নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
বরিশাল নগরের গোড়াচাঁদ দাশ রোডের এক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সৌন্দর্য বর্ধন করতে উদ্যান ও অভিভাবক ছাউনি উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বুধবার এ উদ্যানের উদ্বোধন করেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) বর্তমান মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। তবে উদ্যানে হাঁটার পথ (ওয়াকওয়ে) তৈরির জন্য পুকুরে চারদিক ভরাট করে সংকুচিত করে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
পরিবেশ অধিদপ্তর এবং পরিবেশবাদীদের মতে, হালিমা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সৌন্দর্য বর্ধনের নামে উদ্যান করে পুকুরটি ছোট করে ফেলা হয়েছে। এটি পরিবেশ আইন বিরোধী কাজ।
সরেজমিন দেখা গেছে, পুকুরের সামনে মেয়র সাদিকের মা সাহান আরা বেগমের একটি ম্যুরাল নির্মাণ করা হয়েছে। পুকুরের পাশে যে ওয়াকওয়ে করা হয়েছে, সেখানে ফলকে খচিত রয়েছে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহান আরা বেগম উদ্যান ও অভিভাবক ছাউনি’।
আজ দুপুরে এটি উদ্বোধনের সময় মেয়র সাদিকের সঙ্গে সহধর্মিণী লিপি আবদুল্লাহ ও শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্বাস উদ্দিন খান ছিলেন।
সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মেয়র হিসেবে চেষ্টা করেছি জলাশয় সংরক্ষণের। এই পুকুরটি সংস্কার করে যেমনটা করা হয়েছে, এত সুন্দর স্থাপনা কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই।’
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সাল বলেন, ‘উদ্যানের আশপাশে ময়লার ভাগাড় ছিল। কেন উদ্যানটি করছি, এ জন্য জবাবদিহি করতে হয়েছে। কিন্তু আমাকে ঠেকানোর কেউ নাই।’
জানতে চাইলে হালিমা খাতুন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক এম এম আমজাদ হোসাইন বলেন, স্কুলের মধ্যে যেটি উদ্যান করা হয়েছে তার একাংশ পুকুর ছিল। তিনি দায়িত্বকালীন এই পুকুরে মাছ চাষ করেছেন। কমিটির লোকজন ওই মাছ বড়শি দিয়ে ধরতেন। পুকুরটির আয়তন ছিল উত্তরে সীমানা ওয়াল পর্যন্ত এবং দক্ষিণে লাইব্রেরি ভবনের একাংশ পর্যন্ত।’
পুকুরের চারদিক ওয়াকওয়ে করাই অর্ধেক জায়গায় এখন ভরাট হয়ে গেছে বলে জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সাল বলেন, ‘স্কুলের অর্থায়নে পুকুর সংস্কার এবং উদ্যান করা হয়েছে। এর কাজ এখনো শেষ হয়নি। এ ছাড়া পুকুরটি ভরাটের চেষ্টা হয়েছিল। পাশের অন্য একটি ভবন থেকে বালু ফেলতে গিয়ে পশ্চিম পাশে পুকুর ছোট হয়ে গেছে। তা ছাড়া পাইলিং করতে গিয়ে পরিবর্তন আসতে পারে।’
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) বরিশাল জেলা সমন্বয়কারী রফিকুল আলম বলেন, পরিবেশ আইন অনুযায়ী কোনো পুকুর কিংবা জলাশয় ভরাট করা যাবে না। হালিমা খাতুন স্কুলে সৌন্দর্য বর্ধনের নামে উদ্যান করে পুকুরটি ছোট করে ফেলা হয়েছে। এটি পরিবেশ আইন ও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা লঙ্ঘন। স্কুলের এই পুকুরটিকে সুইমিং পুলে পরিণত করে অন্যায়কে ফাঁকফোকর দিয়ে জায়েজ করা হলো।
বরিশাল পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল মালেক আজকের পত্রিকাকে বলেন, পরিবেশ আইন অনুযায়ী পুকুর বা প্রাকৃতিক জলাশয়ের শ্রেণি পরিবর্তনের সুযোগ নেই। এটি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ যদি এমনটা করে এবং লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হালিমা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম ফখরুজ্জামানকে ফোন দেওয়া হলেও রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত কাউন্সিলর শাহিন সিকদার বলেন, ‘পুকুর ছোট করে ওয়াকওয়ে করা অন্যায় হয়েছে। এই টাকা স্কুলের শিক্ষার্থীদের। এই অর্থ দিয়ে শ্রেণিকক্ষ করা উচিত ছিল। শিক্ষার মান উন্নয়ন না করে এমন সৌন্দর্য বর্ধন করার যুক্তি নেই। এটা পুরোটাই খামখেয়ালি করে করা হয়েছে।’
বরিশাল নগরের গোড়াচাঁদ দাশ রোডের এক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সৌন্দর্য বর্ধন করতে উদ্যান ও অভিভাবক ছাউনি উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বুধবার এ উদ্যানের উদ্বোধন করেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) বর্তমান মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। তবে উদ্যানে হাঁটার পথ (ওয়াকওয়ে) তৈরির জন্য পুকুরে চারদিক ভরাট করে সংকুচিত করে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
পরিবেশ অধিদপ্তর এবং পরিবেশবাদীদের মতে, হালিমা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সৌন্দর্য বর্ধনের নামে উদ্যান করে পুকুরটি ছোট করে ফেলা হয়েছে। এটি পরিবেশ আইন বিরোধী কাজ।
সরেজমিন দেখা গেছে, পুকুরের সামনে মেয়র সাদিকের মা সাহান আরা বেগমের একটি ম্যুরাল নির্মাণ করা হয়েছে। পুকুরের পাশে যে ওয়াকওয়ে করা হয়েছে, সেখানে ফলকে খচিত রয়েছে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহান আরা বেগম উদ্যান ও অভিভাবক ছাউনি’।
আজ দুপুরে এটি উদ্বোধনের সময় মেয়র সাদিকের সঙ্গে সহধর্মিণী লিপি আবদুল্লাহ ও শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্বাস উদ্দিন খান ছিলেন।
সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মেয়র হিসেবে চেষ্টা করেছি জলাশয় সংরক্ষণের। এই পুকুরটি সংস্কার করে যেমনটা করা হয়েছে, এত সুন্দর স্থাপনা কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই।’
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সাল বলেন, ‘উদ্যানের আশপাশে ময়লার ভাগাড় ছিল। কেন উদ্যানটি করছি, এ জন্য জবাবদিহি করতে হয়েছে। কিন্তু আমাকে ঠেকানোর কেউ নাই।’
জানতে চাইলে হালিমা খাতুন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক এম এম আমজাদ হোসাইন বলেন, স্কুলের মধ্যে যেটি উদ্যান করা হয়েছে তার একাংশ পুকুর ছিল। তিনি দায়িত্বকালীন এই পুকুরে মাছ চাষ করেছেন। কমিটির লোকজন ওই মাছ বড়শি দিয়ে ধরতেন। পুকুরটির আয়তন ছিল উত্তরে সীমানা ওয়াল পর্যন্ত এবং দক্ষিণে লাইব্রেরি ভবনের একাংশ পর্যন্ত।’
পুকুরের চারদিক ওয়াকওয়ে করাই অর্ধেক জায়গায় এখন ভরাট হয়ে গেছে বলে জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সাল বলেন, ‘স্কুলের অর্থায়নে পুকুর সংস্কার এবং উদ্যান করা হয়েছে। এর কাজ এখনো শেষ হয়নি। এ ছাড়া পুকুরটি ভরাটের চেষ্টা হয়েছিল। পাশের অন্য একটি ভবন থেকে বালু ফেলতে গিয়ে পশ্চিম পাশে পুকুর ছোট হয়ে গেছে। তা ছাড়া পাইলিং করতে গিয়ে পরিবর্তন আসতে পারে।’
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) বরিশাল জেলা সমন্বয়কারী রফিকুল আলম বলেন, পরিবেশ আইন অনুযায়ী কোনো পুকুর কিংবা জলাশয় ভরাট করা যাবে না। হালিমা খাতুন স্কুলে সৌন্দর্য বর্ধনের নামে উদ্যান করে পুকুরটি ছোট করে ফেলা হয়েছে। এটি পরিবেশ আইন ও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা লঙ্ঘন। স্কুলের এই পুকুরটিকে সুইমিং পুলে পরিণত করে অন্যায়কে ফাঁকফোকর দিয়ে জায়েজ করা হলো।
বরিশাল পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল মালেক আজকের পত্রিকাকে বলেন, পরিবেশ আইন অনুযায়ী পুকুর বা প্রাকৃতিক জলাশয়ের শ্রেণি পরিবর্তনের সুযোগ নেই। এটি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ যদি এমনটা করে এবং লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হালিমা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম ফখরুজ্জামানকে ফোন দেওয়া হলেও রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত কাউন্সিলর শাহিন সিকদার বলেন, ‘পুকুর ছোট করে ওয়াকওয়ে করা অন্যায় হয়েছে। এই টাকা স্কুলের শিক্ষার্থীদের। এই অর্থ দিয়ে শ্রেণিকক্ষ করা উচিত ছিল। শিক্ষার মান উন্নয়ন না করে এমন সৌন্দর্য বর্ধন করার যুক্তি নেই। এটা পুরোটাই খামখেয়ালি করে করা হয়েছে।’
চট্টগ্রাম ওয়াসার পানি উৎপাদন ও চাহিদার মধ্যে প্রতিদিন ৫ কোটি লিটারের ফারাক। অনেক জায়গায় সুপেয় পানির জন্য হাহাকার করছে নগরবাসী। কিন্তু মানুষের ভোগান্তিকে দূরে ঠেলে নতুন মোবাইল কেনা এবং ভ্রমণ বিলাসে মেতেছেন ওয়াসার কর্মকর্তারা। সংস্থার ৯১ কর্মকর্তার জন্য মোবাইল ফোন কেনা এবং ২২
৪০ মিনিট আগেবঙ্গোপসাগরের তীরঘেঁষা উপকূলীয় জেলা বরগুনার ছয়টি উপজেলায় ১২ লাখ মানুষের বসবাস। তাঁদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতের জন্য জেলার ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালটি আধুনিকায়নের মাধ্যমে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয় ২০১৩ সালে। কিন্তু এক যুগেও হাসপাতালটির শূন্য পদে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
১ ঘণ্টা আগেব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌরসভায় ৮ কোটি ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত একটি পানি সরবরাহ প্রকল্পে চরম অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। প্রকল্পটি তিন বছর আগে উদ্বোধন করা হলেও আজ পর্যন্ত পৌরবাসীর ঘরে পৌঁছায়নি একফোঁটা পানি। প্রকল্পের কাজ কাগজ-কলমে সম্পন্ন দেখানো হলেও বাস্তবে এর অগ্রগতি ‘শূন্য’। ঠিকাদারি প্রত
১ ঘণ্টা আগেসুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর, শহীদ সিরাজ লেক, শিমুলবাগানসহ পর্যটন এলাকায় গতি আনতে ২০১৮ সালে তাহিরপুরের ডাম্পের বাজার এলাকায় পাটলাই নদের ওপর সেতু নির্মাণ শুরু হয়। তিন বছরের মধ্যে সেতুর কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। উল্টো গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সেতু চালু নিয়েই দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
১ ঘণ্টা আগে