছেন, ইঞ্জিনরুমে বিকট শব্দের পর পুরো লঞ্চে আগুন ধরে যায়।’
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামের লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের পর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না নৌযানটির মাস্টার, সারেং, সুকানিসহ সব কর্মচারীর। তাঁরা পালিয়ে গেছেন বলে দাবি বেঁচে ফেরা যাত্রীদের। এমনকি লঞ্চের কর্মচারীদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলীও।
গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী লঞ্চটিতে আগুন লাগে। খবর পেয়ে বরিশাল, পিরোজপুর, বরগুনা ও ঝালকাঠির কোস্ট গার্ড ও ফায়ার সার্ভিস উদ্ধারকাজ শুরু করে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আরও অনেকে। ঘটনাস্থলে হেলিকপ্টারযোগে র্যাব, বিআইডব্লিউটিএ, নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
যাত্রীদের অভিযোগ, আগুন লাগার পরও ৩০-৪০ মিনিট চালিয়ে নদীর পাড়ে নিয়ে থামান লঞ্চের মাস্টার। কিন্তু যাত্রীদের ঝুঁকিতে ফেলে লঞ্চের মাস্টার, সারেং, সুকানিসহ সব কর্মচারী পালিয়ে যান। ওই সময় কয়েক শ যাত্রী নামতে পারলেও লঞ্চে থেকে যান ঘুমিয়ে থাকা যাত্রীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মেসার্স নেভিগেশন কোম্পানির এমভি অভিযান-১০ লঞ্চটির ধারণক্ষমতা দিনে ৭৬০ জন। তবে রাতে তা কমে হয় ৪২০ জন। এ ছাড়া লঞ্চটির লাইসেন্সের মেয়াদও ছিল চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় লঞ্চটি ২৫ জন কর্মচারীসহ ৩১০ জনের ভয়েস ক্লিয়ারেন্স দিয়ে টার্মিনাল ত্যাগ করে।
বেঁচে যাওয়া যাত্রীরা জানান, ঘাট থেকে লঞ্চ ছাড়ার সময়ই লোক ভর্তি ছিল। চাঁদপুরে থামালে সেখানে থেকে এত পরিমাণ লোক ওঠে যে তিল ধারণের ঠাঁইও ছিল না। ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া এলাকায় সুগন্ধা নদীতে পৌঁছালে রাত সাড়ে ৩টার দিকে লঞ্চের ইঞ্জিনরুমে আগুন ধরে যায়। এ সময় কেবিন ও ডেকের বেশির ভাগ যাত্রী ঘুমিয়ে ছিল।
অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ যাত্রী রাসেল মিয়া বলেন, ‘আগুন লাগার পর চালক ইচ্ছা করলে লঞ্চটি অনেক আগে থামাতে পারতেন। আগুন লাগার পরও তিনি লঞ্চটি অনেকক্ষণ চালিয়েছেন। পরে নদীর পাড়ে থামিয়ে লঞ্চের সব স্টাফ যাত্রীদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়ে পালিয়ে যান। পরে হুড়োহুড়ি করে কয়েক শ মানুষ নামতে পেরেছে। তবে যারা কেবিনে এবং ঘুমিয়ে ছিল তারা নামতে পারেনি। এ ছাড়া লঞ্চে অক্সিজেনের সংকট দেখা দেয়। আমি ডেকে ছিলাম। প্রথমে টের পাইনি। পরে নামার চেষ্টা করেও পারিনি। ভাসতে ভাসতে ভোরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে। আগুনে আমিও কিছুটা দগ্ধ হই।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আগুনে শতাধিক যাত্রী দগ্ধ হয়। এখন পর্যন্ত ৩৬ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক। তবে ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া জানান ৩৯ জনের মরদেহ উদ্ধারের কথা। দগ্ধ যাত্রীদের উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল ও বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে বরিশাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক শিশু মারা যায়।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দগ্ধদের সঠিক চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার সাইফুল ইসলাম বাদল, ডিআইজি আক্তারুজ্জামানসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।
ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী বলেন, উদ্ধার ৩৬টি মরদেহের মধ্যে পাঁচজনের পররিচয় শনাক্ত হয়েছে। সব মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ছাড়া লঞ্চের কর্মচারীদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ঘটনা তদন্তের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে মরদেহ দাফনের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। এ ছাড়া নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে দেড় লাখ টাকা করে দেওয়া হবে।
ঝালকাঠির ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ৩০টি মরদেহ উদ্ধার করেছে। বাকি ৯টি মরদেহ কোস্ট গার্ড উদ্ধার করেছে। হেলিকপ্টারযোগে র্যাব, বিআইডব্লিউটিএ, ফায়ার সার্ভিস ও কোস্ট গার্ডের ডুবুরি দল সুগন্ধা ও বিষখালী নদীতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে উপপরিচালক কামাল ভূঁইয়া বলেন, ‘তদন্ত ছাড়া এটি পুরোপুরি বলা সম্ভব না। তবে লঞ্চের যাত্রীরা বলছেন, ইঞ্জিনরুমে বিকট শব্দের পর পুরো লঞ্চে আগুন ধরে যায়।’
হৃদয়বিদারক, মর্মান্তিক, মর্মস্পর্শী। এমনই এক দুর্ঘটনা ঘটেছে গতকাল সোমবার রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে। বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতের ঘটনা শোকবিহ্বল করেছে পুরো দেশকে। দুপুরে ওই যুদ্ধবিমান মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে আছড়ে পড়ে বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হয়েছেন...
১৫ মিনিট আগেরাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুলের তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে শিশু ওমায়ের নূর আশিক। সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে স্কুলটিতে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় গুরুতর আহত হয় শিশুটি। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে প্রথমে উত্তরার লুবনা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড কার্ডিয়াক সেন্টারে, পরে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয়।
২৩ মিনিট আগেচট্টগ্রামের চকবাজারে শিবির-ছাত্রদল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার দিবাগত রাত ১২ টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয় বলে জানা গেছে। বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি থমথমে। মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে শিবির ও ছাত্রদল। মাঝখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছেন। তারা দুই পক্ষকে নিবৃত্ত করারও চেষ্ঠা করছেন।
৩৭ মিনিট আগেএকের পর এক অ্যাম্বুলেন্স আসছে। ভেতর থেকে বের করে আনা হচ্ছে কোমলমতি শিশুদের। তাদের কারও হাত-পা, কারও মুখমণ্ডল, আবার কারও শরীরের অধিকাংশই দগ্ধ। তাদের আর্তনাদ ও স্বজনদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট।
৪১ মিনিট আগে