খাইরুল ইসলাম আকাশ, তালতলী (বরগুনা)
মা ও দাদির সঙ্গে লঞ্চে করে ঢাকা থেকে বরগুনা ফিরছিল যমজ দুই বোন লামিয়া ও সামিয়া। কিন্তু তাদের আর বাড়িতে জীবিত ফেরা হয়নি। সুগন্ধা নদীতে অভিযান-১০ লঞ্চে আগুনে পুড়ে কয়লা হয়ে কফিনে ফিরতে হয়েছে তাদের। কিন্তু বাড়ি পুরো খাঁ-খাঁ করছে। তাদের মৃত্যুতে শোকের মাতম করারও কোনো লোক নেই।
আজ শনিবার সকালে জেলা প্রশাসন থেকে দুই বোনের মরদেহ শনাক্ত করা হয়।
যমজ দুই বোনের মা এখনো নিখোঁজ। মাকে হন্যে হয়ে খুঁজছেন তাদের বাবা। আর পঞ্চাশোর্ধ্ব দাদি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে প্রহর ঘুনছেন। বাড়িতে রয়েছেন শুধু তাদের সত্তরোর্ধ্ব বয়সী দাদা আব্দুল আজিজ। কান্না করতে করতে তাঁর চোখের পানি শুকিয়ে গেছে। বাকরুদ্ধ হয়ে বাড়ির এক কোণে পড়ে আছেন তিনি।
জানা গেছে, আব্দুল আজিজের ছেলে রবিউল ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করেন। তাঁর দুই নাতনি তাঁর কাছেই থাকতেন। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে দুই নাতনি লামিয়া ও সামিয়া (৫), ছেলের বউ শিমু আক্তার (২৬) এবং স্ত্রী দুলু বেগম (৫৫) ঢাকা থেকে বরগুনা আসছিলেন। তারা অভিযান-১০ লঞ্চে উঠেছিলেন বলে জানতে পারেন আবদুল আজিজ। এরপর খবর পান লঞ্চে আগুন লেগেছে। ওই আগুনে আব্দুল আজিজের দুই নাতনি পুড়ে মারা গেছেন। তাঁর ছেলের বউকে খুঁজে পাচ্ছেন না। স্ত্রী বরিশালের হাসপাতালে ভর্তি।
সরেজমিনে আবদুল আজিজের বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, দুই নাতনি হারানোর শোকে পাথর হয়ে গেছেন তিনি। বাড়ির উঠানে নাতনিদের মরদেহ এলে কিছুই বলতে পারছেন না। আশপাশের লোকজন এসে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
এদিকে যমজ দুই বোনের মরদেহ দেখতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজবি উল কবির জোমাদ্দার আবদুল আজিজের বাড়িতে যান। এ সময় আজিজের পরিবারকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।
উল্লেখ্য, এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বরগুনা জেলা প্রশাসনের কাছে ৩৭টি মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ৭ জনের মরদেহ শনাক্ত করে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে জেলা প্রশাসন। বাকি ৩০ জনের মরদেহের বেলা ১১টার দিকে গণজানাজা পড়ানো হয়। জানাজার পরে আরও ৩ জনের মরদেহ শনাক্ত করে তাদের পরিবার। এই ৩ জনের মরদেহও পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বাকি ২৭ জনকে পৌরসভার পোটকাখালী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, ৩০ জনের জানাজা পড়ানো হয়। পরে তিনটি মরদেহ তাদের পরিবার শনাক্ত করলে সেগুলো এখানে (পোটকাখালী কবরস্থান) দাফন করা হয়নি।
মা ও দাদির সঙ্গে লঞ্চে করে ঢাকা থেকে বরগুনা ফিরছিল যমজ দুই বোন লামিয়া ও সামিয়া। কিন্তু তাদের আর বাড়িতে জীবিত ফেরা হয়নি। সুগন্ধা নদীতে অভিযান-১০ লঞ্চে আগুনে পুড়ে কয়লা হয়ে কফিনে ফিরতে হয়েছে তাদের। কিন্তু বাড়ি পুরো খাঁ-খাঁ করছে। তাদের মৃত্যুতে শোকের মাতম করারও কোনো লোক নেই।
আজ শনিবার সকালে জেলা প্রশাসন থেকে দুই বোনের মরদেহ শনাক্ত করা হয়।
যমজ দুই বোনের মা এখনো নিখোঁজ। মাকে হন্যে হয়ে খুঁজছেন তাদের বাবা। আর পঞ্চাশোর্ধ্ব দাদি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে প্রহর ঘুনছেন। বাড়িতে রয়েছেন শুধু তাদের সত্তরোর্ধ্ব বয়সী দাদা আব্দুল আজিজ। কান্না করতে করতে তাঁর চোখের পানি শুকিয়ে গেছে। বাকরুদ্ধ হয়ে বাড়ির এক কোণে পড়ে আছেন তিনি।
জানা গেছে, আব্দুল আজিজের ছেলে রবিউল ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করেন। তাঁর দুই নাতনি তাঁর কাছেই থাকতেন। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে দুই নাতনি লামিয়া ও সামিয়া (৫), ছেলের বউ শিমু আক্তার (২৬) এবং স্ত্রী দুলু বেগম (৫৫) ঢাকা থেকে বরগুনা আসছিলেন। তারা অভিযান-১০ লঞ্চে উঠেছিলেন বলে জানতে পারেন আবদুল আজিজ। এরপর খবর পান লঞ্চে আগুন লেগেছে। ওই আগুনে আব্দুল আজিজের দুই নাতনি পুড়ে মারা গেছেন। তাঁর ছেলের বউকে খুঁজে পাচ্ছেন না। স্ত্রী বরিশালের হাসপাতালে ভর্তি।
সরেজমিনে আবদুল আজিজের বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, দুই নাতনি হারানোর শোকে পাথর হয়ে গেছেন তিনি। বাড়ির উঠানে নাতনিদের মরদেহ এলে কিছুই বলতে পারছেন না। আশপাশের লোকজন এসে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
এদিকে যমজ দুই বোনের মরদেহ দেখতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজবি উল কবির জোমাদ্দার আবদুল আজিজের বাড়িতে যান। এ সময় আজিজের পরিবারকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।
উল্লেখ্য, এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বরগুনা জেলা প্রশাসনের কাছে ৩৭টি মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ৭ জনের মরদেহ শনাক্ত করে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে জেলা প্রশাসন। বাকি ৩০ জনের মরদেহের বেলা ১১টার দিকে গণজানাজা পড়ানো হয়। জানাজার পরে আরও ৩ জনের মরদেহ শনাক্ত করে তাদের পরিবার। এই ৩ জনের মরদেহও পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বাকি ২৭ জনকে পৌরসভার পোটকাখালী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, ৩০ জনের জানাজা পড়ানো হয়। পরে তিনটি মরদেহ তাদের পরিবার শনাক্ত করলে সেগুলো এখানে (পোটকাখালী কবরস্থান) দাফন করা হয়নি।
হৃদয়বিদারক, মর্মান্তিক, মর্মস্পর্শী। এমনই এক দুর্ঘটনা ঘটেছে গতকাল সোমবার রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে। বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতের ঘটনা শোকবিহ্বল করেছে পুরো দেশকে। দুপুরে ওই যুদ্ধবিমান মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে আছড়ে পড়ে বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হয়েছেন...
২ মিনিট আগেরাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুলের তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে শিশু ওমায়ের নূর আশিক। সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে স্কুলটিতে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় গুরুতর আহত হয় শিশুটি। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে প্রথমে উত্তরার লুবনা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড কার্ডিয়াক সেন্টারে, পরে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয়।
১০ মিনিট আগেচট্টগ্রামের চকবাজারে শিবির-ছাত্রদল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার দিবাগত রাত ১২ টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয় বলে জানা গেছে। বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি থমথমে। মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে শিবির ও ছাত্রদল। মাঝখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছেন। তারা দুই পক্ষকে নিবৃত্ত করারও চেষ্ঠা করছেন।
২৪ মিনিট আগেএকের পর এক অ্যাম্বুলেন্স আসছে। ভেতর থেকে বের করে আনা হচ্ছে কোমলমতি শিশুদের। তাদের কারও হাত-পা, কারও মুখমণ্ডল, আবার কারও শরীরের অধিকাংশই দগ্ধ। তাদের আর্তনাদ ও স্বজনদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট।
২৮ মিনিট আগে