বরগুনা প্রতিনিধি
তৃতীয় লিঙ্গের মানুষেরা পরিবারেরই অংশ। এমন সন্তানকে যেন পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করা না হয়। পরিবারের একজন হিসেবেই যেন জীবনযাপন করতে পারে।
আজ মঙ্গলবার গৃহহীনদের উপহারের ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরগুনা জেলার তৃতীয় লিঙ্গের একজনের সঙ্গে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।
তৃতীয় লিঙ্গের হয়ে কেউ জন্ম নিলে সে পরিবারের সম্পদের অংশ পাবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইসলাম ধর্মেও বলা আছে, সে সম্পদের অংশ পাবে। কেউ যদি একটু মেয়েলি স্বভাবের হয় সে মেয়ের অংশ এবং পুরুষের মতো আচরণ হলে পুরুষের অংশ পাবে; এটা ধর্মীয় নির্দেশনায়ও আছে। ভবিষ্যতে কোনো সন্তান এভাবে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হবে না।’
আশ্রয়ণ প্রকল্পের আঙিনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে কয়েকজন উপকারভোগীর সঙ্গে ভার্চুয়ালি কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একপর্যায়ে প্রকল্পে ঘর পাওয়া তৃতীয় লিঙ্গের একজনও কথা বলেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমি আমার ১০ বছর বয়সে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছি। আমার সমাজ থেকে আমি বিচ্ছিন্ন হয়েছি। মুজিববর্ষ উপলক্ষে আমি একটা পাকা ঘর পেয়েছি, দুই শতক জমি পেয়েছি। আজকে আমি এই ঘরের মালিক। আজকে আমি আমার নিজের ঘরে বসে ঈদ করতে পারব। বিগত ২০-২২ বছর ধরে হাত পেতে খেয়েছি, কেউ ঘরও ভাড়া দিতে চায়নি। আর এখন নিজের ঘরে বসে ঈদ করতে পারব, এর চেয়ে আনন্দের কী হতে পারে!’ তিনি এর জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটা মানুষ যখন জন্মগ্রহণ করেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কাকে কীভাবে জন্ম দেবেন, কেউ বলতে পারেন না। তৃতীয় লিঙ্গের বলে কাউকে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে এটা কিন্তু আমাদের ধর্মে বলা নেই। তারাও পরিবারেরই অংশ, পরিবারের একজন। ভবিষ্যতে এমন কোনো শিশু জন্ম নিলে সে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হবে না। সে পরিবারের একজন হিসেবে জীবনযাপন করবে।’
এ নির্দেশনা শুধু বরগুনার জন্য নয়, সারা দেশের সবার জন্য উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটা সবার জন্য আমি বলে যেতে চাই, এটা আমাদের মনে রাখতে হবে তারা আমাদের পরিবারের একজন। কারণ, আল্লাহর সৃষ্টির ওপর কারও হাত দেওয়ার অধিকার নেই।’
তৃতীয় ধাপে বরগুনায় ৪১১টি পরিবারকে জমিসহ ঘর দেওয়া হয়। এর মধ্যে আজ বরগুনার সদর উপজেলাধীন খাজুরতলা আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৩২৯টি ঘর হস্তান্তর করা হয়। ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব মো. ইমরুল কায়েস, বরগুনা-১ আসনের সাংসদ অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
এই ধাপে ঘর পেয়েছেন তৃতীয় লিঙ্গের ২২ জন, ১০ জন পুনর্বাসিত ভিক্ষুক, ২০ জন শারীরিকভাবে অক্ষম, ২৭ জন স্বামী পরিত্যক্তা নারী এবং ৪১ জন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষ। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এখানে আরও ১৫০টি গৃহ নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।
তৃতীয় লিঙ্গের মানুষেরা পরিবারেরই অংশ। এমন সন্তানকে যেন পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করা না হয়। পরিবারের একজন হিসেবেই যেন জীবনযাপন করতে পারে।
আজ মঙ্গলবার গৃহহীনদের উপহারের ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরগুনা জেলার তৃতীয় লিঙ্গের একজনের সঙ্গে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।
তৃতীয় লিঙ্গের হয়ে কেউ জন্ম নিলে সে পরিবারের সম্পদের অংশ পাবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইসলাম ধর্মেও বলা আছে, সে সম্পদের অংশ পাবে। কেউ যদি একটু মেয়েলি স্বভাবের হয় সে মেয়ের অংশ এবং পুরুষের মতো আচরণ হলে পুরুষের অংশ পাবে; এটা ধর্মীয় নির্দেশনায়ও আছে। ভবিষ্যতে কোনো সন্তান এভাবে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হবে না।’
আশ্রয়ণ প্রকল্পের আঙিনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে কয়েকজন উপকারভোগীর সঙ্গে ভার্চুয়ালি কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একপর্যায়ে প্রকল্পে ঘর পাওয়া তৃতীয় লিঙ্গের একজনও কথা বলেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমি আমার ১০ বছর বয়সে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছি। আমার সমাজ থেকে আমি বিচ্ছিন্ন হয়েছি। মুজিববর্ষ উপলক্ষে আমি একটা পাকা ঘর পেয়েছি, দুই শতক জমি পেয়েছি। আজকে আমি এই ঘরের মালিক। আজকে আমি আমার নিজের ঘরে বসে ঈদ করতে পারব। বিগত ২০-২২ বছর ধরে হাত পেতে খেয়েছি, কেউ ঘরও ভাড়া দিতে চায়নি। আর এখন নিজের ঘরে বসে ঈদ করতে পারব, এর চেয়ে আনন্দের কী হতে পারে!’ তিনি এর জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটা মানুষ যখন জন্মগ্রহণ করেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কাকে কীভাবে জন্ম দেবেন, কেউ বলতে পারেন না। তৃতীয় লিঙ্গের বলে কাউকে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে এটা কিন্তু আমাদের ধর্মে বলা নেই। তারাও পরিবারেরই অংশ, পরিবারের একজন। ভবিষ্যতে এমন কোনো শিশু জন্ম নিলে সে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হবে না। সে পরিবারের একজন হিসেবে জীবনযাপন করবে।’
এ নির্দেশনা শুধু বরগুনার জন্য নয়, সারা দেশের সবার জন্য উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটা সবার জন্য আমি বলে যেতে চাই, এটা আমাদের মনে রাখতে হবে তারা আমাদের পরিবারের একজন। কারণ, আল্লাহর সৃষ্টির ওপর কারও হাত দেওয়ার অধিকার নেই।’
তৃতীয় ধাপে বরগুনায় ৪১১টি পরিবারকে জমিসহ ঘর দেওয়া হয়। এর মধ্যে আজ বরগুনার সদর উপজেলাধীন খাজুরতলা আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৩২৯টি ঘর হস্তান্তর করা হয়। ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব মো. ইমরুল কায়েস, বরগুনা-১ আসনের সাংসদ অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
এই ধাপে ঘর পেয়েছেন তৃতীয় লিঙ্গের ২২ জন, ১০ জন পুনর্বাসিত ভিক্ষুক, ২০ জন শারীরিকভাবে অক্ষম, ২৭ জন স্বামী পরিত্যক্তা নারী এবং ৪১ জন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষ। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এখানে আরও ১৫০টি গৃহ নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।
রংপুর বিভাগের আট জেলার ২ কোটি মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সরকারি হাসপাতাল রয়েছে ৬৫টি। এসব হাসপাতালে চিকিৎসকের মোট পদ ১ হাজার ২১৪টি। কিন্তু বর্তমানে কর্মরত ৫৩১ জন, পদ শূন্য ৬৮৩টি। চাহিদার অর্ধেকেরও কম জনবল থাকায় হাসপাতালগুলোয় চিকিৎসা কার্যক্রম চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। সেবাপ্রার্থীদের বাধ্য...
৩ ঘণ্টা আগেঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে জলাতঙ্ক প্রতিরোধী টিকার সংকট দেখা দিয়েছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন রোগীরা। নিরুপায় হয়ে কেউ কেউ চড়া দামে বাইরে থেকে কিনছেন, কেউ আবার টিকা না পাওয়ার ভুগছেন দুশ্চিন্তায়।
৩ ঘণ্টা আগেঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ দিবস আজ শুক্রবার। পদ্মার উজানে ভারতের ফারাক্কা ব্যারাজ তৈরি করে পানি প্রত্যাহারের প্রতিবাদে ১৯৭৬ সালের এই দিনে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের লক্ষাধিক মানুষ রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে জমায়েত হয়েছিলেন। এখান থেকেই সেদিন মরণ বাঁধ ফারাক্কা অভিমুখে...
৩ ঘণ্টা আগে